দলীল বিহীন আশেকে রাসুলের মিলাদুন্নাবী উদযাপন!

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

এতদিন দলীল দিয়ে ঈদে মীলাদুন্নাবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) প্রমাণ করেছি আজ দলীলবিহীন বলতে চাই ঈদে মীলাদুন্নাবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) মহা পুণ্যের

যারা ঈদে মীলাদুন্নাবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) পালনকে বিদায়াত বলে ফতুয়া দেন তাঁরা কি কুরআন ও হাদীসের ভিত্তিতে এর কোন প্রমাণ দিতে পারবেন? না বরং 
রাসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বলেন, “কেউ যদি নতুন কিছু (বিদাত) সংযোজন করে এবং তা ধর্মীয় রীতিনীতির সাথে সাংঘর্ষিক হয় তা প্রত্যাখ্যাত।” [বুখারী ৩য় খণ্ড, বুক ৪৯, হাদিস নং ৮৬১] 

কুরআনে নেয়ামত পেয়ে আনন্দ করার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন। নবীজি (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) নিজে তাঁর জন্মদিবস পালন করেছেন প্রতি সোমবার রোযা রাখার মাধ্যমে। সাহাবাগণ তা পালন করেছেন তবে বর্তমানে আমরা যেভাবে পালন করি সেভাবে নয়। আর যেহেতু আমাদের ঈদে মীলাদুন্নাবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) কুরআন বা হাদীসের রীতির বিরুদ্ধে যায়না কাজেই তা জায়েজ এবং পুণ্যের।

আবু লাহাব যদি কট্টর কাফের হয়ে কেবল ভাতিজা হিসেবে নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর জন্মে খুশী হবার কারণে প্রতি সোমবার কবরের আজাব থেকে নিষ্কৃতি পায় (বুখারী ৪৫৮৯ – মুসলীম ৩০৯), আমরা মুমিন হয়ে অবশ্যই এর মাধ্যমে পরকালে নাজাত পাব ইনশাল্লাহ! 

“আমরা মীলাদুন্নবী মাহফিল জীবন ভর করেই যাবো। হে নজদীরা, তোমরা জ্বলতে থাক, জ্বলতেই থাক, জ্বলে মরাই তোমাদের কাজ।” (আলা হযরতর)

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment