যাদুর পরিচয়: গোপন অদৃশ্য উপকরণকে কাজে লাগিয়ে অভিনব কারিশমা দেখানোকে জাদু বলে। জাদুবিদ্যা অর্জনের জন্য অদৃশ্য উপকরণ বলতে গ্রহ-নক্ষত্র, জিন-শয়তানের সহায়তা লাভ করতে কুফরি, শিরকি ও পাপাচারকে অবলম্বন করা। যার মাধ্যমে অদৃশ্যভাবে মানুষের ক্ষতিসাধন করা হয়। বিশেষ ধরনের সাধনা ও যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমেও এ বিদ্যা অর্জিত হয়।
জাদু-টোনার প্রভাবে মানুষের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এমনকি জীবনহানিও ঘটে। যার ওপর জাদু করা হয়; তার শরীরের চণি, নখ, চামড়া, ব্যবহৃত পোশাক সংগ্রহ করে তাতে এ জাদু করা হয়। এর ফলে জাদু-টোনার শিকার ব্যক্তি অসুস্থ কিংবা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
হাদিসের বর্ণনা থেকে জানা যায়, বনু জুরাইক গোত্রের লাবিদ বিন আসিম নামক এক ইয়াহুদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাথার চুল মোবারক এবং তার ব্যবহৃত চিরুনির ভাঙা দাঁত এর মাধ্যমে তার ওপর জাদু করেছিল।
যাদুর উৎপত্তি: হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালামের রাজত্ব কালে বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার মাধ্যমে জাদুবিদ্যার প্রচলন ঘটে। কুরআনুল কারিমে সূরা বাকারার ১০২ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে:
{وَاتَّبَعُوا مَا تَتْلُو الشَّيَاطِينُ عَلَى مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنْزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ وَمَا هُمْ بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِهِ أَنْفُسَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ (102)} [البقرة: 102]
তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই একথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যদ্দ্বারা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তদ্দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা আত্নবিক্রয় করেছে, তা খুবই মন্দ যদি তারা জানত। – সুরা বাকারা – ২:১০২
যাদু, কারামত ও মু’জিজার মাঝে পার্থক্য: মুজিঝা শব্দটি আরবি শব্দ। এর অভিধানিক অর্থ পরাভূতকারী। আল্লামা তাফতাযানী (র.) মুজিঝার পারিভাষিক অর্থ এভাবে বর্ণনা করেছেন যে, মুজিঝা বলা হয়, নবুওয়াত অস্বীকারকারীদের সাথে চ্যালেঞ্জ করার সময় নবুওয়াত প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি (নবি-রাসুল) থেকে এমন অলৌকিক কাজ সংঘটিত হওয়া, যার মুকাবিলা করতে অবিশ্বাসী সম্প্রদায় অক্ষম।
বস্তুত মুজিঝা প্রকাশের উদ্দেশ্য হলো, নবি-রাসুলগণের দাবির সত্যতা প্রমাণ করা এবং তাদের দাবিকে শক্তিশালী করা। মুজিঝাকে আল-কুরআনে আয়াত ও বুরহান বলা হয়েছে। ‘আয়াত’ শব্দের অর্থ নিদর্শন বা আলামত।
মুজিঝা ও জাদুর মাঝে পার্থক্য হলো- বিশেষজ্ঞদের মতে মুজিঝা ও জাদুর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ১. জাদুবিদ্যা শিক্ষার মাধ্যমে হাসিল করা হয়, কিন্তু মুজিঝা শিক্ষার মাধ্যমে হাসিল করা যায় না। বরং আল্লাহ্ তাআলা যখন ইচ্ছা করেছেন তখন তিনি নবি-রাসুলগণের মাধ্যমে এর বাহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। ২. এক জাদুকর অন্য জাদুকরের জাদুকে নস্যাত করে দিতে পারে। কিন্তু মুজিঝার মুকাবিলা করা কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। ৩. জাদুর কোনো বাস্তবতা নেই। বরং জাদু হচ্ছে একটি দৃষ্টিবিভ্রম ও সম্মোহনজনিত বিষয়।
পক্ষান্তরে মুজিঝা কোনো দৃষ্টিবিভ্রম বা কাল্পনিক বিষয় নয়। বরং মুজিঝা হচ্ছে বাস্তব ঘটনা যা আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন। ৪. জাদু প্রদর্শন করা হয় পার্থিব স্বার্থ চিরতার্থ করার জন্য। আর মুজিঝার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হয় দ্বীনের সত্যতা প্রকাশের জন্য। ৫. জাদুকর তার ইচ্ছানুযায়ী জাদু প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু মুজিঝার প্রকাশ নির্ভর করে একমাত্র আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার ওপর।
