জীবনে চলার পথে নানামুখী কষ্টের সম্মুখীন আপনাকে হতে হবে। তন্মধ্যে একটি হলো মানুষের দেয়া ‘কথার আঘাত’। যা আপনার হৃদয়কে সর্বদা অস্থির করে রাখে। কষ্ট আসবেই– এই মানসিকতা আগে থেকে তৈরী থাকলে, আপনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে পারবেন। আর সহজে মোকাবিলাও করতে পারবেন।
আসুন এই সুযোগটাকে আমরাও কাজে লাগাই। যাতে আমরাও এর থেকে সুবিধা গ্রহণ করতে পারি আর আমার অন্তরও মুতমাইন হয়ে যায়। মানুষ নানাবিধ কথা-বার্তা দিয়ে আপনাকে কষ্ট দিবেই। হয়তো কেউ গীবত করে, হয়তো অপবাদ দিয়ে। এই পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে নিজেকে ক্লান্ত করবেন না। বরং সুযোগটাকে কাজে লাগান। প্রথমত, তাদের করা গীবতের কারণে আপনি তাদের নেকীগুলো পেয়ে যাবেন, আর আপনার গুণাহের মাগফিরাত হতে থাকবে। এটা একটা সুযোগ।
দ্বিতীয়ত, আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন। মুসনাদে আহমদ এর বর্ণনায় এসেছে, রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন– ‘ক্ষমা করো, তোমাদেরকেও ক্ষমা করা হবে।’ তার মানে কেউ যখন আপনাকে নানানভাবে কষ্ট দেয় আর আপনি তখন নিজের মাগফিরাত করানোর একটা সুযোগ হাতে পেয়ে যান। এমনিতেই গুণাহের সাগরের কতো গভীরে আমরা ডুবে আছি। গুণাহ আমাদের ওপর জেঁকে বসেছে। তাই মাগফিরাতের কোনো সুযোগই হাতছাড়া করা উচিত নয়। কারণ গীবত, অপবাদ এসব আপনি চাইলেও ঠেকাতে পারবেন না। তাই অন্যভাবে ফায়দা নিতে শিখুন।
ক্ষমা করে দিলে আপনার অন্তরও প্রশান্ত হবে। আর এটা নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তা করতে থাকলে, আপনি নিজেকেই নিজে কষ্ট দিতে থাকবেন। অন্য কাজে ব্যস্ত থাকুন। যাদের লক্ষ্য, চিন্তা-চেতনা বড়, তাদের এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ভাবার সময় কই..?
এমন পরিস্থিতি নিজের সামনে আসলে, এভাবে দোয়া করতে পারেন– ‘হে আল্লাহ! আমার ব্যাপারে তারা যা বলে তা যদি সত্য হয়, তবে তুমি আমাকে ক্ষমা করো এবং সংশোধন করে দাও। আর যদি এগুলো মিথ্যা হয়, তবে তাদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং সংশোধন করে দাও।’
আল্লাহ তায়ালা বলেন–
‘এবং ভালো ও মন্দ সমান হবে না। হে শ্রোতা! মন্দকে ভালো দ্বারা প্রতিহত করো! তখন ওই ব্যক্তি যে তোমার মধ্যে আর তার মধ্যে শত্রুতা ছিল, এমন হয়ে যাবে যেমন অন্তরঙ্গ বন্ধু।’ -সূরা হা-মীম-সাজদাহ : ৩৪