প্রশ্ন: নামাযে কিরাত উল্টোভাবে তেলাওয়াত করার হুকুম বর্ণনা করলে উপকৃত হব।
উত্তর: কুরআন মজীদ ইচ্ছাকৃত উল্টোভাবে তেলাওয়াত করা অর্থাৎ ১ম রাকাতে পরবর্তী সূরা পড়া আর ২য় রাকাতে তার পূর্ববর্তী সূরা পড়া গুনাহ। যেমন প্রথম রাকাতে সূরা ইখলাস আর ২য় রাকাতে সূরা লাহাব পড়া অথবা কোন সূরার আয়াতের অংশ উল্টোভাবে তেলাওয়াত করার এই হুকুম। উল্টোভাবে কুরআন শরীফ পড়ার ব্যাপারে কঠোর শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। বিশিষ্ট সাহাবী রঈসুল ফোকাহা হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, যে ব্যক্তি উল্টো দিক থেকে কুরআন পড়ে সে কি এ ভয় করে না যে, আল্লাহ্ তার অন্তর উল্টো করে দেবেন।
যদি ইমাম ভুলবঃশত তরতীবের বিপরীত (উল্টোভাবে) কিরাত পড়ে, তবে এতে না গুনাহ্ আছে, না এ জন্য সাজদায়ে সাহু দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে নামাযের কোন ক্ষতি হবে না বরং নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে। আর ইচ্ছাকৃত করে থাকলে তাওবা করবে এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক থাকবে। অবশ্য নামায আদায় হয়ে যাবে।
[মু’মিন কি নামায ও বাহাারে শরীয়ত, নামায অধ্যায়]