দোয়ার শেষে মুখমন্ডল মাসেহ করা
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَيْمَنَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ..فَإِذَا فَرَغْتُمْ فَامْسَحُوا بِهَا وُجُوهَكُمْ
-“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হাদিস বর্ণনা করেন, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল ( ﷺ) বলেছেন: যখন তোমরা দোয়া থেকে ফারেগ বা বের হবে তখন হাতদ্বয় মুখে মাসেহ্ কর।” ৪৬৪৬, সুনানে আবী দাউদ, হাদিস নং ১৪৮৫; ইমাম বায়হাক্বী: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ৩১৫১; ইমাম বায়হাক্বী: দাওয়াতুল কবীর, হাদিস নং ৩০৯; ইমাম বাগভী: শরহে সুন্নাহ, হাদিস নং ১৪০০; ইমাম আইনী: উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী, ২২তম খন্ড, ৩০১ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: ফাতহুল কবীর, হাদিস নং ১১২৪; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৩২৫৫; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ২০৮৭; ইমাম ছিয়তী: জামেউছ ছাগীর, হাদিস নং ৫৯৪; হাশিয়াতু ছানাদী আলা সুনানি ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৮৬৬;
এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল ইবনে ছিলাহ্ ছানআনী ( رَحْمَةُ الله عليه) ওফাত ১১৮২ হিজরী বলেন: صح -“ছহীহ্।” ৪৭৪৭, আল্লামা মানাভী: আত তানভীর শরহু জামেউছ ছাগীর, হাদিস নং ৪৬৯০;
আল্লামা মানাভী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন:- وَهُوَ حَدِيث حسن -“ইহা হাছান হাদিস।” ৪৮৪৮, আল্লামা মানাভী: আত তাইছির বি’শরহে জামেইছ ছাগীর, ১ম খন্ড, ১০৩ পৃ:;
আব্দুল মালেক ইবনে মুহাম্মদ ও আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াকুব ছাড়াও অন্য আরেকটি সূত্রে হাদিসটি বর্ণিত আছে,। যেমন ইমাম তাবারানী ( رَحْمَةُ الله عليه) ও ইমাম আবু মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ ইবনে হামিদ ইবনে নাছর আল কাসী ( رَحْمَةُ الله عليه) ওফাত ২৪৯ হিজরী বর্ণনা করেন,
حَدَّثَنَا الْمُنْتَصِرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَصِرِ، ثنا الْحَسَنُ بْنُ حَمَّادٍ الْحَضْرَمِيُّ، ثنا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الثَّقَفِيُّ الْوَرَّاقُ، ثنا صَالِحُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهماُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا سَأَلْتُمْ بِاللهِ فَسَلُوهُ بِبُطُونِ أَكُفِّكُمْ، وَلَا تَسْأَلُوهُ بِظُهُورِهَا، وَامْسَحُوا بِهَا وُجُوهَكُمْ
-“হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক ( ﷺ) বলেছেন: যখন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে তখন হাতের পেট দ্বারা প্রার্থনা করবে, আর হাতের পিঠ দ্বারা প্রার্থনা করবেনা। দোয়া শেষে দুই হাত দ্বারা মুখে মাসেহ্ কর।” ৪৯৪৯, ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবীর, হাদিস নং ১০৭৭৯; আল মুন্তাখাবু মিন মুসনাদে আব্দ ইবনে হুমাইদ, হাদিস নং ৭১৫; ইমাম আবী হাতিম: ইলালু হাদিস, হাদিস নং ২৫৭২;
হাদিসটি ‘সালেহ ইবনে হাছান’ থেকে অন্য আরেকটি সূত্রে উল্লেখ আছে,
حَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي نَصْرٍ الْمَرْوَزِيُّ، ثنا أَبُو الْمُوَجِّهِ، ثنا سَعِيدُ بْنُ هُبَيْرَةَ، ثنا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ حَساْن، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَاسْأَلُوهُ بِبُطُونِ أَكُفِّكُمْ، وَلَا تَسْأَلُوهُ بِظُهُورِهَا، وَامْسَحُوا بِهَا وُجُوهَكُمْ
