পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত পর্ব –
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাদের উপর নামাজ ফরজ করে বড় একটি নিয়ামত দান করেছেন। লক্ষ কোটি দরুদ ও সালাম পেশ করছি ইমামুল আম্বিয়া, নবী মুহাম্মদ মুজতবা আহমদ মুস্তফার উপর যার মাধ্যমে আমরা নামাজ পেয়েছি এবং তার সাহাবীদের ও পরিবার পরিজনের উপর যারা নামাজের ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন।
নামাজের ফজিলত- অতীতের ইসলামী ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মুসলমানরা তাদের আধ্যাত্বিকতার বলে ইহুদী, খ্রিষ্টান ও বেদ্বীনদের উপর রাজত্ব করেছিল। সে সময় ইহুদী, খ্রিষ্টান ও বেদ্বীনরা মুসসমানের সামনে কখনো দাঁড়াতে পারেনি।
কিন্তু বর্তমানে মুসলমানরা তাদের আধ্যাত্বিকতা তথা রুহানী শক্তি হারিয়ে ফেলার কারণে , তাদের অন্তরকে শয়তানের সিংহাসন বানিয়ে ফেলেছে।এখন শয়তান তাদেরকে যেদিকে নির্দেশনা দিচ্ছে, মুসলমানরা তাই অনুসরণ করছে।
শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু, সে চায় কিভাবে মানুষকে পথভ্রষ্ট করা যায়,কিভাবে ঈমান দুর্বল করে মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ট খোদা প্রদত্ত নিয়ামত নামাজ থেকে বিরত রাখা যায়। সে কিন্তু তার অভিযানে কামিয়াব হয়ে গেছে।
পাঁচ ওয়াক্ত নফল নামাজের ফজিলত
নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনের বানী
বর্তমানে গোটা বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ মুসলমান নামাজের ব্যাপারে উদাসীন। তারা আল্লাহর আদেশ ভুলে গিয়ে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণে লিপ্ত । তাদের অন্তর থেকে খোদা ভীতি উঠে গেছে ।
কারণ তারা তো সর্বাদাই শয়তানের আদেশ পালনের ব্রতে লিপ্ত। বর্তমানে গোটা বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ মুসলমান নামাজের ব্যাপারে উদাসীন। অথচ কুরআনে পাকে রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-
فويل للمصلين (٤) الذين هم عن صلاتهم ساهون (٥)
অর্থঃ সুতরাং ওই নামাজীদের জন্য দুর্ভোগ রয়েছে , যারা আপন নামাজকে ভুলে বসেছে । ( সুরা মাউন – ৪,৫)
নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনের বানী
অন্য আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-
وما خلقت الجن والانس الا ليعبدون ( الذاريات ٥٦)
অর্থঃ নিশ্চয় আমি জ্বীন এবং মানুষকে আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।(সুরা যারিয়াত -৫৬ ) । আর আল্লাহর দরবারে সর্বশ্রেষ্ট ইবাদত হচ্ছে তার বান্দারা তার কাছে মাথা নত করা ।
নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনের বানী
কুরআনে পাকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রত্যক্ষভাবে ৮২বার ও পরোক্ষভাবে ৩০০ বারের ও বেশী নামাযের ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। সাথে সাথে আল্লাহর হাবীব রাসুলে কারীম (ﷺ) ও হাদিসে পাকে ব্যাপকভাবে তাগিদ দিয়েছেন।
কুরআনে পাকে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন –
١. ان الصلواة كانت على المؤمنين كتبا موقوتا ) النساء ١٠٣ )
অর্থঃ নামায মুমিনের উপর ওয়াক্ত মুতাবিক ফরজ করা হয়েছে। (সুরা নিসা – ১০৩)
٢. ان الصلواة تنهى عن الفحشاء والمنكر (سورة العنكبوت ٤٥)
অর্থঃ নিশ্চয় সালাত মানুষকে অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে ( সুরা আনকাবুত – ৪৫)
٣. حافظوا على الصلوات والصلواة الوسطى وقوموالله قنتين (سورة البقرة ٢٣٨)
অর্থঃ তোমরা নামাযকে হেফাজত কর বিশেষ করে মধ্যবর্তীর নামাজ তথা আছরের নামায এবং আল্লাহর জন্য একনিষ্টতার মাধ্যমে দাঁড়িয়ে যাও। ( সুরা বাকারা- ২৩৮ )
٤. فخلف من بعدهم خلف اضاعوا الصلاة واتبعوا الشهوات فسوف يلقون غيا الامن تاب وامن وعمل صلحا فاولئك يدخلون الجنة ولا يظلمون شيا-