আল্লামা মাযরী বলেন, যাদু, মুজেযা এবং কারামতের মধ্যে পার্থক্য হল, যাদুর মধ্যে যাদুকর কিছু মন্ত্র ও কর্মের বিশেষ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বীয় স্বার্থ অর্জন করে থাকে। অন্যদিকে কারামত হঠাৎ অলৌকিক ভাবে ঘটে থাকে। আর মুজেযা কারামত থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের এজন্য যে, তা দ্বারা প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
হাফেজ ইবনে হাজার (রাহেমাহুল্লাহ) ইমামুল হারামাইনের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন যে, সকলের একমত যাদু কেবলমাত্র ফাসেকের (অতি পাপী) হাত দ্বারাই প্রকাশ পায়। অন্যদিকে কারামতের প্রকাশ কোন ফাসেকের হাতে হয় না।
ইবনে হাজার (রাহেমাহুল্লাহ) আরও বলেন, অস্বাভাবিক ও অসাধারণ বিষয় যদি কোন শরীয়তের অনুগত কবিরা গুনাহ মুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে প্রকাশ পায় তা হবে কারামত, অন্যথায় তা হবে যাদু। কেননা যাদু শয়তানের সাহায্যে হয়ে থাকে।
তবে কখনও কখনও এমনও হতে পারে যে, কোন ব্যক্তি যাদুকর নয় এমন কি যাদু সম্পর্কে কিছুই জানে না, শরীয়তের যথাযথ অনুসারীও নয় বরং বড় বড় পাপ কর্ম করে থাকে, অথবা কবর পূজারী ও বেদআতী এরপরও দেখা যায় যে, তার থেকে অলৌকিক কিছু ঘটছে। এর রহস্য হল, শয়তান তাকে সহযোগিতা করে থাকে যাতে সাধারণ মানুষ তার বিদআতী তরকায় আকৃষ্ট হয়। আর লোকজন এই সুন্নাতকে ত্যাগ করে শয়তানী পদ্ধতিকে গ্রহণ করে।
যাদুর হুকুম: জাদু করার নিয়তে শিখলে তা হারাম বা অবৈধ। তবে কেউ যদি আত্মরক্ষামূলক কাজে ব্যবহারের জন্য জাদুবিদ্যা অর্জন করে তবে তা মুবাহ বা মাকরূহ। তবে মূল কথা হলো জাদু করাকে হালাল হিসেবে গ্রহণ করা কুফরি। সুতরাং কুরআন ও হাদিসে জাদু ও জাদুকারীর অনিষ্টকর ও ধ্বংসাত্মক কাজের পরিণতি যথাক্রমে বর্ণনা করা হচ্ছে।
১. জাদু করা কবিরা গুনাহ: নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: «اجتنبوا السبع الموبقات» সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে বিরত থাক। তার মধ্যে একটি হল, যাদু। صحيح البخاري (4/ 10) যা খাটি তাওবাহ না করলে কখনো ক্ষমা হবেনা।
২. যাদুকারির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড:
قال النبي صلى الله عليه و سلم: [ حد الساحر ضربه بالسيف
৩. যাদুকারী জান্নাতে প্রবেশ করবেনা:
قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : [ ثلاثة لا يدخلون الجنة : مدمن خمر و قاطع رحم و مصدق بالسحر
সর্বদা মদ পানকারী (নেশা কারী), আত্মীতা ছিন্নকারী ও জানুকে বিশ্বাসকারী।
৪. বিশ্বাস করলে ৪০ দিন তার নামাজ কবুল হবেনা।
قَالَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ أَتَى عَرَّافًا فَسَأَلَهُ عَنْ شَىْءٍ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلاَةٌ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ” .
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে লোক ‘আররাফ’ অর্থাৎ হারানো জিনিসের সংবাদদাতা গণকের নিকট গেল এবং তাকে কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করল চল্লিশ রাত্রি তার কোন সালাত গ্রহনযোগ্য হবে না। (সহিহ মুসলিমঃ ৫৭১৪)
৫. বিশ্বাস করলে কুফুরি করা হবে।
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ وَالْحَسَنِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ مَنْ أَتَى كَاهِنًا أَوْ عَرَّافًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم.
