ফরয হল যা অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত হয়। ফরয এর আভিধানিক অর্থ নির্ধারণ করা, ছিন্ন করা। এর সংজ্ঞায় ثبت শব্দটি ثبات থেকে নির্গত যার অর্থ মিটে যাওয়ার বিপরীত অর্থাৎ যা প্রত্যেকের ওপর বা দলের ওপর স্থায়ীত্ব হয় অবস্থার প্রেক্ষিতে যার ইলত (কারণ) প্রধান্য লাভ করেন। ইহাই হল ফরযে আইনের অন্তর্ভূক্ত।
প্রথম বৈঠক ও উভয় বৈঠকে তাশাহ্হুদ পাঠ, রুকু, সিজদায় স্থিরতা, প্রত্যেক ফরয ও ওয়াজিবসমূহ স্ব স্ব স্থানে আাদায় করা, সালামের মাধ্যমে বের হওয়া, বিশেষত প্রথম দু’রাকাতে সূরা নির্ধারণ করা, উভয়ে সূরা ফাতেহা পড়া, একবার করে পাঠ করা, ফাতেহার সাথে যে কোন সূরা বা ছোট তিন আয়াত বা বড় এক আয়াত একত্রিত করণ, ফাতেহা প্রথমে আদায় কর এগুলো যাদের ওপর ক্বিরাত, কুনুত, উচ্চরবে পাঠ করার স্থানে জামাতের সাথে উচ্চ স্বরে পাঠকারী, অনুরূপভাবে নিম্নরবে পাঠ করার স্থানে নিম্নরবে পাঠকারীদের জন্যে। ইমামের পাঠকালে মুকতাদি নীরব থাকা, যে অবস্থায় ইমামকে পাবে অনুসরণ করা যদিও সে তার নামাযের অন্তর্ভূক্ত নয়, তিলাওয়াতে সিজদা ইমাম ও একাকীত্ব আদায়কারীর ওপর, উভয় ঈদের তাকবীর সমূহ ও উহাদের রুকুর তাকবীর, শেষভাগের প্রথম আট অবস্থায় ওয়াজিব বর্জনে ইমাম ও একাকীত্ব নামায আদায়কারী উভয়ের ওপর সিজদা সাহু ওয়াজিব। এবং স্থিরতা ব্যতীত প্রথম ভাগের প্রত্যেক অবস্থায় ওয়াজিব কেননা ইহা (স্থিরতা) বাহ্যিক কারণে ওয়াজিব হয়।






Users Today : 372
Users Yesterday : 759
This Month : 5406
This Year : 177277
Total Users : 293140
Views Today : 7362
Total views : 3462473