প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা ! লাইলাতুল ক্বদর অত্যন্ত বরকতময় রাত। সেটাকে লাইলাতুল ক্বদর এজন্য বলা হয় যে, এতে সারা বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। অর্থাৎ ফিরিশতাগণ রেজিষ্টারগুলোতে আগামী বছর সংগঠিত হবে এমন বিষয়াদি লিপিবদ্ধ করে নেন। যেমন তাফসীরে সাভী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২৩৯৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ হয়েছে: اَيْ اِظْهَارُ هَافِى دَوَاوِيْنِ الْمَلَاءِ الْاَعْلٰى
তাছাড়া আরো অনেক মর্যাদা এ মুবারক রাতের রয়েছে। প্রসিদ্ধ মুফাসসির মুফতী আহমদ এয়ার খান নঈমী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বর্ণনা করেন, “এ রাতকে লাইলাতুর ক্বদর কয়েক কারণে বলা হয়:
১। এতে আগামী বছরের ভালমন্দ নির্ধারিত করে ফিরিশতাদের হাতে অর্পন করা হয়। ক্বদর মানে তকদীর (নির্ধারণ করণ) অথবা ক্বদর মানে সম্মান অর্থাৎ সম্মানিত রাত।
২। এতে ক্বদর বা সম্মানিত কোরআন নাযিল হয়েছে।
৩। যে ইবাদত এ রাতে করা হয়, তাতে মর্যাদা রয়েছে।
৪। ক্বদর অর্থ সংকীর্ণতা, অর্থাৎ ফিরিশতা এ রাতে এতো বেশি পরিমাণে আসে যে, পৃথিবী সংকীর্ণ হয়ে যায়, জায়গা সংকুলান হয়না। এ সব কারণে সেটাকে শবে ক্বদর অর্থাৎ সম্মানিত রাত বলে। (মাওয়াইযে নঈমিয়া, পৃষ্ঠা ৬২)
বোখারী শরীফের হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি এ রাতে ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে জাগ্রত থেকে ইবাদত করবে, তার সারা জীবনের গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” (সহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৬৬০, হাদিস নং ২০১৪)
৮৩ বছর ৪ মাস ইবাদাতের চেয়ে বেশি সাওয়াব
অতএব এ পবিত্র রাতকে কখনোই অলসতার মধ্যে অতিবাহিত করা উচিত হবেনা। এ রাতে ইবাদতকারীকে এক হাজার মাস অর্থাৎ ৮৩ বছর ৪ মাস অপেক্ষা ও বেশি ইবাদতের সাওয়াব দান করা হয় এবং বেশি পরিমাণ কত তা আল্লাহ তাআলা ও তাঁর মাধ্যমে প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ ﷺ জানেন। এই রাতে হযরত জিব্রাঈল ও ফিরিশতারা অবতীর্ণ হয়। অতঃপর ইবাদতকারীদের সাথে মোছাফাহা করেন। এই মোবারক রাতে প্রতিটি মুহুর্ত শান্তি আর শান্তি। এটা সুবহে সাদিক পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এটা আল্লাহ তাআলার বিশেষ দয়া। এ মহান রাত শুধু আপন প্রিয় হাবীব ﷺ
এর ওসীলায় হুযূরের উম্মতকে দান করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে পাকে ইরশাদ ফরমায়েছেন:
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
إِنَّا أَنْزَلْنٰهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
وَمَا أَدْرٰكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
تَنَزَّلُ الْمَلٰئِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ
سَلَامٌ هِيَ حَتَٰى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আল্লাহ তাআলার নামে আরম্ভ, যিনি পরম করুণাময়, দয়ালু নিশ্চয় আমি সেটাকে ক্বদর রাত্রিতে নাযিল করেছি। আপনি জেনেছেন ক্বদর রাত্রি কি? ক্বদর রাত হচ্ছে- হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এতে ফিরিশতাগণ ও জিব্রাঈল অবর্তীণ হয় আপন রবের নির্দেশে, প্রতিটি কাজের জন্য, তা হচ্ছে- শান্তি ভোর চমকিত হওয়া পর্যন্ত।(পারা-৩০, সুরাতুল কদর)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! শবে ক্বদর কতই গুরুত্বপূর্ণ রাত! এর বরকত প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা পূর্ণ একটা সূরা নাযিল করেছেন, যা আপনি এখন দেখলেন। এ বরকতময় সূরায় আল্লাহ তাআলা এ মুবারক রাতের কয়েকটা বিশেষত্ব ইরশাদ করেছেন।
সম্মানিত মুফাসসিরগণ (আল্লাহ তা’আলা তাঁদের উপর দয়া করুন) এই সূরায়ে ক্বদর প্রসঙ্গে ইরশাদ ফরমান, “এ রাতে আল্লাহ তাআলা কোরআন মজীদকে লওহ-ই-মাহফুয থেকে প্রম আসমানে নাযিল করেছেন। তারপর প্রায় ২৩ বছর সময় ধরে আপন প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর উপর ক্রমান্বয়ে নাযিল করেছেন। (তাফসীরে সাভী, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-২৩৯৮)
হুযুর ﷺ দুঃখিত হলেন
তাফসীরে আযীযীতে উল্লেখ করা হয়েছে, যখন আমাদের প্রিয় আকা হযরত মুহাম্মদ ﷺ পূর্ববর্তী সম্মানিত নবীগণ عَلَيْهِ السَّلَام এর উম্মতদের দীর্ঘায়ূ ও আপন উম্মতের স্বল্পায়ু দেখলেন, তখন উম্মতের প্রতি দয়ালু তাজেদারে রিসালত হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর বরকতময় হৃদয়ে স্নেহের ঢেউ উঠলো। আর তিনি ﷺ দুঃখিত হলেন এ ভেবে “আমার উম্মত যদিও খুব বড় বড় ইবাদতও করে তবুও তো তাদের সমান করতে পারবে না। তাই আল্লাহ তাআলার রহমতের ঢেউ উঠল। তিনি আপন প্রিয় হাবীব ﷺ কে লাইলাতুল ক্বদর দান করলেন। (তাফসীরে আযীযী, খন্ড ৪র্থ, পৃষ্ঠা ৪৩৪)
ঈমান তাজাকারী ঘটনা
সূরা ক্বদর এর শানে নুযূল (অবতরণের কারণ) বর্ণনা করতে গিয়ে কিছু সংখ্যক সম্মানিত মুফাসসির رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِمْ অত্যন্ত ঈমান সজীবকারী ঘটনা বর্ণনা করেছেন। সেটার বিষয়বস্তু কিছুটা এমন, হযরত শামউন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ হাজার মাস ধরে এ ভাবে ইবাদত করেছেন যে, রাতে জেগে জেগে ইবাদত করতেন আর দিনের বেলায় রোযা রাখতেন এবং আল্লাহ তাআলার পথে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদও করতেন। তিনি এতো শক্তিশালী ছিলেন যে, লোহার ভারী, মজবুত শিকলগুলোকে নিজ হাতে ভেঙ্গে ফেলতেন। নিকৃষ্ট কাফিরগণ যখন দেখলো যে, হযরত শামউন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এর বিরুদ্ধে কোন চক্রান্ত কাজে আসছেনা, তখন পরস্পর পরামর্শ করার পর অনেক ধন সম্পদের লোভ দেখিয়ে তাঁর رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এর স্ত্রীকে এ কথায় কুপরামর্শ দিল, যেন সে কোন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সুযোগ পেলে তাঁকে অত্যন্ত মজবূত রশি দিয়ে ভালভাবে বেঁধে তাদের হাতে অর্পণ করে দেয়। অবিশ্বস্ত স্ত্রী তাই করল। যখন তিনি জাগ্রত হলেন এবং নিজেকে রশিতে বন্দী পেলেন, তখন সাথে সাথে নিজের অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে নাড়া দিলেন, তখন দেখতে না দেখতেই রশিগুলো ছিঁড়ে গেলো। আর তিনি رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ মুক্ত