কানযুল উম্মাল- কিতাবুল আযকার- যিকিরের ফযীলত

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ এবং হাদিসের বিশ্বকোষ হিসাবে খ্যাত ‘কানযুল উম্মাল’ গ্রন্থের কিতাবুল আযকারের যিকিরের ফযীলত অনুচ্ছেদের হাদীস সমষ্টির ধারাবাহিক অনুবাদ

في الذكر وفضيلته
যিকিরের ফযীলত
1747 – إن لله ملائكة سياحين في الأرض فضلا عن كتاب الناس يطوفون في الطرق يلتمسون أهل الذكر فإذا وجدوا قوما يذكرون الله تنادوا هلموا إلى حاجتكم فيحفونهم بأجنحتهم إلى السماء الدنيا فيسألهم ربهم وهو أعلم منهم ما يقول عبادي ؟ فيقولون يسبحونك ويكبرونك ويحمدونك ويمجدونك فيقول : هل رأوني ؟ فيقولون لا والله ما رأوك فيقول : كيف لو رأوني ؟ فيقولون لو رأوك كانوا أشد لك عبادة وأشد تمجيدا وأكثر لك تسبيحا فيقول : فما يسألوني فيقولون : يسألونك الجنة فيقول هل رأوها فيقولون لا والله يا رب ما رأوها فيقول : فكيف لو أنهم رأوها فيقولون لو أنهم رأوها كانوا أشد عليها حرصا وأشد لها طلبا وأعظم فيها رغبة قال : فمم يتعوذون ؟ فيقولون : من النار فيقول : عز و جل هل رأوها ؟ فيقولون لا والله يا رب فيقول : فكيف لو رأوها ؟ فيقولون : لو رأوها كانوا أشد منها فرارا وأشد لها مخافة فيقول : فأشهدكم أني قد غفرت لهم فيقول : ملك من الملائكة فيهم فلان ليس منهم إنما جاء لحاجة فيقول : هم القوم لا يشقى بهم جليسهم
( حم ق عن أبي هريرة )
আল্লাহ তাআলার এমকিছু ফেরেশতা আছে যারা আমলনামা লিখা ছাড়া (শুধু) যমীনে ঘোরাঘুরি করেন। তারা যিকিরকারীদেরকে অনুসন্ধান করতে থাকেন। যখন তারা এমন লোকসকল পেয়ে যায় যারা আল্লাহর যিকিরে মশগুল আছেন, তখন তারা পরস্পর বলে, এসো তোমাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। এরপর তারা তাদের জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং একজন আরেকজনের উপর কাতারবন্দী হয়ে আসমান পর্যন্ত পৌঁছে যান। এরপর যখন মজলিস সমাপ্ত হয় তখন তারা আল্লাহর দরবারে হাজির হয়। তখন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, যদিও তিনি তাদের ব্যাপারে খুব ভালভাবেই অবগত আছেন- বল আমার বান্দারা কি বলছিল? ফেরেশতারা বলে তারা আপনার তাসবীহ-তাহলীল ও তাকবীর-তাহমীদ করছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন- তারা কি আমাকে দেখেছে? তারা বলে, না আল্লাহর কসম! তারা আপনাকে দেখে নাই। আল্লাহ বলেন, যদি দেখত তবে তাদের অবস্থা কেমন হত? ফেরশেতারা বলে, তারা আপনার ইবাদতে আরো কায়মনোবাক্যে নিয়োজিত হত এবং আপনার বড়ত্ব এবং পূত-পবিত্রতা আরো বেশী করে বর্ণনা করত।
এরপর আল্লাহ তাআলা বলেন- তারা আমার কাছে কি প্রার্থনা করছিল? ফেরশেতরা বলল, তারা আপনার নিকট জান্নাত প্রার্থনা করছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন- তারা কি জান্নাত দেখেছে? ফেরেশতারা বলে. না আল্লাহর কসম! তারা জান্নাত দেখে নাই। আল্লাহ বলেন, যদি দেখত তবে তাদের অবস্থা কেমন হত? ফেরশেতারা বলল, তারা তার জন্য আরো বেশী লোভ করত এবং আরো কঠিনভাবে তা পাওয়ার অন্বেষণে লেগে যেত।
এরপর আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা কোন জিনিস থেকে আশ্রয় প্রর্থনা করছে। ফেরেশতরা বলে, তারা জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা কি জাহান্নাম দেখেছে। ফেরশেতারা বলে, না আল্লাহর কসম! তরা দেখেনি। আল্লাহ বলেন, যদি দেখত তবে তাদের অবস্থা কেমন হত? ফেরশেতারা বলে, যদি দেখত তবে তারা তার থেকে আরো দূরে থাকত আর আরো বেশী তার ভয় করত।
আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা সাক্ষ্যি থাকো। আমি তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিলাম। তখন একজন ফেরেশতা বলল, এক ব্যক্তি তাদের মধ্যে শামিল ছিল না। শুধু সে তার কোন প্রয়োজনের জন্য এখানে এসেছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা এমন সম্পদায় যে, তাদের পাশে বসা ব্যক্তিও বঞ্চিত হয় না।
1748 – ” أفضل الذكر لا إله إلا الله، وأفضل الدعاء الحمد لله”. (ت ن هـ حب ك عن جابر) .
উত্তম যিকির হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আর উত্তম দুআ হলো আলহামদুলিল্লাহ।
1749 – “الذكر نعمة من الله فأدوا شكرها”. (فر عن نبيط ابن شريط) .
যিকির আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ামত। সুতরাং এর জন্য আল্লাহর শোকর আদায় কর।
1750 – ” الذكر الذي لا يسمعه الحفظة يزيد على الذكر الذي يسمعه الحفظة سبعين ضعفا”. (هب عن عائشة) .
যেই যিকির হিফাযতকারী ফেরশেতরা শুনতে পায় না (নীরব যিকির), তা সেই যিকির যা হিফাযতকারী ফেরেশেতা শুনতে পায় তার থেকে সত্তর গুণ বেশী ফযীলত রাখে।
1751 – “ذكر الله شفاء القلوب”. (فر عن أنس) .
আল্লাহর যিকির অন্তরের (রোগের) শিফা ।
1752 – ” أحب الأعمال إلى الله أن تموت ولسانك رطب من ذكر الله”. (حب وابن السني في عمل اليوم والليلة طب حب عن معاذ) .
আল্লাহর নিকট উত্তম আমল হলো এই যে, তোমার মৃত্যু এমন অবস্থায় হওয়া যে, তোমার যবান আল্লাহর যিকির দ্বারা সিক্ত থাকবে।
1753 – “أكثروا ذكر الله تعالى حتى يقولوا مجنون”. (حم ع حب ك هب عن أبي سعيد) .
বেশী করে আল্লাহর যিকির কর। এমনকি লোকেরা যেন বলে পাগল।
1754 – “أكثروا ذكر الله تعالى حتى يقول المنافقون إنكم مراؤون”. (ص حم في الزهد هب عن أبي الجوزاء مرسلا) .
বেশী করে আল্লাহর যিকির কর। যেন মুনাফিকরা তোমাকে বলে- এই লোক রিয়াকার।
1755 – “اذكر الله فإنه عون لك على ما تطلب”. (ابن عساكر عن عطاء بن أبي مسلم) مرسلا.
আল্লাহর যিকির। এটা তোমার কাঙ্ক্ষিত বিষয়ের জন্য সাহায্যকারী।
1756 – “اذكروا الله ذكرا يقول: “المنافقون إنكم تراؤون”. (طب عن ابن عباس) .
আল্লাহর যিকির এমনভাবে কর, যেন মুনাফিকরা তোমাকে বলে এই লোক রিয়াকার।
1757 – “اذكروا الله ذكرا خاملا قيل وما الذكر الخامل قال: الذكر الخفي”. (ابن المبارك في الزهد عن ضمرة بن حبيب مرسلا) .
যিকিরে খামিল বা মন্থরভাবে আল্লাহর যিকির কর। জিজ্ঞাসা করা হলো যিকিরে খামিল কি? তিনি বললেন, নীরবে ও অনুচ্চ স্বরে যিকির করা।
1758 – “أسعد الناس بشفاعتي يوم القيامة من قال: لا إله إلا الله خالصا مخلصا من قلبه”. (خ عن أبي هريرة) .
কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশের ভাগ্যবান ব্যক্তি হবে সে, যে ইখলাস ও আন্তরিকতার সাথে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলেছে।
1759 – “أفضل العباد درجة يوم القيامة الذاكرون الله كثيرا”. (حم ت عن أبي سعيد) .
কিয়ামতের দিন সর্বোত্তম মর্যাদা সম্পন্ন বান্দা হবে আল্লাহর অধিক যিকিরকারীগণ।
1760 – ” أفضل العلم لا إله إلا الله، وأفضل الدعاء الاستغفار”. (فر عن ابن عمر) .
উত্তম ইলম হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আর উত্তম দুআ হলো ইস্তিগফার।
1761 – ” أكثروا من شهادة أن لا إله إلا الله قبل أن يحال بينكم وبينها ولقنوها موتاكم”. (ع عد عن أبي هريرة) .
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর সাক্ষ্য বেশী করে প্রদান করতে থাক সেই সময় আসার আগে যে, তোমার ও তার মাঝে মৃত্যুর পর্দা আড়াল হয়ে যাবে। আর তোমাদের মৃতদেরকে এর তালকীন কর।
1762 – “إن الله حرم على النار من قال: لا إله إلا الله يبتغي بذلك وجه الله”. (ق عن عتبان بن مالك) .
আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের জন্য প্রত্যেক ঐ ব্যক্তিকে হারাম করে দিয়েছেন, যে আল্লাহর সন্তিুষ্টির জন্য লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলেছে।
1763 – “إن الله تعالى يقول: أنا مع عبدي ما ذكرني وتحركت بي شفتاه”. (حم هـ ك عن أبي هريرة) .
আল্লাহ তাআলা বলেন- আমি আমার বান্দার সাথে থাকি যখন সে আমাকে স্মরণ করে এবং আমার যিকিরের জন্য তার দুই ঠোঁট নড়াচরা করে।
1764 – “إن الله تعالى يقول: إن عبدي كل عبدي يذكرني وهو ملاق قرنه “. (ت عن عمارة بن زعكرة) .
আল্লাহ তাআলা বলেন- আমার যে বান্দাই আমার যিকির করে, তখন সে তার নিকটতম বন্ধুর (আল্লাহ) সাথে সাক্ষাত করে থাকে।
1765 – ” إن لكل ساع غاية، وغاية ابن آدم الموت فعليكم بذكر الله فإنه يسهلكم ويرغبكم في الآخرة”. (البغوي عن جلاس بن عمرو) .
প্রত্যেক বস্তুর শেষ বা চূড়ান্তসীমা নির্ধারিত আছে। আর (এই দুনিয়াতে) মানুষের শেষ হলো তার মৃত্যু। অতএব তোমাদের উপর আল্লাহর যিকির করা আবশ্যক। কেননা এটা তোমাদের (দীন-দুনিয়ার সবকিছু) সহজ করবে এবং আখিরাতের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবে।
1766 – ” أقرب ما يكون الرب من العبد في جوف الليل الآخر فإن استطعت أن تكون ممن يذكر الله في تلك الساعة فكن”. (ن ت ك عق عمرو بن عبسة) .
বান্দা রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হয়। অতএব যদি তুমি পার, তবে সেই সময় আল্লাহকে স্মরণ করো।
1767 – ” ألا أنبئكم بخير أعمالكم، وأزكاها عند مليككم وأرفعها في درجاتكم وخير لكم من إنفاق الذهب والورق وخير لكم من أن تلقوا عدوكم، فتضربوا أعناقهم ويضربوا أعناقكم ذكر الله”. (ك ق هـ ن عن أبي الدرداء) .
আমি কি তোমাদের আমলসমূহের সর্বোত্তমটি সম্পর্কে তোমাদেরকে অবহিত করবো না, যা তোমাদের প্রভুর নিকট সর্বাধিক প্রিয়, তোমাদের মর্যাদাকে অধিক উন্নীতকারী, আল্লাহর পথে তোমাদের সোনা-রূপা দান করার চেয়ে উত্তম এবং যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে তোমাদের শক্রুদের হত্যা করা এবং তোমাদের নিহত হওয়ার চেয়ে উত্তম? তা হলো আল্লাহর যিকির।
1768 – “جددوا إيمانكم أكثروا من قول لا إله إلا الله”. (حم ك عن أبي هريرة) .
তোমাদের ইমানকে তাজা কর বেশী করে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে।
1769 – “حدثني جبريل قال: يقول الله تعالى: لا إله إلا الله حصني فمن دخله أمن من عذابي. (ابن عساكر عن علي) .
আমাকে জিবরাঈল (আ) বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আমার দূর্গ। যে এর মধ্যে প্রবেশ করল, সে আমার শাস্তি থেকে নিরাপদ হয়ে গেল।
1770 – “حضر ملك الموت رجلا يموت فشق أعضاءه فلم يجد عملا خيرا ثم شق قلبه فلم يجد فيه خيرا ففك لحييه فوجد طرف لسانه لاصقا بحنكه يقول لا إله إلا الله فغفر له بكلمة الإخلاص”. (ابن أبي الدنيا في كتاب المحتضرين هب عن أبي هريرة) .
মালাকুল মউত এক মৃত্যু-নিকটবর্তী লোকের নিকট হাজির হলেন। তিনি তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অনুসন্ধান করে দেখলেন যে, কোথাউ কোন নেক আমল নেই। এরপর অন্তরকে দেখলেন সেখানেও ভাল কিছু পেলেন না। এরপর তার চোয়ালের দিকে দেখলেন যে, তার যবানের এক পাশ তালুর সাথে লেগে আছে আর সে বলছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আল্লাহ তাআলা এই কালিমায়ে ইখলাসের কারণে তাকে ক্ষমা করে দিলেন।
1771 – “خير الذكر الخفي وخير الرزق ما كفى” (حم هب عن سعد) .
উত্তম যিকির হলো নীরব যিকির। আর উত্তম রিযিক হলো যা যথেষ্ট হয়ে যায়।
1772 – “خير العمل أن تفارق الدنيا ولسانك رطب من ذكر الله”. (حل عن عبد الله بن بشر) .
উত্তম আমল হলো এই যে, তুমি দুনিয়া থেকে এমনভাবে প্রস্থান করবে যে, তোমার যবান আল্লাহর যিকির দ্বারা সিক্ত থাকবে।
1773 – “سبق المفردون المستهترون في ذكر الله يضع الذكر عنهم أثقالهم فيأتون يوم القيامة خفافا”. (ق ك عن أبي هريرة طب عن أبي الدرداء) .
মুফাররিদগণ অর্থাৎ আল্লাহর যিকিরে আত্ম-বিভোর ব্যক্তিগণ অগ্রগামী হয়ে গেছে। যিকির তাদের গুনাহর বোঝা নামিয়ে দেবে। সুতরাং কিয়ামতের দিন তারা হালকা-পাতলা হয়ে উপস্থিত হবে।
1774 – “سيروا هذا جمدان سبق المفردون الذاكرون الله كثيرا والذاكرات”. (حم عن أبي هريرة) .
তোমরা এই জুমদান পর্বতে (মদীনার একটি বসতী পাহাড়) পরিভ্রমণ কর। এখানে মূফাররিদগণ- অধিক যিকরকারী ও অধিক যিকরকারিণীরা অগ্রগামী হয়ে গেছে।
1775 – “إن الشيطان ملتقم قلب ابن آدم فإذا ذكر الله عز وجل خنس عنده وإذا نسي التقم قلبه”. (الحكيم عن أنس) .
শয়তান মানুষের অন্তরে নিজের মুখ লাগিয়ে ওয়াসওয়াসা প্রদান করতে থাকে। অতএব বান্দা যখন আল্লাহর যিকির করে তখন দ্রুত পৃথক হয়ে যায়। আর যখন গাফিল হয়ে যায় তখন পূণরায় তার শূর প্রদান করে।
1776 – “علامة حب الله تعالى حب ذكر الله وعلامة بغض الله تعالى بغض ذكر الله عز وجل”. (هب عن أنس) .
আল্লাহর প্রতি মহব্বতের নিদর্শন হলো আল্লাহর যিকিরের প্রতি মহব্বত পোষণ করা। আল আল্লাহর প্রতি বিদ্বেষের নিদর্শন হলো আল্লাহর যিকিরের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা।
1777 – “إن لكل شيء صقالة وصقاله القلب ذكر الله تعالى وما من شيء أنجى من عذاب الله من ذكر الله ولو أن تضرب حتى ينقطع”. (هب عن ابن عمر) .
প্রত্যেক বস্তু পরিষ্কারে উপায় আছে। আর অন্তর পরিষ্কারের উপায় হলো আল্লাহর যিকির। আল্লাহর আযাব থেকে নাজাত দানকারী আল্লাহর যিকির থেকে উত্তম কিছু নাই। চাই তুমি (জিহাদে) তলোয়ার এতটা চালাও যে, (জিহাদ করতে করতে) তা ভেঙ্গে যায়।
1778 – “من قال لا إله إلا الله نفعته يوما من دهره يصيبه قبل ذلك ما أصابه”. (البزار هب عن أبي هريرة) 
যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে, এটা তার জীবনকালে মৃত্যুর পূর্বে কোন না কোন দিন তাকে দৈব-দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে উপকার প্রদান করবে।
1779 – “من قال لا إله إلا الله مخلصا دخل الجنة”. (البزار عن أبي سعيد) .
যে ব্যক্তি ইখলাস ও আন্তরিকতার সাথে বলবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
1780 – “من كان آخر كلامه لا إله إلا الله دخل الجنة”. (حم د ك عن معاذ) .
যার শেষ কথা হবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
1781 – ” لا إله إلا الله لا يسبقها عمل، ولا تترك ذنبا”. (هـ عن أم هانيء) .
কোন আমল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর থেকে অগ্রবর্তী হতে পারে না। আর না তা কোন গুনাহকে বাকী রাখে।
1782 – “إن الشيطان واضع خطمه على قلب ابن آدم فإن ذكر الله خنس وإن نسي التقم قلبه”. (ابن أبي الدنيا ع هب عن أنس)
শয়তান মানুষের অন্তরে তার শূর দিয়ে ওয়াসওয়াসা প্রদান করতে থাকে। অতএব বান্দা যখন আল্লাহর যিকির করে তখন দ্রুত পৃথক হয়ে যায়। আর যখন গাফিল হয়ে যায় তখন পূণরায় তার শূর প্রদান করে।

