বাংলা কাব্যে “নূর” প্রসঙ্গ
– মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম
কৈফিয়ত:
‘নূরনাবি’ প্রসঙ্গটি বর্তমান ইসলামি আক্বিদার গুরুত্বপূর্ণ বিরোধমূলক বিষয়। মুসলিম নামধারি কিছু নব্য দল-উপদল কুরআন-সুন্নাহর দলিল, সত্যের মাপকাঠি সাহাবির বিশ্বাসপূর্ণ উক্তি,বিজ্ঞ ইমাম-মুজতাহিদ ,সত্যান্বেষী আলিমগণের সুবিদিত মতের বিরুদ্ধে গিয়ে মহানাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমাদের মত মানুষ বলে প্রচার করছে (নাউজুবিল্লাহ) এবং বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের দ্বারা এই ধারনা ঈমান বিধ্বংসী ভাইরাস আকারে বর্তমান বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছে। ১২০৩/৪ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির নেতৃত্বে বৃহত্তর বাংলা বিজয় করে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর হতে বাংলায় ইসলাম প্রচারক ওলি-ওলামা আসতে থাকেন। তাঁদের মাধ্যমে যাঁরা পরিশুদ্ধ ঈমান-ইসলাম পেয়েছেন তাঁরা, তৎকালীন জাতির বিবেক কবি-সাহিত্যিক-ইতিহাসবেত্তা ও তাঁদের উত্তরসূরীরা মহানাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সৃষ্টি সম্পর্কে ১৪০০ শতক হতে শুরু করে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত যে ধারণা মনের অলিন্দে-সাহিত্য-ইতিহাসে সযতনে লালন করে আসছেন অত্র প্রবন্ধ তার সাম্যক ধারণা দেবে মাত্র। কেননা এটি কাব্য কেন্দ্রিক অসম্পূর্ণ আলোচনা।
রবিউল আউয়াল নূরনাবি সাল্লাালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম‘র শুভাগমনের স্মারকবাহী প্রোজ্জ্বল,মহিমান্বিত মাস। হিজরতের ৫৩ বছর পূর্বে ৫৭০ সালের ১২ রবিউল আউয়াল মানব বেশে ধরাদামে শুভাগমন হলেও তিনি আদম সৃষ্টির ১৪ হাজার বৎসর পূর্বে আপন প্রভূর নিকট “নূর” হিসেবে বিদ্যমান ছিলেন (আল বিদায়া ওয়ান্ নিহায়া)। নাবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে সাহাবি জাবির বিন আব্দিল্লাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর প্রশ্নের উত্তরে ইরশাদ করেন,انّ الله تعالى خلق قبل الاشياء نور نبيّك من نوره -“হে জাবির! আল্লাহ প্রথম সৃষ্টি কী জান ? আমার নূর তাঁর “নূর” হতে শুন”(মুসান্নাফি আব্দির রাজ্জাক এর সূত্রে মাওয়াহিবি লাদুনিয়্যাহ-(১:১৮)। অত্র হাদিসের পরের অংশে জগতের সকল কিছু নাবির নূরের ভগ্নাংশ হতে সৃষ্টি হওয়ার কথা বর্ণিত আছে। এই নূর ভগ্নাংশের তৃতীয় ধাপের দ্বিতীয় অংশের সৃষ্টি হল জমিন বা মাটি। তাহলে বলুন ! নাবি কী ভাবে মাটির হওয়া সম্ভব ? জগতে নাবি প্রেরণ করে মহান আল্লাহও ঘোষনা দেনقد جاءكم من الله نور… “আল্লাহ হতে তোদের মাঝে,এসেছেন “নূর” নাবি সাজে”(আল্ কুরআন-০৫:১৫)। এই নূরের স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টি সৌন্দর্যে এতই বিমোহিত যে,সেই ‘আলোকের’ মহিমা কীর্তন তাঁর স্মরণের সাথে যুক্ত করে নেন ..