-“হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক ( ﷺ) বলেছেন: যখন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে তখন হাতের পেট দ্বারা প্রার্থনা করবে, আর হাতের পিঠ দ্বারা প্রার্থনা করবেনা। দোয়া শেষে দুই হাত দ্বারা মুখে মাসেহ্ কর।” ৫০৫০, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ১৯৬৮;
হাদিসটি ‘সালেহ ইবনে হাছান’ থেকে অন্য আরেকটি সূত্রে উল্লেখ আছে,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَائِذُ بْنُ حَبِيبٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا دَعَوْتَ اللَّهَ فَادْعُ بِبُطُونِ كَفَّيْكَ، وَلَا تَدْعُ بِظُهُورِهِمَا، فَإِذَا فَرَغْتَ فَامْسَحْ بِهِمَا وَجْهَكَ
-“হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক ( ﷺ) বলেছেন: যখন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে তখন হাতের পেট দ্বারা প্রার্থনা করবে, আর হাতের পিঠ দ্বারা প্রার্থনা করবেনা। আর যখন দোয়া থেকে বের হবে তখন হাতদ্বয় মুখে মাসেহ্ করবে।” ৫১৫১, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৮৬৬; ইমাম ছিয়তী: জামেউছ ছাগীর, হাদিস নং ১৫০৫;
হাদিসটি আরেকজন সাহাবী থেকে ভিন্ন একটি সূত্রে বর্ণিত আছে,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَهْلٍ الْعَسْكَرِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارٍ الْعَيْشِيُّ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ عِيسَى الْجُهَنِيُّ، نَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ كَانَ إِذَا مَدَّ، أَوْ رَفَعَ يَدَيْهِ فِي الدُّعَاءِ لَمْ يَرُدَّهُمَا حَتَّى يَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ
-“সালিত ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি নবী করিম ( ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন: নিশ্চয় তিনি (নবী পাক) যখন দোয়ার সময় হাত প্রসারিত করতেন বা উচু করতেন তখন মুখে হাত মাসেহ্ ব্যতীত নামাতেন না।”৫২৫২, ইমাম তাবারানী: মুজামুল আওছাত, হাদিস নং ৭০৫৩; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ১৯৬৭; হাদিসু আবুল ফদ্বল জুহুরী, হাদিস নং ৫০৬; তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ৩৩৮৬; ইমাম তাবারানী: আদ দোয়া, হাদিস নং ২১২; মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস নং ১২৯; ইমাম বাগভী: শরহে সুন্নাহ, হাদিস নং ১৪০০; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ৩০৭২১; ইমাম ছিয়তী: জামেউছ ছাগীর, হাদিস নং ৯৮৯১; ইমাম ছিয়তী: ফাতহুল কবীর, হাদিস নং ৯১০৭; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৪৮৮৮; রওদ্বাতুল মুহাদ্দিছিন, হাদিস নং ৪৩৯০; আল মুন্তাখাবু মিন মুসনাদে আব্দ ইবনে হুমাইদ, হাদিস নং ৩৯;
এই হাদিসের সনদে حمَّاد بْن عيسى بْن عَبِيدَة الْجُهَنيُّ الواسطيُن (হাম্মাদ ইবনে ঈসা ইবনে আবিদাহ জুহানী ওয়াছেতী) রয়েছে যার ব্যাপারে ইমাম ইবনে মাঈন ( رَحْمَةُ الله عليه) অভিমত লক্ষ্য করুন:-
قال بن معين شيخ صالح -“ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইমাম ইবনে মাঈন ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেছেন: সে গ্রহণযোগ্য শায়েখ ছিলেন।” ৫৩৫৩, ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ১৮;
হাফিজ ইবনু হাজার আসকালানী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেছেন,
وَلَهُ شَوَاهِدُ مِنْهَا: حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ: عَنْ أَبِي دَاوُدَ. وَمَجْمُوعُهَا يَقْتَضِي أَنَّهُ حَدِيثٌ حَسَنٌ.
