*জওয়া‘হিরুল কুর’আন (পর্ব-১৫০)*

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

মূল: হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.)

অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন

[ইংরেজি অনুবাদক মুহাম্মদ আবূল ক্বা’সেম কর্তৃক লিখিত ভূমিকা ও টীকা-টিপ্পনীসহ]

সূরাহ ফুরকান হতে পনেরোটি আয়াত (ومن سورة الفُرْقَان خَمْس عَشْرَةَ آية):

আল্লাহ পাক ফরমান:

وَعِبَادُ ٱلرَّحْمَـٰنِ ٱلَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَىٰ ٱلأَرْضِ هَوْناً وَإِذَا خَاطَبَهُمُ الجَاهِلُونَ قَالُواْ سَلاَماً، وَالَّذِينَ يِبِيتُونَ لِرَبِّهِمْ سُجَّداً وَقِيَاماً، وَٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا ٱصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَاماً، إِنَّهَا سَآءَتْ مُسْتَقَرّاً وَمُقَاماً، وَٱلَّذِينَ إِذَآ أَنفَقُواْ لَمْ يُسْرِفُواْ وَلَمْ يَقْتُرُواْ وَكَانَ بَيْنَ ذَلِكَ قَوَاماً، وَٱلَّذِينَ لاَ يَدْعُونَ مَعَ ٱللَّهِ إِلَـٰهًا آخَرَ وَلاَ يَقْتُلُونَ ٱلنَّفْسَ ٱلَّتِي حَرَّمَ ٱللَّهُ إِلاَّ بِٱلْحَقِّ وَلاَ يَزْنُونَ وَمَن يَفْعَلْ ذٰلِكَ يَلْقَ أَثَاماً، يُضَاعَفْ لَهُ ٱلْعَذَابُ يَوْمَ ٱلْقِيامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَاناً، إِلاَّ مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلاً صَالِحاً فَأُوْلَـٰئِكَ يُبَدِّلُ ٱللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُوراً رَّحِيماً، وَمَن تَابَ وَعَمِلَ صَالِحاً فَإِنَّهُ يَتُوبُ إِلَى ٱللَّهِ مَتاباً، وَٱلَّذِينَ لاَ يَشْهَدُونَ الزُّورَ وَإِذَا مَرُّواْ بِاللَّغْوِ مَرُّوا كِراماً، وَالَّذِينَ إِذَا ذُكِّرُواْ بِآيَاتِ رَبِّهِمْ لَمْ يَخِرُّواْ عَلَيْهَا صُمّاً وَعُمْيَاناً، وَٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَٱجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَاماً، أُوْلَـٰئِكَ يُجْزَوْنَ ٱلْغُرْفَةَ بِمَا صَبَرُواْ وَيُلَقَّوْنَ فِيهَا تَحِيَّةً وَسَلاَماً، خَالِدِينَ فِيهَا حَسُنَتْ مُسْتَقَرّاً وَمُقَاماً، قُلْ مَا يَعْبَأُ بِكُمْ رَبِّي لَوْلاَ دُعَآؤُكُمْ فَقَدْ كَذَّبْتُمْ فَسَوْفَ يَكُونُ لِزَاماً.

অর্থ: এবং রাহমানের ওই বান্দাবর্গ যারা ভূ-পৃষ্ঠে ধীরগতিতে চলাফেরা করে এবং যখন অজ্ঞ ব্যক্তিরা তাদের সাথে কথা বলে তখন (তারা উত্তরে) বলে, ‘ব্যস্ সালাম।’ এবং ওই সব মানুষ যারা রাত অতিবাহিত করে আপন রবের জন্যে সাজদা ও কিয়ামের মধ্যে; এবং ওই সব মানুষ যারা আরজ করে, ‘হে আমাদের রব, আমাদের দিক থেকে ফিরিয়ে দিন জাহান্নামের শাস্তিকে; নিশ্চয় সেটার শাস্তি হচ্ছে গলার শৃঙ্খল।’ নিশ্চয় সেটা অতি নিকৃষ্ট অবস্থানস্থল। আর ওই সব মানুষ যখন ব্যয় করে তখন তারা না সীমাতিক্রম করে এবং না কার্পণ্য করে আর সে দু’টির মাঝখানে মধ্যপন্থায় থাকে। এবং ওই সব মানুষ যারা আল্লাহর সাথে অন্য কোনো উপাস্যের পূজা করে না এবং ওই প্রাণকে, যার রক্তপাত আল্লাহ হারাম করে দিয়েছেন, অন্যায়ভাবে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না; আর যে ব্যক্তি এ কাজ করবে সে শাস্তি পাবে। বর্ধিত করা হবে তার উপর শাস্তিকে কিয়ামতের দিনে এবং স্থায়ীভাবে সেটার মধ্যে লাঞ্ছনার সাথে থাকবে; কিন্তু যে ব্যক্তি তওবা করবে এবং ঈমান আনবে আর সৎকাজ করবে, তবে এমন মানুষদের মন্দকাজগুলোকে আল্লাহ সৎকর্মসমূহে পরিবর্তিত করে দেবেন; এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। এবং যে ব্যক্তি তওবা করে ও সৎকাজ করে, তবে সে আল্লাহর দিকেই তেমনিভাবে প্রত্যাবর্তন করেছে যেমনভাবে করা উচিত ছিলো। এবং যেসব মানুষ মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না, আর যখন অনর্থক কার্যকলাপের নিকট দিয়ে অতিক্রম করে, তখন তারা স্বীয় সম্মানকে রক্ষা করে অতিক্রম করে। এবং ওই সব মানুষ যারা এমনি যে, যখন তাদেরকে তাদের রবের আয়াতসমূহ স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়, তখন সেগুলোর উপর বধির-অন্ধ হয়ে পতিত হয় না। এবং যারা আরজ করে, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে দান করুন – আমাদের স্ত্রীবর্গ ও আমাদের সন্তান-সন্ততি থেকে চক্ষুসমূহের শান্তি এবং আমাদেরকে পরহেজগারদের আদর্শ করুন!’ তারা জান্নাতের সর্বাপেক্ষা উচ্চ প্রাসাদ পুরস্কারস্বরূপ লাভ করবে – তাদের ধৈর্যের প্রতিদানস্বরূপ এবং সেখানে অভিবাদন ও সালাম সহকারে তাদের অভ্যর্থনা করা হবে। তারা সেটার মধ্যে স্থায়ীভাবে থাকবে। কতোই উৎকৃষ্ট অবস্থান ও বসবাসের স্থান! (হে রাসূল) আপনি (কাফিরদেরকে) বলুন, ‘তোমাদের কোনো মর্যাদা নেই আমার রবের নিকট যদি তোমরা তাঁর ইবাদত না করো; অতঃপর তোমরা তো অস্বীকার করেছিলে, সুতরাং এখন হবে ওই শাস্তি যা জড়িয়ে থাকবে। [কুর’আন, ২৬/৬৩-৭৭; নূরুল ইরফান] {অনুবাদক আবূল কাসেম সাহেবের নোট: শেষ আয়াতটির আগের আয়াতগুলোতে আল্লাহর প্রকৃত বান্দাদের পার্থক্যকারী গুণাবলী উল্লেখিত হয়েছে এবং এসব গুণ হাসিলের দ্বারা অর্জিত চূড়ান্ত ফলাফলের বিবরণও দেয়া হয়েছে।}

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment