ইয়াযিদের কারাগারে বন্দী অবস্থায় হযরত ইমাম হুসাইন (আঃ) এর ছোট্ট মেয়ে সকিনা (আঃ) একদিন তাঁর ভাই হযরত ইমাম যাইনুল আবেদীন (আঃ) কে একটি প্রশ্ন করেন –
ভাই, আপনিতো এখন এই যুগের ইমাম আর ইমাম তো সব বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখেন। তাই আপনাকে একটা প্রশ্ন করছি –
“পিপাসার কতগুলো স্তর হয়?” (পিপাসা কত ধরনের হয়?)
হযরত সকিনা (আঃ)-এর এই কথা শুনে হযরত যাইনাব (আঃ বিনতে আলী (আঃ) কেঁদে অস্থির হয়ে সকিনা (আঃ) কে কোলে তুলে নিলেন আর বললেন: “তুমি কেন এমন প্রশ্ন করছো আমার ছোট্ট আদরের ভাতিজি?”
ইমাম যাইনুল আবেদিন (আঃ) নিজ ফুপি হযরত যাইনাব (আঃ) কে বললেন: “সকিনা তাঁর নিজের যুগের ইমামের কাছে প্রশ্ন করেছে। তাই তাঁর প্রশ্নের উত্তর দেয়া আমার উপর জরুরি হয়ে পরেছে।”
তার পর ইমাম যাইনুল আবেদিন (আঃ) বললেন:
“সকিনা! পিপাসার চার (৪) স্তর হয়ে থাকে। (৪ ধরনের)।”
১. পিপাসার ১ম স্তর হলো মানুষ এত বেশি পিপাসায় কাতর হয়ে পড়ে যে, তাঁর চোখে সব কিছু ধোয়াঁ ধোয়াঁ দেখতে পায় আর আকাশ ও জমিনের পার্থক্য অনুভব করতে পারে না।
হযরত বিবি সকিনা (আঃ) বললেন: “হ্যাঁ আমি ভাই কাসিম (আঃ)-কে আমার বাবার নিকট বলতে শুনেছিলাম, ‘চাচা আমি এত বেশি পিপাসায় কাতর যে আমি চোখে শুধু ধোয়াঁ ধোয়াঁ দেখতে পাচ্ছি।’
২. ইমাম বললেন: পিপাসার ২য় স্তর হলো যখন মানুষের জিহ্বা তাঁর মুখের তালুতে যেয়ে চিপকে থাকে।
বিবি সকিনা (আঃ) আবার বললেন: “হ্যাঁ, আমার ভাই আলী আকবার (আঃ) যখন বাবা হুসাইন (আঃ) এর মুখে নিজের জিহ্বা রেখে বের করেছিলেন, তখন বলেছিলেন: ‘বাবা আপনিতো আমার চাইতেও অধিক তৃষ্ণার্ত আছেন। মনে হয় তখন বাবা হুসাইন (আঃ) পিপাসার ২য় স্তরে ছিলেন।
৩. ইমাম আবার বললেন: পিপাসর ৩য় স্তর হলো যখন কোন মাছ কে পানি হতে বের করে মাটিতে রেখে দেওয়া হয়। আর মাছটি এত বেশি তৃষ্ণার্ত হয় যে, সে নিস্তেজ হয়ে পরে। শুধু একবার মুখ খোলে আর একবার মুখ বন্ধ করে।
বিবি সকিনা (আঃ) বলেন, হ্যাঁ, আমার ৬ মাসের ছোট্ট ভাই আলী আসগারকে যখন আমার বাবা হুসাইন (আঃ) মাটিতে রেখে দিয়েছিলেন তখন সেও নিস্তেজ হয়ে পরে ছিল, আর একবার মুখ খুলছিলো আর একবার বন্ধ করছিলো। মনে হয় আলী আসগর (আঃ) তখন পিপাসার ৩ স্তরে ছিল।
৪. ইমাম আবার বললেন: পিপাসার ৪র্থ স্তর হলো যখন মানুষ এত বেশি তৃষ্ণার্ত হয় যে তার দেহের আদ্রতা সম্পূর্ণরূপে নি:শেষ হয়ে যায়। আর তার দেহের মাংস তার হাড় (হাড্ডি) হতে আলাদা হতে শুরু করে। আর মানুষ মৃত্যু মুখে পতিত হয়।
এত টুকু শুনে বিবি সকিনা (আঃ) তার হাত ভাই এর নিকট প্রসারিত করে বলেন: “ভাই! আমি মনে হয় পিপাসার শেষতম স্তরে আছি। দেখ আমার দেহের মাংস আমার হাড় হতে আলাদা হয়ে পড়ছে। আর আমি নিশ্চয়ই অতিদ্রুত আমার বাবা হুসাইন (আঃ) এর কাছে চলে যাবো।
সকিনা (আঃ) এর এই কথা শুনে কারাগারের সবাই ক্রন্দন করতে শুরু করলেন।
ইন্না লিল্লহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিয়ুন!
ওয়া সায়ালামুল্লাযিনা যালামু, আইয়্যা মিন কালিবিয়্যান কালিবুন!
ফিদা এ আহলুল বাইত!
জো আহলে বায়াত কা নেহী ও হামারা নেহী 😭
জো আহলে বায়াত কা নেহী ও ইমানদার নেহী 😡
এ দিল অর রূহ সাব কুছ কুরবান হো যায়ে ইয়ে ইশক্ব পার,
ইয়ে ইশক্ব বিগলেগা ও আশিক কি কদমো পার 😭
ইয়া নূরে হুব্বে আহলুল বাইয়াত,
মগযে ইমান রূহে দ্বীন 😭