এটি সত্য যে ঈদে মীলাদুন্নবী ﷺ -এর সময় শয়তান ও তার সহযোগীরা ছাড়র ★ প্র থমবার
যখনআল্লাহতা’লা তাকে অভিশপ্ত আখ্যা দেন;
★দ্বিতীয়বার যখন তাখ য়া হয়;
★তৃতীয়বার যখন মহানবী ﷺ -এর বেলাদত
তথা ধরাধামে শুভাগমন হয়;
★এবং চতুর্থবার যখনসূরা ফাতেহা নাযেল তথা অবতী র্ণ হয়।
শয়তান চার বার কেঁদেছিল
♠[ইবনে কাসীর কৃতঃআল-বেদায়া ওয়ান্ নেহায়া, ২ য় খণ্ড, ১৬৬ পৃষ্ঠা]।
♣♣সহিহ বুখারী শরীফের ২য় জিলদের ৭৬৪ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে-
ﻗﺎﻝ ﻋﺮﻭﺓ ﻭﺛﻮﻳﺒﺔ ﻣﻟﻬﺐ ﺍﻋﺘﻘﻬﺎ ﻓﺎﺭﺿﻌﺖ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻣﺎﺕ
ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﺍﺭﻳﻪ ﺑﻌﺾ ﺍﻫﻠﻪ ﺑﺸﺮ ﺣﻴﺒﺔ ﻗﺎﻝ ﻟﻪ ﻣﺎﺫﺍ ﻟ ﻘﻴﺖ ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﻟﻢ ﺍﻟﻖ ﺑﻌﺪﻛﻢ ﻏﻴﺮ ﺍﻧﻰ ﺳﻘﻴﺖ ﻓﻰ ﻫﺬﻩ
ﺑﻌﺘﺎﻗﺘﻰ ﺛﻮﻳﺒﺔ ০
অর্থাৎ হযরত উরওয়া (রাঃ) বলেন, ছোয়াইয় াবা আবু লাহাবের বাদী ছিলেন। আবু লাহাব ্লামের মিলাদ শরীফের খুশিতে) তার বাদীকে আজাদ করে দিয়েছিল। তিনি আল্লাহর হাবিবকে দুধ পান করিয়েছিলেন। আবু লাহাবের মৃত্যুর (এক বৎসর) পর, তার কোন আহল (হয রত আব্বাস (রাঃ) স্বপ্নে দেখেছিলেন, তার অবস্থা খু বই শোচনীয়। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, মৃত্যুর পর তোমার অবস্থা কেমন? ের নিকট থেকে আসার পর আমি কোন শান্তি পাই নাই, শুধুমাত্র
আমি যে ফের খুশিতে
) ছোয়াইবাকে (তর্জ্জনী ও
মধ্যমা অঙ্গ ুলি দ্বারা ঈশারা করত) আজাদ করে দিয়েছিলাম, সে কা রণে িছু পানি জমে থাকে) আামি পানি চুষে প্রতি সোমবারে আজাব নিরসন করে থাকি।”
★উল্লেখ্য যে, আল্লামা ইবনে হজর আসকালানী (রাঃ) এ র লিখিত ‘ফতহুল বারী শরহে বুখারী’ ৭ম জিলদের ১২৫ পৃ ষ্ঠা অনুকরণে উপরোক্ত হাদিস শরীফের সারাংশ লেখা হয়েছে।
★উক্ত হাদিস শরীফের আলোকে ইমাম ইবনুজ জাজরী (রাঃ )
বলেন-
ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﺍﻟﺠﺰﺭﻯ ﻓﺎﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻫﺬﺍ ﺍﺑﻮﺍﻟﻬﺐ ﺍﻟﻜﺎ ﻓﺮ ﺍﻟﺬﻯ ﻧﺰﻝ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ ﺑﺬﻣﻪ ﺟﻮﺯﻯ ﻓﻰ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﺑﻔﺮﺣﻪ ﻟﻴﻠ ﺔ ﻣﻮﻟﺪ
ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺑﻪ ﻓﻤﺎ ﺣﺎﻝ ﺍﻟﺴﻠ ﻢ ﺍﻟﻤﺆﺣﺪ ﻣﻦ ﺍﻣﺘﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺍﻟﺬﻯ ﻳﺴﺮ ﺑﻤﻮﻟﻳﻩ ﺬﻝ
ﻣﺎﺗﺼﻞ ﺍﻟﻴﻪ ﻗﺪﺭﺗﻪ ﻓﻰ ﻣﺤﺒﺘﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻌﻤﺮﻯ ﺍ ﻧﻤﺎ ﻳﻜﻮﻥ ﺟﺰﺍﺅﻩ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻜﺮﻳﻢ ﺍﻥ ﻳﺪﺧﻠﻪ
ﺑﻔﻀﻠﻪ ﺍﻟﻌﻤﻴﻢ ﺟﻨﺎﺕ ﺍﻟﻨﻌﻴﻢ ০ ( ﻣﻮﺍﻫﺐ ﺍﻟﻠﺪﻧﻴﻪ ﺝ ১ ০ ﺹ২৭ ﺯﺭﻗﺎﻧﻰ ﺝ ০১ ﺹ১৩৯ )
‘ইমাম ইবনে জাজরী (রাঃ) বলেন যে কাফের আবু লাহাবের দুর্নামে কোরআন নাজিল হয়ে ছে এবং যার জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত, সে আবু লাহ াবও যদি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা মের মিলাদুন্নবীর উপর খুশি হওয়াতে সুফল পেল, তাহলে তাঁর উম্মতের মধ্যে যে একত্ববাদী মুসলমান এবং তাঁর মিলাদুন্নবীতে আনন ্দিত হয় তাঁর মহব্বতে যথাসাধ্য দান করে, তার অবস ্থা কী হবে? আমি কসম করে বলছি যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ হতে তার বিনিময় এ হবে, তিনি সর্বব্যাপী গ্রহ দ্বারা তাকে জান্নাতুননাঈমে প্রবেশ করাবে ন।’
★★ (মাওয়াহিবে লাদুনিয়া ১ ম পৃঃ পৃঃ
★★ জারকানী ১ জিল্দ ১৩৭ ১৩৭)
♦ উপরোক্ত বর্ণিত আল্লামা আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রাঃ) তদীয় ‘মাদারিজুন’ নামক কিতাবে কিতাবে কিতাবে-
ﺟﻨﺎﻧﺠﻪ ﺩﺭ ﺣﺪﻳﺚ ﺍﻣﺪﻩ ﺍﺳﺖ ﻭﺩﺭﻳﻨﺠﺎ ﺳﻨﺪﺍﺳﺖ ﻣﺮﺍﻫﻞ ﻣﻮﺍﻟﻴﺪ ﺭﺍﻛﻪ ﺩﺭﺷﺐ ﻣﻴﻼﺩ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠ ﺳﺮﻭﺭ ﻛﻨﻨﺪ ﻭﺑﺬﻝ ﺍﻣﻮﺍﻝ ﻧﻤﺎﻳﻨﺪ ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﻛﻪ ﻛﺎﻓ ﺮ ﺑﻮﺩ ﻭﻗﺮﺍﻥ ﺑﻤﺬﻣﺖ ﻭﻯ ﻧﺎﺯﻝ ﺷﺪﻩ ﺟﻮﻥ
ﺑﺴﺮﻭﺭ ﺑﻤﻴﻼﺩ ﺍ ﻧﺤﻀﺮﺕ ﻭ ﺑﺬﻝ ﺷﻴﺮ ﺟﺎﺭﻳﻪ
ﻭﻯ ﺑﺠﻬﺔ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﺟﺰﺍ ﺩﺍﺩﻩ ﺷﺪ ﺗﺎﺣﺎﻝ ﻣﺴﻠﻤﺎﻥ ﻛﻪ ﻣﻤﻠﻮﺳﺖ ﺑﻤﺤﺒﺖ ﻭﺳﺮﻭﺭ ﻭﺑﺬﻝ ﻣﺎﻝ ﺩﺭ ﻃﺮﻳﻖ ﻭﻯ
ﺟﻪ ﺑﺎﺷﺪ ﻭﻟﻴﻜﻦ ﺑ ﺎﻳﺪﻛﻪ ﺍﺯ ﺑﺪﻋﺘﻬﺎ ﻛﻪ ﻋﻮﺍﻡ ﺍﺣﺪﺍﺙ ﻛﺮﺩﻩ ﺍﻧﺪﺍﺯ ﺗﻐﻨﻰ ﻭ ﺍﻻﺕ ﻣﺤﺮﻣﻪ ﻭ ﻣﻨﻜﺮﺍﺕ ﺧﺎﻟﻰ
ﺑﺎﺷﺪ ০ ( ﻣﺪﺍﺭﺝ ﺍﻟﻨﺒﻮﺕ ﺝ২ ০ ﺹ২৬ )
অর্থাৎ উস্তাযুল মুহাদ্দিসিন আল্লামা শেখ আব্ দুল হক মেহাদ্দিসে দেহলভী রাঃ লাদ শরীফ পাঠকারীদের জন্য একটি বৃহত্তম দলিল, যা রা মিলাদুন্নবীর রাতে আনন্দ উৎসব ও দান খয়ারাতক রে থাকেন। অর্থাৎ আবু লাহাব কাফের এবং তার দুর্নামে কোরআন নাজিল হওয়া সত্বেও নবী পাক সাল্লাল্লাহু ক হি ওয়াসাল্লামের জন্মের নন্দিত হয়ে নূরবীকে দুধপান করানোর নিমিত্তে বা দী আজাদ করে দেয়, সে কারণে তাকে পুরস্কার দেয়া হ ল প্রতি সোমবারে আজাব নিরসন করা হল এখন যার ঈমর ার নবীপ্রেমিক (
মিলাদুন্নবীর রাতে) আনন্দ উৎসব ও দান খয়রাত করেন তাঁদের পুরস অবশ্য সে মিলাদকে শরীফে গান ও হার াম বাদ্যযন্ত্র হতে পবিত্ররাখতে হবে।
★★ জুন নবুয়ত ২য় খণ্ড ২৬ পৃঃ)
উল্লেখ্য যে, স্বপ্ন শরিয়তের দৃষ্টিতে দলিলরূপে গণ্য
হতে পারে না, এমনকি কাফেরদের কোন আমলই আল্লাহর দ রবারে গৃহীত হয় না, ইহা অতীব সত্য। কিন্তু এখানে একমাত্র রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহ ু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্খ রুণ দলিলরূপে গণ্য হল। তা শুধুমাত্র নবীর জন্য খাস।