অর্থঃ অতঃপর তাদের পরে এমন কতগুলো বান্দা হবে যারা নামাজকে বরবাদ করবে এবং কুপ্রবিত্তির তথা মনগড়া চলবে। অতিশ্রীঘ্রই তাদেরকে ‘গাই’ নামক জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (গাই এমন এক জাহান্নাম যার আজাব থেকে অন্য জাহান্নামীরা রেহাই চাইবে) হ্যাঁ, যারা তওবা করে ঈমান আনবে এবং পূণ্যের কাজ করবে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদেরকে সামান্যতম ও জুলুম করা হবে না।
٥. يوم يكشف عن ساق ويدعون الى السجود فلا يستطيعون خاشعة ابصرهم ترهقهم ذلة وقد كانوا يدعون الى السخود وهم سلمون- (سورة القلم ٤٢،٤٣)
অর্থঃ স্মরণ কর গোছা পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা, সেদিন তাদেরকে সিজদা করতে আহবান জানানো হবে, অতঃপর তারা সক্ষম হবে না। তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে, তারা লাঞ্ছনাগ্রস্ত হবে,এবং নিশ্চয় তাদেরকে দুনিয়ায় সিজদা করতে আহবান করা হতো , তারা যখন সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল ।( সুরা আল কলম -৪২,৪৩)
অর্থাৎ দুনিয়াতে সুস্থ থাকা সত্বেও যারা নামাজ আদায় করেনি, তাদেরকে কিয়ামতের দিন সিজদা দেওয়ার জন্য আহবান করা হলে ও তারা সেদিন সিজদা দিতে সক্ষম হবে না।
٦. وامر اهلك بالصلوة واصطبر عليها- (سورة طه١٣٢)
অর্থঃ এবং আপন পরিবারবর্গকে নামাজের আদেশ দাও এবং নিজেও সেটার উপর অবিচল থাকো।( সুরা ত্বোয়া – হা -১৩২) ।
◀নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে পাকের বাণী ▶
١. عن ابى هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الصلوات الخمس والجمعة الى الجمعة ورمضان الى رمضان مكفرات لما بيهن اذا اختنبت الكبائر ( مسلم )
অর্থঃ হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন রাসুলে পাক (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং এক জুমা থেকে অপর জুমা, এক রমজান শরীফ থেকে অপর রমজানের মধ্যখানে যত ছোট গুনাহ হবে সব কাফফারা তথা মুছন হয়ে যাবে, যদি বড় গুনাহ থেকে বেচেঁ থাকে।(মুসলিম শরীফ)
٢. عن ابى هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ارايتم لواننهرا بباب احد كم يغتسل فيه كل يوم خمسا هل يبقى من درنه شى قالوا لا يبقى من درنه شى قال فذالك مشل الصلوات الخمس يمحوالله بهن الخطايا ( بخارى- مسلم )
অর্থঃ হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলে পাক (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কি ধারনা? একজন মানুষের ঘরের পাশে একটা নদী আছে, ঐ ব্যক্তি প্রত্যেক দিন ঐ নদীতে পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে ? সাহাবারা উত্তর দেয় তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে না। রাসুলে পাক (ﷺ)বলেন, তেমনি ভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারীর গুনাহ ও মুছে দেয়। (বুখারী ও মুসলিম)
নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে পাকের বাণী
٣. عن عبد الله بن عمر وبن العاص عن النبى (ﷺ) ان ذكر الصلوات يوما فقال من حافظ عليها كانت له نورا وبرهانا ونجاة يوم القيامة ولم يحا فظ عليها لم تكن له نوراولابرهانا ولانجاة وكان يوم القيامة مع قارون و فرعون و هامان وابى بن خلف ( احمد- دارمى- طبرانى )
অর্থঃ হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুল (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলে পাক (ﷺ) একদিন নামাজের আলোচনা করছিলেন এবং বলেন, যে নামাজকে হেফাজত করবে কিয়ামতের ময়দানে তার জন্য ঐ নামাজ নুর,দলিল এবং নাজাত হবে। অপর দিকে যে নামাজকে হেফাজত করবে না তথা নামাজ ছেড়ে দিবে কিয়ামতের ময়দানে নামাজ তার জন্য নুর, দলিল এবং নাজাত হবে না। বরং কুখ্যাত কাফির কারূন,ফেরআউন,হামান ও উবাই ইবনে খলফের সাথে তাদের হাশর হবে। ( আহমদ, দারেমী, তাবরানী )
٤. عن ابى ذران النبى (ﷺ) خرج زمن الشتاء والورق يتهافت فاخذ بغصنهن من شخوة قال فجعل ذالك الورق يتهافت قال فقال يااباذر قلت لبيك يا رسول الله قال ان العبد المسم ليصلى الصلوة يريد بها وجه الله فتها فت عنه ذنوبه كما تهافت هذا الورق عن هذه الشجرة ( احمد-مشكوة )
অর্থঃ হযরত আবু যর গিফারী(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একদিন রাসুলে কারীম (ﷺ) শীতকালে বের হলেন এবং গাছের পাতা ঝড়ছিল, রাসুলে কারীম (ﷺ) একটি ডাল ধরলেন এবং নাড়া দিতেই গাছের পাতা ঝড়তে লাগল। অতঃপর বললেন হে, আবু যর, আমি লাব্বায়েক ইয়া রাসুলাল্লাহ বলে সাড়া দিলাম, রাসুল (ﷺ) বললেন,যে মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনার্থে নামাজ পড়ে এভাবে তার গুনাহ ঝড়তে থাকে। যেমনি ভাবে গাছের পাতা ঝড়ছে। (আহমদ,মিশকাত)
নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে পাকের বাণী
١. عن ابى هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الصلوات الخمس والجمعة الى الجمعة ورمضان الى رمضان مكفرات لما بيهن اذا اختنبت الكبائر ( مسلم )
অর্থঃ হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন রাসুলে পাক (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং এক জুমা থেকে অপর জুমা, এক রমজান শরীফ থেকে অপর রমজানের মধ্যখানে যত ছোট গুনাহ হবে সব কাফফারা তথা মুছন হয়ে যাবে, যদি বড় গুনাহ থেকে বেচেঁ থাকে।(মুসলিম শরীফ)
নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে পাকের বাণী জেনে নিন
٢. عن ابى هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ارايتم لواننهرا بباب احد كم يغتسل فيه كل يوم خمسا هل يبقى من درنه شى قالوا لا يبقى من درنه شى قال فذالك مشل الصلوات الخمس يمحوالله بهن الخطايا ( بخارى- مسلم )
অর্থঃ হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলে পাক (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কি ধারনা? একজন মানুষের ঘরের পাশে একটা নদী আছে, ঐ ব্যক্তি প্রত্যেক দিন ঐ নদীতে পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে ? সাহাবারা উত্তর দেয় তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে না। রাসুলে পাক (ﷺ)বলেন, তেমনি ভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারীর গুনাহ ও মুছে দেয়। (বুখারী ও মুসলিম)
٣. عن عبد الله بن عمر وبن العاص عن النبى (ﷺ) ان ذكر الصلوات يوما فقال من حافظ عليها كانت له نورا وبرهانا ونجاة يوم القيامة ولم يحا فظ عليها لم تكن له نوراولابرهانا ولانجاة وكان يوم القيامة مع قارون و فرعون و هامان وابى بن خلف ( احمد- دارمى- طبرانى )
অর্থঃ হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুল (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলে পাক (ﷺ) একদিন নামাজের আলোচনা করছিলেন এবং বলেন, যে নামাজকে হেফাজত করবে কিয়ামতের ময়দানে তার জন্য ঐ নামাজ নুর,দলিল এবং নাজাত হবে। অপর দিকে যে নামাজকে হেফাজত করবে না তথা নামাজ ছেড়ে দিবে কিয়ামতের ময়দানে নামাজ তার জন্য নুর, দলিল এবং নাজাত হবে না। বরং কুখ্যাত কাফির কারূন,ফেরআউন,হামান ও উবাই ইবনে খলফের সাথে তাদের হাশর হবে। ( আহমদ, দারেমী, তাবরানী )
নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস-
٤. عن ابى ذران النبى (ﷺ) خرج زمن الشتاء والورق يتهافت فاخذ بغصنهن من شخوة قال فجعل ذالك الورق يتهافت قال فقال يااباذر قلت لبيك يا رسول الله قال ان العبد المسم ليصلى الصلوة يريد بها وجه الله فتها فت عنه ذنوبه كما تهافت هذا الورق عن هذه الشجرة ( احمد-مشكوة )
অর্থঃ হযরত আবু যর গিফারী(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একদিন রাসুলে কারীম (ﷺ) শীতকালে বের হলেন এবং গাছের পাতা ঝড়ছিল, রাসুলে কারীম (ﷺ) একটি ডাল ধরলেন এবং নাড়া দিতেই গাছের পাতা ঝড়তে লাগল। অতঃপর বললেন হে, আবু যর, আমি লাব্বায়েক ইয়া রাসুলাল্লাহ বলে সাড়া দিলাম, রাসুল (ﷺ) বললেন,যে মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনার্থে নামাজ পড়ে এভাবে তার গুনাহ ঝড়তে থাকে। যেমনি ভাবে গাছের পাতা ঝড়ছে। (আহমদ,মিশকাত)
٥. عن ابى الدرداء قال اوصانى خليلى ان لا تشرك باالله شيأ وان قطعت وخرقت ولاتترك صلوة مكتوبة متعمدا فمن تركها متعمدا فقد بريت منه الذمة ولاتشرب الخمر فانها مفتاح كل شر( ابن ماجه )
অর্থঃ হযরত আবি দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন , আমার খলিল তথা রাসুলে পাক (ﷺ) আমাকে অছিয়ত করেন, তুমি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করিও না। যদিও বা তোমাকে কেটে ফেলা হয় বা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এবং তুমি ইচ্ছা করে ফরজ নামাজ ছেড়ে দিও না। যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে ফরজ নামাজ ছেড়ে দেয় , তার থেকে আল্লাহর হেফাজতের জিম্মা উঠে যায় এবং তুমি মদ পান করিও না কারণ মদ পান করা প্রত্যেকটা খারাপ কাজের চাবিকাঠি। ( ইবনে মাজাহ, মিশকাত )
٦. الصلوة عماد الدين من اقامها فقدم اقام الدين ومن تركها فقد هدم الدين ( مشكوة )
অর্থঃ রাসুলে পাক (ﷺ) ইরশাদ করেন, নামাজ দ্বীনের খুঁটি যে নামাজ কায়েম করেছে সে দ্বীন কায়েম করেছে, এবং যে নামাজ তরক করেছে সে দ্বীনকে বরবাদ করেছে। ( মিশকাত )
٧. روى ابن حبان فى صحيحه من حديث عبدالله بن عمر مرفوعا ان العبد اذا قام يصلى اتى بذنوبه فوضعت على رأسه او على عا تقه فكلما ركع اوسجدتسا قت حتى لايبقى منها شئ ( كشف الغمه ج اص ٦٩ )
অর্থঃহযরত ইবনে হিব্বান (রাঃ) তার সহীহ কিতাবে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে মরফুয়ান তথা রাসুলে খোদা (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, নিশ্চয় কোন বান্দা যখন নামাজের জন্য তার গুনাহ সমূহ নিয়ে দাঁড়ায়, তখন তার গুনাহ সমূহ তার মাথায় অথবা কাঁধে রাখা হয়। আর যখন রুকু বা সিজদা করে, তার সমস্ত গুনাহ তার থেকে ঝড়ে যায়। আর সামান্যতম ও বাকী থাকে না। ( কাশফুল গুম্মাহ ১ম খন্ড ৬৯ পৃষ্ঠা)
٨ . قال رسول الله (ﷺ) اذا كبر العبد للصلوة يقول الله تعالى للملائكة ارفعو ذنوب عبدى عن رقبة حتى يعبد نى طاهرا فتاخذ الملائكة الذنوب كلها فاذا فرغ العبد من الصلوة تقول الملائكة ياربنا أنعيدها عليه فيقول الله تعالى يا ملائكتى لايليق بكر مى الا العفووقد غفرت خطاياه
অর্থঃরাসুলে পাক (ﷺ) ইরশাদ করেন, যখন বান্দা নামাজের জন্য তাকবীরে তাহরিমা বাঁধে , আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদেরকে বলে আমার এই বান্দার সমস্ত গুনাহ উঠিয়ে নাও যাতে সে পবিত্র শরীর নিয়ে আমার ইবাদত করতে পারে। অতঃপর ফেরেশতারা তার সমস্ত গুনাহ উঠিয়ে নেয়। আর যখন নামাজ থেকে বের হয় , ফেরেশতারা বলে হে প্রভু, আমরা কি তার গুনাহ তার শরীরে আবার ফিরিয়ে দেব? তখন আল্লাহ বলেন এটা আমার দয়ার প্রযোজ্য নয় বরং আমার শান হলো ক্ষমা করে দেওয়া। আমি তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিলাম।
٩. قال (رسول الله صلى الله عليه وسلم ) قال تعالى ثلاث من حفظ عليهن فهو ولىّ لى حقا ومن ضيعهن فهو عدوّ لى حقا- الصوم-الصلوة -غسل الجنابة -( زهرة الرياض)
অর্থঃ রাসুলে পাক (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন,তিনটা এমন বিষয় আছে যে এগুলো হিফাযত করবে সে আমার প্রকৃত বন্ধু ,আর যে এগুলো ধ্বংস করবে সে আমার প্রকৃত শত্রু (১) রোজা (২) নামাজ (৩) ফরজ গোসল।( জহরাতুর রিয়াদ)