-“ইহার অনেক শাওয়াহেদ বা সাক্ষ্য রয়েছে, এর মধ্যে ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এর হাদিস যা ইমাম আবু দাউদ ( رَحْمَةُ الله عليه) থেকে বর্ণিত। সকল রেওয়ায়েত একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত হয় নিশ্চয় ইহা হাছান হাদিস।” ৫৪৫৪, ইমাম আসকালানী: বুলুগুল মারাম, হাদিস নং ১৫৬৭-৬৮;
একই কথা বলেছেন আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে ছিলাহ্ ছানআনী ( رَحْمَةُ الله عليه) ওফাত ১১৮২ হিজরী বলেছেন,
وَلَهُ شَوَاهِدُ مِنْهَا عِنْدَ أَبِي دَاوُد مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَغَيْرِهِ وَمَجْمُوعُهَا يَقْضِي بِأَنَّهُ حَدِيثٌ حَسَنٌ
-“ইহার অনেক শাওয়াহেদ বা সাক্ষ্য রয়েছে, এর মধ্যে ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এর হাদিস যা ইমাম আবু দাউদ ( رَحْمَةُ الله عليه) অন্যান্য ইমামগণ থেকে বর্ণিত। সকল রেওয়ায়েত একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত হয় নিশ্চয় ইহা হাছান হাদিস।” ৫৫৫৫, সুবুলুছ সালাম, ২য় খন্ড, ৭০৯ পৃ:;
ইমাম মুত্তাকী হিন্দী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন: وقال صحيح غريب -“ইমাম তিরমিজি ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন: ইহা ছহীহ্ গরীব হাদিস।” ৫৬৫৬, ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৪৮৮৮;
ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه) উল্লেখ করেন,
وَقَالَ التِّرْمِذِيّ صَحِيح غَرِيب -“ইমাম তিরমিজি ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন: ইহা ছহীহ্ গরীব হাদিস।” ৫৭৫৭, শামাইলুশ শারিফাহ, হাদিস নং ২৩৬;
আল্লামা হাছান ইবনে আহমদ ইবনে ইউছুফ ছানআনী ( رَحْمَةُ الله عليه) ওফাত ১২৭৬ হিজরী উল্লেখ করেন, حديث حسن صحيح غريب -“ইহা হাছান-ছহীহ্ গরীব হাদিস।” ৫৮৫৮, ফাতহুল গাফ্ফার, হাদিস নং ৬৪৬৪;
অন্যত্র আরো উল্লেখ আছে, وقال: هذا حديث صحيح غريب.
-“ইমাম তিরমিজি ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন: ইহা ছহীহ্ গরীব হাদিস।” ৫৯৫৯, তাফছিরে মুনীর, ৮ম খন্ড, ২৪২ পৃ:;
ইমাম কুরতুবী ( رَحْمَةُ الله عليه) উল্লেখ করেন, قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ.
-“ইমাম তিরমিজি ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন: ইহা ছহীহ্ গরীব হাদিস।” ৬০৬০, তাফছিরে কুরতবী, ৭ম খন্ড, ২২৫ পৃ: সূরা আরাফের ৫৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যায়;
এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, কোন কোন ছাপায় এই হাদিস সম্পর্কে ‘ছহীহ্-গরীব’ হওয়ার কথাটি নেই শুধু ‘গরীব’ শব্দটি আছে। এর কারণ হল কোন কোন ছাপা হতে ‘ছহীহ্’ শব্দটি ফেলে দেওয়া হয়েছে। যেমন বিশ্ব নন্দিত মুহাদ্দিছ আল্লামা মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে হুমাম আবুল ফাতাহ্ ( رَحْمَةُ الله عليه) ওফাত ৭৪৫ হিজরী তদীয় কিতাবে বলেন,
وَقد اخْتلفت النّسخ فِي الْكَلَام عَلَيْهِ فَفِي بَعْضهَا غَرِيب لَا نعرفه إِلَّا من حَدِيث حَمَّاد بن عِيسَى تفرد بِهِ وَهُوَ قَلِيل الحَدِيث وَقد حدث عَنهُ النَّاس وحَنْظَلَة بن أبي سُفْيَان الجُمَحِي ثِقَة وثقة يحيى بن سعيد الْقطَّان وَرَأَيْت فِي غير مَا نسخه حسن صَحِيح غَرِيب إِلَى آخر كَلَامه الْمُتَقَدّم
-“অবশ্যই নূছখার মধ্যে এই কথা গুলোর ভিন্নতা রয়েছে, যেমন কোন কোন ছাপায় রয়েছে: “গরীব ‘হাম্মাদ ইবনে ঈসা’ এর একক সূত্র ছাড়া অন্য কোন সূত্রে ইহা জানা নেই। তার বর্ণিত হাদিস সংখ্যা খুব কম, তার থেকে লোকেরা হাদিস বর্ণনা করেছেন। ‘খানতাতা ইবনে আবী সুফিয়ান জুমাহী’ বিশ্বস্ত রাবী, ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ কাত্তান ( رَحْمَةُ الله عليه) তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন। আর অন্যান্য নূছখার মধ্যে আমি দেখেছি সেখানে আছে: হাদিসটি হাছান-ছহীহ্ গরীব থেকে শেষ পর্যন্ত এবারত।” ৬১৬১, ছিলাহুল মু’মীন ফিদ দোয়া ওয়া জিকরে, ১ম খন্ড, ১৫৭ পৃ:;
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ حَفْصِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِيهِ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ إِذَا دَعَا فَرَفَعَ يَدَيْهِ مَسَحَ وَجْهَهُ بِيَدَيْهِ
-“হযরত সাইব ইবনে ইয়াজিদ (رضي الله عنه) তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, নিশ্চয় আল্লাহর নবী ( ﷺ) যখন দোয়া করতেন তখন দুই হাত উচু করতেন এবং শেষে মুখে দুই হাত মাসেহ্ করতেন।” ৬২৬২, মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১৭৯৪৩; সুনানে আবী দাউদ, হাদিস নং ১৪৯২; ইমাম বুখারী: তারিখুল কবীর, ২৪৯৭ নং রাবীর ব্যাখ্যায়; ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবীর, হাদিস নং ৬৩১; ইমাম বায়হাক্বী: দাওয়াতুল কবীর, হাদিস নং ৩১০; ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, ১৪১৮ নং রাবীর ব্যাখ্যায়; ইমাম আবু নুয়াইম: মারিফাতুস সাহাবা, ৬৬১৪ নং রাবীর ব্যাখ্যায়; উসদুল গাবা, ২৭৭৩ নং রাবীর ব্যাখ্যায়;
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,
أَبُو بكر وَابْن عَبَّاس سلوا الله عز وَجل ببطون أكفكم وَلَا تسألوه بظهورها وامسحوا بهَا وُجُوهكُم
-“আবু বকর (رضي الله عنه) ও ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেছেন, তোমরা আল্লাহর কাছে হাতের পেট দ্বারা প্রার্থনা কর, পিঠ দ্বারা নয়। আর দোয়া শেষে মুখে হাত মাসেহ্ কর।” ৬৩৬৩, মুসনাদে ফেরদৌস, হাদিস নং ৩৩৮৩;
ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه) আরেকটি সূত্র উল্লেখ করেন,
وَأخرج الطَّبَرَانِيّ فِي الدُّعَاء عَن الْوَلِيد بن عبد الله بن أبي مغيث قَالَ: قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا دَعَا أحدكُم فَرفع يَدَيْهِ فَإِن الله جَاعل فِي يَدَيْهِ بركَة وَرَحْمَة فَلَا يردهما حَتَّى يمسح بهما وَجهه
-“ইমাম তাবারানী ( رَحْمَةُ الله عليه) তার ‘দোয়া’ গ্রন্থে ওয়ালিদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আবী মুগিছ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলে পাক ( ﷺ) বলেছেন: যখন তোমাদের কেউ দোয়া করবে তখন দুই হাত উচু করবে, কেননা আল্লাহ তা’আলা হাতের মধ্যেই রহমত ও বরকত দান করেন। মুখে হাত মাসেহ্ ব্যতীত নামাবে না।” ৬৪৬৪, তাফছিরে দুর্রে মানছুর, ১ম খন্ড, ৪৭১ পৃ:;
এ বিষয়ে আরেকটি মুরছাল রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,
عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ عِنْدَ صَدْرِهِ فِي الدُّعَاءِ، ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا وَجْهَهُ،
-“হযরত যুহুরী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন, আল্লাহর রাসূল ( ﷺ) দোয়ার সময় বুক বরাবর হাত উঠাতেন অত:পর দুই হাত মুখে মাসেহ্ করতেন।” ৬৫৬৫, মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং ৩২৩৪; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৪৯১৮; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ৪৪৬১৩;
হাদিসটি মুরছাল হলেও হুজ্জত হওয়ার যোগ্য, যেমন আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেছেন,
وَالْمُرْسَلُ حُجَّةٌ عِنْدَ الْجُمْهُورِ إِذَا صَحَّ إِسْنَادَهُ وَلِهَذَا قَالَ ابْنُ الْمَدِينِيِّ مُرْسَلَاتُ الْحَسَنِ إِذَا رَوَاهَا عِنْهُ الثِّقَاتُ صِحَاحٌ
-“অধিকাংশ মুহাদ্দিছিনে কেরামের মতে মুরছাল হাদিস হুজ্জত বা দলিল হবে, যদি রেওয়ায়েত টি বিশুদ্ধ হয়। এ কারণেই ইবনে মাদানী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেছেন: হাছান বছরী ( رَحْمَةُ الله عليه) এর সকল মুরছাল রেওয়ায়েত সমূহ যদি বিশ্বস্ত রাবীগণ বর্ণনা করেন তাহলে ঐ রেওয়ায়েত ছহীহ্ হবে।” ৬৬৬৬, ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: আসরারুল মারফুয়া, হাদিস নং ১৬৩;
অতএব, হাদিসটি হাছান-ছহীহ্, যা হুজ্জত বা দলিল হওয়ার যোগ্য।