♣যেমন ফতহুল বারী শরহে বুখারী ৯ম জিল্দের ১৫৪ প ৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে-
ﻓﻴﺤﺘﻤﻟ ﺎﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﺨﺼﻮﺻﺎ ﻣﻦ ﺫﺍﻟﻚ ﺑﺪﻟﻴﻞ ﻗ ﺼﺔ ﺍﺑﻰ ﻃﺎﻟﺐ ﻛﻤﺎ
ﺗﻘﺪﻡ ﺍﻧﻪ
ﺦ ামা ইবনে হজর আসকালানী (রাঃ) ফতহুল বারী শরহে বুক রী শরীফের মধ্যে এ মাসআলা নিয়ে বিশদ আলোচনা জ ্বপ্ন শরিয়তের দলিলরূপে গণ্য হয় না, কিন্তু এখ ানে হযরত আব্বাস (রাঃ) এর স্বপ্ন আবু লাহাবের আজঽ লাঘব হওয়ার ব্যাপারে কেবলমাত্র নবী করিম সাল্ল াল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার দরুণ
দলিলরূপে গণ্য হতে পারে। অন্য কারো স্বপ্ন শরিয়তের দলিলরী া। তারপর আবু তালেবের আজাব কম হওয়ার প্রসঙ্গ দলিল রূপে উল্লেখ করেছেন।
মুসলিম শরীফের ১ম জিল্দের ১১৫ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে- আবু তালিব কাফের, আজীবন নূরনবী সাল্লাল্লাহ ু আলাইহি ওয়াসাল্লামেস র দরুণ স্বয়ং আল্লাহর হাবিব তার আজাব খুব কম হচ্ ছে এবং হবে বলে সুসংবাদ প্রদান করেছেন।
নোট : ওপরের বর্ণনা একটি ছোট-খাটো ভূমিকামাত্র। পাঠ করা জরুরি কাতে’য়ী তথা প্রামাণিক ও সুস্পষ ্ট দলিল-আদিল্লা নিচে পেশ করা হবে, ইনশা’আল্লাহ।
মুসলমান সর্বসাধারণ মহানবী (দ:)-এর বেলাদত দিবস খ ” ফযল (অনুগ্রহ) ও রহমত (করুণা)’ প্রাপ্তিতে আমাদেরকে আদেশ করেছেন খুশি হতে।নিচের 2 ক ) কুরআন মজীদ ও
এর তাফসীর (ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ);
(খ ) হাদীস শাস্ত্র;
গ এবং
(ঘ ) মীলাদুন্নবী (দ:)-এর বিরুদ্ধে উত্থাপিত আপত ্তির খণ্ডন।
ক. আল-কুরআন ওয়াল ফুরকান ও এর তাফসীরের মাধ্যমে উ পলব্ধি
♥♥দলিল নং ১
আল্লাহতা’লা তাঁর পাক কালামে বলেন,
” (হে রাসূল) আপনি বলুন: আল্লাহর ফযল (অনুগ্রহ) তাঁরই রহমত (দয়া/করুণা), তাতে তাদের (মো মেন মুসলমানদের) খুশি প্রকাশ করা উচিত। তা তাদের সমস
★★ (সূরা ইউনুস, ৫৮ আয়াত)
কেউ কেউ হয়তো কল্পনার ঘোড়া ছুটিয়ে ভাবতে পারেন যে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর রণীর বুকে শুভাগমন কোনো খোদায়ী করুণা নয়; আরও কেউ কেউ মিথ্যেভাবে আল্লাহর রহমতের ভাণ্ডা রকে সীমাবদ্ধ করতে চান এই বলে যে, আলোচ্য
আয়াতে উ ল্লেখিত ‘রহমত’ দ্বারা হুযূর পূর নূর ﷺ
কে উদ্দেশ্য করা হয় নি, আর তাই আমাদের খুশি/আনন্ দ উদযাপন করা উচিত নয়। এমতাবস্থায় এই সমস্ত লোকদের জন্যে সেরা জবাব হ বে কুরআনের আয়াত দ্বারা আয়াতের তাফসীর করা।
আল-কুরআনের অন্যত্র এরশাদ হয়েছে,
” আপনাকে প্রেরণ করেছি জগতসমূহের জন্যে আমার রহম ত (করুণা) করে।”
★
বে প্রমাণিত হলো যে মহানবী ﷺ -এর ধরণীর বুকে শুভাগ মন
কেবল আমাদের জন্যেই রহমত নয়, বরং আল্লাহ পাকে র সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্যেও তা রহমত। তাই কুরআনের (১০:৫৮) নির্দেশ মোতাবেক আমাদের তা উ দযাপন করতে হবে।
♠ইমাম ইবনুল জাওযী নিজ ‘তাফসীর’গ্রন্থে সূরা ইউন ূসের উক্ত ৫৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,” হাক হযরত ইবনে আব্বাস রা: বলেন: এই আয়াতে ‘ফযল’ বলতে জ্ঞান (অর্থাৎ, আল-কুরআন ও তাওহীদ )-কে বুঝিয়েছে; আর ‘রহমত’ বলতে মহানবী ﷺ কে বোঝানো হয়েছে
।” [ইবনে জাওযী কৃত ‘যা’দ আল-মাসীর ফী এলম আত্ তাফসীর’, [:]
েন, “ফযল বলতে জ্ঞানকে, আর রহমত বলতে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।”
★[তাফসীর আল-বাহর আল- মুহীত, ৫:১৭১]
♠ইমাম জালালউদ ্দীন সৈয়ুতী (রহ:) বলেন, “আবু শায়খ হযরত ইবনে আব্ব াস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আল্লাহর ফযল ব লতে জ্ঞানকে, আর রহমত বলতে রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ বলেন, (হে রাসূল) আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি জগতসমূহের জন্যে আমার রহমত (করুণা) করে (সূরা আম্ব িয়া, ১০৭ আয়াত)।”
★[আস্ সৈয়ুতী প্রণীত দুররে মনসূর, ৪:৩৩০]
♠আল্লা মা আলূসী ব্যাখ্যা করেন যে এমন কি ‘ফযল’ (অনুগ্রহ) ব লতেও হযূর পাকﷺ -কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে, যেমনিভা বে বর্ণিত হয়েছে আল-খতীব ও ইবনে আসাকির থেকে যে আ য়াতোক্ত ‘ফযল’ হলেন মহানবী ﷺ।
★[আলূসী রচিত রূহুল মাআনী, ১১:১৪১]
♥♥দলিল নং ২
কুরআন মজীদে এরশাদ হয়েছে,
” এটি আল্লাহর অনুগ্রহ ; He যাকে চান দান করেন; এবং আল্লাহ বড় অনুগ্রহশীল।
☆
দ াহ ইবনে আব্বাস (রা:) ব্যাখ্যা করেন এভাবে: আল্লাহর
অনুগ্রহ অফুরন্ত, যেহেতু তিনি
মহানবম ও নবুয়্যত দান করেছেন; এও বলা হয়েছে যে এর মানে ঈমানদারদের প্রতি তিন ি ইসলামের নেয়ামত বর্ষণ করেছেন। আর এ কথাও
বলা হয়েছে যে এর অর্থ তাঁর সৃষ্টিজগত ের
প্রতি তিনি অনুগ্রহ করেছেন মহানবী ﷺ এবং কেতা ব (কুরআন) প্রেরণ করে।
♥♥ দল িলনং
৩
হযরত এয়াহইয়া (আ:) সম্পর্কে কুরআনে বর্ণিত হয় েছে, ”অতএব, শান্তি তাঁরই প্রতি যেদিন জন্মগ্রহণ ক রেছেন , যেদিন বেসাল প্তহবেন এবং যেদিন জীবিতাবস্থায় পুনরুত্থিত হ বেন।”
☆
র ুলো
আল্লাহর
দৃষ্টিতে ‘শান্তিময়’।
“♥♥দলিল র নিশ্চয় আমি মূসাকে আমার নিদর্শনাদি সহকারে ্রেরণ করেছি (এ কথা বলে) ‘আপন সম্প্রদায়কে অন্ধকার রাশি থেকে আলোতে নিয়ে আসো এবং তাদেরকে আল্লাহর দিনগুলো স্মরণ করিয়ে দাও ‘
!
নিশ্চয় সেটির মধ্যে নিদর্ষ ্ত ধৈর্যশী়
★ (সূরা ইবরাহীম, ৫ আয়াত)
আয়াতোক্ত আল্লাহর ‘আইয়াম’ (দিবস) মানে কী? ইমামবায়হাকী নিজ শুআব আল-ঈমান করেন, যে মহানবী ﷺ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আল্লাহর ‘আই ‘য়াম’ ত ও নিদর্শনাদি’ প্রকাশ পেয়েছে। ★[তাফসীর-এ- রূহুল মা’আনী, সূরা ইব্রাহীম, ৫ আয়াত]
♦♦হাদীস থেকে দলীলঃ♦♦
♥দলিল নং ১
বই-০০৬, হাদীস ন ম্বর-২৬০৬ (সহীহ মুসলিম)
হযরত আবু কাতাদা আনসারী (র া:) বর্ণনা করেন
যে মহানবী (দ:)-কে সোমবার দিন তিনি কেন
রোযা রাখেন সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়; এর
জবাবে তিনি এরশাদ ফরমান: এই দিন আমার বেলাদত(ধ রণীতে শুভাগমন) হয়েছিল এবং এই দিনে আমার প্রতি ও হী অবতীর্ণ হয়।এই হাদীসটি আরও বর্ণনা করেন ইমা ম বায়হাকী তাঁর ‘সুনান
আল-কুবরা’ ২৫৯) গ্রন্থে, ইমাম নাসাঈ নিজ ‘সুনান’ বইয়ে এবং ইম াম আহমদ ইবনে হাম্বল স্বরচিত ‘মুসনাদ’ পুস্তকে।
এই হাদীস থেকে স্পষ্ট হয় যে রাসূলুল্লাহ (দ:) তাঁ র
বেলাদত দিবসের ব্যাপারে খব খুশি ছিলেন এবং তা ই তিনি (আল্লাহর কাছে) কৃতজ্ঞতা প্রকাশের
জন্যে র োযা রেখেছিলেন। রোযা রাখা এক ধরনের
এবাদত; সুতরাং যে কোনো ধরনের এবাদত পালন করে এই দিনকে উ দযাপন করা যায়। কেউ রোযা রাখতেও পারেন, আবার (মীলাদের) মাহফিল (সম াবেশ) করতেও পারেন; কেননা এগুলোর সবই এবাদত।
♥দলিলনং২
খণ্ড-৭, বই-৬২, হাদীস নম্বর-৩৮ ারী)
উরসা(রা:) াবের মুক্ত করে দেয়া ক্রীতদাসী ছিলেন,
যিনি পরব র্তীকালে মহানবী ﷺ -কে বুকের দুধ
খাইয়েছিলেন আবু লাহাব মারা যাবার পরে তার এক আত্মীয় স্বপ্ নে তাকে খুব খারাপ অবস্থায় দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করেন, “তুমি কেমন আচরণ পেলে?” সে উত্তরে বল্লো, “তোমাদের ত্যাগ করার পরে আমি কো নো নিষ্কৃতি পাই নি, তবে প্রতি সোমবার আমার এই ক গুল থেকে খাবার জন্যে পানি প আর এটি এই জন্যে যে আমি তা দ্বারা ে মুক্ত করে দিয়েছিলাম।” সোয়াইবিয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ে ওয়া সাল্লামের বেলাদতের সুসংবাদ আবু লাহাবের কাছে নিয়ে এলে সে ওই
আঙ্গু় ক্ত করে দেয়। সর্বনিকৃষ্ট
কাফের ও ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্র ুকেও এই
কারণে তার আযাব ভোগের পরিমাণ কমিয়ে দেয় া হয়েছে। এমতাবস্থায় সে সকল মো’মেন মুসলমানের উচ্চ মর্য াদার কথা চিন্তা করুন, যাঁরা খুশি মনে হুযূর পাক ﷺ -এর মওলিদ উদযাপন করেছেন এবং করছেন। এই হাদীসের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া হবে উলাম াবৃন্দের রায়-সম্বলিত শেষ অধ্যায়ে।
♥দলি়
সহীহ মুসলিম, দারুল কুতাব আল-ইলমিয়্যাহ)
হযরত আব দব্বাস াহﷺ মদীনায় এসে দেখেন যে সেখানকার ইহুদীরা ১০ই মুহররম তারিখে রোযা রাখছেন। এ ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা উতে বলেন, ‘এই দিনটিতেই মূসা (আ:) ও বনী ইসরাইল বংশ ফেরাউ নের ওপর বিজয় লাভ করেন
। তাই আমরা এর মহিমা সমুন্নত রাখতে রোযা পালন করে থাকি।’ অতঃপস ে আমরা বেশি হক্কদার।’ এমতাবস্থায় তিনি মুসলমানদেরকে রোযা রাখার আদ েশ করেন।
হযরত মূসা (আ:)-এর সম্মানার্থে যদি ইহুদীরা তাঁর
স্মরণে দিবস পালন করতে পারেন, তাহলে আমরা মুসলম ান সমাজ মহানবী ﷺ যেদিন এ দুনিয়ায় তাশরীফ এনেছি লেন সে দিনটিকে সম্মান করার ও তা পালন করার ক্ষেত ্রে আরও বেশি অধিকার সংরক্ষণ করি। এটি ওপরের হাদীস থেকে উলামা-এ-কেরামের নেয়া সর ্বজন স্বীকৃত সিদ্ধান্ত, যা তাঁরা দ/ ধ্যে তুলনার ভিত্তিতে গ্রহণ করেছেন। এই বিষয়ে শেষ অধ্যায়ে বিস্তারিত
আলোকপাত করা হবে।
♥দলিল নং ৪
খণ্ড-১, পৃষ্ঠা নম্বর-২৪১, হাদীস নম্ব র-৪৪৮ (সুনান আন্ নাসাঈ)
হযরত আনাস বিন মালিক (রা:) বর ্ণনা করেন যে মহানবী ﷺ তাঁর মে’রাজে গমন সম্পর্কে ব্যাখ্যাকালে বলেন, জিবরীল আমীন (আ:) বেথলেহেমে আমাকে বোরাক থেকে নেমে দোয়া করতে অন ুরোধ করেন, যা করা হলে তিনি বলেন: ‘এয়া রাসূলাল্ল াহ ﷺ ! কোথায় দোয়া করেছেন তা জানেন কি? আপনি বেথলেহেমে দোয়া করেছেন, যেখানে ঈসা (আ:)-এর জন্ম হয়েছিল ।’
ইমাম বায়হাকী (রহ:) এই হাদীসটি অপর এক সাহাবী হযর ত শাদ্দাদ বিন আওস (রা:) থেকে ভিন্ন সনদে বর্ণনা কর েন।
বর্ণনাশেষে তিনি বলেন, ‘এর এসনাদ (সনদ) সহীহ।’
★[আল- বায়হাকী কৃত ‘দালাইল আন্ নবুওয়াহ’, (২/৩৫৫-৩ ৫৬)]
অতএব, মওলিদ ও আম্বিয়া (আ:)-এর জন্মস্থানসমূহ আ ল্লাহর শআয়ের তথা সম্মানীয় স্মৃতিচিহ্নগী র অন্তর্ভুক্ত।
♦♦হক্কপন্থী উলামা ও ফুকাহাবৃন্দের সমর্থনসূচ ক দলিল♦♦
♠ ইবনে কাসীর, যাকে সালাফী/ওহাবীরা তাফস ীর ও ইতিহাস শাস্ত্রে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করে থাকে, তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইসলামের মুজাহিদ সু লতান গাযী সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর ভগ্নিপতি শাহ ম ালিক আল- মুযাফফর সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ক রেন। অথচ সালাফীরাই ইবনে কাসীরের কথাকে বিকৃত করই মর্মে মিথ্যে ছড়িয়েছে যে মুযাফফর শাহ একজন ফা সেক, নিষ্ঠুর ও বেদআতী শাসক ছিলেন (নাউযু বিল্লাহ) ।
♣প্রকৃতপক্ষে ইবনে কাসীর লিখেন:
” (মুযাফফর শাহ) ালী
এবং মহিমান্বিত শাসক, যাঁর সকল কাজ ছিল অতি উত ্তম। তিনি কাসিইউন-এর কাছে জামেয়া আল- মুযাফফরী নির ্মাণ করেন…… কের সাথে মীলাদ শরীফ (মীলাদুন্নবী) উদযাপন করতেন । উপরন্তু, তিনি ছিলেন দয়ালু, সাহসী, জ্ঞানী, বিদ্ বান ও ন্যায়পরায়ণ শাসক – রাহিমুহুল্লাহ ওয়া এ করাম – শায়খ আবুল খাত্তাব (রহ:) সুলতানের জন্যে মওল িদুন্ নববী সম্পর্কে একখানি বই লিখেন এবং নাম দে ন ‘আত্ তানভির ফী মওলিদ আল-বাশির আন্ নাযীর’। এ কাজের পুরস্কারস্বরূপ সুলতান তাঁকে ১০০ন ার দান করেন। সালাহিয়া আমল পর্যন্ত তাঁর শাসন স্থায়ী হয় এ বং তিনি ‘আকা’ জয় করেন
। তিনি সবার শ্রদ্ধার পাত্র থেকে যান।
”আস্ সাবত্ এক ব্যক্তির কথা উদ্ধৃত করেন যিনি সু লতানের আয়োজিত মওলিদ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ; ওই ব্যক্তি বলেন: ‘অনুষ্ঠানে সুলতান ভালভাবে রান ্নাকৃত ৫০০০ চ ুধ এবং ৩০,০০০ ট্রে মিস
★★ [‘তারিখে ইবনে কাসীর’, ‘আল-বেদায়াহ ওয়ান্
নেহা য়া’ ১৩তম খণ্ড, ১৭৪ পৃষ্ঠা]
♣ ইমাম সেহাবউদ্দীন আ বুল আব্বাস কসতলানী রহ: শীর্ষক সীরাতের বই রচনা করেন, তিনি বলে ন:
”মহানবী ﷺ -এর বেলাদত তথা এ ধরণীতে শুভাগমন রাতে হ য়েছে বলা হলে প্রশ্ন দাঁড়ায় যে দুটো রাতের মধ ্যে কোনটি বেশি মর্যাদাসম্পন্ন – কদরের রাত (যা’তে কুরআন অবতীর্ণ হয়) ে শুভাগমনের রাত?