١٠. قال رسول الله (صلى الله عليه وسلم ) الصلوة تسوّد وجه الشيطان والصدقة تكسر ظهره والتحابب فى الله والتورد فى العمل يقطع دابره فاذا فعلتم ذلك تباعد منكم مطلع الشمس من مغربها ( كنزالعمال ص ٦٣ )
অর্থঃ রাসুলে কারীম (ﷺ) ইরশাদ করেন, নামাজ শয়তানের চেহারা কালো করে দেয়, সদকা- খাইরাত তার পিষ্ঠ ভেঙে দেয়, একে অপরকে আল্লাহর ওয়াস্তে ভালবাসা, ভাল কাজে লিপ্ত থাকা তার (শয়তানের) কোমর কেটে দেয়। তোমরা যখন এই কাজ গুলো করবে শয়তান তোমাদের থেকে এতদূর চলে যায় যেমন সূর্য উদয় ও ডুবার দুরত্ব। ( কানজুল উম্মাল, ৬৩ পৃষ্ঠা )।
١١. قال رسول الله (صلى الله عليه وسلم ) لكل شىئ علم وعلم والا يمان الصلوة ( منة المصلى )
অর্থঃ রাসুলে কারীম (ﷺ) ইরশাদ করেন, প্রত্যেক জিনিসের একটা চিহ্ন আছে , ঈমানের চিহ্ন হল নামাজ। (মুনিয়াতুল মুসাল্লি)
١٢. قال رسول الله (صلى الله عليه وسلم ) جعلت قرة عينى فى الصلوة –
অর্থঃ রাসুলে কারীম (ﷺ) ইরশাদ করেন, নামাজ হল আমার চক্ষু ঠান্ডা করার মাধ্যম।
নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
١٣. قال رسول الله (صلى الله عليه وسلم ) واعلمو ان خير اعمالكم الصلوة -( ابن ما جه )
অর্থঃ রাসুলে কারীম (ﷺ) ইরশাদ করেন, জেনে রাখ তোমাদের জন্য সর্বোত্তম কাজ হল নামাজ।(ইবনে মাজাহ )
١٤. تستغفر الملائكة مادام المصلّى يجلس فى مصلاّة اللهم اغفر له اللهم ارحمه اللهم تب عليه -(ابوداؤد)
অর্থঃ রাসুলে কারীম (ﷺ) ইরশাদ করেন, ফেরেশতারা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে, যতক্ষন মুসল্লি তার মসল্লায় বসে থাকে, এভাবে , ” আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দাও, আল্লাহ তাকে রহম কর, হে, আল্লাহ তার তওবা কবুল কর “। ( আবু দাউদ )
١٥. قال رسول الله ( صلى الله عليه وسلم ) لابى هريرة يا ابا هريرة مر اهلك بالصلوة فان الله تعالى يتيك بالرزق من حيث لا تحتسب -( ابن المبارك)
অর্থঃ রাসুলে কারীম (ﷺ) আবু হুরাইরাকে বলেন, হে আবু হুরাইরা তুমি তোমার পরিবারকে নামাজের আদেশ দাও , কেননা নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তায়ালা এমন রিজিক দান করবেন, তুমি গণনা করে শেষ করতে পারবে না। ( আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক )
١٦. قال الفارق الاعظم ان اهم امور كم عندى الصلوة فمن ضيعها فهو لما سواها اضيع ( مشكوة )
অর্থঃ ফারুকে আজম (রাঃ) তার প্রজাদের বলেন ,নিশ্চয় আমার কাছে তোমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল নামাজ ,যে ব্যক্তি নামাজকে বরবাদ করবে , সে নামাজ ছাড়া অন্যগুলো অধিক বরবাদ করবে। ( মিশকাত )
⏩ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সর্বপ্রথম কে , কখন , পড়েছেন?
رأيت فى النزهة للنسا بورى رحمه الله ان ادم عليه السلام هبط ليلا فلما طلع الفجر ركع ركعتين شكر الله تعالى على خروحه من الظلمة الى النور
وابراهيم عليه السلام اجتمع عليه اربع هموم هم الذبح وهم الفداء واداء الامروالغربة فلما انقذه الله من ذلك ركع اربع ركعات بعد الزوال
شكر الله
ويونس عليه السلام اجتمع عليه اربع ظلمات ظلمة الغضب منه على قومه وظلمة الليل وظلمة البحر وظلمة بطن الحوت كان فى بطن حوت اخر فلما اخرجه الله من ذلك وقت العصر ركع اربع ركعات-
وعسى عليه السلام ركع ركعتين شكر الله تعالى على نفى الالهية عنه وامه رلعت ركعت شكر الله على اثباتها الله تعالى –
وموسى عليه السلام صلى اربع ركعات شكرالله تعالى على خروخه من اربعة هموم هم الضلاله عن الطريق وهم غنمه لما هربت وهم السفر وهم زوجته لما اخذها الطلق-
অর্থঃ হযরত ইমাম যনদস্তী (রঃ) তার প্রসিদ্ধ কিতাব (রাওজার) তে ও হযরত সমরকন্দি (রঃ) ও নকল করেন, আমি আবুল ফজল থেকে জিজ্ঞাসা করেছি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সর্বপ্রথম কে, কখন আদায় করেছেন?
