কামেল ও নাকেছের পার্থক্য:
✍ কৃতঃ আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী (رحمة الله) ➡ মুনিয়াতুল মুছলেমীন [১ম খন্ড]
❏ মাসয়ালা: (২৯৯)
কামেল হবে বুদ্দিমান এবং কামেল দুনিয়ার প্রাণী আহার বর্জনের প্রয়োজন মনে করে না, তার বুরুজ গণনা, রাশিফল চাওয়া ইত্যাদি প্রয়োজন হয় না।
নাকেছ ব্যক্তি সবসময় বিভিন্ন চক্করে পড়ে বে-ইজ্জত হয়। অনেক হালাল প্রাণী ভক্ষণ ছেড়ে দেয় যা কাফিরদের চরিত্র। তারা তো জাহান্নামী। কামেল দাওয়াত দানকারী যা চায় তা খায়; কেননা তার খাওয়া নূরের মুজাহেদা। তার ঘুম মুশাহাদায়ে হুযুর। তার আলোচনা আল্লাহর যিকির। তার অন্তর বাইতুল মামুর। তার আত্মা সব সময় খুশিতে প্রফুল থাকে।
❏ মাসয়ালা: (৩০০)
যে রকম কাফিরের কালেমা তায়্যিবা পড়া মুশকিল তেমনি মৃত অন্তরের জন্য তাসাউফ মুশকিল। কেননা তাসাউফ দ্বারা আত্মা লজ্জিত হয়, অন্তর জীবিত হয়, আত্মা দর্শন লাভকারী হয় এবং তাসাউফ দ্বারা মানুষ আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। কূপ্রবৃত্তি থেকে বিরত হয়।
➥ [আকলে বেদার:১৫]
❏ মাসয়ালা: (৩০১)
ফকীরের দুশমন তিন অবস্থায় থাকে। হয়ত তার অন্তর মৃত এবং ঈর্ষাপরায়ণ আলিম যার জিহ্বা জীবিত কিন্তু অন্তর মৃত এবং অন্তর বিশ্বাস থেকে শূন্য এবং ডবল অজ্ঞতায় লিপ্ত বা সে মিথ্যুক, মুনাফিক ও কাফির বা দুনিয়াদার যার বেহেশতে কোন স্থান নেই।
❏ মাসয়ালা: (৩০২)
কামেল ফকীর দরবেশ ঐ ব্যক্তি যে এক মুহূর্তের জন্য মজলিসে মুহাম্মদী থেকে পৃথক হয় না। আর যার সবসময় মজলিসে মুহাম্মদীর সংস্পর্শ অর্জিত হবে না সে ফকীর নয়। দরবেশের মর্যাদা হল সে লাওহে মাহফুয থেকে মু‘তালাআ করে।






Users Today : 433
Users Yesterday : 767
This Month : 14855
This Year : 186726
Total Users : 302589
Views Today : 42410
Total views : 3619153