পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।
হাদিসের আলোকে ক্বিয়াম
হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বর্ণনা করেন, মদীনার একটি ইহুদী সম্প্রদায় বনূ ক্বোরাইযা হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে খন্দকের যুদ্ধের সময় মদীনা আক্রমন করার অপরাধে মুসলিম বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ হয়েছিলো। তারা আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে যখন হযরত সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর বিচার মেনে নিতে রাজী হলো, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত সা’দকে আনার জন্য লোক পাঠালেন। হযরত সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটবর্তী স্থানে তাঁবুতে ছিলেন। হযরত সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু গাধার পিঠে আরোহণ করে আসলেন। যখন তিনি মসজিদের নিকটবর্তী হলেন, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম মসজিদে উপস্থিত মদীনাবাসী আনসারের উদ্দেশ্যে বললেন-‘‘তোমরা তোমাদের সর্দারের সম্মানে দাঁড়িয়ে যাও।’’— বুখারী ও মুসলিম এবং মিশকাত বাবুল ক্বিয়াম, পৃষ্ঠা-৪০৩
বর্ণিত হাদীসে নিম্নলিখিত বিষয়াদি লক্ষণীয়
১. ইহুদী সম্প্রদায় বনূ ক্বোরাযাহ্ ৪র্থ কিংবা ৫ম হিজরীতে খন্দক্বের যুদ্ধের সময় হুযূরের সাথে কৃত পূর্বচুক্তি ভঙ্গ করে মুসলমানদেরঅনুপস্থিতিতে মদীনা মুনাওয়ারা আক্রমণ করে বসে; কিন্তু হুযূরের ফুফু হযরত সফিয়্যাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার অসম সাহসিকতায় কয়েকজন ইহুদী নিহত হয়ে তাদের মৃতদেহ প্রাচীরের বাহিরে নিক্ষিপ্ত হলে বনূ ক্বোরাইযাহ্ পলায়ন করে।২. খন্দকের যুদ্ধ শেষে হুযূরে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হিওয়াসাল্লাম অবিলম্বে মদীনার উপকণ্ঠে অবস্থিত বনূ ক্বোরাইযার দূর্গ ঘেরাও করেন। দীর্ঘ ২৫ দিনের অবরোধের পর নিরুপায় হয়ে তারা আত্মসমর্পণে রাজী হয়; কিন্তু বিচারকার্যের জন্য তারা নবী করীমকে না মেনে তাদেরই এককালীন আত্মীয় মদীনা মুনাওয়ারার গোত্রের সর্দার হযরত সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকে বিচারক করার দাবী জানায়। হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলাআলায়হি ওয়াসাল্লাম এতে রাজী হন। ওই বিচারে তাদের যুদ্ধক্ষম ৭০০ পুরুষকে হত্যা করা হয় এবং নারী ও শিশুদেরকে দাস-দাসীতে পরিণত করা হয় আর তাদের ধন-সম্পদ সরকারী ‘বাইতুল মাল’-এ জমা করা হয়।৩. মসজিদে নবভীতে বিচারকার্য অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়। অতঃপর হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত সা’দের কাছে সংবাদ পাঠান।৪. অসুস্থ সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু তাঁবু হতেগাধার পিঠে আরোহণ করে হুযূরের খিদমতে উপস্থিত হন। তাঁর অবস্থান ছিলো মসজিদে নবভী শরীফের অতি নিকটে। তিনি খন্দকের যুদ্ধে আহত হয়েছিলেন। তাই গাধার পিঠে করে আসলেন।[1]৫. যখন হযরত সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু মসজিদে নবভীর কাছাকাছি পৌঁছলেন, তখন তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও তাঁকে সভাস্থলে অভ্যর্থনা জানিয়ে নিয়ে আসার জন্য মদীনাবাসী আনসারকে হুযূর করীম নির্দেশ দিলেন এবং বললেন,তোমরা আনসারীগণ তোমাদের সর্দারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দাঁড়াও এবং তাঁকে অবতরণ করতে সহযোগিতা করো।
হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বর্ণনা করেন, মদীনার একটি ইহুদী সম্প্রদায় বনূ ক্বোরাইযা হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে খন্দকের যুদ্ধের সময় মদীনা আক্রমন করার অপরাধে মুসলিম বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ হয়েছিলো। তারা আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে যখন হযরত সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর বিচার মেনে নিতে রাজী হলো, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত সা’দকে আনার জন্য লোক পাঠালেন। হযরত সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটবর্তী স্থানে তাঁবুতে ছিলেন। হযরত সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু গাধার পিঠে আরোহণ করে আসলেন। যখন তিনি মসজিদের নিকটবর্তী হলেন, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম মসজিদে উপস্থিত মদীনাবাসী আনসারের উদ্দেশ্যে বললেন-‘‘তোমরা তোমাদের সর্দারের সম্মানে দাঁড়িয়ে যাও।’’— বুখারী ও মুসলিম এবং মিশকাত বাবুল ক্বিয়াম, পৃষ্ঠা-৪০৩
বর্ণিত হাদীসে নিম্নলিখিত বিষয়াদি লক্ষণীয়
১. ইহুদী সম্প্রদায় বনূ ক্বোরাযাহ্ ৪র্থ কিংবা ৫ম হিজরীতে খন্দক্বের যুদ্ধের সময় হুযূরের সাথে কৃত পূর্বচুক্তি ভঙ্গ করে মুসলমানদের অনুপস্থিতিতে মদীনা মুনাওয়ারা আক্রমণ করে বসে; কিন্তু হুযূরের ফুফু হযরত সফিয়্যাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার অসম সাহসিকতায় কয়েকজন ইহুদী নিহত হয়ে তাদের মৃতদেহ প্রাচীরের বাহিরে নিক্ষিপ্ত হলে বনূ ক্বোরাইযাহ্ পলায়ন করে।২. খন্দকের যুদ্ধ শেষে হুযূরে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম অবিলম্বে মদীনার উপকণ্ঠে অবস্থিত বনূ ক্বোরাইযার দূর্গ ঘেরাও করেন। দীর্ঘ ২৫ দিনের অবরোধের পর নিরুপায় হয়ে তারা আত্মসমর্পণে রাজী হয়; কিন্তু বিচারকার্যের জন্য তারা নবী করীমকে না মেনে তাদেরই এককালীন আত্মীয় মদীনা মুনাওয়ারার গোত্রের সর্দার হযরত সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকে বিচারক করার দাবী জানায়। হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এতে রাজী হন। ওই বিচারে তাদের যুদ্ধক্ষম ৭০০ পুরুষকে হত্যা করা হয় এবং নারী ও শিশুদেরকে দাস-দাসীতে পরিণত করা হয় আর তাদের ধন-সম্পদ সরকারী ‘বাইতুল মাল’-এ জমা করা হয়।৩. মসজিদে নবভীতে বিচারকার্য অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়। অতঃপর হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত সা’দের কাছে সংবাদ পাঠান।৪. অসুস্থ সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু তাঁবু হতে গাধার পিঠে আরোহণ করে হুযূরের খিদমতে উপস্থিত হন। তাঁর অবস্থান ছিলো মসজিদে নবভী শরীফের অতি নিকটে। তিনি খন্দকের যুদ্ধে আহত হয়েছিলেন। তাই গাধার পিঠে করে আসলেন। [1]৫. যখন হযরত সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু মসজিদে নবভীর কাছাকাছি পৌঁছলেন, তখন তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও তাঁকে সভাস্থলে অভ্যর্থনা জানিয়ে নিয়ে আসার জন্য মদীনাবাসী আনসারকে হুযূর করীম নির্দেশ দিলেন এবং বললেন,তোমরা আনসারীগণ তোমাদের সর্দারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দাঁড়াও এবং তাঁকে অবতরণ করতে সহযোগিতা করো।
পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!