‘আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক’
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন।
“কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা” [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
উনি উত্তর দিলেন, ফজরের নামাজের ফজিলত ও হাকীক্বত: ফজরের নামাজ সর্বপ্রথম হযরত আদম (আঃ) আদায় করেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাত থেকে এই দুনিয়ায় রাতের অন্ধকারে অবতরন করান। জান্নাত নুরের তৈরী সেখানে নুর আর নুর অন্ধকার বলতে কিছুই নেই। দুনিয়ার অন্ধকার দেখে উনি ভয় পেয়ে গেলেন।
নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনের বানী সমূহ মিস করছেন?
আর যখন সকাল হল চারপাশে আলো ছড়িয়ে যায়, উনি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করলেন। দুই অন্ধকার ( একটা দুনিয়ার একটা রাতের) চলে যাওয়ার কারণে দুই রাকায়াত নামাজ পড়লেন। উম্মতে মুহাম্মদী(ﷺ)যারা এই দুই রাকায়াত ফজরের নামাজ পড়বে আল্লাহ তাদের গুনাহের অন্ধকার দূরভীত করে আনুগত্যের নুর দান করবে।
যোহরের নামাজের ফজিলত ও হাকীক্বত: যোহরের নামাজ সর্বপ্রথম আদায় করেন আল্লাহর খলিল হযরত ইব্রাহীম (আঃ) যখন আল্লাহ তায়ালা উনাকে চারটি নেয়ামত দান করলেন । তাহলো ১) নিজ সন্তানের কুরবানী থেকে মুক্তি ২) জান্নাত থেকে ফিদিয়া বা দুম্বা নাজিল করা ৩) আল্লাহ তায়ালা তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাওয়া ৪) উনার ছেলে তলোয়ারের নিচে মাথাকে সোপর্দ করার মাধ্যমে উনার আনুগত্য স্বীকার করা।
উম্মতে মুহাম্মদী(ﷺ)যারা এই চার রাকায়াত যোহরের নামাজ পড়বে আল্লাহ তাদেরকেও চারটি নেয়ামত দান করবেন। তা হল ১) নফস শয়তানকে হত্যা করার তৌফিক দান করবেন ২) পেরেশানী থেকে রেহাই দান করবেন ৩) ইহুদী ও নাসারাদেরকে জাহান্নামে দিয়ে তাদেরকে মুক্তি দান করবেন ৪) তাদের প্রতি তাদের প্রতিপালক রাজী হয়ে যাবেন।
আছরের নামাজের ফজিলত ও হাকীক্বত: সর্বপ্রথম আছরের নামাজ আদায় করেন হযরত ইউনুচ (আঃ) যখন আল্লাহ তায়ালা চারটি অন্ধকার থেকে মুক্তি দান করেন। ১) তার পক্ষ থেকে রাগান্নিত হওয়া জাতির অন্ধকার ২) রাতের অন্ধকার ৩) সমুদ্রের অন্ধকার ৪) মাছের পেটের অন্ধকার ।
উম্মতে মুহাম্মদী (ﷺ) যারা এই চার রাকায়াত নামাজ আদায় করবে তাদেরকে রাব্বুল আলামীন চারটি অন্ধকার থেকে মুক্তি দান করবেন। ১) কবরের অন্ধকার ২) গুনাহের অন্ধকার ৩) কিয়ামতের অন্ধকার ৪) জাহান্নামের অন্ধকার।
মাগরীবের নামাজের ফজিলত ও হাকীক্বত: মাগরীবের নামাজ সর্বপ্রথম আদায় করেন হযরত ঈসা (আঃ) যখন তাকে ও তার আম্মাকে খোদা বলা থেকে মানুষ বিরত থাকে এবং এক আল্লাহর একত্ববাদকে স্বীকার করে। উম্মতে মুহাম্মদী (ﷺ) যারা এই তিন রাকায়াত নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে তিনটি নিয়ামত দান করবেন।
১) কিয়ামতের ময়দানে হিসাব সহজ হয়ে যাবে,যে দিন দুনিয়ার দিনের পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান হবে। ২) জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবে ৩) কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে।
ইশার নামাজের ফজিলত ও হাকীক্বত: ইশার নামাজ সর্বপ্রথম আদায় করেন আল্লাহ তায়ালার কলিম হযরত মুছা (আঃ)। যখন আল্লাহ তাকে চারটি পেরেশানী থেকে মুক্তি দান করেন । ১)মাদায়ন শহর থেকে আসার পথে রাস্তা হারিয়ে ফেলার পেরেশানী ২) তার ছাগল হারিয়ে যাওয়ার পেরেশানী ৩) ভ্রমণের পেরেশানী ৪) তার স্ত্রী হারিয়ে যাওয়ার পেরেশানী।