চলবে

1783 – ” أولياء الله الذين إذا رؤوا ذكر الله”. (الحكيم عن ابن عباس) .

 আল্লাহর ওলী বা প্রিয় ব্যক্তি তারা যাদেরকে দেখলে আল্লাহকে স্মরণ হয়।

1784 – “أفضلكم الذين إذا رؤوا ذكر الله تعالى لرؤيتهم،” (الحكيم عن أنس) .

তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি তারা যাদেরকে দেখলে কেবল আল্লাহর কথা স্মরণ হয়।

1785 – “خيار أمتي إذا رؤوا ذكر الله وشرار أمتي المشاؤون بالنميمة المفرقون بين الأحبة الباغون للبرآء العنت”. (حم عن عبد الرحمن ابن عاصم –  (طب عن عبادة بن الصامت) .

আমার উম্মতের উত্তম ব্যক্তি তারা যাদেরকে দেখলে আল্লাহকে স্মরণ হয়। আর আমার উম্মতের নিকৃষ্ট লোক তারা যারা চোগলখুরী করে, বন্ধুদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে এবং পূত-পবিত্র নিষ্কলুষ ব্যক্তিদেরকে অপবাদ প্রদান করার সুযোগ সন্ধান করে।

1786 – ” خياركم الذين إذا رؤوا ذكر الله وشراركم المشاؤون بالنميمة المفرقون بين الأحبة الباغون للبرآء العنت”. (هب عن ابن عمر  

তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি তারা যাদেরকে দেখলে আল্লাহকে স্মরণ হয়। আর তোমাদের মধ্যে নিকৃষ্ট লোক তারা যারা চোগলখুরী করে, বন্ধুদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে এবং পূত-পবিত্র নিষ্কলুষ ব্যক্তিদেরকে অপবাদ প্রদান করার সুযোগ সন্ধান করে।

1787 – “خياركم من ذكركم بالله رؤيته وزاد علمكم منطقه ورغبكم في الآخرة عمله”. (الحكيم عن ابن عمرو) .

তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সে যাকে দেখলে আল্লাহর স্মরণ তাজা হয়। তার কথার দ্বারা তোমার ইলম ও জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। আর তার আমল (দেখে) তোমার আখিরাতের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।

1788 – “ألا أنبئكم بخياركم، خياركم الذين إذا رؤوا ذكر الله”. (حم هـ عن أسماء بنت يزيد)

আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের উত্তম লোকদের কথা বলব না? তোমাদের মধ্যে উত্তম লোক তারা যাদেরকে দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়।

1789 – ” إن من الناس مفاتيح، لذكر الله إذا رؤوا ذكر الله “. (طب عن ابن مسعود) .

কিছু মানুষ আছে যারা আল্লাহর স্মরণের চাবি হয়ে থাকে। যখন তাদেরকে দেখ তো, তখন আল্লাহকে স্মরণ হয়।

1790 – ” ثمن الجنة لا إله إلا الله”. (عد وابن مردويه عن أنس) (عبد بن حميد في تفسيره عن الحسن مرسلا) .

জান্নাতের মূল্য হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

1791 – “عليكم بذكر ربكم وصلواتكم في أول وقتكم فإن الله عز وجل يضاعف لكم”. (طب عن عرباض) 

(যিকির শুর করার) প্রাথমিক সময়ে তোমাদের উপর আল্লাহর যিকির এবং দরূদ পাঠ করা আবশ্যক। এতে আল্লাহ তাআলা তোমাদের আমলকে বাড়িয়ে নিয়ে যাবেন। 

1792 – ” عليكم بلا إله إلا الله والاستغفار، فأكثروا منهم فإن إبليس قال: أهلكت الناس بالذنوب، وأهلكوني بلا إله إلا الله والاستغفار، فلما رأيت ذلك أهلكتهم بالأهواء، وهم يحسبون أنهم مهتدون”. (ع عن أبي بكر) .

তোমাদের উপর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং  ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করা আবশ্যক। খুব বেশী করে তা পাঠ কর। কেননা ইবলিস বলে, আমি মানুষকে গুনাহে নিমজ্জিত করে ধ্বংস করে দেই। আর তারা আমাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং  ইস্তিগফার দ্বারা ব্যর্থ করে দেয়। অতএব যখন আমি এই অবস্থা দেখি তখন আমি (ভিন্ন কৌশলে) তাদেরকে এমন খাহিশাতের মধ্যে লাগিয়ে ধ্বংস করে দেই যে (তারা বুঝতেও পারে না, অথচ) মনে করে যে তারা হিদায়াতর পথেই আছে।

1793 – “غنيمة مجالس الذكر الجنة”. (حم طب عن ابن عمر) .

যিকিরের মজলিসের গনীমত বা প্রতিদান হলো জান্নাত।

1794 – “الغفلة في ثلاث، عن ذكر الله، وحين يصلى الصبح إلى طلوع الشمس وغفلة الرجل عن نفسه في الدين حتى يركبه”. (طب هب عن ابن عمر) .

(সাধারনত) তিনটি বিষয়ের মধ্যে (মানুষের) গাফলত ও উদাসীনতা হয়। আল্লাহর যিকিরে, ভোরের নামাযের পর থেকে নিয়ে সূর্য উঠা পর্যন্ত এবং মানুষের তার দীনের ব্যাপারে। যে পর্যন্ত না (মৃতের খাটিয়ায়) আরোহণ না করে।

1795 – “قال الله تعالى: يا ابن آدم اذكرني بعد الفجر وبعد العصر ساعة أكفك ما بينهما”. (حل عن أبي هريرة) .

আল্লাহ তাআলা বলেন- হে ইবনে আদম! ফজর ও আসরের পর কিছু সময় আমাকে স্মরণ কর। তাহলে এই উভয় সময়ের মাঝে আমি তোমার জন্য যথেষ্ট হব।

1796 – “قال الله تعالى: لا يذكرني عبد في نفسه إلا ذكرته في من ملأ من ملائكتي ولا يذكرني في ملأ إلا ذكرته في الرفيق الأعلى”. (طب عن معاذ بن أنس) .

কোন বান্দা এমন নাই, যে আমাকে মনে মনে স্মরণ করে, আর আমি ফেরেশতাদের মজলিসে তার আলোচনা না করি। আর কোন বন্দা এমন নাই, যে আমাকে মজীলসে স্মরণ করে আর আমি তার আলোচনা উচ্চপরিষদে না করি।

1797 – ” قال الله تعالى: “عبدي إذا ذكرتني خاليا ذكرتك خاليا، وإن ذكرتني في ملأ ذكرتك في ملأ خير منهم وأكثر”. (هب عن ابن عباس) .

আল্লাহ তাআলা বলেন- হে আমার বান্দা! যদি তুমি আমাকে নির্জনে স্মরণ কর তাহলে আমিও তোমাকে নির্জনে স্বরণ করি। আর যদি তুমি আমাকে কোন মজলিসে স্মরন কর তাহলে আমি তারচেয়েও উত্তম মজলিসে তোমার আলোচনা  করি এবং আরো বেশী করে করি।

1798 – “كلمتان: إحداهما ليس لها نهاية  دون العرش، والأخرى تملأ ما بين السماء والأرض، لا إله إلا الله والله أكبر”. (طب عن معاذ) .

দুইট কালিমা এমন যার একটির মর্যাদা আরশের নীচেও শেষ হয় না।  অপরটি আসমান ও যমীনের মধ্যবর্তী স্থান পূরণ করে দেয়। তা হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবার।

1799 – “لأن أذكر الله تعالى مع قوم بعد صلاة الفجر إلى طلوع الشمس، أحب إلي من الدنيا وما فيها، ولأن أذكر الله تعالى مع قوم بعد صلاة العصر إلى أن تغيب الشمس أحب إلي من الدنيا وما فيها”. (هب عن أنس) .

আমি কোন কওমের সাথে ফজরে পর থেকে নিয়ে সূর্য উঠা পর্যন্ত যিকিরে মশগুল থাকব- এটা আমার নিকট দুনিয়া এবং দুনিয়ার সবকিছু থেকে বেশী প্রিয়। এমনিভাবে আমি কোন কওমের সাথে আসরের পর থেকে নিয়ে সূর্য ডুবা পর্যন্ত যিকিরে মশগুল থাকব- এটা আমার নিকট দুনিয়া এবং দুনিয়ার সবকিছু থেকে বেশী প্রিয়।

1800 – “لأن أقعد مع قوم يذكرون الله من صلاة الغداة حتى تطلع الشمس، أحب إلي من أن أعتق أربعة من ولد إسمعيل ولأن أقعد مع قوم يذكرون الله من صلاة العصر إلى أن تغرب الشمس أحب إلي من أن أعتق أربعة”. (حب د عن أنس) .