হয়ে গেলেন। তারপর আপন স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন আমাকে কে বেঁধেছে। অবিশ্বস্ত স্ত্রী বিশ্বস্তার কৃত্রিম ভঙ্গিতে মিথ্যা বলে দিলো আমিতো আপনার শারীরিক শক্তির পরীক্ষা করছিলাম যে, আপনি নিজেকে এসব রশি থেকে মুক্ত করাতে পারেন কিনা। কথা শেষ হলো। একবার অকৃতকার্য হওয়া সত্ত্বেও অবিশ্বস্ত স্ত্রী সাহস হারায়নি। আর নিয়মিত এ সুযোগের অপেক্ষায় রইলো যে, কখন তাঁকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া যাবে এবং তাঁকে বেঁধে ফেলবে। শেষ পর্যন্ত পুনরায় সে সুযোগ পেয়ে গেলো। তাই তিনি যখন গভীর নিদ্রায় বিভোর হলেন, তখন ওই যালিম স্ত্রী অত্যন্ত চালাকীর সাথে তাঁকে লোহার শিকল দিয়ে ভালভাবে বেঁধে ফেললো। যখনই তাঁর ঘুম ভেঙ্গে গেলো, তখন তিনি শিকলের একেকটা কড়া ছিন্ন করে ফেললেন এবং সহজে মুক্ত হয়ে গেলেন। স্ত্রী এটা দেখে অবাক হয়ে গেলো। কিন্তু পুনরায় প্রতারণা করে একই কথা আবার বলতে লাগল, “আমি আপনাকে পরীক্ষা করছিলাম।” কথা প্রসঙ্গে (হযরত) শামঊন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ তাঁর স্ত্রীর নিকট নিজের রহস্য খুলে দিলেন, “আমার উপর আল্লাহ তাআলা বড়ই অনুগ্রহ যে, তিনি আমাকে তাঁর বেলায়াত এর মর্যাদা দান করেছেন। আমার মাথার চুল ছাড়া আমার উপর দুনিয়ার কোন জিনিষ প্রভাব ফেলতে পারবেনা। চালাক স্ত্রী সমস্ত কথা বুঝতে পারলো। আহ! তাকে দুনিয়ার ভালবাসা অন্ধ করে ফেলেছিলো। শেষ পর্যন্ত সুযোগ পেয়ে সে তাঁকে তার আটটি বাবরী চুল* দিয়ে বেধেঁ নিলো, যেগুলোর দৈর্ঘ্য ছিল মাটি পর্যন্ত। তিনি ঘুম ভাঙ্গতেই খুব শক্তি প্রয়োগ করলেন, কিন্তু সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হলো। দুনিয়ার ধন সম্পদের নেশায় অন্যায়ভাবে স্বামীকে শত্রুদের হাতে অর্পন করে দিলো। দুষ্ট কাফিরগণ হযরত শাম’উন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ কে একটা খামের সাথে বেঁধে ফেললো, আর অত্যন্ত নির্মম ও হিংস্রতার সাথে তাঁর নাক ও কান কেটে ফেললো,চোখ দুটি বের করে ফেললো। নিজ কামিল ওলীর অসহায় অবস্থার উপর মহামহিম রব্বুল ইয্যাতের রাগের সাগরে ঢেউ খেললো। মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা ওই যালিমদেরকে জমিনের ভিতর ধসিয়ে দিলেন। আর দুনিয়ার লালসার শিকার অবিশ্বাসী হতভাগা স্ত্রীও আল্লাহ তায়ালার রাগের তাজাল্লীতে ধ্বংস প্রাপ্ত হলো। (মুকাশাফাতুল কুলুব, ৩০৬ পৃষ্ঠা)
*ইমাম মুহাম্মদ গাযালী رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এ দীর্ঘ চুলের কথা উল্লেখ করেছেন। ইনি পূর্ববর্তী উম্মতের বুযুর্গ ছিলেন। আমাদের আকা হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর চুলের সুন্নত সর্বোচ্চ কাঁধ পর্যন্ত।
আমাদের বয়সতো খুবই স্বল্প
