45 – بَابُ مَا جَاءَ فِيْ مَنْ صَلَّىٰ صَلَاةً ثُمَّ دَخَلَ الْـمَسْجِدَ وَهُمْ يُصَلُّوْنِ
137 – أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنِ الْـهَيْثَمِ، عَنْ جَابِرٍ بْنِ الْأَسْوَدِ أَوِ الْأَسْوَدِ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ أَبِيْهِ : أَنَّ رَجُلَيْنِ صَلَّيَا الظُّهْرَ فِيْ بُيُوْتِهِمَا عَلَىٰ عَهْدِ النَّبِيِّ وَهُمَا يَرَيَانِ أَنَّ النَّاسَ قَدْ صَلُّوْا، ثُمَّ أَتَيَا الْـمَسْجِدَ، فَإِذَا رَسُوْلُ اللهِ فِي الصَّلَاةِ، فَقَعَدَا نَاحِيَةً مِنَ الْـمَسْجِدِ، وَهُمَا يَرَيَانِ أَنَّ الصَّلَاةَ لَا تَحِلُّ لَهُمَا، فَلَـمَّا انْصَرَفَ رَسُوْلُ اللهِ وَرَآهُمَا أَرْسَلَ إِلَيْهِمَا، فَجِيءَ بِهِمَا، وَفَرَايِصُهُمَا تَرْتَعِدُ مَخَافَةَ أَنْ يَكُوْنَ فِيْ أَمْرِهِمَا شَيْءٌ، فَسَأَلَهُمَا، فَأَخْبَرَاهُ الْـخَبَرَ، فَقَالَ: «إذَا فَعَلْتُمَا ذَلِكَ، فَصَلِّيَا مَعَ النَّاسِ، وَاجْعَلَا الْأُوْلَىٰ هِيَ الْفَرْضَ». قِيْلَ: قَدْ رُوِيَ هَذَا الْـحَدِيْثُ عَنْ جَمَاعَةٍ، عَنْ أَبِيْ حَنِيْفَةَ، فَقَالُوْا: عَنِ الْـهَيْثَمِ يَرْفَعُهُ إِلَى النَّبِيِّ .
বাব নং ৬০. ৪৫. কেউ নামায পড়ে মসজিদে প্রবেশ করল আর মুসলিরা নামাযে রত
১৩৭. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হায়সাম থেকে, তিনি জাবির ইবনে আসওয়াদ থেকে অথবা আসওয়াদ ইবনে জাবির থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নবী করিম (ﷺ) ’র সময়ে দু’ব্যক্তি যোহরের নামায ঘরে আদায় করেন এই ধারণায় যে, হয়ত লোকজন জামাতের সাথে নামায আদায় করেছেন। অতঃপর মসজিদে এসে দেখেন যে, রাসূল (ﷺ) নামাযে মগ্ন রয়েছেন। তখন তারা এই ভেবে মসজিদের এক কোণায় বসে পড়লেন যে, (একবার ফরয আদায়ের পর) আবার জামাতে অংশগ্রহণ করা জায়েয নয়। রাসূল (ﷺ) নামায শেষে তাদের বসে থাকতে দেখে লোক মারফত তাদেরকে ডেকে আনালেন। অতঃপর তাদেরকে এমন অবস্থায় সেখানে উপস্থিত করা হলো যে, তাঁদের কাঁধের গোশত এই ভয়ে কাঁপছিল যে, হয়ত তাদের সম্পর্কে কোন শাস্তির নির্দেশ জারী হয়েছে। তিনি তাদেরকে জামাতে শরীক না হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তারা তখন তাঁকে সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলেন। তখন তিনি এরশাদ করেন, তোমরা যখন এরূপ করবে (ঘরে নামায পড়ে আসবে) তখন লোকদের সাথে জামাতে শরীক হয়ে যাবে এবং প্রথম নামাযকে ফরয মনে করবে। কেউ কেউ বলেন এই হাদিসখানা একদল মুহাদ্দিস ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) থেকে বর্ণনা করেন, তারা বলেন, তিনি হায়সাম থেকে মারফু বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ এই হাদিস মুরসাল এবং ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله)’র মতে এই হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য।
ব্যাখ্যা: উপরোক্ত হাদিস দ্বারা প্রতীয়মান হলো যে একাকী নামায আদায়কারী মসজিদে এসে জামাত পেলে জামাতে শরীক হয়ে যাবে। একাকী নামায ফরয আর জামাতের নামায নফল হিসেবে সাব্যস্থ হবে। যেমন তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসাঈসহ অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত আছে- انما ذالك نافلة কিন্তু হানাফী মাযহাবে ফজর, মাগরিব ও আসর এই বিধানের আওতাভুক্ত নয়। কেননা সহীহ হাদিস মতে ফজর, আসর ও মাগরিবের পর নফল নামায জায়েয। এছাড়া দারেকুতনী সহীহ সনদের মাধ্যমে হযরত ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন-اذا صليت فى اهلك ثم ادركت الصلوة فصلها الا الفجر والمغرب“যখন তুমি তোমার পরিবারবর্গের মধ্যে নামায আদায় করবে, এরপর জামাতে নামায পাবে, তখন ঐ নামাযে অংশগ্রহণ করবে, কিন্তু ফজর ও মাগরিব ব্যতীত।” এ ব্যাপারে হাদিসের মধ্যে ব্যতিক্রম নির্দেশ রয়েছে। মাগরিব নামাযের পর যদিও নফল নামায জায়েয, কিন্তু তিন রাকাত নফলের প্রমাণ নেই। তাই এই তিন ওয়াক্ত নামায এই বিধানের আওতা বহির্ভূত রাখা হয়েছে।