পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।
নামাজ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো- যেগুলো জানা অত্যান্ত জরুরী।
নামাজ শুরু করার পূর্বে কএকটি শর্ত অবশ্যই পালন করতে হবে । যদি এই শর্তগুলো পূরণ না করে নামাজ শুরু করে দেয় তাহলে নামাজ হবে না ।
নামাজের ৭টি শর্তঃ
- শরীর পাক হওয়া
- কাপড় পাক হওয়া
- নামাজের জায়গা পাক হওয়া
- সতর বা শরীর ঢাকা
- নামাজ সময় হওয়া
- কিবলামুখী হওয়াঃ
- নামাজের নিয়্যাত করা
নামাজের ৬টি ফরজঃ
- তাকবিরে-তাহরিমা বলা
- দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া
- ক্বেরাত পড়া
- তাকবিরে-তাহরিমা বলা
- দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া
- ক্বেরাত পড়া
- রুকু করা
- সিজদা করা
- শেষ বৈঠক করা
নামাযের ওয়াজিবসমূহঃ
ওয়াজিব অর্থ হলো আবাশ্যক (যা আদায় করতেই হবে)। নামাযের মধ্যে কিছু বিষয় আছে অবশ্য করণীয়। তবে তা ফরজ নয়, আবার সুন্নাতও নয়। যা ভুলক্রমে ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু দিতে হয়। আর ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিলে নামায ভঙ্গ হয়ে যায়। নিচে ওয়াজিবসমূহ উপস্থাপন করা হলো । নামাযের ওয়াজিব মোট ১৪টি–
- সূরা ফাতিহা পাঠ করা
- সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলানো
- তারতীব মত নামায আদায় করা (নামাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা)
- প্রথম বৈঠক
- আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করা
- প্রকাশ্য কিরা’আত পাঠ করা (ফজরের দুই রাকাআ,মাগরিবের প্রম দুই রাকাআত,এশার প্রথম দুই রাকাআতত, দুই ঈদ,জুম’আ)
- চুপিসারে কিরা‘আত পাঠ করা (জহর,আসর,মাগরিবের ৩য় নং রাকাআত, এশা শেষের দুই রাকাআ)
- তা’দীলে আরকান বা ধীরস্থিরভাবে নামায আদায় করা
- রুকু’থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো
- সিজদা থেকে সোজা হয়ে বসা
- সালাম বলা (’আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলে নামায শেষ করা)
- দু’আ কুনুত পাঠ করা (বেতরের নামাযে দু’আ কুনুত পাঠ করা ওয়াজিব)
- ঈদের নামাযে তাকবীর (দুই ঈদের নামযে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর বলা ওয়াজিব)
নামাজের সুন্নাত সমূহঃ
- আজান ও ইকামত বলা
- তাকবিরে তাহরিমার সময় উভয় হাত উঠানো
- হাত উঠানোর সময় আঙ্গুলগুলি স্বাভাবিক রাখা
- ইমামের জন্য তাকবীর গুলিউচ্চ স্বরে বলা
- সানা পড়া
- আউযুবিল্লাহ পড়া
- বিসমিল্লাহ পড়া
- আমীন বলা
- সানা,আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ,আমীন আসতে বলা
- হাত বাধার সময় বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা
- পুরুষের জন্য নাভির নিচে,আর মহিলার জন্য বুকের উপর হাত বাঁধা
- এক ফরজ থেকে অন্য ফরজ আদায়ে যাবার সময় “আল্লাহু আকবার” বলা
- একাকী নামাজ পাঠকারির জন্য রুকু থেকে উঠার সময় “সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদা” ও “রব্বানা লাকাল হামদ” বলা। ইমামের জন্য শুধু “সামিয়া’ল্লাহু লিমান হামিদা” বলা আর মুক্তাদির জন্য শুধু “রব্বানা লাকাল হামদ” বলা।
- রুকুতে “সুবহানা রব্বিয়াল আযীম” বলা
- সেজদায় “সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা” বলা
- রুকুতে উভয় হাটু আকড়ে ধরা
- রুকুতে পুরুষের জন্য উভয় হাতের আঙ্গুল ফাঁকা রাখা। আর মহিলার জন্য মিলিয়ে রাখা। (শামী-২/১৭৩)
- পুরুষের জন্য নামজে বসার সময় বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসা ও ডান পা খাড়া রাখে আঙ্গুলগুলো কেব্লার দিক করে রাখা। আর মহিলার জন্য উভয় পা ডান দিকে বের করে জমিনের উপর বসা। (বাদায়েউস সানায়ে-১/৪৯৬)
- শেষ বৈঠকে তাশাহ্যুদের পর দুরুদ শরীফ পড়া
- দুরুদের পর দোয়া পড়া
- তাশাহ্যুদে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলার সময় শাহাদাত(তর্জনি) আঙ্গুল দ্বারা কেবলার দিকে ইশারা করা।