নবী করীম (ﷺ) এর দ্বীন প্রচার সংক্রান্ত আলোচনা।

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

নবী করীম (ﷺ) এর দ্বীন প্রচার সংক্রান্ত আলোচনা।

 اَكْمَلَ الْاَخْلَاقِ الزَّكِيَّةِ وَاَشْرَفَ السِّيَرِ الْمَرْضِيَّةِ، وَقَدْ جَمَعَ صَلَّى اللهُ تَعَالٰى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَارِمَ الْاَخْلَاقِ، فَسَاسَ الْعَرَبَ الَّذِيْنَ هُمْ كَالْوُحُوْشِ الشَّارِدَةِ، وَصَبَرَ عَلٰى طِبَاعِهِمْ الْمُتَنَافِرَةِ الْمُتَبَاعِدَةِ حَتّٰى قَاتَلُوْا دُوْنَهُ اَهْلَهُمْ وَهَجَرُوْا فِىْ رَضَاهُ اَوْ طَانَهُمْ مَعَ اَنَّهُ اُمِّـىُّ نَشَأَ بَيْنَ جُهَّالٍ يَتِيْمًا مِنْ اَبْوَيْهِ فِىْ فَقْرٍ فَعَلَّمَهُ اللهُ تَعَالٰى مَكَارِمَ الْاَخْلَاقِ حَتّٰى قَالَ اَدَّبَنِىْ رَبِّىْ فَاَحْسَنَ تَأْدِيْبِىْ صَلَّى اللهُ تَعَالٰى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ .

اَلتَّبْلِيْغُ لِلنَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ 

اَلنَّبِـىُّ هُـوَ بَـشَـرٌ اِنْــسَانٌ كَامِــلٌ

নবী করীম (ﷺ) হলেন নির্বাচিত, মনোনীত ও পরিপূর্ণ মানব, যাকে আল্লাহ তা‘আলা ধর্মীয় বিধানসমূহ প্রচারে সর্বপ্রকারের দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত করে সৃষ্টিকুলের প্রতি প্রেরণ করেছেন। তিনি সর্বপ্রকারের নূরানী ও বশরি গুণাবলীর সমন্বয়কারী ছিলেন, তবে কখনো বাস্তবিক ও কার্যকর হিসেবে এবং কখনো ক্ষমতাধীন থেকেও স্বভাবগতভাবে নূরানী ও বশরি গুণাবলী সমূহ আত্ম প্রকাশ করত।

তাবলীগ হচ্ছে বশরী যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে হাবীব (ﷺ) আপনি বলুন! (প্রকাশ্য মানবীয় আকৃতিতে তো) আমি তোমাদের মতো, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ আসে যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ।’ 

➥আল-কুরআন,  সূরা কাহ্ফ, আয়াত: ১১০

তাঁর ইবাদতের দিক নূরানী তাইতো তাঁর কোন ছায়া ছিল না। কেননা তাঁর আপাদমস্তক সম্পূর্ণ শরীর নূরানী ছিল। তাঁর শারীরিক নূর তাদের চতুপাশের্ব আলোক সজ্জার ন্যায় ঘুরতে থাকত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট নূর এসেছে।’ অনুরূপ আরও অনেক আয়াত রয়েছে।

❏ ওহী (ঐশীবাণী) কি❓

আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় হাবীব (ﷺ)কে স্বীয় ইচ্ছানুযায়ী অদৃশ্য শরয়ী বিধানাবলী ও অদৃশ্য যাবতীয়

 مُجْتَبٰى مُرْتَضٰى بَعَثَهُ اللهُ تَعَالٰى اِلٰى الْخَلْقِ لِتَبْلِيْغِ الْاَحْكَامِ الَّذِىْ هُوَ السَّلِيْمُ مِنْ كُلِّ عَيْبٍ وَهُوَ جَامِـعُ الصِّفَاتِ النُّوْرَانِيَّةِ وَالْبَشَرِيَّةِ وَقَدْ تَكُوْنُ فِعْلًا وَتَكُوْنُ قَوَّةً مِنْ طَرْفِ الْعَادَةِ وَالتَّبْلِيْغُ بَشْرِىٌّ قَالَ اللهُ تَعَالٰى: قُلْ اِنَّمَا اَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُوْحٰى اِلَىَّ الخ وَطَرْفُ الْعِبَادَةِ نُوْرَ انِـىٌّ فَلِذَا لَاظِلَّ لَهُ لِاَنَّهُ جِسْمٌ نُوْرَانِـىٌّ. يَسْعٰى نُوْرُهُمْ بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَبِاَيْمَانِهِمْ الخ وَقَدْ جَاءَ كُمْ مِنَ اللهِ نُـوْرٌ الخ وَغَيْرَهَا .

اَلْـوَحِـىٌّ 

اَطْلَعَهُ اللهُ تَعَالٰى عَلٰى الْغُيُوْبِ بِـمَا شَاءَ مِنَ الْاَحْكَـامِ الدِّيْـنِـيَّـةِ 

বিষয়াবলীর জ্ঞান দান করেছেন। আল্লাহ তা‘আলার বাণী, ‘আর আল্লাহর শান এমন নয় যে, তোমাদেরকে অদৃশ্য জ্ঞান দিয়ে দিবেন। তবে আল্লাহ তাঁর রাসূলগণের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছে মনোনীত করেন।’ 

➥আল-কুরআন,  সূরা আল্-ইমরান, আয়াত: ১৭৯

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ‘তিনি (আল্লাহ) অদৃশ্য বিষয় বর্ণনা করার ব্যাপারে কৃপণতা করেন না।’

➥আল-কুরআন,  সূরা তাকভীর, আয়াত: ২৪

❏ নবী করীম (ﷺ) এর নাম মোবারক সমূহ কি কি❓নবী করীম (ﷺ) এর অনেক প্রসিদ্ধ নাম আছে। তন্মধ্যে অধিকতর প্রসিদ্ধ নাম মুহাম্মদ (ﷺ) ও আহমদ (ﷺ)।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment