মূল: আ’ল ও আসহা’ব (রা.)-বৃন্দের পক্ষে জবাব শীর্ষক ওয়েবসাইট
বঙ্গানুবাদক: এডমিন
প্রশ্ন: কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে আমরা একটা বাক্যের শুরুতে “ইন্নামা” ব্যবহার করতে পারি, এটাকে এর আগে যা এসেছে তার সাথে যুক্ত না হয়ে?
উত্তর: এটা ব্যবহার করা যেতে পারে যদি আমরা যে অর্থ ব্যক্ত করতে চাই তা একটা সামগ্রিক সম্পূর্ণ অর্থ হয়। যেমন:
إنما الإله الله
উচ্চারণ: ইন্নামাল্ ইলাহুল্লাহ।
অনুবাদ: আল্লাহই মা’বূদ/উপাস্য (খোদা)।
এক্ষেত্রে ‘ইন্নামা’ শব্দ (বাক্যের) শুরুতে ব্যবহার করাটা তার আগে কোনো কিছুর সাথে যুক্ত করার প্রয়োজন ছাড়াই সঠিক, যেহেতু আমরা যে অর্থ ব্যক্ত করছি তা একেবারে সম্পূর্ণ – আল্লাহ ছাড়া কোনো মা‘বূদ নেই।
কিন্তু আমরা “ইন্নামা বিলাল করীম” বা “কেবল বিলালই দয়ালু” বাক্যটি দিয়ে শুরু করতে পারি না, কারণ এটা একটা ধর্মদ্রোহী বক্তব্য যার অর্থ: “বিলাল ছাড়া কেউই দয়ালু নয়” (মানে আল্লাহ দয়ালু নন, যা ধর্মদ্রোহ)।
এখন প্রশ্ন হলো, এটা আমাদের বিষয়ের সাথে কীভাবে প্রাসঙ্গিক? এটা কীভাবে কুর’আনের ৩৩/৩৩ আয়াতের সাথে প্রাসঙ্গিক?
শিয়াবর্গ দাবি করে যে আয়াতের দ্বিতীয় অংশটি স্বতন্ত্র এবং এটাকে ঘিরে থাকা প্রেক্ষাপটের সাথে যুক্ত নয়। তারা যে দ্বিতীয় অংশের কথা বলছে তা “ইন্নামা” দিয়ে শুরু হয়েছে এবং “তাতহীরান” দিয়ে শেষ হয়েছে। তাই যদি এটা এভাবে শুরু হয় তাহলে “ইন্নামা”-এর কাজটি হবে সামগ্রিক অর্থে এবং এটা “মা” (নেতিবাচকতা) এবং “ইল্লা” (ব্যতিক্রম)-কে প্রতিস্থাপন করবে; আর এটা ‘আয়াতুল তাতহীরের’ অর্থকে পরিণত করবে নিম্নের বাক্যে:
ليس يريد الله إلا إذهاب الرجس و التطهير عن أهل البيت
উচ্চারণ: লাইসা ইউরীদুল্লাহু ইল্লা ইযহাবার্ রিজসি ওয়াত্ তাতহীরা আন্ আহলি বাইতি।
অর্থ: আল্লাহ আর কিছুই ইচ্ছা করেন না শুধুমাত্র আহলে বাইত হতে অপবিত্রতা দূর করে তাদের পরিচ্ছন্ন করবেন।
এ কথার দ্বারা সর্বশক্তিমান আল্লাহর সীমাহীন ইচ্ছাকে অন্য সব কিছু ছেড়ে শুধুমাত্র আহলে বাইতের পরিশুদ্ধকরণে সীমিত/নির্দিষ্ট করা হয়; এ যেনো আল্লাহ অন্য কোনো কিছুই চান না, আর এটা নিঃসন্দেহে সর্বোচ্চ মাত্রার ধর্মদ্রোহ ও কুফর/অবিশ্বাস।
অথচ ‘আয়াতুল-তাতহীর’কে যদি এর আগে এবং পরে যা আছে তার সাথে যুক্ত করা হয় (এবং এটা অবশ্যই তাই হবে), তবে তা সহজে নিম্নের অর্থে পরিণত হবে:
“হে রাসূলের স্ত্রী সকল, যদি তোমরা আমার দেয়া আদেশ পালন করো এবং আমি যা তোমাদেরকে নিষেধ করেছি তা করা থেকে বিরত থাকো, তাহলে তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে ঠিক যেভাবে আমি তোমাদেরকে আমার আদেশ ও নিষেধের মাধ্যমে পবিত্র করতে চাই।”
