সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণ সম্পর্কিত টলেমি যে মতবাদ ব্যক্ত করেছিলো,মুসলিম বিজ্ঞানী আল বাত্তানি তা ভুল প্রমান করে নতুন প্রামাণিক তথ্য প্রদান করেন। নিকোলাস কোপার্নিকাস কর্তৃক আবিষ্কৃত বিভিন্ন পরিমাপের চাইতে আল বাত্তানীর পরিমাপ অনেক অনেক বেশী নিখুঁত ছিল।
তিনি একটানা ৪২ বছর এক্ষেত্রে নানা গবেষণা চালিয়ে যান। তিনি গবেষণা চালান গণিত আর জ্যোতির্বিদ্যার নানা শাখায়। এসব গবেষণার মাধ্যমে তিনি মানব জাতির সামনে অসাধারণ সত্য উদঘাটন করে গেছেন। তিনি টলেমীর অনেক তত্ত্বকে ভুল প্রমাণিত করেন। সূর্য ও পৃথিবীর সর্বোচ্চ অবস্থান সম্পর্কিত টলেমীর তত্ত্ব ভুল প্রমাণ করে আমাদের কাছে তিনি প্রকৃত সত্য উদঘাটন করেন। সঠিকভাবে পরিমাপ করে দেখান, এটা হচ্ছে ১৬ দশমিক ৬৭ ডিগ্রি।
এ আবিষ্কার সূর্যের গতি ও সময়ের সমীকরণে সামান্য পরিবর্তন আনে। কোপারনিকাস সূর্যের ইকুইটারিয়েল গতিতে বিশ্বাসী ছিলো। কিন্তু আল-বাত্তানী তা কখনও বিশ্বাস করতেন না। আল-বাত্তানী সূর্যের ও চাঁদের গ্রহণের সময়ের সঠিক পরিমাপ নির্ণয় করেন। তিনি ঋতুর সময়-পরিধিও নির্ণয় করেন। সঠিকভাবে সূর্যের কক্ষপথে পরিভ্রমণ পরিস্থিতি তুলে ধরতে সক্ষম হন। তিনি এর সবচেয়ে কম গড়ও নির্ধারণ করেন।
আল-বাত্তানী সম্পূর্ণভাবে সূৰ্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কিত টলেমীর ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, সূর্যের কৌণিক অবস্থান পরিবর্তনীয়। তিনি বার্ষিক সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্ৰগ্ৰহণ সম্পর্কিত তথ্য আমাদের জানান। আসলে তিনি তৎকালীন সময়ের চন্দ্ৰ-সূৰ্য-গ্ৰহ সম্পর্কিত সকল বৈজ্ঞানিক বিশ্বাসে পরিবর্তন আনেন। বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেন প্রকৃত সত্য। সত্য ধারণার প্রতিফলন ঘটান। উনার গভেষনার উপর ভিত্তি করে ১৭৩৯ খৃষ্টাব্দে নতুন চাঁদ দেখার আধুনিক পদ্ধতির সূচনা করা হয়।





Users Today : 229
Users Yesterday : 767
This Month : 14651
This Year : 186522
Total Users : 302385
Views Today : 10757
Total views : 3587500