হুযূর পূর নূর ﷺ -এর বেলাদতের রাত এ
ক্ষেত্রে শ্র েষ্ঠতর ৩টি কারণে –
★প্রথমতঃ নবী খ মওলিদের রাতে, অথচ কদরের রাত মন্ঞ্জুর করা হয়। অতএব, মহানবী ﷺ -এর আবির্ভাব, তাঁকে যা মন্ঞ্জুর ক রা হয়েছে তার চেয়েও শ্রেয়তর। তাই মওলিদের রাত অধিকতর মর্যাদাসম্পন্ন।
★দ্বিতীয়তঃ কদরের রাত যদি ফেরেশতাদের অবতীর্ ণ হবার কারণে মর্যাদাসম্পন্ন হয়, তাহলে মওলিদের রাত মহানবী ﷺ এ ধরণীতে প্রেরিত হবার বৈশিষ্ট্যম ণ্ডিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ফেরেশতাদের চেয়েও উচ্চ মর্যাদ াসম্পন্ন, আর তাই মওলিদের রাতও শ্রেষ্ঠতর।
★তৃতীয়তঃ কদরের রাতের বদৌলতে উম্মতে মোহামী দীকে বিশিষ্টতা দেয়া হয়েছে; অথচ মওলিদের রাতের মাধ্যমে সকল সৃষ্টিকে ফযিলা হ দেয়া হয়েছে। কেননা, মহানবী ﷺ কে সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্যে রহ মত করে পাঠানো হয়েছে (আল-কুরআন ২১:১০৭)। অতএব, এই রহমত সমগ্র সৃষ্টিখ ।”
♦রেফারেন্স: ইমাম কসতলানী (রহ:) প্রণীত ‘আল-মাওয়া হিব আল-লাদুন্নিয়া’, ১ম খণ্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা।
♦ এ ছাড়াও ইমাম মালেকী স্বরচিত ‘শরহে মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া’, ১ ম খণ্ড, ২৫৫-পৃষ্ঠা।।
♥♥ইমাম কসতলানন ্যাধি দ্বারা পূর্ণ, তাদের খ সূলুল্লাহ ﷺ এর মীলাদের মাস, অর্থাৎ, রবিউল আউয়া লের প্রতিটি রাতকে যাঁরা উদযাপন করেন তাঁদের প্র তি আল্লাহতা’লা দয়াপরবশ হোন!”
★★ ৃষ্ঠা]
♣ইমাম জালালউদ্দীন সৈয়ুতী (রহ:) যিনি হিজর ী ৯ম শতকের মোজাদ্দেদ (ইসলাম পুনরুজ্জীবনকারী) নি লিক ের
সমবেত করা, কুরআনের অংশ- বিশেষ তে় বেলাদত) সংক্রান্ত ঘটনা ও লক্ষ্মণগুলোর বর্ণনা প েশ, অতঃপর তবাররুক (খাবার) বিতরণ এবং সবশেষে সমাবে শ ত্যাগ, তা উত্তম বেদআত (উদ্ভাবন);
আর যে ব্যক্তি এর অনুশীলন করেন তিনি সওয়াব অর্ জন করেন, কেননা এতে জড়িত রয়েছে রাসূলুল্লাহ ﷺ এ র মহান মর্যাদার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্ষ ং তাঁর সম্মানিত বেলাদতেস
★[ইমাম সৈয়ুতী কৃত ‘আল- হাওয়ী লিল্ ফাতাওয়ী’, ১ ম খণ বানন হতে প্রকাশিত] িদ ৪১ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য] একই দিনে বেলাদত (শুভাগম ন)
ও
বেসাল
( পরলোকে আল্লাহর সাথে মিলিত) হলেও কেন
মহানবী ﷺ র মীলাদ অগ্রাধিকার পাবে তা ইমাম
সৈয়ুতী (রহ:) ব্য াখ্যা করে বলেন:
“বিশ্বনবী ﷺ -এর বেলাদত হলো (আল্লাহর) সর্ববৃহৎ নে য়ামত (আশীর্বাদ); আর তাঁর বেসাল মহা দুর্যোগ। ধর্মীয় বিধান আমাদের প্রতি তাকিদ দেয় যেন আমর া আল্লাহর নেয়ামতের শোকরগুজারি (াশ) তথাকি। শরীয়তের আইনে আমাদের আদেশ দেয়া হয়েছে কোনো শ িশুর জন্মে পশু
কোরবানি দিতে (এবং ওর গোস্ত গরিবদ ের মাঝে বিতরণ করতে)। এটা ওই শিশুর জন্মোপলক্স কাশের নিদর্শন। পক্ষান্তরে, মৃত্যুর সময় পশু কোরবানি দিতে শরী য়ত আমাদের আদেশ দেয় নি। উপরন্তু, শোক প্রকাশ বা মাতম
করতে শরীয়তে মানা করা হয়েছে। অতএব,
মীলাদুন্নবীﷺ এর পুরো মাসব্যাপী খুশি প্ রকাশ করার পক্ষে ইসলামী বিধানের রায় পরিদৃষী হয়; আর তাঁর বেসাল উপলক্ষে শোক প্রকাশ না করার পক্ষ ে মতদেয়া হয়।”
★[হুসনুল মাকসাদ ফী আমলিল মওলিদ, ৫৪-৫৫ পৃষ্ঠা]
★[ দেখুন – ইমাম সৈয়ুতী প্রণীত’
ফাতাওয়ী’, ১ম খণ্ড, ২৯৮ পৃষ্ঠা, মাকতাবা আল আসরি
ﷺ -এর বেসাল ১২ই রবিউল আউয়াল নয় যেমন ধারণা করে থাকে কিছু মানুষ; তাদের এই ধারণার জন্ম ‘অমৃতের সীলমোহর’ জাতীয় ব ই-পুস্তক। বিভিন্ন সহীহ বর্ণনায় বিবৃত সঠিখ া রবিউল আউয়াল।
♣ যুগের শায়খুল ইসলাম ও মুহাদ্দীস ইমাম ইবনে হ াজর আসকালানী (রহ:) মহানবী ﷺ -এর মীলাদ দিবস উদযাপন স ম্পর্কে হযরত ইমামকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি লিখি তভাবে যে উত্তর দেন তা নিম্নরূপ: “মীলাদুন্নবী ﷺ দযাপনের উৎস বলতে এটি এমন এক বেদআত রথম তিন
শতকের সালাফ আস্ সালেহীন (পুণ্যাত্মাবৃন্দ) কর্ তৃক আমাদেরকে জ্ঞাত করানো হয় নি, যদিও এতে প্রশং সনীয় ও প্রশংসনীয় নয় উভয় দিকই বিদ্যমান। কেউ প্রশংসনীয় দিকগুলো গ্রহণ করে প্রশংসনীয় নয় এমন দিকগুলো বর্জন করায় যত্নবান হলে তা বেদ আতে হাসানা তথা কল্যাণময় নতুন প্রথা হবে। আর তা না হলে এর উল্টো হবে। এ বিষয়ের বৈধতা প্রতীয়মানকারী একটori োগ্য শরীয়তের দলিল আমার সামনে এসেছে, আর তা হলো ব ুখারী ও মুসলিম শরীফে উদ্ধৃত সহীহ হাদীস যা’তে বর ্ণিত হয়েছে যে মহানবী ﷺ মদীনা মোনাওয়ারায় হিজ রত করে দেখতে পান সেখানকার ইহুদীরা ১০ই মহররম (আশ ুরা) তারিখে রোযা রাখেন [‘হুসনুল মাকসাদ ফী আমলিল মওলিদ’ ৬৩ পৃষ্ঠা]। এমতাবস্থায় তিনি তাদেরকে এর কারণ জিজ্ঞেস করল ে তারা উত্তর দেন, ‘এই
দিনে আল্লাহতা’লা ফেরাউনকে পানিতে ডুবিয়ে মূস া (আ:)- কে রক্ষা করেন। তাই আমরা মহান প্রভুর দরবারে এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে রোযা রেক এই ঘটনা পরিস্ফুট করে যে আল্লাহতা’লার রহমত অবত রণের কিংবা বালা-মসীবত দূর হওয়ার কোনো বিশেষ দিন ের
প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, সেই উদ্দেশ্যে বা র্ষিকী হিসেবে তা উদযাপনের সময় নর সদকাহ বা কুরআন তেলাওয়াতের মত্
বন্দেগী পালন করা শরীয়তে জায়েয । আর
রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর মীলাদের (ধরণীতে শুভাগমন দি (
বসের) এরই আলোকে প্রত্যেকের উচিত হযরত
মূসা (আ:) ও ১০ই মহররমের ঘটনার (দালিলিক ভিত্তির) স াথা তবে যাঁরা এটি বিবেচনায় নেন না, তাঁরা (রবিউল আউ য়াল) মাসের যে কোনো দিন তা উদযাপনে আপত্তি করেন া; অপর দিকে কেউ কেউ সারা বছরের যে কোনো সময় (দিন/ ক ্ষণ) তা উদযাপনকে কোনো ব্যতিক্রম চ ছেন॥
৪পৃষ্ঠা]।
”আমি মওলিদের বৈধতার দলিল সুন্নাহ’র আরেকটি উৎস থেকে পেয়েছি ্তের বাইরে)। এই হাদীস ইমাম বায়হাকী (রহ:) হযরত আনাস (রা:) থেকে ব র্ণনা করেন: ‘হুযূর পাক ﷺ নবুয়্যত প্রাপ্তির পর ন িজের নামে আকিকাহ করেন; অথচ তাঁর দাদা আবদুল মোত্তালিব তাঁরই বেলাদতের সপ্তম দিবসে তাঁর
নামে আকিকাহ করেছিলেন, আর আকিকাহ দু’বার করা যায় না। অতএব, রাসূলে খোদা ﷺ বিশ্বজগতে আল্লাহর রহমত হি সেবে প্রেরিত হওয়ায় মহান প্রভুর দরবারে কৃতজ্ ঞতা প্রকাশের জন্যে এটি করেছিলেন, তাঁর উম্মতকে স ম্মানিত করার জন্যেও, যেমনিভাবে তিনি নিজের ওসী লা দিয়ে দোয়া করতেন। তাই আমাদের জন্যেও এটি করা উত্তম হবে যে আমরা মী লাদুন্নবী ﷺ দিবসে কৃতজ্ঞতাসূচক খুশি প্রকাশার ্থে আমাদের
দ্বীনী ভাইদের সাথে সমবেত হই, মানূ রকে খাবার পরিবেশন করি এবং অন্যান্য সওয়াবদায় ক আমল পালন করি। ’ নবুয়্যত- প্রাপ্তির দিবস পালনার্থে সোমবার রোয া রাখার হাদীসকে সমর্থন “ [প্রাগুক্ত ‘হুসনুল মাকসাদ ফী আমলিল মওলিদ, ৬৪-৬৫ পৃষ্ঠা]
♣ইমাম শামসউদ্দীন দামেশকী (রহ:) লিখেন:
এটি প্রমাণিত যে আবু লাহাবের (পারলৌকিক) অনলে জ্বলবা র শাস্তি প্রতি সোমবার লাঘব কর়
নবীﷺ এর বেলাদতে খুশি হয়েছিল
এবং তার দাসী সোয়াইবিয়াকে মুক্ত করে দিয়েছি ল (সুসংবাদ দেয়ার জন্যে) । আবু লাহাবের মতো অবিশ্বাসী, যার চিরস্থায়ী আবা স দোযখ এবং যার জন্যে সূরা লাহাব অবতীর্ণ হয়েছে, সে যদি আযাব থেকে তাখফিফ (নিষ্কৃতি) পায় প্রতি স োমবার, তাহলে ভাবুন সেই মো’মেন ব্যক্তির কী শান যি নি সারা জীবন রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর বেলাদতে খুশি প্র কাশ করেছিলেন এবং আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস নিয়ে ইন্তেকাল করেছে ন।
★ [ইমাম দামেশকী কৃত ‘মওরিদ আস্ সাফা ফী মওলিদ আল-হ ‘াদী’ মলিল মওলিদ’, ৬৬ পৃষ্ঠা] ♣ গোঁড়াপন্থী আলেম ইমাম ইবনুল জাওযী-ও মওলিদ- বিষয়ক একখানি বই লিখেন যার নাম ‘আল-
জারহ ওয়াত্ তাদীল’। ওতে তিনি বলেন:
হারামাইন শরীফাইন (মক্কা ও মদীনা), মিসর, ইয়েমেন, বরঞ্চ আরব বিশ্বের সকল মানুষই দীর লাদুন্নবী ﷺ উদযাপন করে আসছেন। রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা তাঁদের সীমা থাকে থাকে না তাঁরা মওলিদের জন্যে জন্যে নির্দিষ্ট (মাহফিলের) আয়োজন করেন যার অশেষ ও সাফল্য অর্জন।।
★★[বয়ানুল মীলাদ আন্ নববী, ৫৮ পৃষ্ঠা]
♣ ভারত উপ মহাদেশের আলেম শাহ ওলীউ়
ী নিজের সেরা অভিজ্ঞতাগুলোর একটি বর্ণনা করেন:
ক্কা মোয়াযযমায় এক মীলাদ মাহফিলে আমি একবার অং শগ্রহণ করি। তাতে মানুষেরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রতি দরুদ- সা লাম প্রেরণ করছিলেন এবং তাঁর বেলাদতের সময় (আগে ও পরে) যে সব অত্যাশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল, আর তাঁর নব্ যুয়তপ্রাপ্তির আগে যে সব ঘটনা প্রত্যক্ষ করা হয় েছিল
(যেমন – মা আমেনা হতে নূর বিচ্ছুরণ ও তাঁর দ্বারা ন ূর দর্শন, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর বাবা আব্দুল্লাহর কপ ালে নূর দেখে তাঁকে এক মহিলার বিয়ের প্রস্তাব দ েয়া ইত্যাদি) । হঠাৎ আমি দেখলাম এ রকম এক দল মানুষকে নূর ঘিরে রে খেছে; আমি দাবি করছি না যে আমার চর্মচক্ষে এটি আমি দেখ েছি; এও দাবি করছি না যে এটি রূহানীভাবে (দিব্যদৃষ্টি মারফত) দেখেছি,
আর আল্লাহতা’লা-ই এই দুইয়ের ব্যা পারে সবচেয়ে ভাল জানেন। তবে ধ্যানের মাধ্যমে এই সব আনওয়ার (জ্যোতিসমূহ) সম্পর্কে আমার মাঝে এক বাস্তবতার উদয় হয়েছে য ে এগুলো সে সকল ফেরেশতার আনওয়ার ( মীলাদের) মজলিশে অংশগ্রহণ করেন। আমি এর পাশাপাশি আল্লাহর রহমত নাযেল হতেও দেখেছ ি।
★★[ফুইয়ূয আল-হারামাইন, ৮০-৮১ পৃষ্ঠা]
♣ শাহ আবদুল আযীয মোহাদ্দীসে দেহেলভী যিনি রাফে যী শিয়াদের ক রোনামের একটি বই লিখেছেন, তিনি বলেন: রবিউল আউয়া ল মাসের বরকত (আশীর্বাদ) রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বেলাদত তথা ধরণীতে শুভাগমনের কারণেই হয়েছে।
এই মাসে উম্মতে মোহাম্মদী যতো বেশি দরুদ-সালাম প্রেরণ করবেন এবং গরিবদের দান-সদকাহ করবেন, ততোইত াঁরা আশীর্বাদ লাভ করবেন। ★★[ফতোয়ায়ে আযীযিয়্যা,১:১২৩]
♣ মোল্লা আলী কা রা নাফী
ফেকাহবিদ, তিনি বলেন:
আল্লাহতা’লা এরশাদ ফরম ান, ‘নিশ্চয় তোমাদের
কাছে তাশরীফ এনেছেন তোমাদের মধ্য থেকে ওই
রাসূল…’ (সূরা তাওবা, ১২৮ আয়াত)। এতে এই ইঙ্গিত আছে যে আমাদের এই ধরণীতে রাসূলুল ্লাহﷺ এর আগমনের শুভক্ষণের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর ্শন করতে হবে। অতএব, প্রত্যেকের উচিত আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্যে (কুরআনের) যিকর পালন করা। আস োবাহ (বৈধ) যা কিচ করা যাবে
; যেহেতু এগুলো এমন খুশির বিষয়
যা’তে কোনো ক্ষতি নেই।
★★[মোল্লা আলী কারী রচিত ‘আল-মওলিদ আন্ নবী’, ১৭ পৃ ষ্ঠা]
♣ ইমাম ইসমাঈল হাক্কী যিনি মুফাসসির ও সূফী,
তিনি বলেন: মওলিদ উদযাপন মহানবী ﷺ -এর প্রতি শ্রদ ্ধা প্রদর্শনের সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থাগুলোর আ তবে শর্ত এই যে তা হতে হবে সকল বদ কাজ থেকে মুক্ত। ইমাম সৈয়ুতী (রহ:) বলেছেন, মীলাদুন্নবীﷺ
উপলক্ষ ে আমাদের খুশি হওয়া মোস্তাহাব। ★★(তাফসীরে রূহুল বয়ান, ৯ম খণ্ড, ৫২ পৃষ্ঠা)।
♣ মাশরেক তথা পূর্বাঞ্চলীয় কবি আল্লামা ইকবাল বলেন: মুসলমানদের পবিত্র দিনগুলোর মধ্যে মীলাদু ন্নবী ﷺ অন্যতম। আমার উপলব্ধি অনুযায়ী, মানব মস্তিষ্ক ও অন্তরগ ুলোর খাদ্য এবং নিরাময়/চিকিৎসার জন্যে এটি অত্ যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, ‘আসওয়া-উর-রাসূল’ ﷺ মুসলমানদের লক্ষ্য ও উদ ্দেশ্য হওয়া অত্যাবশ্যক। তাঁদের এই আবেগ
তিনটি উপায়ে জারি রাখা যায়:
(১) প্রথমটি হলো দরুদ-সালাম প্রেরণ যা মুসলমানদের জী বনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁরা সম্ভাব্য সকল সময়েই তা করে থাকেন। আমি জানতে পেরেছি যে আরব বিশ্বে কোনো বাজার এলা – তাহলে তৃতীয়জন উচ্চস্বরে পাঠ করেন
