তরজুমায়ে কুরআনঃ ইমাম আলা হযরতের “কানযুল ইমান” অন্যান্য অনুবাদ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কেন?
সংকলকঃ মোহাম্মদ সাবেদ চৌধুরী সাকিব
★নোট:-ইতোমধ্যে অনেক আলেম-উলামা’রা (যারা গভীর আরবী ভাষাজ্ঞানে দক্ষ) তারা কুর-আন এর অনুবাদ করেছেন কিন্তু আমার দৃষ্টিতে ইমাম আ’লা হযরত ব্যাতিত আর কেউ এইরকম রসূলের (দ.) শান-মান নিয়ে সর্বোচ্চ তরজমা আর কেউ করতে পারে না যদি ও বর্তমানে একজন কাছাকাছি পর্যায়ে পৌছাতে সক্ষম হয়েছে আর হ্যা, আমি আজকে শুধু একটি আয়াতের অনুবাদ নিয়ে আলোচনা করব।আপনারাই লক্ষ্য করবেন, হুজুর আকরাম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর শান-মান কার অনুবাদ সাবলীলভাবে বর্ণনা করতে সক্ষম হয়েছে।যদিও আমি আয়াত গুলো আপনাদের কাছে বাংলা অনুবাদে পেশ করছি।
[পারা-৩০ঃপবিত্র কুর-আন এর ৯৩ নাম্বার সূরা”সূরা-দোহা” এর আয়াত নংঃ৭]
(১) [এবং পেয়েছে তোমাকে পথভ্রষ্ট ;অতঃপর পথ প্রদর্শন করেছেন।—–শাহ আবদুল ক্বাদের]
(২)[এবং পেয়েছে তোমাকে পথভোলা, অতঃপর পথ দেখিয়েছেন।—-শাহ রফি’উদ্দীন]
(৩)[এবং পেয়েছে তোমাকে পথহারা অর্থ্যাৎ শরিয়তের বিধান সম্পর্কে তুমি জানতে না,অতঃপর পথ দেখিয়েছেন।—-শাহ ওয়ালিউল্লাহ]
(৪)[এবং আপনাকে বে-খবর পেয়েছেন,অতঃপর আপনাকে পথ প্রদর্শন করেন।—-আবদুল মাজেদ দরিয়া আবাদী]
(৫)[এবং তোমাকে পথহারা পেয়েছেন,অতঃপর (তোমাকে) কি পথ দেখান নি ?—মীর্যা হায়রার দেহলবী]
(৬)[এবং তোমাকে দেখলেন যে,সত্য পথের সন্ধানে পথভ্রষ্ট হয়ে ঘুরছো,তখন তোমাকে দ্বীন-ইসলামের সোজা পথ দেখালেন।—–ডিপুটি নযীর আহমদ ]
(৭)[এবং আল্লাহ তা’আলা আপনাকে শরিয়ত সম্পর্কে অনবহিত পেয়েছেন,সুতরাং আপনাকে (শরিয়তের) পথ বাতলিয়ে দিয়েছেন।—আশরাফ আলী থানবী]
(৮)[এবং তোমাকে পথ-অনভিজ্ঞ পেয়েছেন।অতঃপর হেদায়েত দান করেছেন।—মওদূদীকৃত তাফহীমুল ক্বোরআন]
(৯)তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথ প্রদর্শন করেছেন।—মা’রেফুল ক্বোরআন]
(১০)তিনি তোমাকে পাইলেন পথ সম্পর্কে অনবহিত, অতঃপর তিনি পথের নির্দেশ দিলেন।—আল-কুরআনুল করীম,অনুবাদ,ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ]
(১১)[এবং তিনি তোমাকে বিপদগামী পাইয়াছিলেন,পরিশেষে পথ প্রদর্শন করিয়াছেন।—গিরিশ চন্দ্র সেন]
(১২)★★★[এবং আপনাকে স্বীয় প্রেমে আত্মহারা পেয়েছেন,তখন নিজের দিকে পথ দেখিয়েছেন।
—কানযুল ইমান, কৃতঃ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা রাহমাতুল্লাহি আলায়হি]
#উপরোক্ত প্রায়সব অনুবাদকই “দ্বা—ল্লান” (আরবী শব্দ) শব্দকে পথভ্রষ্ট বা পথহারা ইত্যাদি দ্বারা অনুবাদ করেছেন,যা মোটেই যথাযথ অনুবাদ নয়।রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ত’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম -এর পবিত্র শানে ‘পথভ্রষ্ট ‘,’পথহারা’, ‘পথ-অনভিজ্ঞ’, ‘বিপদগামী’ ইত্যাদি বলা সুস্পষ্ট বেয়াদবীই কিন্তু শেষোক্ত (আ’লা হযরতের) অনুবাদটা কয়েকবার পাঠ করে দেখুন আর নিজেই ফয়সালা করুন! অনুবাদটা কতোই বিশুদ্ধ ও শালীনতার নিকটবর্তী!