বিষয়:-“ইসলামে তা’যামি সাজদাহ এর বিধান।”
লেখকঃ মোহাম্মদ সাবেদ চৌধুরী সাকিব
আশা করি পোস্ট-টি আপনারা আগ্রহ নিয়ে পড়বেন।
পবিত্র কুর-আনে এরশাদ হয়েছে যে,
“এবং আপন পিতা ও মাতাকে তার সিংহাসনে বসালো এবং সবাই তার জন্য সাজদায় পড়ল।(১২:১০০)
[বি:দ্র:-এখানে আমি সূরা ইয়ূ-সুফ এর ১০০ নাম্বার আয়াতের কিছু অংশ উল্লেখ করেছি মাত্র]
#ব্যাখ্যা:-অর্থ্যাৎ পিতা-মাতা ও এগার ভাই।এখানে সাজদাহ মানে ওই পারিভাষিক সাজদাহ ;অর্থ্যাৎ কপাল মাটিতে রাখা।বিনা প্রমাণে ক্বোরআনের আয়াতসমূহের তা’ভীল করা উচিত নয়।এখানে সাজদাহ হযরত ইয়ূ-সুফ আলায়হিস সালামকেই করা হয়েছে,মহান রবকে নয়।যেমন–লাহূ(আরবী শব্দ) থেকে এ কথা বুঝা যায়।
এ যুগের যেসব পীর-মাশাইখ এ আয়াত থেকে তা’যামী-সাজদাকে বৈধ করতে চান,তাঁদের উচিত যেন তাঁরা তাদের মুরিদদেরকে সাজদাহ করেন।মুরিদদের মাধ্যমে যেন তাদেরকে সাজদাহ না করান।কেননা,এখানে হযরত ইয়া’ক্বূব আলাইহিস সালাম হযরত ইয়ূ-সুফ আলাইহিস সালামকে সাজদা করেছেন।অর্থ্যাৎ পিতা পুত্রকে,তথা পীর মুরীদকে।মোটকথা,এটা সাজদাহই তাহিয়্যাই ছিলো, না ইবাদতের সাজদাহ,না তা’যীমী।দেখুন!
হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম আপন সন্তান ও স্ত্রী হাজেরাকে পানি ও খাদ্য বিহীন মরুভূমিতে রেখে এসেছেন;আল্লাহরই নির্দেশক্রমে।সুতরাং এ নির্দেশ “খাস” ছিলো। তাঁর দ্বীনের শরিয়তী-মাসআলা ছিলো না। [সূত্র:-তাফসীরে নূরুল ইরফান]