মূল: হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.)
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
[ইংরেজি অনুবাদক মুহাম্মদ আবূল ক্বা’সেম কর্তৃক লিখিত ভূমিকা ও টীকা-টিপ্পনীসহ]
*সূরাহ সাজদাহ হতে পাঁচটি আয়াত (ومن سورة السَّجْدَة خمسُ آيات):
আল্লাহ পাক ফরমান:
إِنَّمَا يُؤْمِنُ بِآيَاتِنَا ٱلَّذِينَ إِذَا ذُكِّرُواْ بِهَا خَرُّواْ سُجَّداً وَسَبَّحُواْ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَهُمْ لاَ يَسْتَكْبِرُونَ، تَتَجَافَىٰ جُنُوبُهُمْ عَنِ ٱلْمَضَاجِعِ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفاً وَطَمَعاً وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ، فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّآ أُخْفِيَ لَهُم مِّن قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَآءً بِمَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ، أَفَمَن كَانَ مُؤْمِناً كَمَن كَانَ فَاسِقاً لاَّ يَسْتَوُونَ، أَمَّا ٱلَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّالِحَاتِ فَلَهُمْ جَنَّاتُ ٱلْمَأْوَىٰ نُزُلاً بِمَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ.
অর্থ: আমার আয়াতগুলোর উপর/প্রতি কেবল তারাই ঈমান আনে, যাদেরকে যখনই সেগুলো স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়, তখন সাজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং আপন রবের প্রশংসা করতে করতে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে এবং অহঙ্কার করে না। তাদের পার্শ্বদেশগুলো পৃথক থাকে শয্যাসমূহ থেকে এবং আপন রবকে ডাকতে থাকে ভীত ও আশাবাদী হয়ে আর আমার প্রদত্ত থেকে কিছু দান-খয়রাত করে। সুতরাং কোনো ব্যক্তির জানা নেই (তা সম্পর্কে), যে নয়নাভিরাম তাদের জন্যে লুকায়িত রাখা হয়েছে, পুরস্কারস্বরূপ তাদের কৃতকর্মের। তবে কি যে (ব্যক্তি) ঈমানদার, সে তারই মতো হয়ে যাবে, যে নির্দেশ অমান্যকারী? এরা সমান নয়। যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে তাদের জন্যে বসবাস করার বাগান রয়েছে, তাদের কৃত কর্মসমূহের বিনিময়ে আপ্যায়নরূপে। [কুর’আন, ৩২/১৫-১৯; নূরুল ইরফান] {অনুবাদক আবূল কাসেম সাহেবের নোট: পবিত্র বাইবেল/কিতাবুল মুকাদ্দস, ১ করিন্থীয় পুস্তকের ২/৯ শ্লোকে (ইশাইয়া পুস্তকের ৬৪/৪ শ্লোকের উদ্ধৃতি দিয়ে) বিবৃত হয়: “আল্লাহকে যারা মহব্বত করে তাদের জন্যে তিনি যা যা ঠিক করে রেখেছেন, সেগুলো কেউ চোখেও দেখে নি, কানেও শোনে নি এবং মনেও ভাবে নি” (কিতাবুল মুকাদ্দস, ২০০০ সংস্করণ)। প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একটি প্রসিদ্ধ ও ঘনঘন উদ্ধৃত হাদীসে প্রায় একই কথা বলা হয়েছে – আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘আমার নেককার/পুণ্যবান বান্দাদের জন্যে আমি এমন পুরস্কার প্রস্তুত রেখেছি, যা কোনো চোখ কখনো দেখে নি, কোনো কান কখনো শোনেও নি, আর কোনো (মানবের) মনেও উদয় হয় নি’ (أَعْدَدْتُ لِعِبَادِيَ الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنٌ رَأَتْ وَلاَ أُذُنٌ سَمِعَتْ وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ) [মুসলিম ২৮২৪, আন্তর্জাতিক]। এই হাদীস ও এর পাশাপাশি কুর’আন মজীদের আলোচ্য ৩২/১৭ আয়াত এমন পরম আধ্যাত্মিক আনন্দের সুসংবাদ দেয়, যা বেহেশতে আল্লাহ তায়ালার জ্যোতির্ময় চেহারা মুবারক দর্শনের মাধ্যমে লাভ হবে। দেখুন – অনুবাদকের প্রণীত ‘বেহেশ্তী সুখশান্তি সম্পর্কে ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহির মত’ শিরোনামের পুস্তক।}