আবূ হুরাইরা ও হাসান (রা.) থেকে বর্ণিত: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘যে কোন গণক বা জ্যোতির্বিদদের নিকট আসল এবং তার কথা বিশ্বাস করল সে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ওপর যা (কুরআন মাজীদ) অবতীর্ণ হয়েছে তাকে অস্বীকার করল’ (মুসনাদে আহমাদ ২/৪২৯পৃঃ)।
অত্র হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, হাতের রাশি দেখে ভাগ্যের ভবিষ্যৎ প্রকাশ করা, হাত চালিয়ে হারিয়ে যাওয়া বস্তুর সংবাদ দেয়া, টিয়া পাখির মাধ্যমে ভাগ্যের ভবিষ্যৎ প্রকাশ করা গণকের কাছে হারিয়ে যাওয়া বস্তু জানতে চাওয়া এগুলো সবই শিরক।
জাদু-টোনার ক্ষতি থেকে বাঁচার সুন্নাতি আমলসমূহ
জাদু-টোনা থেকে বাঁচার একাধিক সুন্নাতি আমল রয়েছে যা হাদিসের বর্ণনা থেকে সুস্পষ্ট প্রতিয়মান হয়, তার থেকে ৫টি হলো-
১. সকাল-সন্ধ্যায় ৩ ক্বুলের আমল: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সকাল-সন্ধ্যা তিনবার করে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক এবং সুরা নাস পড়বে। এ সুরাগুলো সব বিপদাপদের মোকাবিলায় যথেষ্ট হবে।’ (মুসলিম)
২. নিয়মিত আয়াতুল কুরসি পড়া: নিয়মিত আয়াতুল কুরসি পড়লে জাদু-টোনার প্রভাব ও আক্রমণ থেকে মুক্ত থাকা যাবে। যারা নামাজ পড়েন প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তারা আয়াতুল কুরসির আমল করবেন।
৩. রাতে ঘুমানোর আগের আমল: হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত এক সঙ্গে মিলাতেন। তারপর সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস পড়তেন এবং উভয় হাতে ফুঁক দিতেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন।’ (বুখারি)
৪. সুরা বাকারা ও আল-ইমরান পড়া: হজরত আবু উমামাহ আল-বাহিলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি-
‘তোমরা দুটি উজ্জ্বল সুরা অর্থাৎ সুরা বাকারা এবং আল-ইমরান তেলাওয়াত কর। কিয়ামতের দিন এ দুটি সুরা এমনভাবে আসবে যেন তা দু’খণ্ড মেঘ অথবা দুটি ছায়াদানকারী অথবা দুই ঝাঁক উড়ন্ত পাখি যা তার পাঠকারীর পক্ষ হয়ে কথা বলবে। আর তোমরা সুরা বাকারা পাঠ কর। এ সুরাটিকে গ্রহণ করা বরকতের কাজ এবং পরিত্যাগ করা পরিতাপের কাজ। আর বাতিলের অনুসারীগণ এর মোকাবেলা করতে পারে না। হাদিসের বর্ণনাকারী আবু মুআবিয়াহ বলেছেন, ‘আমি জানতে পেরেছি যে, বাতিলের অনুসারী বলে জাদুকরদের কথা বলা হয়েছে।’ (মুসলিম)
৫. সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করা: বিশেষভাবে রাতে নামাজের মধ্যে কিংবা বাইরে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করা। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে তার জন্য তা যথেষ্ট হয়ে যাবে।’ (বুখারি) অর্থাৎ যে ব্যক্তি রাতের বেলা সুরা বাকারা শেষ দুটি আয়াত (২৮৫-২৮৬) আমানুর রাসূল থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করবে আল্লাহর রহমতে তা জিনের সংক্রমণ, জাদু-টোনা ও বদনজর ইত্যাদি সব অনিষ্ট থেকে সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।
৬. এ ছাড়াও হাদিসে বর্ণিত এ দোয়াগুলো পড়া-
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
অর্থ: ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণী সমূহের ওসিলায় তাঁর কাছে আমি অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাই; তিনি যা সৃষ্টি করেছেন।’ (মুসলিম)
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ
অর্থ: ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় সব শয়তান ও বিষাক্ত জীব-জন্তু থেকে ও যাবতীয় ক্ষতিকর চোখ (বদনজর) থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (বুখারি)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জাদু-টোনার মতো হারাম ও কুফরি সমতুল্য কবিরা গোনাহ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। জাদু-টোনার সব অনিষ্টতা থেকে মুক্ত থাকতে সুন্নাতি আমল করার তাওফিক দান করুন। কেউ জাদু-টোনার শিকার হলে হাদিসে উল্লেখিত নিয়মে প্রতিকার গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।