সম্মানিত সাহাবা ই কেরাম رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمْ যখন হযরত সায়্যিদুনা শামউন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এর ইবাদত , জিহাদ এবং বিভিন্ন কষ্ট ও মুসীবতের বর্ণনা শুনলেন তখন হযরত শামউন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ উপর তাঁদের বড় ঈর্ষা হলো। আর নবুওয়তের চাঁদ, রেসালতের সূর্য. দয়াল নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর বরকতময় দরবারে আরয করলেন, “হে আল্লাহর রসূল! আমরাতো অতি অল্প বয়সই পেয়েছি। তা থেকেও একটা অংশ ঘুমে চলে যায়। কিছুটা চলে যায় জীবিকার সন্ধানে, রান্না বান্না ও পানাহারে, আর অন্যান্য পার্থিব কাজকর্মে কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। তাই আমরাতো হযরত শামউন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এর মতো ইবাদত করতে পারি না। এভাবে বনী ইস্রাঈল ইবাদতে আমাদের থেকে এগিয়ে যাবে। উম্মতের প্রতি দয়ালু আকা হযরত মুহাম্মদ ﷺ এটা শুনে দূঃখিত হলেন। তখনই হযরত সায়্যিদুনা জিব্রাঈল আমীন عَلَيْهِ السَّلَام হুযূরের মহান দরবারে হাযির হলেন। আর আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সূরা ক্বদর পেশ করলেন। আর সান্ত্বনা দিয়ে ইরশাদ করলেন, “প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ ﷺ আপনি দুঃখিত হবেন না। আপনার ﷺ উম্মতকে আমি প্রতি বছর এমন এক রাত দান করেছি যে, যদি তারা ওই রাতে আমার ইবাদত করে, তবে তা হযরত শামউন رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ এর হাজার মাসের ইবাদত অপেক্ষাও বেশি হবে। (তাফসীরে আযীযী, খন্ড ৪র্থ, পৃষ্ঠা ৪৩৪)
আহ! আমাদের নিকট গুরুত্ব কিসের?
আল্লাহু আকবার! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলা আপন মাহবূব উভয় জগতের রহমত হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর উম্মতের উপর কি পরিমাণ দয়াবান! আর আল্লাহ আমাদের প্রিয় আকা হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা ﷺ এর ওসীলায় কতোই মহান দয়া করেছেন! যদি গভীর মনোযোগ দিয়ে শবে ক্বদরের ইবাদত করে নেই, তবে এক হাজার বছরের ইবাদতের চেয়েও বেশি সাওয়াব পেয়ে যাব। কিন্তু আহ! আমাদের নিকট শবে ক্বদরের গুরুত্ব কোথায়? একজন সম্মানিত সাহাবী رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর আফসোসের কারণে আমরা এতো বড় পুরস্কার কোনরূপ প্রার্থনা ছাড়াই পেয়ে গেলাম। তাঁরা এর প্রতি মর্যাদাও দিয়েছেন কিন্তু আমরা উদাসীনরা ইবাদতের সময়ও পাইনা। আহ! প্রতি বছরই পাই এমন মহান পুরস্কারকে আমরা অলসতার হাতে অর্পন করে দেই।
সমস্ত কল্যাণ থেকে কে বঞ্চিত?
হযরত সায়্যিদুনা আনাস ইবনে মালিক رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ বলেন, “যখন একবার মাহে রমযান তাশরীফ আনলো তখন তাজেদারে মাদীনা, সুরুরে কলবো সীনা হযরত মুহাম্মদ ﷺ ইরশাদ ফরমান, “তোমাদের নিকট একটি মাস এসেছে, যাতে একটি রাত এমনও রয়েছে, যা হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাত থেকে বঞ্চিত রইলো, সে যেনো সব কিছু থেকে বঞ্চিত রইলো। আর এর কল্যাণ থেকে যে বঞ্চিত থাকে একমাত্র সেই প্রকৃতপক্ষে বঞ্চিত।” (সুনানে ইবনে মাজাহ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৯৮, হাদীস নং ১৬৪৪)
_______________________
লিখাটি আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত রযমান মাসের বিস্তারিত মাসাইল সম্পর্কিত “রমযানের ফযিলত” নামক কিতাবের ১৯৬-১৯৮ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। কিতাবটি নিজে কিনুন, অন্যকে উপহার দিন।