এবং প্রকৃতপক্ষে এই আয়াতগুলোর সঠিক অর্থ এবং যথাযথ উপলব্ধি মরুভূমির যে কোনো আরব ব্যক্তি এভাবেই পেতে পারেন। নতুবা আমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করবো এমন এক আয়াত যেটার আশপাশের কিছুর সাথে তার একেবারেই কোনো সম্পর্ক নেই? আমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করবো এমন একটা আয়াত যেটা প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীবৃন্দের (রা.) প্রতি নির্দিষ্ট বক্তব্যের মাঝখানে হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসে? আল্লাহ কি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসারীদের (মানে উম্মতকে) পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করছেন? কারণ শিয়াবর্গ যদি দাবি করে যে এর থেকে যা বোঝা যায় তা হলো অভ্রান্ততা, তাহলে এর মানে হলো আজ ১৪০০ বছর ধরে এ আয়াত পাঠকারী প্রত্যেক আরব ব্যক্তিই বুঝেছেন যে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীমণ্ডলী (রা.) পুতঃপবিত্র এবং এটা শিয়া বিশ্বাসের ঠিক বিপরীত। কেননা তারা দাবি করে যে তাঁর স্ত্রীবৃন্দ (রা.) কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবিশ্বস্ত এবং একেবারে মন্দ।
আমাদের এই উত্তরের শেষে আমরা এক্ষণে কিছু শীর্ষস্থানীয় শিয়া পণ্ডিত কী বলেছেন তা দেখবো:
فيكون تلخيص الكلام: ليس يريد الله إلا إذهاب الرجس على هذا الحد عن أهل البيت، فدل ذلك على أن إذهاب الرجس قد حصل فيهم. وذلك يدل على عصمتهم ، وإذا ثبت عصمتهم ثبت ما أردناه – كتاب التبيان للطوسي. 8/340
অর্থ: সুতরাং এর সারমর্ম এই হবে যে, আল্লাহ ‘এই প্রেক্ষাপটে’ আহলে বাইত (রা.) থেকে রিজস্ (তথা অপবিত্রতা) অপসারণ ছাড়া আর কিছুই চান না; এটা প্রমাণ করে যে আর্-রিজস্ তাঁদের থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিলো, যা তাঁদের নিষ্পাপ হওয়াকে প্রমাণ করে এবং এটা প্রমাণিত হলে আমরা যা চাই তা-ই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। [আত্-তূসী কৃত কিতাবুত্ তিবইয়ান: ৮/৩৪০]
এটা দ্বিচারিতার সর্বোচ্চ মাত্রা বৈ কী! আত্-তূসী উল্লেখ করেছেন যে এটা শুধুমাত্র এই প্রসঙ্গেই সীমাবদ্ধ। তাই আমরা জিজ্ঞাসা করি, কোন্ প্রসঙ্গে? আপনার সম্প্রদায়ের (মানে শিয়া গোষ্ঠীর) মতানুসারে এমন কোনো প্রসঙ্গই নেই। অতএব, মানুষকে বিভ্রান্ত করা এবং কথার মারপ্যাঁচ বন্ধ করুন!
আরেকজন শিয়া পণ্ডিত আমাদেরকে আত্-তূসী এবং আত্-তাবাতাবাঈয়ের মতো লোকদের দ্বিচারিতা প্রদর্শন করেছেন। আমরা তাঁর লেখনীতে পাঠ করি:
ويظهر من كلام العلماء الأبرار ( رضوان الله عليهم): أن الإرادة الإلهية المعبر عنها بقوله تعالى: (إِنَّمَا يُرِيدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ..) قد تعلقت أولاً وبالذات بإذهاب الرجس، وبالتطهير ولكننا نقول:إن الظاهر هو أنها قد تعلقت أولاً وبالذات بأمر آخر، وهو نفس الأوامر والزواجر التي توجهت إلى زوجات النبي.
অর্থ: এবং ধার্মিক আলেমদের (রহ:) উক্তি থেকে প্রতীয়মান হয় যে খোদায়ী ইচ্ছাটি তাঁর এই উক্তিতে প্রকাশিত হয়েছে যে “আল্লাহ কেবল তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে চান…।” এটা প্রাথমিকভাবে এবং একচেটিয়াভাবে অপবিত্রতা অপসারণ এবং পরিশুদ্ধির সাথে জড়িত; কিন্তু আমরা বলি: যেটা স্পষ্ট তা হলো, এটা প্রাথমিকভাবে এবং একচেটিয়াভাবে অন্য একটা বিষয়ের সাথে যুক্ত; এটা ওই একই আদেশ ও নিষেধাজ্ঞার সাথে যুক্ত ‘যা প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীমণ্ডলী (রা.)-কে লক্ষ্য করে’ ঘোষিত হয়েছিলো। [জা’ফর মুরতাদা আল-আমিলী প্রণীত ‘আহলুল বাইত ফী আয়াতিত্-তাতহীর, পৃষ্ঠা ৬৬]
প্রত্যুত্তর-২:
আসুন, এই বিষয়টিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বোঝার চেষ্টা করি। আমরা আয়াতের [৩৩:৩৩] আরেকটি অংশ দেখি:
إِنَّمَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيُذْهِبَ
উচ্চারণ: ইন্নামা ইউরীদুল্লাহু লি-ইউযহিবা।
অর্থ: আল্লাহ তো এটাই চান যে দূরীভূত করে দেবেন।
এখানে আমাদের সামনে রয়েছে “জন্যে” শব্দটি যা আরবীতে “লাম” (ل) অক্ষর এবং যা আমরা বোল্ড ফন্টে “লি-ইউযহিব” বাক্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছি; এই ‘লি’ (لِ) অক্ষর যেটা “ইউযহিব” (অপসারণ) শব্দের আগে বসেছে, সেটার এমন একটা কাজ আছে যা মু’মিন মুসলমানদের মায়েদের প্রতি নির্দেশিত আদেশ ও নিষেধাজ্ঞার সাথে অপবিত্রতা অপসারণকে সংযুক্ত করে। আরবীতে একে لام) التعليلية) তথা “লা’ম আত্-তা’লীলীয়াহ” বলা হয়; এর কাজ (ফলশ্রুতিমূলক/পরিণতিসূচক), তাই “লি” দ্বারা ফলশ্রুতি/পরিণতি বোঝায়।
বাক্যে ব্যবহৃত “লি” (لِ)-এর একটি উদাহরণ হলো:
جئت لأزورك
উচ্চারণ: জি’তু লি-আযূরাকা।
অর্থ: আমি আপনার সাথে সাক্ষাতের জন্যে এসেছি।
অতএব, এতে ফলশ্রুতি/পরিণতি বোঝায়, যেনো আপনি প্রশ্ন করছেন, “আমি কেন এসেছি?” আর উত্তর হলো, “আপনার সাথে সাক্ষাতের জন্যে এসেছি।”
এবং ঠিক যেমনটি “ইন্নামা” (إِنَّمَا) শব্দটি “মা” (مَا) এবং “ইল্লা” (إِلَّا)-এর কাজকে (নিজের মধ্যে) ধারণ করে, তেমনি “লা’ম আত্-তা’লীলীয়াহ”-ও “কায়” (كي)-এর কাজকে (নিজের মধ্যে) ধারণ করে, তাই এটাকে “লাম কায়” [(لام) كي)] বলা যেতে পারে।
এ যেনো আপনি বলছেন:
جئت كي أزورك
উচ্চারণ: জি’তু কায় আযূরাক।
অর্থ: আমি আপনার সাথে সাক্ষাতের জন্যে এসেছি।
এবং লক্ষ্য করুন, আপনি “লাম” অথবা “কায়” ব্যবহার করুন না কেন, ওগুলোর অনুবাদ একই থাকবে, কেননা দুটোর হুবহু একই উদ্দেশ্য বিদ্যমান।
সুতরাং “আমি আপনার সাথে সাক্ষাতের জন্যে এসেছি” মর্মে ওপরের বাক্যটিতে আমার আসার ফলশ্রুতি/পরিণতি হলো আপনার সাক্ষাৎ লাভ।
আমাদের আলোচ্য কুর’আনী আয়াত – يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيُذْهِبَ – “আল্লাহ শুধুমাত্র অপসারণ করতে ইচ্ছুক।” [৩৩/৩৩]
আয়াতে উল্লেখিত ‘লি’ (لِ) শব্দটি বোঝায় ফলশ্রুতি/পরিণতি। অতএব, আল্লাহ কর্তৃক অপবিত্রতা অপসারণের বিষয়টি প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীমণ্ডলীর (রা.) দ্বারা “নিজেদের গৃহসমূহে অবস্থান করো,” “বে-পর্দা থেকো না” (৩৩/৩৩) ইত্যাদি ঐশী আদেশ-নিষেধের সাথে জড়িত বা যুক্ত। অপবিত্রতার অপসারণ হলো তাঁদের দ্বারা খোদায়ী আদেশ-নিষেধ যা আয়াতটির সূচনায় এসেছে তা মান্য করারই ফলশ্রুতি। আর এভাবেই ‘লি’ (لِ) শব্দটি তার আগে আগত বিষয়ের সাথে অর্থকে জড়িত করেছে।
নতুবা আল্লাহ এমন একটি হাতিয়ার ব্যবহার করতে পারতেন যা আশপাশের প্রেক্ষাপটের সাথে অর্থকে বাঁধে বা যুক্ত করে না; যেমন তিনি “আন” (أن) ব্যবহার করতে পারতেন। এটা ব্যক্ত করবে:
إنما يريد الله أن يذهب
উচ্চারণ: ইন্নামা ইউরীদুল্লাহু আন্ ইউযহিব।
অর্থ: আল্লাহ শুধুমাত্র অপসারণ করতে চান।
তাহলে দুটো অভিব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য কোথায়? পার্থক্য হলো, “আন”-এর আগে যা আছে তার সাথে এটা অর্থকে বাঁধে না বা যুক্ত করে না; অথচ “লি”-এর অর্থ হলো ফলশ্রুতি যেমনটি আমরা বলেছি এবং তা আপনাআপনি এর আগের প্রসঙ্গটির সাথে অর্থকে যুক্ত করে। আল্লাহ সুনির্দিষ্টভাবে “লি” ব্যবহার করেছেন, কেননা প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীমণ্ডলী (রা.)-কে উদ্দেশ্য করে অবতীর্ণ খোদায়ী আদেশ ও নিষেধের সাথে আয়াতুত্-তাতহীর যুক্ত এবং এরই ফলস্বরূপ তাঁরা পুতঃপবিত্র হয়েছেন।
যদিও “আন”(أن) এবং “লি” (لِ) অনুবাদের ক্ষেত্রে একই অর্থবোধক হবে, তবু অনারবদের কাছে প্রকাশ করা কঠিন হওয়া সত্ত্বেও এ দুটো শব্দ আরবদের কাছে স্পষ্টভাবে পৃথক। “লি” (لِ)-কে অনুবাদের ক্ষেত্রে আমরা হয়তো বন্ধনীর মধ্যে “[এই]” লিখতে পারি, যার দরুন আয়াতটির অনুবাদ হবে:
“আল্লাহ কেবল “[এই]”- চান যে তোমাদের সকল অপবিত্রতা দূর করবেন…। [কুর’আন, ৩৩/৩৩]
এখানে সংযোজিত ‘[এই]’ শব্দটি সেই সব বিষয়কে বোঝায় যা ইতিপূর্বে মু’মিনদের মাতাদের (রা.) উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে (আয়াতে)।
সবচেয়ে শ্লেষপূর্ণ বিষয় হলো জা’ফর আল-আমিলী এবং আত্-তাবাতাবাঈয়ের মতো শিয়া পণ্ডিত উভয়েই স্বীকার করেছেন যে [৩৩:৩৩] আয়াতের “লি” হচ্ছে “লা’ম আত্-তা’লীলীয়াহ” لام) التعليلية) এবং এখানে আমরা তাঁদেরকে উদ্ধৃত করছি:
الطباطبائي في تفسيره (الميزان) لسورة (الإسراء) يقول : قوله تعالى: { ذرية من حملنا مع نوح إنه كان عبداً شكوراً} تطلق الذرية على الأولاد بعناية كونهم صغاراً ملحقين بآبائهم، وهي – على ما يهدي إليه السياق – منصوبة على الاختصاص ويفيد الاختصاص عناية خاصة من المتكلم به في حكمه فهو بمنزلة التعليل كقوله تعالى: { إنما يريد الله ليذهب عنكم الرجس أهل البيت}۔ [الأحزاب: 33] أي ليفعل بكم ذلك لأنكم أهل بيت النبوة۔
এবং
ويقول آيتهم العظمى جعفر مرتضى العاملي في كتابه (أهل البيت في آية التطهير – ص70): واللام في «ليذهب» هي لام كي، وهي تفيد التعليل، أي أن ما بعدها يكون علة لما قبلها، كقولك: «جئت لأكرمك»؛ فمدخول اللام، وهو الإكرام، علة لما قبلها وهو المجيء۔ فما ذكره البعض من أن متعلق الإرادة هو نفس إذهاب الرجس، ليس على ما يرام لا من حيث التركيب ولا من حيث المعنى حسبما أوضحناه۔
অতএব, পরিশেষে আমরা বলবো যে আলোচ্য আয়াতের দ্বিতীয় অংশ [৩৩:৩৩] বা আয়াতু্ত্-তাতহীর পূর্ববর্তী প্রসঙ্গ ছাড়া আপনাআপনি বহাল হতে পারে না, যদি না শিয়াবর্গ মনে করে যে আরবীয় সমাজ কোনো প্রসঙ্গ ছাড়াই একটি পরিণতিমূলক হাতিয়ার দিয়ে তা শুরু করতে পারেন। এটার আগে তাই “ইন্নামা…..তাতহীরা” শব্দগুলো একটি বিচ্ছিন্ন বন্ধনীভুক্ত শব্দগুচ্ছ গঠন করে না, বরং তা এই আয়াতেরই সাধারণ প্রেক্ষাপটের অংশবিশেষ।
প্রত্যুত্তর-৩:
শিয়াবর্গ যদি এখনো তাদের ত্রুটিপূর্ণ ব্যাখ্যায় অটল থাকতে চায় এবং দাবি করতে থাকে যে তাতহীরের আয়াতটি তার আগের আয়াতগুলোর সাথে যুক্ত নয় এবং ’ইন্নামা’ হলো সীমাবদ্ধকারক, যা আহলে বাইত (রা.) কারা তা সীমাবদ্ধ করে, আর তারা যদি এটাকে আহলে কিসা (চাদরের মানুষ), অর্থাৎ সর্ব-হযরত ফাতিমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা), আলী (কার্রামাল্লাহু ওয়াজহাহু), হাসান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এবং হুসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলে দাবি করতে থাকে, তাহলে তাদের এই ত্রুটিপূর্ণ ব্যাখ্যা অনুসারে শিয়াবর্গ তাদের বাকি নয়জন (৯) ইমামকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে না। কারণ এমন কী তাঁরাও চাদরের অভ্যন্তরে উপস্থিত ছিলেন না। আমরা আশা করি এই উদাহরণটি দ্বারা শিয়াবর্গ বুঝতে পারবে যে তারা এক বোকাটে দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রেখেছে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার রহমত/দয়া ও করুণা বর্ষিত হোক তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর পরিবারসদস্যবৃন্দ এবং সাহাবামণ্ডলীর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন) প্রতি।
*সমাপ্ত*