– আল্লাহুম্ম া সাল্লে ক ্লাম – যা শুনে বিবদমান দু’জন ঝগড়া থামিয়ে দেন। এটি-ই দরুদের তা’সির বা প্রভাব। অতএব, যাঁর প্রতি এই দরুদ প্রেরণ
করা হয় তাঁর (মহ ানবী ﷺ ) সম্পর্কে চিন্তা অন্তরের
গভীরে প্রোথিত করা একান্ত আবশ্যক।
(২) দ্বিতীয় পন্থাটিতে মুসলমান সর্বসাধারণ বিপ ুল সংখ্যায় মীলাদের মাহফি় দের মধ্যে এমন ব্যক্তি (ইমাম/শায়খ/মুরশেদ) থাকবে ন যিনি দো’জাহানের গর্ব মহানবী ﷺ -এর জীবন ও কর্ম স ম্পর্কে ওয়াকেফহাল; তিনি তা বিস্তারিতভাবে ওই মাহফিলে আলোকপাত করব েন যাতে মহানবী ﷺ এর পথ ও মত অনুসরণের নিষ্ঠা ও আগ ্রহ মুসলমানদের অন্তরে জাগ্রত হয়। এই উদ্দেশ্যেই আমরাও আজ সমবেত হয়েছি।
(৩) তৃতীয় পন্থাটি দুষ্কর হলেও উল্লেখ করা জরুর ি।
এটি হলো মহানবী ﷺ -কে এমনভাবে স্মরণ
করা যাতে আমা দের অন্তরগুলো ্ন দিকের প্রকাশস্থল (মাযহার) হয় – যে অনুভূতি ১৩০ বছর আগে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর হায়াতে জিন্দেগীতে তাঁরই য় বিরাজ করছিল । ওই একই অনুভূতি যেন আমাদের
অন্তরে উদিত হয়।
★★ [আসার-এ-ইকবাল,৩০৬-৩০৭ পৃষ্ঠা]
♣মৌলভী আবদুল হাই লাখনভী বলে:
মীলাদুন্নবী ﷺ এর প্রতি খুশি প্রকাশ করায় আবু লাহাবের মতো এতো বড় কাফের যদি পুরস্কৃত হতে পারে, তাহলে রাসূলে করী ম -এর ধরাধামে শুভাগমন উপলক্ষে যে মুসলমান ব্যক্ তি খুশি হন এবং তাঁরই মহব্বতে অর্থ ব্যয় করইন নি অবশ্যঅবশ্যই উচ্চ মকামে অধিষ্ঠিত হবেন, যেমনিভাবে ইমাম ইবনে জাওযী ও শায়খ আবদুল হক্ক মোহাদ্দীসে দেহেলভী উল্লেখ করেছেন। ★★[আবদুল হাই প্রণীত ‘মজমুয়ায়ে ফাতাওয়া’, ২য়
খণ্ড, ২৮২ পৃষ্ঠা]
ী সকল সীমা ছাড়িয়ে জ লে: আমরা কে? কোনো মুসলমানই মীলাদুন্নবী ﷺ -এর যিকরকে বেদআত ব া হারাম বিবেচনা করতে পারে না; এমন কি তাঁর মোবারক জুতো, তাঁর (মালিকানাধীন) গাধ ার মূত্রকেও তা বিবেচনা করতে পারে না।
★★ [আল-মুহান্নাদ, ৬০ পৃষ্ঠা, প্রশ্ন ২১]
♣নবাব সি দ্দিক হাসান ku
মহানবী ﷺ এর সীরাত, তাঁর হেদায়াত, মীলাদ ও বেসাল শরীফের যিকর আমরা প্রতিদিন করতে না পারলে কী দ্ ? তাহলে আমাদের উচিত প্রতি মাসে এবং রবিউল আউয়াল মাসের দিনগুলোতে তা পালন করা; এই দিনগুলো খালি ফেলে রাখা উচিত নয়। এই লা-মযহাবী নেতা আরও লিখে:
কোনো ব্যক্তি মওলিদ ের ঘটনায় খুশি না হলে এবং আল্লাহর কাছে এই মহা অন ুগ্রহের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলে ‘সে ব্যক ্তি মুসলমানই নয় ।’
★★ ল-বারিয়্যাহ, ১২ পৃষ্ঠা]
♠♠জরুরি নোট: আশ্চর্য হব ার কিছু নেই যে আমাদের (জমানার) ‘সালাফী’রা তাদের নি জেদের দলের লোকদেরকেই ‘কাফের’ আখ্যা দেয়া থেকে ন িস্তার দেয় নি। ওপরের ফতোওয়া সে সব ‘সালাফী’দের প্রতি ‘তাকফির’ ব া কী ন্নবী ﷺ এর সময় মুখ গোমড়া করে বসে থাকে এবং সেট িকে খণ্ডন করতে চায়।
[এই লেখার প্রারম্ভে উল্লেখ করা হয়েছিল যে মহান বী ﷺ এর শুভাগমনের সময় শয়তান
উচ্চস্বরে কেঁদে [ছিল]
কী (রহ:) লিখেন:
আমাদের সময়ে যে মীলাদ মাহফিল ও যিক র-আযকার করা হয়, তা মূলতঃ (এমন) নেক আমল যা’তে রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, দান-সাদকাহ, যিকর-তা যকেরা, মহানবীﷺ -এর প্রতি দরুদ-সালাম পাঠ এবং তাঁর সানা-সিফাত তথা প্রশংসা-স্তুতি।
★ [ইমাম হায়তামী প্রণীত ‘ফাতাওয়া-এ হাদীসিয়্য াহ’, ২০২ পৃষ্ঠা]
♠♠আপত্তি: মীলাদ/মওলিদ কোনো সাহা বা োজিত হয় নি। এই সালাফ আস্ সালেহীন মাবৃন্দ)-দেরকেই আমরা অনুসরণ করি, যা সঠিক এবং নির াপদ পথ ও মত।
♦♦জবাব: প্রথমতঃ এ দাবি অমূলক। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ স্বয়ং নিজ মীলাদ-দিবস পাল ন করতেন যা সহীহ মুসলিম শরীফে প্রমাণিত হয়েছে এ ই মর্মে যে, তাঁকে সোমবার দিন তিনি রোযা রাখেন কেন এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। আর তিনি উত্থ রেন, এবং আমার প্রতি ওহী তথা ঐশী প্রত্যাদেশও অবত ীর্ণ হয় এই দিন’ লাল’ শীর্ষক অংশের ১ম দলিল]। সর্বোপরি, আল্লাহতা’লা স্বয়ং ‘আম্বিয়া (আ:)-বৃন্ দের মীলাদ তথা ধরণীতে শুভাগমনকে শান্তির দিন’ বল ে কুরআনে ঘোষণা করেন [১৯:১৫]।
♦দ্বিতীয়তঃ আমরা ‘সালাফী’দেরকে আহ্বান জানাই
ম হানবী (দ:)-এর এমন একটি সুস্পষ্ট হাদীস
দেখাতে যেখা নে তিনি মীলাদকে বারণ করেছেন।
মনে রাখবেন, কোনো বিষয়কে হারাম
বলতে হলে নির্ভ রযোগ্য প্রামাণিক দলিল প্রদর্শন
করা বাধ্যতামূলক; পক্ষান্তরে এমন কি নীরবতাও আমাদের সুন্নীদের প ক্ষে যাবে নিম্নোক্ত হাদীসবলে:
হযরত আবু দারদা (র 🙂 া তাঁর কেতাবে (কুরআনে) যা কিছুর অনুমতি দিয়েচ তা হালাল, যা কিছু নিষেধ করেছেন তা হারাম; আর যে ব্যাপারে he নীরবতা পালন করেছেন, তা ক্ষমাপ্ রাপ্ত।
অতএব, আল্লাহর ক্ষমা গ্রহণ করো, কেননা আল্লাহ বি স্মৃত হন না।” অতঃপর মহানবী ﷺ নিচের
আয়াতে করীমা তেলাওয়াত ক রেন, ‘আর আপনার প্রভু খোদাতা’লা কখনো বিস্মৃত হন ন া’ (সূরা মরিয়ম, ১৯:৬৪)। ★ [ইমাম হায়তামী
কৃত ‘মজমাউয্ যাওয়াইদ’, ১:১৭১, হ ] ্ণনাকারী হলেন আল-বাযযার এবং তাবারানী তাঁর ‘কবীর ’ দ (সনদ) হাসান পর্যায়ভুক্ত।’
এই হাদীসকে সহীহ বলেছে নাসিরুদ্দীন আলবানীও, তা র রচিত ‘সিলসিলাত আস্ সহীহাহ্’ পুস্তকে (৫:৩২৫)।
অতএব, এই হাদীস মোতাবেক নীরবতা প্রমাণ
করে যে মও লিদ/মীলাদ জায়েয (অনুমতিপ্রাপ্ত)। কেননা, এর আসল (মূলভিত্তি) কুরআন ও সুন্নাহতে বিদ ্যমান, যার অসংখ্য প্রমাণ আমরা ওপরে পেশ করেছি।
♦তৃতীয়তঃ যদি ধরেও নেয়র ম(রা:) ি বা নেতিবাচক প্রমাণ বিদ্যমান নেই) ক আমল-ই সাহাবা-এ-কেরাম (রা:) ও তাবেঈনবৃন্দ পালন করেন নি; বরং পরবর্তীকালের উলামা-এ- কেরাম সেগুলো সম্পর্ কে শরীয়তের মৌলনীতির সাথে সঙ্গতি সাপেক্ষে জর য হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুতরাং কোনো বিষয় শরীয়তের সাথে অসামঞ্জস্যপ ূর্ণ না হলে সর্বদা জায়েয বলে সাব্যস্ত। উদাহরণস্বরূপ, হাদীসশাস্ত্রে আল-জারহ ওয়াত্ ত া’দীল-এর
