পিতা-মাতার প্রতি আমরা যে ঋণী তা কোনদিনও শোধ করা সম্ভবপর নয়। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
“সন্তানের পক্ষে তার পিতার প্রতিদান দেয়া কোনদিন সম্ভব নয়।তবে যদি সে তাকে ক্রীতদাস হিসেবে পায় এবং তাকে যদি সে খরিদ করে আযাদ করে দেয় তাহলে তার প্রতিদান হতে পারে।” [তিরমিযী, নাসাই]
এছাড়া জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন যে, “ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতি বার্ধক্যের কারণে আমার মাতার মতিভ্রম দেখা দিয়েছে। আমি তাকে আমার হাতে খাওয়াই, পান করাই, পরিষ্কার করাই এবং তাকে কাঁধে বহন করে চলাফেরা করাই। তাতে কি তার প্রতিদান আদায় হবে ? তখন উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, না এক শতের মাঝে একটি অবদানের প্রতিদান আদায় করতে পারনি। তবে তুমি তার সাথে সদাচরণ করলে আর এর অল্পের বিনিময় অনেক প্রতিদান পাবে।” [তাম্বিহুল গাফিলীন]
এবার আসুন পিতামাতার অধিকারের ব্যাপারে আল কুরআন কি বলে তা দেখি-
সৃষ্টিজগতে মানুষের প্রতি সর্বাধিক অনুগ্রহ প্রদর্শনকারী ব্যক্তি হচ্ছেন পিতামাতা। পিতামাতাই মানুষের সর্বাধিক আপনজন।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে বলেন,
“আর আমি মানুষকে তার পিতামাতার প্রতি সদাচরণ করার আদেশ দান করেছি, তার মা তাকে অতিকষ্টে গর্ভে ধারণ করেছেন এবং অতিকষ্টে তাকে প্রসব করেছেন।” [ সূরা আহকাফ, আয়াত ১৪ ]
আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র ইরশাদ করছেন,
“আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে।” [সুরা লুকমান, আয়াত ১৪]
উপরিউক্ত আয়াতসমূহে আল্লাহ্তালা বিশেষভাবে মায়ের গর্ভধারণ কষ্ট, প্রসবকালীন কষ্টের কথা উল্লেখ করেছেন। আর সন্তানদের জন্য পিতামাতার কষ্ট স্বীকার করাকে তারা তার কাছ থেকে সদাচরণ পাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পিতামাতার আনন্দ ও আনুগত্যের ওপরই সন্তানের পার্থিব-অপার্থিব শান্তি, সুখ ও মুক্তি নিহিত। পিতামাতার অবাধ্যতা ক্ষমার অযোগ্য কবিরা গুনাহ। আর এটা সন্তানের পরকালীন দুর্দশার প্রধান কারণ।
এ প্রসঙ্গে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন,
“করুণাময় আল্লাহতায়ালা বান্দার সব গুনাহই ক্ষমা করেন কিন্তু পিতামাতার অবাধ্যতার গুনাহ ক্ষমা করেন না।” [বায়হাকী]
আমাদের উচিৎ সেই পিতা-মাতার প্রতি সর্বদা কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করা এবং তাদের হুকুমসমূহ মান্য করা। কারণ পিতামাতা তার সন্তানের জন্য যে কুরবানী এবং ত্যাগ স্বীকার করে তার ঋণ পরিশোধ করা এতটা সহজসাধ্য বিষয় নয়।
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের অশেষ অধিকার ও কর্তব্য রয়েছে। পিতামাতার অধিকার রক্ষা করার ব্যাপারে কুরআনে ও হাদীসে বিশেষভাবে তাগিদ প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলঃ-
আল্লাহ নিজেও কোরআনে হাকিমে মাতা-পিতা সম্পর্কে বলেছেন-‘আর তোমাদের প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত-অনুগত্য করো না এবং পিতা-মাতার সাথে উত্তম ব্যবহার করো; যদি তাঁদের একজন বা উভয়ই তোমাদের সামনে বার্ধক্যে উপনীত হন তবে তুমি তাঁদের প্রতি উহঃ (ঘৃণা বা দুঃখ ব্যঞ্জক) শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বলো তাদেরকে শিষ্টাচারপূর্ণ কথা। এবং তাদের সামনে ভালোবাসার সাথে নম্রভাবে বাহু নত করে দাও এবং (আল্লাহ পাককে) বলো-হে আমার মালিক! তাঁরা (অর্থাৎ পিতা মাতা) শৈশবে আমাকে যেভাবে স্নেহ-যত্নে লালন-পালন করেছেন, তুমিও তাঁদের প্রতি সেভাবে সদয় হও”। [সুরা-বনী ইসলাঈল, আয়াত ২৩-২৪]
মুফাচ্ছির-এ-কুরআনেরা পিতা-মাতার আনুগত্য বলতে এই বুঝিয়েছেন যে-‘তাঁরা যাতে সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারেন সেদিকে সন্তানের সুদৃষ্টি রাখা এবং সন্তানের এমন কোনো কাজ না করা যার দ্বারা পিতা-মাতার মনে আঘাত আসে। এবং তাঁদের ইসলামসম্মত সমস্ত আদেশ-নিষেধ পালন করা। যদি তাঁরা ইসলাম বিরোধী কোনো আদেশ দেন অথবা শক্তি প্রয়োগ করেন তাহলে সন্তান পিতা-মাতার আদেশ অমান্য করে আল্লাহর বিধান মান্য করবে। কিন্তু এমতাবস্থায়ও তাঁদের প্রতি উত্তম ব্যবহার করতে হবে।
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক বলেন-
আমি মানুষকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। [আনকাবূত, আয়াত ৮]
উক্ত আয়াতেসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে জনৈক বুজুর্গ এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, পিতামাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ছাড়া আল্লাহ তায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা যায় না। আপনি আপনার পিতামাতার সাথে যেরুপ আচরণ করবেন আল্লাহ তার প্রতিদান ঠিক সেইরকম দান করবেন।
তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা অন্য লোকদের মেয়েদের প্রতি ক্ষমা করলে তোমাদের মেয়েরা ক্ষমা পাবে।তোমরা পিতামাতার সাথে সদাচারণ করলে তোমাদের সন্তানেরা সদাচরণ করবে। তোমার ভাই তোমার কাছে ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করার জন্য এগিয়ে যাও, চাই সে ন্যায়ের উপর থাকুক কি অন্যায়ের উপর থাকুক। যে এমনটি করবে না, সে হাউযে কাউসারের নিকটে গমন করতে পারবে না। [হাকিম]
তারা যদি কোন ধরনের ইসলাম বিরোধী আদেশ দেন সেখানে তাদের মান্য করা যাবে না কিন্তু তাদের সাথে অসদাচরন করা যাবে না।কারণ আল্লাহ বলেন,
‘যদি তাঁরা (পিতা-মাতা) তোমাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে আমার সাথে কাউকে শরীক করার জন্য যা (শিরক) তোমার বোধগম্য নয়, তাহলে তুমি তাঁদের কথা অমান্য করো, (অর্থাৎ আমি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না) আর পার্থিব জীবনে উৎকৃষ্ট পন্থায় তাঁদের সাথে সৎ সম্পর্ক বজায় রেখো। আর তুমি তাঁদের পথ অনুসরণ করো যারা (আমি এক) আমার প্রতি অবিচলভাবে আকৃষ্ট রয়েছে।’ [ সূরা লুকমান, আয়াত ১৫ ]
এই আয়াত দ্বারা সহজে বুঝা যায়, পিতা-মাতা যদি ইসলাম বিরোধী আদেশ দেন তবে তা অমান্য করতে হবে কিন্তু তাঁদের প্রতি অসৎ ব্যবহার করা চলবে না। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন হযরত ইব্রাহীম আঃ। এছাড়াও আরো বহু উদাহরণ মহাপুরুষদের জীবনীতে পাওয়া যায়।
অপর এক হাদীসে এমনিভাবে তা উল্লেখ করা হয়েছে যে, আসমা বিনতে আবী বকর রাঃ বলেন, যখন কুরাইশদের সাথে মুসলিমগণের চুক্তিসম্পন্ন হয় তখন আমার মা মুশরিক হয়ে আমার সাথে দেখা করতে আসে। তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার মা আমার কাছে এসেছেন। ইসলাম তার সাথে কিরুপ আচরণ করতে বলে ? এমতাবস্থায় কি উত্তম আচরণ করব ? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, হ্যা তার সাথে উত্তম আচরণ করবে। [বুখারী ও মুসলিম]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথাও বলেছেন যে, সৃষ্টিকর্তার নাফরমানী করে মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না। [মুসান্নাফে ইবন শাইবা]
তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার করার হক সবার আগে। এ ব্যাপারে কুরআনেও ইরশাদ হয়েছে যে,
উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। [ সুরা নিসা, আয়াত ৩৬]
হাদীসে ইরশাদ হয়েছে যে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, সর্বাপেক্ষা ঘনিষ্ঠ ব্যবহার পাওয়ার যোগ্য কে ? তখন তিনি ফরমালেন, তোমার পিতামাতা, তোমার ভাইবোন এবং এদের সাথে যেসকল গোলাম আছে তাদের সাথে সম্পর্কিত। এসব হচ্ছে ওয়াজিহ হক এবং নিকটাত্মীয়দের সাথে ঘনিষ্ঠতা অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। [আল আদাবুল মুফারাবাদ]
পিতামাতার হক –
পিতামাতার হক কেমন হওয়া দরকার সে ব্যাপারে আলেম উলামাগণ বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য প্রদান করে থাকেন। আবূ লাইস রঃ এর মতে,
একজন সন্তানের পিতামাতার উপর দশটি হক রয়েছে। যা হলঃ-
১. পিতামাতার জন্য রিযিকের ব্যবস্থা করা। ২. বস্ত্রের ব্যবস্থা করা। ৩. খিদমত করা।
৪. কোন প্রয়োজন পড়লে সেই প্রয়োজনে সাড়া দেওয়া। ৫. পাপ কাজ ছাড়া যেকোন কাজের আদেশ দিলে তা পালন করা। ৬. তাদের সাথে কোমল স্বরে কথা বলা। কর্কশ ভাষায় কথা না বলা। ৭. তাদের নাম না ধরে ডাকা ৷ ৮. তাদের পিছনে হাটা ৷ ৯.নিজের জন্য যা পছন্দ করা তা তাদের জন্য তা পছন্দ করা। ১০. যখন নিজের জন্য দুআ করবে তখন তাদের জন্য দুআ করবে।
ফকীহুল হুযযমান মুজাদ্দিদে দ্বীন মুহিউস সুন্নাহ শাহ মাওলানা আবরারুল হক রঃ পিতামাতার ১৪টি হকের বর্ণনা দিয়েছেন। এর ভিতর সাতটি হক জীবিত থাকা অবস্থায় আর বাকি সাতটি মৃত্যুর পরের জন্য। এই হক গুলো হলঃ-
জীবিত অবস্থায় হক
১. তাদের প্রতি শ্রদ্বা নিবেদন করা।
২. তাদের প্রতি ভালবাসা প্রদান।
৩. তাদের অনুগত হওয়া।
৪. তাদের সেবা করা।
৫. তাদের প্রয়োজন মেটানো।
৬. তাদের আরামের জন্য চিন্তা করা।
৭. দূরে থাকলে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করা মাঝে মধ্যে।
মৃত অবস্থায় হক
১. তাদের মাগফিরাতের জন্য দুআ করা ৷
২. নেক কাজ করে তাদের জন্য সাওয়াব রেছানী করা।
৩. পিতামাতার আত্মীয় স্বজন ও তাদের বন্ধু বান্ধবের সাথে উত্তম আচরণ করা।
৪. তাদের আত্মীয় ও বন্ধুদের সাহায্য করা।
৫. তাদের ঋণ বা আমানত থাকলে তা পরিশোধ করা।
৬. তাদের বৈধ ওয়াসিয়াতকে পূর্ণ করা।
৭. তাদের কবর যিয়ারত করা।
কিন্তু আজ আমরা বাবা মায়ের সাথে কয়জন সঠিকভাবে ব্যবহার করছি ? তাদের এইসকল হককে কি যথাযথভাবে আমরা আজ আদায় করছি ? একজন কন্যা সন্তান যতটুকু না তার বাবা-মায়ের সাথে উত্তম আচরণ করছে তার থেকে তার পুত্র সন্তান আজ অত্যন্ত নগণ্য হারে তার বাবা-মায়ের সাথে উত্তম আচরণ করছে। একজন ছেলে যখন কারও সাথে বিবাহে বন্ধনে আবদ্ব হচ্ছেন তখন কি তিনি আজ তার মায়ের কথা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন নাকি তার স্ত্রীর কথা ? একথা আজ আমাদের কারও কিন্তু অজানা নয়। স্ত্রীর কথায় ছেলে আলাদা ঘর করে বসবাস করছে। আবার সেখানে মা-বাবা কেউ গেলে পরে তার প্রবেশাধিকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে পিতা মাতাকে পাঠানো হচ্ছে আজ বৃদ্বাশ্রমে। আচ্ছা ভাই বোনেরা আপনার পিতা মাতা কি আপনার সাথে এরুপ আচরণ করেছিলেন ? আপনাকে কি আপনার পিতা মাতা এমনিভাবে কোন ইয়াতীমখানা কিংবা দূরে ঠেলে দিয়ে লালন পালন করেছিলেন ?
আফসোস আজ আমরা সেই ইয়াহূদী নাসারাদের অনুসরণে বৃদ্ব ও অবুঝ পিতামাতাকে কোথায় প্রেরণ করছি ? বৃদ্বাশ্রমে। আর সেইসকল দেশে পিতামাতার সাথে একদিন দেখা করার জন্য ফাদার্স ডে কিংবা মাদার্স ডে পালিত হচ্ছে আমাদের দেশে। একে কেন্দ্র করে আমাদের মিডিয়া এবং ফেসবুকের মত সোস্যাল নেটওয়ার্কের অবস্থা কিরুপ হয় ? তা আমাদের সকলের জানা। কিন্তু পিতামাতার জন্য এভাবে করে বছরে একটি বিশেষ দিনকে উদযাপন করা তাদের প্রতি চরম হীনতা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আচ্ছা একটু বলুন তো সকলেই আপনার পিতামাতা কি জন্মদিন কিংবা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট দিনে আপনার খোঁজ খবর নিতেন ? আপনার মা কি বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে কোলে করে লালন পালন করেছিলেন কি ? আপনার পিতা কি আপনার জন্য বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে আপনার জন্য উপার্জন আর খরচ করতেন কি ? কিন্তু আমরা কেন এখন আমাদের পিতামাতার সাথে এরুপ আচরণ করব ?
আবার আজকাল জন্ম এবং মৃত্যুবার্ষিকী খুব ধুমধাম করে পালন করছে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ। আমার আর আপনার পিতা-মাতা মৃত্যুবরণ করলে পরে কি কেবল একদিন তাকে স্মরণ করা আমার আর আপনার জন্য কর্তব্য। আফসোস আমরা কোন দুনিয়ায় আজ পড়ে আছি। পশ্চিমা বিশ্বে যেমন সন্তানেরা তাদের মৃত্য মা-বাবাকে তাদের জন্ম ও মৃত্যুদিনে একবার স্মরণ করে আমাদের অবস্থা আজ এমনটি হয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকে আজ এমন অবস্থা হতে উঠে আসতে হবে। তাই ইসলাম আমাদের কীভাবে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছে পিতামাতার সাথে উত্তম আচরণ করার জন্য সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। নিজের মত করে তাদের সাথে যাচ্ছেতাই আচরণ করা আমার ও আপনার জন্য আল্লাহর হুকুম নয়। আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে যেভাবে গাইডলাইন প্রদান করেছনে ঠিক সেভাবেই তাদের সাথে আমাদের আচরণ জীবিত এবং মৃত দুই অবস্থাতে করতে হবে। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে কুরআন ও সুন্নাহের গাইডলাইন অনুযায়ী পিতা মাতার হকসমূহ আদায় করার তৌফিক দান করুন ৷ আমিন—
আসুন আমরা সকলেই পবিত্র কুরআন ও সহীহ সুন্নতের অনুসরণ করি, আদর্শ জীবন গড়ি ৷ শান্তির জন্য পরিবর্তন আর পরিবর্তনের জন্যেই ইসলাম ৷