ورفعنا لك ذكرك “স্মরণ তব করেছি উচুঁ, মম স্মরণ সঙ্গে”(আল্ কুরআন-৯৪:০৪)। মহান আল্লাহ্ কুরআনিক ঘোষনার মাধ্যমে জগৎসভায় নাবিচর্চার অনাদিকালের মহাযজ্ঞের শুভসূচনা করেন। তিনি সৃষ্টির সূচনালগ্ন হতে ফিরিশ্তাদের নিয়ে সর্বদা আপন প্রেমাস্পদের যিকির করে যাচ্ছেন এবং তাঁর অনুগত বিশ্বাসীগণকে ভক্তিযুক্ত সর্বোচ্চ আদব-সম্মান নিয়ে যিক্রে মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম‘র নির্দেশ দিয়েছেন (আল্ কুরআন-৩৩:৫৬)। কালের আবর্তনে নাবি-রাসূলগণ (আলাইহিমুস সালাম) হতে শুরু করে আজ পর্যন্ত ইবরানি (তাওরাত), ইউনানি (যাবুর), সুরইয়ানি (ইন্জিল),আরবি (ফুরকান),ফার্সি,উর্দু,ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় নানা বৈশিষ্টে অনেক নাবি কীর্তন রচিত হয়েছে। সপ্তম শতকে বাংলা ভাষার উন্মেষ ঘটলেও বাংলা কাব্যে হামদ (স্রষ্টা প্রশস্তি) – না‘ত (রাসূল প্রশস্তি) রচনা শুরু হয় মধ্যযুগে (১৪০০শতক) মুসলমানদের বাংলা বিজয়ের প্রায় ২ শত বছর পর শাহ মুহাম্মদ সগির (১৩৮৯-১৪০৯), সাবরিদ খান (জন্ম-মৃত্যু সন অজানা,তবে ধারণা করা হয় তিনি বাংলা মধ্যযুগের (১৬০০-১৭০০ শতকের) সুপ্রসিদ্ধ লোক কবি), সৈয়দ সুলতান (১৫৫০-১৬৪৮), মুহাম্মদ খান (১৫৮০-১৬৫০), দৌলত কাজি (১৫৫১মৃত), সৈয়দ আলাওল (১৬০৭-১৬৮০), হায়াত মাহমুদ (১৬৯৭-১৭৫৭) প্রমুখ কবিদের হাত ধরে। তন্মধ্যে “নূর” প্রসঙ্গে সর্বপ্রথম কবিতা রচনা করেন সাবরিদ খান…
“নূর মোহাম্মদ হৈলা * যার হোন্তে পয়দা হৈলা,
সৃষ্টি কৈলা এ তিন ভুবন”।
যার হেতু নিরঞ্জন * দুনিয়া করিল সৃজন,
আকাশ পাতাল মর্তস্থান।।
অর্থাৎ নূর মুহাম্মদের সৃষ্টি হেতু ত্রিভূবন (আকাশ,পাতাল,ভূতল) সৃষ্টি হয় (হানিফার দিগ্বিজয়)।
তাঁর পরে সৈয়দ সুলতান তার ‘হামদ’ কবিতায় বলেন…
“করিল প্রথম আদি জ্যেতির প্রকাশ,
তার প্রীতি প্রকটিল সেই কবিলাস”।।
অর্থাৎ স্রষ্টা সর্বপ্রথম জ্যোতি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সৃষ্টির আনন্দে স্বর্গ প্রকাশিত (সৃষ্টি) করেন।
মরমী কবি লালন শাহ্ (১৭৭৫-১৮৯২) ছায়াহীন রূপক নূরি নাবিকে চিত্রিত করেন…
“মদিনায় রসূল নামে কে এল রে ভাই,
কায়া ধারী হ’য়ে কেন তার ছায়া নাই”(লালন গীতি)।
বিশুদ্ধ নাবি প্রেমিক কবি গোলাম মোস্তফা (১৮৯৪-১৯৬৪) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘বিশ্ব নবীর’ সমাপ্তিতে নূর নাবিকে সালামির হাদিয়া দিয়ে বলেন…
“তুমি যে নূরের রবি * নিখিলের ধ্যানের ছবি,
তুমি না এলে দুনিয়ায় * আঁধারে ডুবিত সবি।
তোমারই নূরের আলোকে * জাগরণ এল ভূলোকে,
গাহিয়া উঠিল বুলবুল * হাসিল কুসুম পুলকে।।
আমাদের জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) এক্ষেত্রে অনন্য নজির সৃষ্টি করেন। তিনি অনেক ইসলামি সঙ্গীত-কবিতায় নূর ও জ্যোতি শব্দ ব্যাবহার করেন।
সুপ্রসিদ্ধ ইসলামি সঙ্গীত ‘নূর নবী’তে সোল্লাসে ঘোষণা করেন…
