হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★
ইমাম আজমের এলাকায় এক শিয়া লোক বসবাস করত।শিয়াটি হযরত ওসমান রাঃ কে ইহুদী বলে গালিগালাজ করত।একদিন সে তার বিবাহযোগ্য কন্যার যখন পাত্র খুজছিলো।তখন ইমাম আবু হানিফা রহঃ তার কাছে গিয়ে বললেন,একটি ভালো ছেলে পাওয়া গেছে,ছেলেটি যেমন শরীফ, খান্দানী,তেমনি সম্পদশালী, এমনকি সে পরহেযগার, হাফেজে কোরআন।শিয়া লোকটি বললো,তাহলে এই ছেলেটি ঠিক করে দিন,কারন এমন সৎপাত্র পাওয়া দুস্কর। ইমাম আজম রহঃ বললেন তবে ছেলেলেটি ইহুদী।একথা শুনে শিয়াটি রাগান্বিত হয়ে বললো,কি আশ্চর্য! এতবড় একজন ইমাম হয়ে একজন ইহুদীর সাথে আমার মেয়ের বিবাহ দিতে বলছেন? ইমাম আজম বললেন, তাতে অসুবিধা কি আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই তো তোমার কথামতে একজন ইহুদীর সাথে তার কন্যাকে বিবাহ দিয়েছেন, তাও আবার একজন নয়,একে একে দুজন।তিনি যদি তা করতে পারেন তবে তোমার আপত্তি কিসের?
আল্লাহর শুকরিয়া এতটুক কথায় শিয়া লোকটির চেতনা ফিরে আসলো এবং সে তাওবা করে শিয়া মতবাদ থেকে ফিরে আসলো।
কি শিখলামঃ-
এজন্য রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যখন তোমরা সেই লোকদের দেখবে, যারা আমার সাহাবায়ে কিরামকে মন্দ বলছে,তখন তোমরা তাদেরকে বল,তোমাদের মন্দ কথার দরুন তোমাদের উপর আল্লাহর লানত হোক।অন্য বর্ণনায় এসেছে তাদের লানত করিও।
সুত্র:-তিরমিযি-কিতাবুল মানাকিব,হাদীস নং ৩৮৬৬;
আহমদ বিন হান্বল-ফাদায়েলুস সাহাবা, হাদীস নং ৬০৬;
তাবরানী -মুজামুল আওসাত ৮/১৯০-১৯১,হাদীস নং ৮৩৬৬;