। ছরকারে আলা হযরত (র)।।
-মুহাম্মদ শাওয়াল হোসাইন
আকাবির নিয়ে আজকাল কেউ পড়াশোনা করে নাকি?
দুনিয়ার মোহে ব্যস্ত সকলে দিয়ে যায় ঢের ফাঁকি।
আলা হযরত কোন সে সত্ত্বা বলে যাব আজ ঢের
ঈমানের মূল নবীজীর প্রেম, শিখেছি যবর যের।
এই প্রজন্ম জানুক তাঁরে নবীর (দ) প্রেমিক তাই
তাঁর দেয়া মতে হবে জাগরণ আওয়াজ শুনতে পাই।
চৌদ্দ শতক শেষে,
মুজাদ্দিদের আগমন ঘটে প্রভুর নির্দেশে।
ভারতের বুকে বেরেলি শরিফ আলোকিত আজ ভবে
অমাবস্যায় পুর্ণিমা পেয়ে পুলকিত হয় সবে।
চৌদ্দ শতকে ধরার গগনে উদিল কোন সে রবি
আলা হযরত নাম যে তাঁর জগৎ শ্রেষ্ঠ কবি।
জ্ঞানের বিচারে প্রেমের মিযানে সেরাদের সেরা তিনি
ঈমানের পথে তাঁর দেয়া মতে সকলেই হবে ঝনী।
নবীজীর (দ) প্রতি সুগভীর প্রেম, প্রেমময় আহ্বান
তাইতো জগতে শ্রেষ্ঠ ইমাম আহমাদ রেজা খাঁন (র)।
ছিয়াত্তোর্ধ বিষয়ে ছিলেন সদা বিচরণ কারী
লিখার ভুবনে কিংবদন্তি শাশ্বত সুর তাঁরি।
আকিদার যত ভুল শত শত, নিরসন করে যান
জ্ঞানের গগনে সূর্য ছিলেন আহমাদ রেজা খাঁন (র)।
কাব্য লিখার উৎস তাঁর কুরা’ন- হাদীস হতে
প্রতিটি ছত্র হয়তো কুরা’ন নয়তো হাদীস মতে।
কলমে ইমাম ফুটিয়েছে কত নব্য কুসুম কলি
ভাবনায় তাঁর সদা প্রাঞ্জল মদিনার অলিগলি।
ছত্রে ছত্রে কাব্যে,ছন্দে ছিল এশকের জ্যোতি
ধরা কোনে কোনে ছড়িয়ে পড়েছে সেই এশকের দ্যুতি।
প্রেমের ছন্দ পড়ে আনন্দ পেতে দিল উপহার
“হাদায়েকে বখশিশ”আশেকের হৃদয়ের খাবার।
জীবন ব্যপীয়া উম্মাহর তরে ছিল যত নসিহত
জীবন যুদ্ধে ভেবে দেখ সখা, আছে কোন হাকীকত।
রাসুলে খোদার (দ) নুরানী তনুর বন্দনা করে যায়
তবুও নিজেরে অধম বলিল নবীর (দ) প্রশংসায়।
মদিনাওয়ালার প্রেম সাগরে ডুবে ছিল আজীবন
কামনায় তাঁর ছিল বারবার সেই নুরানী চরণ।
নবীজীর প্রেমে নিঃশেষে তিনি করবে জীবন দান
কাব্য কিতাবে অংকিত হলো সেই বাণী সুমহান।
অন্তর তাঁর খুলে দেখ যদি দুই পাশে দুই লেখা
এক পাশে প্রভু অন্য প্রান্তে নবীজীর (দ) নাম আঁকা।
নামের পূর্বে শত বিশেষণে আনন্দ নেই তাঁর
“আব্দে রাসুল (দ)”এই বিশেষণে খুশি ছিল বারবার।