“ওগো নূর নবী হযরত * আমরা তোমারি উম্মাত”।।
‘আধাঁর রাতের প্রদীপ’ সঙ্গীতে বলেন…
আধাঁর রাতের প্রদীপ আমার নূর নবী হযরত,
যাঁর উছিলায় রোজ হাশরে পাব প্রভূর মাগফিরাত।।
‘মোহাম্মদ মুস্তফা সাল্লে আলা’য় বলেন…
“মোহাম্মদ মুস্তফা সাল্লে আলা,
তুমি বাদশারও বাদশাহ্ কম্লিওয়ালা,
পাপে-তাপে পূর্ণ আঁধার দুনিয়া,
হল পূর্ণ বেহেশ্তী নূরে উজালা”।।
‘নূরের দরিয়া’ নামক সঙ্গীতে বলেন…
“নূরের দরিয়ায় সিনান করিয়া * কে এল মক্কায় আমিনার কোলে,
ফাগুন-পূর্ণিমা-নিশিথে যেমন * আসমানের কোলে রাঙা-চাঁদ দোলে”।।
মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে‘ নিখিলের চির সুন্দর সৃষ্টি’ আখ্যায়িত করে বলেন…
নিখিলের চির সুন্দর সৃষ্টি * আমার মুহাম্মদ রাসুল,
কুল মাখলুকাতের গুলবাগানে * যেন একটি ফোঁটা ফুল।
‘নূরের নবী’ সে আমার নবী * পূর্ণ্য করুণা প্রেমের ছবি,
মহিমা গাহে যার নিখিল কবি * কেউ নহে তার
সমতুল”।।
‘অভিলাষ’ কবিতায় কবি প্রথম স্তবকেই রাসূল কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ‘নূর’ আখ্যায়িত করে বলেন…
“আমি যদি আরব হতাম * মদিনারই পথ ,
এই পথে মোর চ’লে যেতেন নূর-নবী হযরত”।।
‘আল কোরায়সী প্রিয় নবী’ কবিতায় নাবি-রাসূলগণ (আলাইহিমুস সালাম) নূরে মুহাম্মদির ধারক হওয়ায় যে নি‘মাত লাভ করেন তার মনোজ্ঞ বর্ননা দেন…
“আদমেরি পেশানিতে জ্যোতি ছিল যাঁর,
যাঁর গুণে নূহ তরে গেল তুফান পাথার,
যাঁর নূরে নমরুদের আগুন ফুলহার,
সেই-মোহাম্মদ মোস্তফা এলেন নিয়ে দীন-ইসলাম”।
অনূরূপ ‘খোদার বন্ধু কবিতায় বলেন…
“ছিল নবীর নূর পেশানিতে * তাই ডুবলনা কিশতি নূহের,
পুড়লনা আগুনে হযরত ইবরাহিম সে নম্রুদের,
বাঁচল ইউনোস মাছের পেটে স্মরণ ক’রে নবীর পদ”।।
‘হেরা হতে ফেরা’র চিত্র তুলে ধরে বলেন…
“হেরা হতে হেলে দুলে নূরানী তনু ও কে আসে হায় !
সারা দুনিয়ার হেরেমের পর্দ্দা খুলে খুলে যায়”।।
সংগ্রামী কবি বে-নজীর আহমদ (১৯০৩-১৯৮৩) তাঁর ‘নাত’ কবিতায় বলেন…
“নূর নবীরি নামের জ্যোতি,দেয় বুলায়ে আলোর তুলি-
আমার মন মদিনার বক্ষে আঁকা, শেষ নবীর ঐ চরণ ধূলি”।।
আযান কবি কাজি কাদের নেওয়াজ (১৯০৯-১৯৮৩) তাঁর ‘না’ত’ কবিতার শেষ দ্বিতীয় চরনে বলেন…
“পুলকে বন্দনা গাই * আজ স্মরি সেই নূরের নবী।
দীলোজাঁ,বাদে-ফেদায়েত * চে আজব খোস লকবি”।।
ইসলামি রেনেসাঁর কবি র্ফরুখ আহমদ (১৯১৮-১৯৭৬) ‘সিরাজাম্ মুনীরা’ (‘আলোক বর্তিকা’-আল্ কুরআন-৩৩:৪৫) নামে কবিতা রচনা করে বলেন…
আজ এতদিনে হ’ল কি সময় আবার নতুন পথ চলার?
পরম প্রিয়ের ডাক এল নাকি? আকাশ মহলা সাত তলার,
“ওপার থেকে সে মহাকারিগর ডাক দিল নাকি হে নূর নবী ?
মরুর আকাশ রোশনীতে ভরি’এবার কোথায় জাগবে রবি”?
গদ্য ছন্দের প্রবর্তক সৈয়দ আলী আহসান (১৯২২-২০০২) ‘হে পরমাশ্চর্য পূরুষ’ কবিতায় বলেন…
“তুমি আলোর প্রদীপ্ত নীরন্ধ্র অন্ধকারে * তীর্থযাত্রীদের তুমি পথ নির্দেশক,
আকাশের সর্বোজ্জ্বল চন্দ্রতাপ তুমি”!!
আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী ‘কে যাবিরে মদিনাতে’ নামক না’তে বলেন…
নূরনবী মোহাম্মদ সাল্লুআলা শুয়ে আছেন মদিনায়
কে যাবিরে মদিনাতে দেখবি নবীর রওযায়।।
কবি রুহুল আমিন খান ‘রাহমাতুল্লিল আলামীন’ কবিতায় বলেন…
“তোমার আসন সবার উপরে সৃষ্টির তুমি মহোত্তম,
সকল গুণের তুমিই আধার সুন্দরতম হে অনুপম।
দীপ্ত সূর্য সকলেই লভে তব প্রোজ্জ্বল রশ্মি নূর
সে আলো-আভায় সব গোমরাহী সব জুলমাত পালায় দূর”।।
একই কবিতার অন্য শ্লোকে নূর নাবিকে সকল সৃষ্টির মূল ও মালিক উল্লেখ করে বলেন…
নিখিল সৃষ্টি আমার তরেই, আমি যে মাথার তাজ সবার,
আমাতে সুপ্ত স্রষ্টার নূর, দুনিয়ায় আমি খলিফা তাঁর।।
সৈয়দ শামসুল হুদা তাঁর ‘যেন অভেদ ছবি’ কবিতায় পবিত্র মি’রাজের বর্ণনা দিতে গিয়ে নূর প্রসঙ্গে বলেন…
“কত কথা খোদার সাথে বলেন নিখিল-নবী,
নূরে নূরে মিলে যেনো ফুটলো অভেদ ছবি !
দিদার শেষে এলেন নবী ধূলির ধরায় ফিরে,
পাঞ্জেগানা সালাত-মিরাজ দিলেন উম্মতেরে”।।
অসংখ্য নবীন কবিরাও ‘নূর’ বিষয়ে নাবিস্তুতি লিখে চলেছেন। যেমন…
জাহিদুল হক তাঁর ‘হে বেহেশ্ত আল্লার রাসুল’ কবিতার শেষ দিকে বলেন …
“মাঝে মধ্যে সরে যাই তোমার সুন্দর নূরে,
নূর হয়ে যাই আমি বুকের অঙ্কুর।
খোশবুতে বেহুঁশ ক্ষেতে কখনো গোলাপ ফুল ফুটে উঠি,
হে বেহেশ্ত আল্লার রাসুল’’।।
মাশুক চৌধুরী তাঁর ‘ইয়া নবী সালাম আলাইকা’তে নূর নাবিকে ভূলোকে প্রেরণের পরও আল্লাহ্ চাঁদ সূর্য কেন সৃষ্টি করলেন তার অনুযোগ জানিয়ে বলেন…
“নূরের নবীকে যদি পাঠালেই পৃথিবীতে, তবে কেন কষ্ট করে,
সৌরলোকে ঝুলিয়ে দিয়েছ এমন, অগ্নি জ্বালা ফুলের মত চলমান সূর্যের চাকা
এবং, নরোম আলোর কুসুম মাখানো পূর্ণিমার চাঁদ ?
নূর নবী এলেন পৃথিবীতে, আর কোন সূর্যের প্রয়োজন নেই,
নূর নবী এলেন পৃথিবীতে, আর কোন চন্দ্রের প্রয়োজন নেই”।।
নবীন মহিল কবি লুবনা জাহান ‘তাঁরই নূরে বিশ্ব আলোকময়’ কবিতাতে বলেন…
“মহামানব শিশু এসেছে মায়ের বুকে
বেহেশতী ফুল আমেনার কোলে ফোটে,
তাঁরই নূরে বিশ্ব আলোকময়”।।
আরব-মধ্যএশিয়া ছাড়িয়ে নাবির নূরোচ্ছাস বাংলা ভাষী বাংলাদেশীদের অন্তরে,বাংলার নদী-প্রান্তরে যে ঈমানি উর্বরতা দান করেছে এবং সাঁঝ প্রভাতে এদেশের মু’মিনগণ যে রাসূল প্রশস্তি করে তার হৃদয়স্পর্শী-আবেগঘন উদ্ধৃতি আশরাফ আল দীনের ‘পদ্মা-মেঘনা পাড়ে’ কবিতা হতে দিয়ে শেষ করছি…
“রাসূলে খোদার নূর –
আওয়াজের মত ছড়িয়ে পড়েছে, দিকে দিকে বহুদূর-
আলোর গতি থামে কি কখনো ? প্রবাহ যে তার প্রাণ!
ইরান,তুরান,গ্রানাডায় এলো, আলোর ঐকতান ;
সে আলোর রেখা বেগে ছুটে এলো, ভারতের দিকে শেষে
কাতার বন্দী খোদার বান্দা, দাঁড়ালো বাংলাদেশে।
রাসূলে খোদার নূরে-
সকাল সন্ধ্যা হাসে যে এদেশ, গজলের সুরে সুরে”।।
বাংলা কাব্যে “নূর” প্রসঙ্গ
পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।