রাতের অন্ধকারে যখন পাহাড়ে গেলেন উপরোক্ত পেরেশানী দূর হয়ে যায় এবং উনি আল্লাহর দীদার পান। উম্মতে মুহাম্মদী (ﷺ) যারা এই চার রাকায়াত নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে চারটি নিয়ামত দান করবেন । ১) সিরাতে মুস্তাকিমে অঠল রাখবেন।২) যে কোন সমস্যার সমাধান করে দেবেন ৩) মাহবুবে হাকীকী তথা বাস্তব বন্ধুর সাথে সাক্ষাত দেবেন ৪) শত্রু থেকে মুক্তি দান করবেন । ( ফতোয়ায়ে রজভীয়া ২য় খন্ড ১৬৬ পৃষ্ঠা)
عن جعفر بن محمد عن ابيه عن جده عن على بن ابى طالب ع صلى الله عليه وسلم الصلواة مرضات للرب وحب اللملايكة وسنة الانبياء ونور المعرفة واصل الايمان واجابة الدعاء وقبول الا عمال وبركة فى الرزق وسلاح على الاعداء وكراهية للشيطان وشفيع بين صاحبها وبين ملك الموت ونور فى قلبه وفراش تحت جنبه وجواب منكر ونكير ومونس وزاير معه فى قبره الى يوم القيامة فاذا كانت القيامة كانت الصلوة ضلا فوقه وتاجا على راسه ولباسا على بدنه ونورا يسعى بين يديه وسترا بينه وبين النار وحجة للمؤمنين بين يدى رب العالمين وشقلا فى الميزان وجوازا على الصراط ومفتاحا للحنة لان الصلوة تحميد وتسبيح وتقد يس وتعظيم وقرائة ودعاء وتمجيد ولا ن افضل الاعمال كلها الصلوات لوقتها( نزهة المجالس ج ا صف ١٠٢)
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত ও হাকীক্বত ! পর্ব -২
অর্থঃ হযরত জাফর বিন মুহাম্মদ (রঃ) তার পিতা থেকে , তিনি তার দাদা থেকে , তিনি হযরত আলী বিন আবু তালেব (রঃ) থেকে, তিনি রাসুল (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, নামাজ আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির মাধ্যম , ফেরেশতাদের প্রিয় , নবীদের সুন্নাত, মারফতের নুর , ঈমানের মূল , দোয়া কবুলের মাধ্যম , আমল কবুল হওয়ার মাধ্যম, রিযিকের মধ্যে বরকত হওয়ার মাধ্যম , শত্রুদের বিরূদ্ধে অস্ত্র সরূপ, শয়তানের অপছন্দনীয় কাজ, মালাকুল মওতের কাছে সুপারিশ কারী, ক্বলবের আলো, আদায়কারীর কবরে বিছানা সরূপ, মুনকির নকিরের উত্তরের মাধ্যম , কিয়ামত পর্যন্ত প্রিয় বন্ধু সরূপ থাকবে।
আর যখন কিয়ামত কায়েম হবে তার মাথার উপর ছায়া ও তাজ হবে, শরীরের পোশাক সরূপ হবে , সামনে নুর হয়ে থাকবে , আদায়কারী ও জাহান্নামের মধ্যখানে পর্দা সরূপ দাঁড়াবে, আল্লাহ তায়ালার কাছে মুমিনদের পক্ষে দলিল সরূপ হবে, দাড়ি পাল্লায় ভারী হবে, পুলসিরাত পারাপারের মাধ্যমে ও জান্নাতে প্রবেশের চাবি হবে, কেননা নামাজ হলো তাহমিদ, তাসবীহ, তাকদিছ, তাজিম, ক্বেরাত, দোয়া ও তামজিদের সমষ্টি। তাই রাসুল (ﷺ) বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হলো সময়মতো নামাজ আদায় করা (নুযহাতুল মাজালিস ১ম খন্ড, ১০২ পৃষ্ঠা)
من حفظ منكم على الصلوات الخمس حيث كان واين كان جاز الصراط يوم القيامة كا لبرق اللامع فى اول زمرة السابقين وجاء يوم القيامة ووجهه كا لقمر ليلة البدر وكان له كل يوم وليلة حفظ عليهن اجر شهيد( روح البيان ج٦صف٣٨)
অর্থঃ রাসুলে করিম (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমাদের মধ্যে যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেখানে সুযোগ হয় আদায় করে নেয় এই নামাজ কিয়ামতের ময়দানের পুলসিরাত পার হওয়ার মাধ্যম এবং প্রথম সারির বান্দাদের সাথে বিজলীর মতো দ্রুত পার হয়ে যাবে। কিয়ামতের ময়দানে যখন উঠবে পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় তার চেহারাটা উজ্জল থাকবে। এবং যে ব্যক্তি প্রত্যেহ নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে শহীদের সাওয়াব দান করবেন।(রুহুল বয়ান ৬ষ্ঠ খন্ড ৩৮ পৃষ্ঠা)
নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে পাকের বাণী জেনে নিন
اذا كان يوم القيامة امر بطبقات المصلين الى الجنة فتأتى اول زمرة كالشمس فتقول الملائكة من انتم قالوا نحج المحا فظون على الصلوة قالوا كيف كانت محا فظتكم على الصلوة ؟ قالوا كنا نسمع الاذان ونحن فى المسجد –
ثم تأ تى زمرة اجرى كالقمر ليلة البدر فتقول الملائكة من انتم قالوا نحن المحافظون على الصلوة قالوا كنا نتوضأ قبل الوقت ثم نحضرمع سماع الاذان –
ثم تأ تى زمرة اجرى كالكو اكب فتقول الملائكة من انتم قالوا نحن المخافظون على الصلوة قالوا كيف كانت محافظتكم على الصلوة قالوا كنا نتوضأ بعد الاذان -( نزهة المجالس)
অর্থঃ রাসুলে করিম (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখন কিয়ামত কায়েম হবে রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে আদেশ হবে মুসল্লিদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে, তাদের বিভিন্ন মর্যাদা প্রকাশ করে, এক দল দেখা যাবে সূর্যের ন্যায় আলোকিত , ফেরেশতা জিজ্ঞেস করবে তোমরা কারা? তারা বলবে আমরা নামাজকে হিফাজত করেছিলাম ।
ফেরেশতারা বলবে তোমাদের হিফাজত টা কি রকম ছিল? তারা বলবে আমরা আজান শুনতাম মসজিদে বসে ।আরেক দলকে নিয়ে যাওয়া হবে তাদের চেহেরা হবে চৌদ্দ তারিখের উজ্জল চাঁদের মতো, ফেরেশতারা বলবে তোমরা কারা ? তারা বলবে আমরা নামাজকে হিফাজত করতাম, ফেরেশতারা বলবে কিভাবে ?
তারা বলবে আমরা অযু করতাম নামাজের সময় আসার আগে আর মসজিদে হাজির হতাম আজান শুনে শুনে।আরেক দলকে নিয়ে যাওয়া হবে তাদের চেহেরা হবে নক্ষত্রের মতো উজ্জল, ফেরেশতারা বলবে তোমরা কারা ? তারা বলবে আমরা নামাজকে হিফাজত করতাম, ফেরেশতারা বলবে কিভাবে ? তারা বলবে আমরা অযু করতাম নামাজের জন্য আজান শুনার পরে।( নুযহাতুল মাজালিস)
ذكر السمر قندى ان ابليس صاح عند نزول الصلوة فا جتمع اليه جنوده فا خبرهم بذالك فقالوا ما الحيلة؟ قال اشغلوهم عن مواقيتها فان الرحمة تنزل اول وقتها قالوا فان لم نستطع قال اذا دخل احدهم فى الصلوة فاليقم حوله اربعة منكم واحد عن يمينه فيقول انظر الى يمينك وواحد عن شماله فيقول انظر الى شمالك واخر فوقه فيقول انظر فوقك واخر تحته فيقول انظر تحتك عجل عجل فان لم يفعل كتبت له هذه الصورة اربعماة صلوة ( نزهة المجالس)
অর্থঃ হযরত আবুল লাইস সমর কান্দি (রঃ) উল্লেখ করেছেন, নামাজের সময় যখন হয় ইবলিস চিৎকার করে, অতঃপর তার সৈন্যরা একত্রিত হয়ে যায় তাদেরকে চিৎকারের কারণ বলে , তখন তারা বলে এখন উপায় কি ? ইবলিস বলে তোরা উম্মতে মুহাম্মদীকে নামাজ থেকে বিরত রাখ,যাতে তারা সময় মোতাবিক নামাজ পড়তে না পারে ।
কারণ ওয়াক্ত আসার সাথে সাথে আল্লাহর রহমত ও নাজিল হয়, তার সৈন্যরা বলে আমরা যদি বিরত রাখতে সক্ষম না হয়? ইবলিস বলে তারা যদি নামাজে প্রবেশ করে তোমরা চারজন চারপাশে দাঁড়াবে একজন ডানপাশে সে বলবে (মুসল্লিকে) ডান দিকে দেখ, আর একজন বাম দিকে সে বলবে বাম দিকে দেখ, অন্যজন উপরে,সে বলবে উপরে দেখ , অন্য জন নিচে দাঁড়াবে সে বলবে নিচে দেখ, আর মুসল্লি যদি তোমাদের কথা না শুনে , তার নামাজ একনিষ্ঠতার সাথে আদায় করে, এ নামাজে চারশত নামাজের সাওয়াব দেওয়া হবে, তোমরা তাড়াতাড়ি যাও , এভাবে আদেশ করে ইবলিস তার সৈন্যদেরকে।( নুযহাতুল মাজালিস )