প্রশ্নোত্তর: জানাযা পড়ার জন্য লাশ নেয়ার সময় যে দরূদ শরীফ পাঠ করি তা কেউ সম্পূর্ণ পাঠ করি না। এ পদ্ধতি ঠিক আছে কি না?

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

প্রশ্ন: বর্তমানে আমরা জানাযা পড়ার জন্য লাশ নেয়ার সময় যে দরূদ শরীফ পাঠ করি তা কেউ সম্পূর্ণ পাঠ করি না। এ পদ্ধতি ঠিক আছে কি না? না থাকলে সঠিক নিয়ম জানিয়ে ধন্য করবেন।

উত্তর: জানাযার নামাযের জন্য লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় দরূদ শরীফ, কলমায়ে তৈয়্যবা শরীফ ইত্যাদি পাঠ করা সাওয়াব ও মৃতের জন্য উপকারী। তাই যে কোন দরূদ শরীফ পাঠ করা যাবে এবং পরিপূর্ণ পাঠ করা উচিত। অনেক জায়গায় লাশ বহনের সময় ‘‘আল্লাহু রাব্বী- মুহাম্মদ নবী’’ উচ্চারণ বা পাঠ করা হয় এক্ষেত্রে মুহাম্মদ নবী কয়েক বার বলার পর মুহাম্মদ নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলা উচিত। কলমার ক্ষেত্রে ‘‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সম্পূর্ণ পাঠ করা উচিত। দাফনের জন্য বা নামাযে জানাযা আদায়ের জন্য মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় মুসল্লি ও আত্মীয়-স্বজনরা লাশের পেছনে পেছনে যাবে এবং দুনিয়াবী বাজে ও বেহুদা কথা-বার্তা না বলে জিকির-আজকার ও দো’আ-দরূদ পড়বে, কলমায়ে তৈয়্যবা ও কলমায়ে শাহাদাতও পড়তে পারবে। আল্লাহু রাব্বী মুহাম্মদুন্ নবীয়্যী অর্থাৎ আল্লাহ্ আমার প্রভু, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আমার নবী পড়ার প্রচলন যেখানে আছে তা পড়বে এটা মুস্তাহাব ও ফজিলতময় সাথে সাথে দাফনের পর কবরের প্রশ্নের জওয়াবও হয়ে যায়।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment