প্রতিদিন বিকেলে বাসার নিকটবর্তী একটা ঈদ মাঠের কোণে আসরের পর এসে বসে কিছু সময় কাটাই আমি। কখনো একা, কখনো দুজন বন্ধু নিয়ে। প্রাকৃতিক বিভিন্ন সৌন্দর্য মনটাকে ভালো করে দেয়। তাই জায়গাটির প্রতি এক প্রকার মায়া কাজ করে।
আমার আরেকটা সাথী আছে। আমার কুকুর। সেও জানে বোধহয় বিকেলে আমি এখানে আসবই। তাই সেও আমার সাথেই বের হয়ে যায় বাসা থেকে। তা সে যতই ব্যস্ত থাকুক। পায়ের কাছে বসে থাকে। যতক্ষণ আমি থাকি সেও থাকে। আমার সাথেই আবার বাসায় ফিরে।
কিছুক্ষণ তার দিকে তাকালাম। ভাবছি কতটা অনুগত সে আমাদের প্রতি। অবুঝ একটি প্রাণী। কিন্তু কেন? শত অবহেলায় দুবেলা ক’টা খাবারই আমাদের কাছ থেকে হয়তো আশা করে সে। আর একটু থাকার জায়গা। মাত্র এতটুকুই। তারপরও তার এত আনুগত্য? হয়তো এটা এ জাতির একটা বিশেষ গুণ।
আহ! যদি এই গুণটাই আমার মতো একটা সুস্থ সবল মানুষের মধ্যেও থাকতো? তাহলে হয়তো এক অনন্য মর্যাদায় পৌঁছানোর সুযোগ ছিল। রবের এত দয়া, এত ভালোবাসা, এত সুযোগ শত নাফরমানির পরও! কিন্তু কই সুযোগগুলো তো আমি কাজে লাগাচ্ছি না। এত দয়ার পরও রবরে আনুগত্য করতে নফস সায় দিচ্ছে না। তার মানে কি? তার মানে এটা কুকুরের চেয়েও নিকৃষ্ট জীবন। এ জীবনের কোনো মূল্য নেই।
আমার চেয়ে তাহলে আমার কুকুরটাই আনুগত্যের দিক দিয়ে শ্রেয়তর নয় কি?
~স্বাধীন আহমেদ