সাহাবীগণ নবীজির কাছে বাইআত গ্রহণ করার সময় হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁদের হাতের উপর নিজ পবিত্র হাত রাখতেন। এদিকে ইঙ্গিত করেই অত্র আয়াত নাযিল হয়েছে। এখানে রাসূলের হাতকে আল্লাহ নিজের কুদরতের হাত বলেছেন। এতেই আল্লাহর সাথে নবীজীর ঘনিষ্ট সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়।
বাইআত গ্রহণ করে তারা প্রকৃতপক্ষে নবীজির হাতেই বাইআত গ্রহণ করে। সুতরাং প্রমাণিত হলো- নবীজির হাতে বাইআত করলে এই বাইআতই বাইআতুল্লাহ হয়। আর মুর্শিদের হাতে বাইআত করলে এই বাইআতে শেখ-ই বাইআতুর রাসূল হয়। একেই আরবীতে বলা হয়, “বি-ওয়াছিতাতে খোলা ফায়িহি” বা রাসূলের প্রতিনিধিগণের মাধ্যমে রাসূলের বাইআত। আল্লাহর প্রতিনিধি হলেন রাসূল এবং রাসূলের প্রতিনিধি হলেন শেখ বা পীর বা মুর্শিদ। প্রতিনিধির কাছে বাইআত গ্রহণ করলে এটাই মালিকের বাইআত বলে গণ্য হয়। (প্রমাণ তাফসীরে রুহুল বয়ান ও তাফসীরে সাভী – উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা)।
বাইআতের হাক্বীক্বত হলো- ”আল্লাহও রাসূলের আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করা”। এটা একটি শক্ত রশির ন্যায়- যার এক মাথা রাসূলের হাতে, অপর মাথা আল্লাহর হাতে। অনুরূপভাবে মুর্শিদের হাতে থাকে নিম্ন মাথা এবং রাসূলের হাতে থাকে উপরের মাথা। একে সিলসিলা বা শিকলের কড়া বলা হয়। পীরের বাইআত ও রাসূলে পাকের বাইআত মূলতঃ আল্লাহরই বাইআত (তাফসীরে রুহুল বয়ান, ও তাফসীরে সাভী, ২৬ পারা উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা)।