জ্ঞান, আসমা-উর-রিজাল সংক্রান্ত জ্ঞান, কুরআন ে এ’রাব বসানো, মসজিদে মিনারা নির্মাণ, বর্ণনাকার ীদের এসনাদ বা পরম্পরাসহ হাদীস বর্ণনা ইত্যাদি জ ায়েয। এর কারণ হলো, শরীয়তে এগুলোর মৌলভিত্তি পাওয়া যায়। অনুরূপভাবে,
মীলাদুন্নবী ﷺ -এর উদযাপন আল-কুরআনে ই বিদ্যমান, আর তা সুন্নাহতেও বিদ্যমান।
♠♠আপত্তি: মওলিদ হলো বেদআত আদ্ দালালাত (ধর্মে ব িচ্যুতিমূলক নতুন পরিবেশনা)। রাসূলুল্লাহ ﷺ স্বয়ং সহীহ হাদীসে বলেছেন সকল ব েদআত পথভ্রষ্টতা এবং সকল পথভ্রষ্টতার পরিণাম জা হান্নামের আগুন।
♦♦জবাব: এই হাদীসের বিষয়বস্তু সার্বিক নয়, বর ং নির্দিষ বনে হাজর হায়তামী মক্কী (রহ:) ব্যাখ্যা করেন: ”
উপরো ক্ত হাদীস যা’তে বলা হয়েছে যে সকল
বেদআত গোমরাহী ও সকল গোমরাহীর পরিণাম
জাহান্নামের আগুন, তা শুধু বেদআতে মোহরিমা তথা হারাম উদ্ভাবনের বেলায়-ই প্রযোজ্য হবে; অন্যান্য ক্ষেত্রে তর
★★ খণ্ড, ১০৯ পৃষ প্রকাশিত] ♦দ্বিতীয়তঃ শরীয়তে
এ ধরনের শব্দ ও ব ্যাখ্যা অনেকবার ব্যবহার করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আল-কুরআন ঘোষণা করে, “নিশ্চয় তোম রা এবং আল্লাহ ভিন্ন যা কিছুর পূজো তোমরা করছো , ই জাহান্নামের ইন্ধন” [২১:৯৮]।
আমরা সবাই জানি, হযরত ঈসা মসীহ (আ:)-কে খৃষ্টান সম্ প্রদায় পূজো-অর্চনা করে থাকে এমতাবস্থায় আমরা যদি এই আয়াতে করীমাকে সার্বিক (আম) অর্থে গ্রহণ ক রি, তাহলে ঈসা নবী (আ:)-ও দোযখের ইন্ধন বলে সাব্যস্ত হন (নাউযু বিল্লাহ)। অতএব, (এ ধরনের অপব্যাখ্যা এড়াতে)
আমাদেরকে মহানবী ﷺ -এর কথার অন্তর্নিহিত অর্থ বু ঝতে হবে। তিনি যে বেদআত বা নব্য প্রথা নিষেধ করেছেন, তা শর ীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক, যার দলিল পাওয়া যায় বো খারী শরীফের ৩য় খণ্ডে ৪৯ অধ্যায়ে ে (ওহাবী মোহসিন খান কৃত ‘সহীহ বোখারী’) া (রা:) বর্ণনা করেন যে
মহানবী দ: ঙ্গতিপূর্ণ নতুন কোনো বিষয় কেউ পরিবেশন করলে ত া প্রত্যাখ্যাত হবে।”
গুরুত্বপূর্ণ উসূল (মৌলনীতি)
আমরা রাসূলে করীম (দ :)-এর বহু আহাদীস
থেকে জানতে পারি যে তিনি ধর্মের ম ধ্যে নতুন
বিষয়সমূহের অনুমতি দিয়েছেন। যেমন – কতিপয় সাহাবী (রা:) সাপের কামড়ে সূরা ফাতে হা পাঠ করেন ায়, ৪৭৬ নং হাদীস)। এ ব্যাপারে হুযূর পূর নূর ﷺ থেকে তাঁদের কাচ নো আগাম জ্ঞান/বার্তা ছিল না। কিন্তু তাঁর দরবারে এলে তিনি এ আমলটি সম্পর্কে জানার পর এর অনুমোদন দেন।
♠♠ কেউ কেউ আপত্তি তোলেন যে এটি মহানবী ﷺ এর উপস্ থিতিতে অনুমোদিত হওয়ায় অনুসরণীয়; কেননা তিনি যার অনুমতি দেন বা যা কিছু নিষেধ করে ন সবই আমাদের মানতে হবে। এর জবাব হলো, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর কথায় কখনোই
স্ ববিরোধী হতে পারেন না। তিনি যদি ‘মোতলাকান’
বা সামগ্রিক অর্থে সকল বেদআ তকে পথভ্রষ্টতা হিসেবে নীতি, তাহলে তাঁর দ্বারা কিছু কিছু নতুন পরিবেশনা জাই়ৼ য হওয়ার অবকাশই আর নেই। সুতরাং সকল বিষয়-ই শরীয়তের নীতিমালার আলোকে য াচাই-বাছাই
করা জরুরি।
♦♦♦
এই আপত্তির আরেকটি জবাব হলো খলীফা হযরত উমর (রা:) কর্তৃক একজন কারীর ইমামের র তারাবীহর নামায পড়াকে ‘কী আশীর্বদধন্য নতুন রিবেশনা!’ (নে’মাল বেদআতু হাযিহী) বলে অনুমোদন দান [সহীহ বোখ ারীর কিতাবুত্ তারাবীহ দ্রষ্টব্য]। নস তথা শরীয়তের দলিলে এটি প্রতীয়মান করে যে স কল বেদআত মন্দ নয়। কেউ কেউ এতেও আপত্তি করেন যে হযরত উমর (রা:) নাকি ‘শ রয়ী’ নয়, বরং ‘লুগউইয়ী’ (আভিধানিক অর্থে) বেদআতকে উদ্দেশ্য করেছিলেন। তাদেরকে আমরা ওই রওয়ায়াত (বর্ণনা) থেকে প্রমাণ পেশ করার আহ্বান জানাই এই মর্মে যে, খলীফা উমর (রা: ) ওতে শরীয়তী ও আভিধানিক পার্থক্যের
ইঙ্গিত করে ছিলেন কিনা? [অর্থাৎ, তিনি কথাটি আভিধানিক অর্থে বলেছিলেন, শ রয়ী মানে’ তাতে নিহিত ছিল না – এই মর্মে দলিল আমরা দেখতে চাই]
সর্বোপরি, খলীফা উসমান ইবনে আফফান (রা:) জুমু’আর ন ামাযের দ্বিতীয় আযানটি প্রবর্তন করেন। ‘সালাফী’রা এর জবাবে আমাদেরকে বলে, ‘তাঁরা খুলাফা য়ে রাশেদীন, হাদীসের আদেশ মোতাবেক আমরা তাঁদেরক ে অনুসরণ করতে বাধ্য।’ এর জবাবও সেই ক
ভ্রষ্টতা হতো, তবে আমাদের পুণ্যবান পূর্বসূরীবৃ ন্দ স্ববিরোধী হতেন না; বেদআত শব্দটি মন্দ হলে খলীফা উমর (রা:) ‘নে’মাল বেদ আত’ বলতেন না, বরং বলতেন ‘নে’মাস্ সুন্নাত’।
♠♠আপত্তি: ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখ মহানবী ﷺ এর ম ীলাদ- দিবস বলে নিশ্চিত নয়, বরং ওই দিন তাঁর বেসা ল শরীফ (পরলোকে আল্লাহর সাথে মিলনপ্রাপ্তি)। অতএব, শোকের দিনে খুশি উদযাপন ভ্রান্তি ছাড়া ক িছু নয়।
♦♦জবাব: প্রথমতঃ যাঁরা মওলিদের পক্ষে রায় দেন, তাঁরা সর্বদা বিশ্বাস করেন যে মীলাদ কোনো নির্দি ষ্ট দিনে সীমাবদ্ধ নয়; আপনারা যে কোনো দিন
মীলাদুন্নবী ﷺ উদযাপনের উদ্ দেশ্যে মাহফিল
করতে পারেন।
♦দ্বিতীয়তঃ সবচেয়ে প্রাথমিক যুগে রচিত
মহান বী (দ:)-এর জীবনীগুলো, যেমন –
সীরাতে এসহাক, ইবনে হিশা ম, তাবাকাত বিন সা’আদ ইত্যাদি নিশ্চিত করে যে ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখ-ই রাসূলুল্লাহﷺ -এর মীলাদ-দিব স। ইবনে কাসীর-ও তাঁর প্রণীত ‘সীরাত আর্ রাসূল’ গ্রন ্থে ঐকমত্য পোষণ করে বলেন যে এটি উলেমাদের মূলধা রার অভিমত; অন্যদের মত এ
ক্ষেত্রে দুর্বল।
♣আপত্তি: উম্মতে মোহাম্মদীর জন্যে মদ্যপান, নার ী- পুরুষের অবাধ মেলামেশা, সঙ্গীত ইত্যাদির মতো স কল বদ কাজের উৎস হলো মওলিদ/মীলাদ।
♦জবাব: া হয় (মীলাদ পক্স ে যখনই মীলাদ- বিরোধীদের আর কোনো কিছু জবাবে বলার থাকে না। এর জবাবও এভাবে দেয়া যায়, কেউ মসজিদে কোনো মন্ দ কাজ করলে তার মানে এই নয় যে আমরা মসজিদে যাওয়া বন্ধ করে
দেবো।
◆ মন্দ কাজগুলো কি হালাল
হয়ে যাবে যদি সেগুল্ াদে না করা হয়? অতএব, মীলাদ মূলতঃ জায়েয (অনুমতিপ্রাপ্ত) এবং ‘স ালাফী’রা মূল দাবিকে অসার প্রমাণ করতে কাল্পনিক য ুক্তি দাঁড় করিয়ে থাকে যাতে তা ভ্রান্ত প্রমা ণ করা যায়।
♣আপত্তি: ইবনে কাসীর নিজ ‘আল-বেদায়া ওয়ান্ নেহ ায়া’ পুস্তকে মীলাদকে মহা নব্য প্রথা বলেছেন। মালিক মোযাফফর শাহ-ও অনুরূপ বেদআতী, ফাসেক শাসক ছিলেন।
♦জবাব: ইবনে কাসীরের বইয়ের প্রতি এটি একটি মিথ ্যে অপবাদ ছাড়া কিছ়, যা ওপরে প্রমাণ করা হয় েছে
।
♣♣১২ই রবিউল আউয়াল: মীলাদুন্নবী (দ:)-এর
সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তারিখ কেউ কেউ দাবি করেন য ে মীলাদুন্নবী ﷺ এর প্রকৃত তারিখ জ্ঞাত নয়, আর ত াই ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে ঈদে মীলাদুন্নবী ﷺ উদ যাপনের কোনো অবকাশ-ই নাকি নেই। বারো রবিউল আউয়াল তারিখ মীলাদ-দিবস হিসেবে কেব ল প্রাথমিক যুগের বুযূর্গানে দ্বীনের কাচ ীত নয়, এটি সমগ্র ইসলামী বিশ্বের রাষ্ট্র ও সরকা রগুলো কর্তৃক স্বীকৃত (মীলাদুন্নবীর) দিনও। এই দিনটি প্রায় ২ ডজন
দেশে রাষ্ট্রীয় ছুটি হি সেবে পালিত হয়; ইরান ছাড়া অন্যান্য সকল রাষ্ট্র ১২ রবিউল আউয় াল শরীফকেই মীলাদুন্নবী ﷺ মানে। ইরান ১৭ তারিখে তা পালন করে, কেননা ওই তারিখ ইমাম জা’ফর সাদেক (রহ:)-এর জন্মদিনের সাথে মিলে যায়।
♣♣মীলাদুন্নবী খ্যাত ইতিহাসবিদদের অভিমত
১. ইমাম ইবনে এসহাক (৮৫-১৫১ হিজরী): ১২ই রবিউল আউয়াল ‘আম-উল-ফীল’ (হস্তীর বছর)। ★[ইবনে জওযী কৃত ‘আল-ওয়াফা’, ৮৭ পৃষ্ঠা]
২. আল্লামা ইবনে হেশাম (২১৩ হিজরী): সোমবার, ১২ই রবিউ ল আউয়াল , হস্তীর বছর।
★ [ইবনে হেশাম প্রণীত ‘আস্ সীরাতুন্ নববীয়্যা’, ১ ম খণ্ড, ১৫৮ পৃষ্ঠা]
৩. ইমাম ইবনে জারীর তাবারী (২২৪-৩১০ হিজরী):
সোমবার, ১ ২ই রবিউল আউয়াল , হস্তীর বছর। ★[তারিখুল উমাম ওয়াল মুলূক, ২য় খণ্ড, ১২৫ পৃষ্ঠ া]
৪. আল্লামা আবুল হাসান আলী বিন মোহাম্মদ আল- মাওয়া র্দী (৩৭০-৪৮০ হিজরী): ‘আসহাবে ফীল’ ঘটনার ৫০ দিন ও ব াবার ইন্তেকালের পরে সোমবার, ১২ই রবিউল আউয়াল তা রিখ। ★[এ’লামুন্ নবুওয়া, ১৯২ পৃষ্ঠা]
৫. ইমাম হাফেয আবুল ফাতাহ আল-আন্দালুসী (৬৭১-৭৩৪ হি জরী)
★[আইয়ুন আল-আসর, ১ম খণ্ড, ৩৩ পৃষ্ঠা]
৬. আল্লামা ইবনে খালদুন (৭৩২-৮০৮ হিজরী): ১২ই রবিউল আ উয়াল, হস্তীর বছর; সম্রাট কাসরা নোশায়রওয়ান শাহের ৪০তম বছর।
★[ইবনে খালদুন কৃত ‘আত্ তারিখ’, ২য় খণ্ড, ৩৯৪
পৃষ্ঠা]
৭. মোহাম্মদ সাদিক ইবরাহীম আরজূন: বিভিন্ন
‘তুরাক’ ( ﷺ
সোমবা র,
রবিউল আউয়াল ান শাহের শাসনামলে।
★[মোহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম, ১ম খণ্ড, ১০২ পৃষ্ঠা]
৮. শায়খ আবদুল হক্ক মোহাদ্দীসে দেহেলভী (৯৫০-১০৫২ হিজরী) ্ঞদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ মত প্রকা তীর বছরে ধরণীতে আবির্ভূত হন…..এও ভালভাবে জ্ঞাত
যে মাসটি ছিল রবিউল আউয়র ারিখ । বিভিন্ন আলেম-উলেমা এই তারিখ সম্পর্কে ঐকমত্য প োষণ করেন।”
★ [মাদারিজুন্ নবুয়্যত, ২য় খণ্ড, ১৪ পৃষ্ঠা]
৯. নবাব মোহাম্মদ সাদেক হাসান ভূপালভী:
মীলাদুন্নবীﷺ মক্কায় প য়াল তারিখ, হস্তীর বছরে হয়েছিল। অধিকাংশ উলেমা এই মত সমর্থন করেন। ইবনে জওযী উলেমাদের ঐকমত্যের বিষয়টি বর্ণনা ক রেছেন। ★[আশ্ শোমামাতুল আম্বারিয়া ফী মওলিদে খায়র আল -বারিয়া, ৭ম পৃষ্ঠা]
অতএব, আপনারা দেখতে পেয়েছে ন যে হিজরী প্রথম/ দ্বিতীয় শতকের ইতিহাসবিদ ও জ্ ঞানী-পণ্ডিতবৃন্দ এবং এর পাশাপাশি পরবর্তী যী র জ্ঞান বিশারদগণও ১২ই রবিউ় স হিসেবে নিশ্চিত করেছেন। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ‘সালাফী’ নেতা ন বাব সাদেক
হাসান ভূপালীও।
ইসলামী বিশ্বে এই দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত
কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সমগ্র ইসলামা াদুন্নবী ﷺ দিনটি উদযাপিত হয়। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, ইরান ব্যতিরেকে (ওখানে ১৭ তারিখ পালিত হয়) সবগুলো মুসলমান দেশেই ১২ তারিখ ে তা পালিত হয়। এখানে ১৬টি ইসলামী দেষ ানে ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে সরকারি ছুটি থাকে (এর প্রকৃত তালিকা আরও বড় ): জর্দান আরব আমীরাত বাহর াইন জাযিরাতুল
আরব
সুদান
ইরাক
কুয়েত
মরক্কো
ইই়ৼ
মেন
তিউনিশিয়া
সিরিয়া
ওমান
লেবানন লিবিয়া ম িসর মৌরিতানিয়া উপসংহার
ﷺ এর সর্বজনগ্রাহ্য দিন ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখ, যে সম্পর্কে পূর্ববর্তী ও পরবর্ত ী উলেমাবৃন্দ এবং ইতিহাসবিদগণ ঐকমত্য পোষণ করেছ েন; আর ইসলামী দেশগুলোও সরকারিভাবে পালনীয় দিবস হ িসেবে গ্রহণ করেছে। এক্ষণে আমরা এমন এক আলেমের উদ্ধৃতি দেবো যাকে ালাফী’রা তাফসীর ও তাওয়ারিখ বিষয়ে সেরা আলেম মন ে করে। তিনি শুধু ১২ তারিখকে মূলধারার উলেমাদের অভিমত বলেই ক্ষান্ত হন নি,
বরং এর স্বপক্ষে হাদীসও পেশ করেছেন:
ইবনে আবি শায়বা (রহ:) তাঁর ‘মোসান্নাফ’ গ্রন ্থে আফফান থেকে, তিনি সাঈদ থেকে, তিনি জাবের (রা:) থ েকে, তিনি হযরত ইবনে আব্বাস (রা: ) হস্তীর বছরে ১২ই রবিউল আউয়াল, সোমবার, ধরাধামে শ ুভাগমন করেন।
♦[ইবনে কাসীর কৃত ‘সীরাতুন্ নবী’, ১ম খণ্ড, ১৯৯ পৃষ ্ঠা]
অতঃপর ইবনে কাসীর বলেন,” দের মধ্যে এটি-ই সুপ্রসিদ্ধ মত। [প্রাগুক্ত]
♦ইমাম কসতলানী (রহ:) বলেন: মহানবীﷺ ১২ই রবিউল আউয় াল তারিখে ধরণীতে আবির্ভূত হন
এবং মক্কাবাসী মু সলমানগণ তা পালন করেন; ওই একই দিন তাঁরা (তাঁর) বেলাদত-স্থান যেয়ারত কর েন…. এটি জ্ঞাত যে মহানবী ﷺ এর মীলাদ-দিবস ১২ই রবিউল আ উয়াল, দিনটি ছিল সোমবার। ইবনে এসহাক (রহ:) এবং অন্যান্যরাও এ
কথা বর্ণনা কর েছেন।
★[আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া, ১ম খণ্ড, ৮৮ পৃষ্ ঠা]
– সমাপ্ত –