জিজ্ঞাসা–৯৩৭: পুনরুত্থানের পর যখন সকল মানুষকে হাশরের মাঠে একত্রিত করা হবে তখন কি আমাদের স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশাস, হৃদস্পন্দন, রক্ত সঞ্চালন ইত্যাদি চলবে?–নাজমুন নাহার।
জবাব: কুরআন ও হাদিসের বিবরণসমূহে গবেষণা করলে বুঝা যায়, কেয়ামত দিবসে পুনরুত্থানের সময় দেহে প্রাণ ফিরে আসার ফলে সকলে জীবিত হয়ে ওঠবে, শ্বাস-প্রশাস, হৃদস্পন্দন ইত্যাদিও যথারীতি চলতে থাকবে এবং সকলে ছুটাছুটি শুরু করে দিবে। যেমন এই মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَوْمَ تَشَقَّقُ الْأَرْضُ عَنْهُمْ سِرَاعًا ذَلِكَ حَشْرٌ عَلَيْنَا يَسِيرٌ
যেদিন ভূমন্ডল বিদীর্ণ হয়ে মানুষ ছুটাছুটি করে বের হয়ে আসবে। এটা এমন সমবেত করা, যা আমার জন্যে অতি সহজ। (সুরা ক্বাফ ৪৪)
وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَإِذَا هُم مِّنَ الْأَجْدَاثِ إِلَى رَبِّهِمْ يَنسِلُونَ
শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে। (সূরা ইয়াসিন ৫১)
كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُّعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ
যেভাবে আমি প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। আমার ওয়াদা নিশ্চিত, আমি তা পূরণ করবই। (সূরা আম্বিয়া ১০৪)
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন,
ثمَّ يُرسِلُ اللهُ مطَرًا كأنَّه الطَّلُّ أوِ الظِّلُّ ـ النُّعمانُ يشُكُّ ـ فتنبُتُ معه أجسادُ النَّاسِ ثم يُنفَخُ فيه أخرى فإذا هم قيامٌ ينظُرونَ ثمَّ يُقالُ : أيُّها النَّاسُ هلُمُّوا إلى ربِّكم {وَقِفُوهُمْ إِنَّهُمْ مَسْؤُولُونَ}
…অতপর আল্লাহ তাআলা মৃদু বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। ফলে সকল সৃষ্টি মাটি থেকে উৎপন্ন হবে। অতপর দ্বীতিয় ফুঁৎকার দেয়া হলে সকলেই দাঁড়িয়ে পরস্পরকে দেখতে থাকবে। অতপর বলা হবে, হে লোক সকল! তোমরা পালনকর্তার দিকে আসো, তোমাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে। (মুসলিম ৭৫৬৮)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী