হযরত শেরেখোদা মাওলা আলীর (রাঃ) নিকট এক ব্যক্তি ঋণমুক্তির জন্য সাহায্য প্রার্থনা করলে তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ চ্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কিছু বাক্য শিখিয়ে দিয়েছেন, আমি তোমাকে তা শিখিয়ে দিচ্ছি। তোমার যদি পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকে তাহলেও আল্লাহ তোমার পক্ষ থেকে তা আদায় করে দেবেন এবং তোমাকে ঋণমুক্ত করবেন। তুমি বলবে:
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আ‘গনিনী বিফাদলিকা ‘আম্মান সিওয়াকা।
অর্থঃ “হে আল্লাহ, আপনি আপনার হালাল প্রদান করে আমাকে হারাম থেকে রক্ষা করুন এবং আপনার দয়া ও বরকত প্রদান করে আমাকে আপনি ছাড়া অন্য সকলের অনুগ্রহ থেকে বিমুক্ত করে দিন।”
তিরমিযী , মুসতাদরাক হাকিম
আনাস (রাঃ) বলেন, হুজুর আনওয়ার রাউফুর রাহীম চ্বাল্লাল্লাহু আলাইহি বেশি বেশি নিম্নের দু‘আটি বলতেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’ঊযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল ‘হাযানি ওয়াল ‘আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দিলা‘ইদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল।
অর্থঃ “হে আল্লাহ আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি দুশ্চিন্তা, দুঃখ-বেদনা, মনোকষ্ট, অক্ষমতা, অলসতা, কৃপণতা, কাপুরুষতা, ঋণের বোঝা এবং মানুষের প্রাধান্য বা প্রভাবের অধীনতা থেকে।”
বুখারী
“আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল ফাক্বরি ওয়াল কিল্লাতি ওয়ায যিল্লাতি ওয়া আ’উযুবিকা মিন আন আযলিমা আও উযলিমা”।
অর্থ: হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট অভাব, স্বল্পতা ও অপমান হতে আশ্রয় চাই, আরো আশ্রয় চাই অত্যাচার করা ও অত্যাচার হওয়া থেকে।
(আবু দাউদ)।
আনাস (রাঃ) বলেন, রাছুলে পাক চ্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু’আযকে (রাঃ) বলেন, যদি তুমি এই দু‘আটি বলে প্রার্থনা কর তাহলে তোমার পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তা তোমার পক্ষ থেকে আদায় করে দেবেনঃ
اللَّهُمَّ مَالِكُ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرِ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ رَحْمَانُ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ تُعْطِيهُمَا مَنْ تَشَاءُ وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ ارْحَمْنِي رَحْمَةً تُغْنِينِي بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা, মা-লিকাল মুলকি, তু’তিল মুলকা মান তাশা-উ ওয়া তানযি‘উল মুলকা মিম্মান তাশা-উ। ওয়াতু‘ইয্যু মান তাশা-উ ওয়া তুযিল্লু মান তাশা-উ বিইয়াদিকাল খাইরু, ইন্নাকা ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। রাহমা-নাদ দুনইয়া- ওয়াল আ-খিরাতি ওয়া রাহীমাহুমা-, তু‘অ্তিহিমা- মান তাশা-উ ওয়া তামনা‘উ মিনহুমা- মান তাশা-উ। ইর‘হামনী রাহামতান তুগনীনী বিহা- ‘আন রা‘হমাতি মান্ সিওয়া-কা।
অর্থঃ “হে আল্লাহ, রাজাধিরাজ সকল রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব প্রাদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নেন। আপনি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সকল বিষয়ের উপর শক্তিমান। পার্থিব জগৎ এবং পারলৌকি জগতের মহাকরুণাময় ও অপার দয়াশীল। আপনি যাকে ইচ্ছা এই করুণারাজী প্রদান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত করেন। আপনি আমাকে এমন রহমত প্রদান করুন যে রহমত আমাকে আপনি ছাড়া অন্য কারো করুণা থেকে অমুখাপেক্ষী বানিয়ে দেবে।”
তাবারানী, আল-মু’জামুস সাগীর আত-তারগীব মাজমাউয যাওয়াইদ




Users Today : 90
Users Yesterday : 317
This Month : 28642
This Year : 168119
Total Users : 283982
Views Today : 1166
Total views : 3346853