আমি এমন কোন দলের সাথে ফজরের পর থেকে নিয়ে সূর্য উঠা পর্যন্ত বসে যাব, যারা আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত হয়ে যায়।  এটা আমার নিকট ইসমাইল (আ) এর বংশের চারজন গুলাম আযাদ করার চেয়ে উত্তম। এমনিভাবে আমি এমন কোন দলের সাথে আসরের পর থেকে নিয়ে সূর্য ডুবা পর্যন্ত বসে যাব, যারা আল্লাহর যিকির লিপ্ত হয়ে যায়। এটাও আমার নিকট চারজন গুলাম আযাদ করার চেয়ে উত্তম।

চলবে

1801 – “لكل شيء مفتاح ومفتاح السموات قول لا إله إلا الله”. (طب عن معقل بن يسار)

প্রত্যেক জিনিসের একটি চাবি থাকে। আর আসমানের চাবি হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

1802 – “لو أن رجلا في حجره دراهم يقسمها وآخر يذكر الله لكان الذاكر لله أفضل”. (طس عن أبي موسى) .

কোন ব্যক্তি যদি ঘরে বসে দিরহাম বন্টন করতে থাকে আর অপর ব্যক্তি আল্লাহর যিকির করতে থাকে, তবে আল্লাহর যিকিরকারী উত্তম।

1803 – “الذكر خير من الصدقة”. (أبو الشيخ عن أبي هريرة) .

যিকির সাদকা থেকে উত্তম।

1804 – “ما صدقة أفضل من ذكر الله”. (طس عن ابن عباس) .

কোন সাদকা আল্লাহর যিকির থেকে উত্তম নয়।

1805 – “ليس من عبد يقول لا إله إلا الله مائة مرة إلا بعثه الله يوم القيامة ووجهه كالقمر ليلة البدر ولم يرفع لأحد يومئذ عمل أفضل من عمله إلا من قال مثل قوله أو زاد”. (طب عن أبي الدرداء)

কোন বান্দা এমন নেই, যে শতবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে, আর আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠাবেন না যে, তার চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জল না হবে। আর ঐ দিন এই আমলের উপরে আর কোন আমল যাবে না। তবে এটা ব্যতীত যে, যে এর বরাবর অথবা এর চেয়ে বেশী সংখ্যায় তা বলেছে।

1806 – “ليس يتحسر أهل الجنة على شيء إلا على ساعة مرت بهم لم يذكروا الله عز وجل فيها”. (طب هب عن معاذ) .

জান্নাতীদের ঐ সময় ব্যতীত আর কোন সময়ের জন্য আফসোস হবে না, যেই সময়টুকু তারা আল্লাহর যিকির থেকে অমনোযোগী ছিল।

1807 – “ما جلس قوم يذكرون الله تعالى إلا ناداهم مناد من السماء قوموا مغفورا لكم”. (حم والضياء عن أنس) .

এমন কোন সম্প্রদায় নেই যারা আল্লাহর যিকির করতে বসে আর আসমান থেকে কোন ঘোষণাকারী এই বলে ঘোষণা না দেয় যে, উঠ! তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।

1808 – “ما جلس قوم يذكرون الله تعالى فيقومون حتى يقال لهم قوموا قد غفر الله لكم ذنوبكم وبدلت سيئاتكم حسنات”. (طب هب عن سهيل بن الحنظلية) .

এমন কোন সম্প্রদায় নেই যারা আল্লাহর যিকির করতে বসে অতঃপর তা থেকে অবসর হয়। অথচ (আল্লাহর পক্ষ থেকে) তাদেরকে বলা হয় না যে, উঠ! তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। আর তোমাদের মন্দ আমলগুলো নেক আমল দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে।

1809 – “ما اجتمع قوم على ذكر، فتفرقوا عنه إلا قيل لهم، قوموا مغفورا لكم”. (الحسن بن سفيان عن سهيل بن الحنظلية) .

কোন সম্প্রদায় এমন নেই যারা আল্লাহর যিকিরের জন্য একত্রিত হয়ে বসে। অতঃপর যখন তারা পৃথক হয় তখন বলা হয়- যাও! তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।

1810 – “ما اجتمع قوم في مجلس فتفرقوا ولم يذكروا الله ولم يصلوا على النبي صلى الله عليه وسلم إلا كان مجلسهم ترة عليهم يوم القيامة”. (حم حب عن أبي هريرة) .

যে সম্প্রদায় কোন মজলিসে বসে আল্লাহর যিকির এবং নবী (সা) এর প্রতি দরূদ পাঠ করা ব্যতীত উঠে যায়, কিয়ামতের দিন তা তাদের জন্য আফসোসের কারণ হবে।

1811 – “ما جلس قوم مجلسا لم يذكروا الله تعالى، ولم يصلواعلى نبيهم، إلا كان عليهم ترة  فإن شاء عذبهم وإن شاء غفر لهم”. (ت هـ عن أبي هريرة وأبي سعيد) . 

যে সম্প্রদায় কোন মজলিসে একত্রিত হয় আর তারা না আল্লাহর যিকির করে আর না নবী (সা) এর প্রতি দরূদ পাঠ করে, এটা তার জন্য ক্ষতি ও আফসোসের কারণ হবে। এখন আল্লাহ ইচ্ছা করলে শাস্তি দিবেন অথবা মাফ করে দিবেন।

1812 – “ما اجتمع قوم ثم تفرقوا عن غير ذكر الله، وصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم، إلا قاموا عن أنتن جيفة”. (الطيالسي هب عن جابر) .

যে সম্প্রদায় কোন মজলিসে একত্রিত হয়ে আল্লাহর যিকির এবং নবী (সা) এর প্রতি দরূদ পাঠ ব্যতীত উঠে যায়, তবে সে যেন দুর্গন্ধযুক্ত মুর্দার উপর থেকে উঠল।

 1813 – “ما اجتمع قوم فتفرقوا عن غير ذكر الله، إلا كأنما تفرقوا عن جيفة حمار، وكان ذلك المجلس عليهم حسرة”. (حم عن أبي هريرة) .

যে সম্প্রদায় কোন মজলিসে একত্রিত হয়ে আল্লাহর যিকির এবং নবী (সা) এর প্রতি দরূদ পাঠ ব্যতীত উঠে যায়, তবে সে যেন দুর্গন্ধযুক্ত মৃত গাধার উপর থেকে উঠল। আর এই মজলিস তার জন্য ক্ষতি ও আফসোসের কারণ হবে।

1814 – “ما عمل ابن آدم عملا أنجى له من عذاب من ذكر الله”. (حم عن معاذ) .

মানুষ আল্লাহর যিকির ব্যতীত এমন কোন আমল করতে পারে না, যা তাকে আল্লাহর আযাব থেকে অধিক রক্ষা করতে পারে।

1815 – “ما قال عبد لا إله لا الله قط مخلصا إلا فتحت له أبواب السماء حتى يفضي إلى العرش، ما اجتنب الكبائر”. (ت عن أبي هريرة) .

এমন কোন বান্দা নেই, যে আন্তরিকতার সাথে ‘লা ইলাহ ইল্লাল্লাহ’ না বলে, আর তার জন্য আসমানের দরজা খুলে দেয়া না হয়, এমনকি তা আরশের নিচে পোঁছে যায়- যে পর্যন্ত সে কবীরা গুনাহ থকে বেঁচে থাকে।

1816 – “ما من الذكر أفضل من لا إله إلا الله، ولا من الدعاء أفضل من الاستغفار”. (طب عن ابن عمر) .

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর চেয়ে উত্তম কোন যিকির নাই। আর ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা থেকে উত্তম কোন দুআ নাই।

1817 – “ما من بقعة يذكر اسم الله فيها، إلا استبشرت بذكر الله إلى منتهاها من سبع أرضين، وإلا فخرت على ما حولها من بقاع الأرض، وإن المؤمن إذا أراد الصلاة من الأرض، تزخرفت له الأرض”.

যমীনের যে স্থানেই আল্লাহর যিকির করা হয়, সেই স্থান তার সপ্ত যমীনের শেষ সীমা পর্যন্ত আনন্দিত হয়ে যায় এবং যমীনের অপর স্থানের সাথে গর্ব করে। আর যখন কোন মুমিন বান্দা যমীনের কোন অংশে নামায পড়ার ইচ্ছা করে, তখন তার জন্য যমীনকে সজ্জিত করা হয়।

1818 – “إن البيت الذي يذكر فيه اسم الله ليضيء لأهل السماء كما تضيء النجوم لأهل الأرض”. (أبو نعيم في المعرفة عن سابط) .

যেই ঘরে আল্লাহর নাম স্মরণ করা হয়, সেই ঘর আসমানবাসীদের জন্য এমনভাবে চমকায়  যেমনভাবে যমীনবাসীদের জন্য তারকা চমকায়।

1819 – “ما من ساعة تمر بابن آدم لم يذكر الله فيها إلا حسر عليها يوم القيامة”. (حل هب عن عائشة) .

আদম সন্তানের যে মুহুর্তটিই আল্লাহর যিকির ব্যতীত অতিবাহিত হয়, কিয়ামতের দিন এটা তার জন্য ক্ষতি ও আফসোসের কারণ হবে।

1820 – ” مثل البيت الذي يذكر الله فيه، والبيت الذي لا يذكر الله تعالى فيه مثل الحي والميت”. (ق عن أبي موسى) .

যেই ঘরে আল্লাহর যিকির করা হয় আর যেই ঘরে আল্লাহর যিকির করা হয় না, তার দৃষ্টান্ত জীবিত ও মৃতের ন্যায়।

1821 – “مجالس الذكر تنزل عليهم السكينة، وتحف بهم الملائكة وتغشاهم الرحمة ويذكرهم الله على عرشه”. (حل عن أبي هريرة وأبي سعيد) .

যিকিরের মজলিসে প্রশান্তি নাযিল হয়। ফেরেশতারা তাদেরকে ঘিরে রাখে। আল্লাহর রহমত তাদেরকে বেষ্টন করে। আর মহান আল্লাহ আরশের উপর তাদের আলোচনা করেন।

1822 – “ما من قوم يذكرون الله إلا حفت بهم الملائكة وغشيتهم الرحمة، ونزلت عليهم السكينة وذكرهم الله فيمن عنده”. (هـ ت  عن أبي هريرة وأبي سعيد) .

যে সম্প্রদায় আল্লাহর যিকির করে, ফেরেশতারা তাদেরকে ঘিরে রাখে। আল্লাহর রহমত তাদেরকে বেষ্টন করে। তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল হয়। আর আল্লাহ তাআলা তার পার্শস্থ ফেরেশতাদের সাথে তার আলোচনা করেন।

1823 – “ما جلس قوم يذكرون الله إلا حفتهم الملائكة وغشيتهم الرحمة ونزلت عليهم السكينه وذكرهم الله فيمن عنده”. (حب عن أبي سعيد وأبي هريرة) .

কোন সম্প্রদায় নেই যারা আল্লাহর যিকিরে মশগুল হয়, আর ফেরেশতারা তাদেরকে ঘিরে না রাখে। আল্লাহর রহমত তাদেরকে বেষ্টন করে। তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল হয়। আর আল্লাহ তাআলা তার পার্শস্থ ফেরেশতাদের সাথে তার আলোচনা করেন।

1824 – “لا يقعد قوم يذكرون الله إلا حفتهم الملائكة وغشيتهم الرحمة ونزلت عليهم السكينة وذكرهم الله فيمن عنده”. (حم م عن أبي هريرة وأبي سعيد) .

কোন সম্প্রদায় এমন নেই যারা আল্লাহর যিকির করতে বসে, আর ফেরেশতারা তাদেরকে ঘিরে না রাখে। আল্লাহর রহমত তাদেরকে বেষ্টন করে। তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল হয়। আর আল্লাহ তাআলা তার পার্শস্থ ফেরেশতাদের সাথে তার আলোচনা করেন।

1825 – “مفاتيح الجنة شهادة أن لا إله إلا الله”. (حم عن معاذ) .

জান্নাতের চাবি হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর সাক্ষ্য প্রদান করা।

1826 – “من أطاع الله فقد ذكر الله، وإن قلت صلاته وصيامه وتلاوته للقرآن”. (طب عن واقد) .

যে আল্লাহর আনুগত্য করল সে আল্লাহকে স্মরণ করল, যদিও তার নামায রোযা ও কুরআন তিলাওয়াত কম হয়।

1827 – “من أكثر ذكر الله فقد برئ من النفاق”. (طص عن أبي هريرة) .

যে অধিক পরিমানে আল্লাহর যিকির করল, সে নিফাক থেকে মুক্তি পেল।

 1828 – “من أكثر ذكر الله أحبه الله تعالى”. (قط عن عائشة) .

যে অধিক পরিমানে আল্লাহর যিকির করে, আল্লাহ তাকে মহব্বত করেন।

1829 – “من أحب شيئا أكثر ذكره” . (فر عن عائشة) .

যে যা পছন্দ করে, সে তা বেশী স্মরণ করে।

1830 – “من ذكر الله ففاضت عيناه من خشية الله حتى يصيب الأرض من دموعه لم يعذبه الله يوم القيامة”. (ك عن أنس) .

যে ব্যক্তি আল্লাহকে স্মরণ করল এবং আল্লাহর ভয়ের কারণে তার চোখ অশ্রুসজল হলো। এমনকি যমীনে কয়েক ফোঁটা গড়িয়ে পড়ল। তবে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তাকে শাস্তি দিবেন না। 

1831 – “ذاكر الله في الغافلين بمنزلة الصابر في الغازين” . (طب عن ابن مسعود) .

গাফিলদের মধ্যে যিকিরকারীর দৃষ্টান্ত এমন, যেমন (যুদ্ধে) গাযীদের মধ্যে সবরকারী।

1832 – “ذاكر الله في الغافلين مثل الذي يقاتل مع الغازين وذاكر الله في الغافلين مثل المصباح في البيت المظلم، وذاكر الله في الغافلين كمثل الشجرة الخضراء في وسط الشجر الذي قد تحات من الصريد، وذاكر الله في الغافلين يعرفه الله عز وجل مقعده من الجنة، وذاكر الله في الغافلين يغفر الله له بعدد كل فصيح وأعجم”. (حل عن ابن عمر) .

গাফিলদের মধ্যে আল্লাহর যিকিরকারীর দৃষ্টান্ত এমন, যেমন (যুদ্ধে) গাযীদের মধ্যে জিহাদকারী। গাফিলদের মধ্যে আল্লাহর যিকিরকারীর দৃষ্টান্ত এমন, যেমন অন্ধকার ঘরে আলোর প্রদিপ। গাফিলদের মধ্যে আল্লাহর যিকিরকারীর দৃষ্টান্ত এমন, যেমন পাতাঝড়া গাছের মধ্যে সবুজ শ্যামল গাছ। গাফিলদের মধ্যে আল্লাহর যিকিরকারীকে আল্লাহ তাআলা জান্নাতে তার ঠিকানা চিহ্নিত করে দেন। গাফিলদের মধ্যে আল্লাহর যিকিরকারীকে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মানুষ ও জীব-জন্তুর সমপরিমাণ মাগফিরাত করেন।

1833 – “ذاكر الله خاليا كمبارزة إلى الكفار من بين الصفوف”. (الشيرازي في الألقاب عن ابن عباس) .

নির্জনে আল্লাহর যিকিরকারীর দৃষ্টান্ত এমন, যেমন কাফিরদের সারির মধ্যে দাড়িয়ে দুশমনদের সাথে বীরত্ব প্রদর্শনকারী।

1834 – “إني كرهت أن أذكر الله إلا على طهر”. (د ن حب ك عن المهاجر بن قنفذ) .

আমি পবিত্রতা ব্যতীত আল্লাহর যিকির করা অপছন্দ করি।

1835 – “أعظم الناس درجة الذاكرون الله”. (هب عن أبي سعيد) .

লোকদের মধ্যে উচ্চ মর্যাদার লোক হলো আল্লাহর যিকিরকারী।

1836 – “أكثروا ذكر الله تعالى على كل حال، فإنه ليس عمل أحب إلى الله ولا أنجى لعبده من ذكر الله تعالى في الدنيا والآخرة”. (هب عن معاذ) .

সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকির বেশী করে কর। কেননা আল্লাহর নিকট তার যিকির থেকে বেশী আর কিছু প্রিয় নয়। আর বান্দার জন্য দুনিয়া আখিরাতে আল্লাহর শাস্তি থেকে নাজাত প্রদানকারী আল্লাহর যিকির থেকে বেশী কোন কিছু নেই।

1837 – ” إن ذكر الله شفاء وإن ذكر الناس دآء”. (هب عن مكحول مرسلا) .

আল্লাহর যিকির হলো আরোগ্য। আর মানুষের স্মরণ হলো রোগ।

1838 – “لذكر الله في الغداة والعشي خير من حطم السيوف في سبيل الله”. (فر عن أنس)

সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর যিকির জিহাদে তলোয়ার ভাঙ্গার চেয়েও উত্তম।

1839 – “الذين لا تزال ألسنتهم رطبة من ذكر الله يدخل أحدهم الجنة وهو يضحك”. (أبو الشيخ في الثواب عن أبي الدرداء) .

যাদের যবান আল্লাহর যিকির দ্বারা তরতাজা ও সিক্ত থাকে, তারা হাসতে হাসতে জান্নাতে যাবে।

1840 – “لا تكثروا الكلام بغير ذكر الله فإن كثرة الكلام بغير ذكر الله قسوة القلب وإن أبعد الناس من الله القلب القاسي”. (ت عن ابن عمر) .

আল্লাহর যিকির ব্যতীত বেশী কথা বলো না। কেননা আল্লাহর যিকির ব্যতীত অধিক কথা অন্তরকে কঠিন করে দেয়। আর লোকদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি আল্লাহর থেকে বেশী দূরে, যে কঠিন হৃদয়ের হয়।

1841 – “لا يزال لسانك رطبا من ذكر الله”. (حم ت هـ حب ك عن عبد الله بن بسر) .

তোমার যবান যেন সর্বদা আল্লাহর যিকির দ্বারা তরতাজা থাকে।

1842 – “يا أيها الناس اذكروا الله جاءت الراجفة تتبعها الرادفة جاءت الراجفة تتبعها الرادفة جاء الموت بما فيه”. (حم ت ك عن أبي) .

হে লোক সকল, তোমরা আল্লাহকে স্মরণ কর! প্রথম শিঙ্গা ধ্বনির সময় আসছে তাকে অনুসরণ  করবে পরবর্তী শিংগা ধ্বনি। প্রথম শিঙ্গা ধ্বনির সময় আসছে তাকে অনুসরণ  করবে পরবর্তী শিংগা ধ্বনি। আর এর সাথে মৃত্যু তার সব কিছু নিয়ে সমাগত।

1843 – “يقول الله تعالى: أخرجوا من النار من ذكرني يوما أو خافني في مقام”. (ت ك عن أنس) .

আল্লাহ তাআলা বলবেন, জাহান্নাম থেকে ঐ ব্যক্তিকে বের করে আন, যে কোনদিন আমাকে স্মরণ করেছে অথবা কোনদিন আমাকে ভয় করেছে।

1844 – “إن الله إذا ذكر شيئا تعاظم ذكره” (ك عن معاوية) .

আল্লাহ তাআলা যখন কোন কিছুর আলোচনা করেন, তখন তার নাম ও মর্যাদা বেড়ে যায়।

1845 – “أفضل العباد درجة عند الله يوم القيامة الذاكرون الله كثيرا، قيل ومن الغازي في سبيل الله، قال: لو ضرب بسيفه في الكفار والمشركين حتى ينكسر ويختضب دما لكان الذاكرون الله كثيرا أفضل منه درجة”. (حم ت غريب (ع) وابن شاهين في الذكر عن أبي سعيد) .

কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে উঁচু মর্যাদার অধিকারী হবে ঐ সব লোক যারা অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকির করে। জিজ্ঞাসা করা হলো, আল্লাহর পথে জিহাদকারী কে? তিনি বললেন, যে কাফির ও মুশরিকদের সাথে এমনভাবে তলোয়ার চালায় যে, তা ভেঙ্গে যায় এবং রক্ত প্রবাহিত হয়। আল্লাহর যিকিরকারী ব্যক্তি তার চেয়েও উত্তম।

الإكمال

1846 – “أكثرهم لله ذكرا”. (حم طب عن معاذ بن أنس) قال: “سئل رسول الله صلى الله عليه وسلم أي المجاهدين أعظم أجرا وأي الصائمين أعظم أجرا، وكذا الصلاة والزكاة والحج والصدقة ” قال فذكره.

তাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশী আল্লাহর যিকির করে।

রাসূলুল্লাহ (সা) কে জিজ্ঞাসা করা হলো কোন মুজাহিদ সবচেয়ে বেশী প্রতিদান লাভের যোগ্য এবং কোন রোযাদার সবচেয়ে বেশী প্রতিদান লাভের যোগ্য। আর সাদকার ব্যাপারেও জিজ্ঞাসা করা হলো। তখন রাসূলুল্লাহ (সা) এই সবগুলোর উত্তরে উক্ত ইরশাদ করেন।

1847 – “أكثروا ذكر الله فإنه ليس شيء أحب إلى الله ولا أنجى لعبده من خشيته في الدنيا والآخرة من ذكر الله تعالى، ولو أن الناس اجتمعوا على ما أمروا به من ذكر الله لم يكن مجاهد في سبيل الله وإن الجهاد شعبة من ذكر الله”. (هب وضعفه عن معاذ)

অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকির কর। কেননা আল্লাহর নিকট আল্লাহর যিকির থেকে বেশী আর কিছু প্রিয় নয়। আর বান্দার জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে (সকল) ভয়-ভীতি থেকে মুক্তি ও নিরাপত্তার জন্য আল্লাহর যিকির থেকে বেশী আর কিছু নেই। লোকদেরকে যেভাবে যিকির করার হুকুম দেওয়া হয়েছে, যদি তারা এর উপর মজবুত হয়ে যেত তবে আল্লাহর পথে জিহাদ করার কেউ থাকত না।  

1848 – “إن لكل شيء صقالة صاقل وإن صقالة القلوب ذكر الله وما من شيء أنجى من عذاب الله ولو أن تضرب بسيفك حتى ينقطع”. (هب عن ابن عمر) .

প্রত্যেক জিনিসের একটি পরিষ্কারক আছে যা তার রং অথবা যে কোন ধরণের নোংড়া কচলে পরিষ্কার করে দেয়। অনুরপ অন্তরের পরিষ্কারক হলো আল্লাহর যিকির। আর আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষাকারী আল্লাহর যিকির থেকে উত্তম কিছু নাই। যদিও তলোয়ার এতটা চালানো হয় যে, তা ভেঙ্গে যায়।

1849 – “ألا أخبركم بخير أعمالكم وأزكاها وأرفعها في درجاتكم، وخير ممن أعطى الذهب والورق، وخير من أنه لو غدوتم إلى عدوكم، فضربتم رقابهم وضربوا رقابكم اذكروا الله ذكرا كثيرا”. (هب عن ابن عمر) .

আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে উত্তম আমলের কথা বলব না, যা তোমাদেরকে পরিশুদ্ধ করবে, তোমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবে এবং যা আল্লাহর পথে সোনা-রুপা খরচ করা চেয়েও উত্তম। আর এটাও যে, তোমরা জিহাদের ময়দানে শত্রুর মুখোমুখি হয়ে শত্রুর গর্দান নেবে আর তারা তোমাদের গর্দান নেবে তা থেকেও উত্তম। তা হলো অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকির।

1850 – “لذكر الله بالغداة والعشي أفضل من حطم السيوف في سبيل الله، ومن إعطاء المال سحاء”. (ابن شاهين في الترغيب في الذكر عن ابن عمر ش عنه موقوفا) .

সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর যিকির করা জিহাদে তলোয়ার ভাঙ্গা এবং অনেক সম্পদ ব্যয় করা থেকেও উত্তম।

1851 – “ما عمل آدمي عملا أنجى له من عذاب الله من ذكر الله، قالوا: ولا الجهاد في سبيل الله؟ قال: ولا الجهاد إلا أن تضرب بسيفك حتى ينقطع ثم تضرب به حتى ينقطع ثم تضرب به حتى ينقطع”.

(ش حم طب عن معاذ) .

কোন বান্দা আল্লাহর আযাব থেকে অধিক রক্ষাকারী আল্লাহর যিকিরের চাইতে উত্তম কোন আমল করতে পারে নি। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করাও নয় কি? তিনি (সা) বললেন, না। এমনকি যদিও তলোয়ার দ্বারা এমনভাবে যুদ্ধ কর যে, তা ভেঙ্গে যায়। অতঃপর আরেকটি দ্বারা যুদ্ধ কর আর তাও ভেঙ্গে যায়। অতঃপর আরেকটি দ্বারা যুদ্ধ কর আর তাও যদি ভেঙ্গে যায়।

1852 – “من عجز منكم عن الليل أن يكابده، وبخل بالمال أن ينفقه، وجبن عن العدو أن يجاهده، فليكثر من ذكر الله”. (طب هب وابن النجار عن ابن عباس) .

তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রাতের (ইবাদতের) কষ্ট সহ্য করতে অক্ষম হয়, ধন-সম্পদ খরচ করতে কুণ্ঠিত হয় এবং শত্রুর সাথে লড়াই করতে পিছপা হয়, তবে তার উচিত অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকির করা।

1853 – “من هاب منكم الليل أن يكابده، وخاف العدو أن يجاهده وضن بالمال أن ينفقه فليكثر من ذكر الله”. (ابن شاهين في الترغيب في الذكر عن ابن عباس) .

তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রাতের (ইবাদতের) কষ্ট সহ্য করতে ভয় পায়, শত্রুর সাথে লড়াই করতে ভয় পায় এবং ধন-সম্পদ খরচ করতে কুণ্ঠিত হয়, তবে সে যেন অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকির করে।

1854 – “من هاله الليل أن يكابده، وبخل بالمال أن ينفقه، وجبن العدو أن يقاتله، فليكثر أن يقول: سبحان الله وبحمده فإنها أحب إلى الله من جبل ذهب وفضة ينفقان في سبيل الله”. (طب وابن شاهين وابن عساكر عن أبي أمامة ولفظ ابن شاهين فإنهما أحب إلى الله من جبل ذهب وفضة ينفقهما في سبيل الله. (وهو ضعيف) .

তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রাতের (ইবাদতের) কষ্ট সহ্য করতে ভয় পায়, ধন-সম্পদ খরচ করতে কুণ্ঠিত হয় এবং শত্রুর সাথে লড়াই করতে পিছপা হয়, তবে তার উচিত অধিক পরিমাণে ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ পাঠ করা। কেননা তা আল্লাহর নিকট সোনা রুপার পাহাড় খরচ করা হতেও উত্তম।

1855 – “ذاكر الله في الغافلين بمنزلة الصابر في الفارين”. (طب عن ابن مسعود) .

গাফিলদের মধ্যে যিকরকারীর দৃষ্টান্ত এমন যেন (যুদ্ধে) পলাতকদের মধ্যে ধৈর্যধারণকারী।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment