৭৮- بَابُ مَا جَاءَ فِي الْاِعْتِكَافِ
١٧١- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنِ الْـهَيْثَمِ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ عَائِشَةَ ، أَنَّ النَّبِيَّ كَانَ إذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ قَامَ وَنَامَ، وَإِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ الْأَوَاخِرُ شَدَّ الْـمِيْزَرَ وَأَحْيَا اللَّيْلَ.
বাব নং ৭৮. ৬৬. ই‘তিকাফের বর্ণনা
১৭১. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হায়সাম থেকে, তিনি জনৈক ব্যক্তি থেকে, তিনি আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, যখন মাহে রমযান শুরু হতো তখন নবী করিম (ﷺ) রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত করতেন, আবার কখনো নিদ্রা যেতেন। যখন শেষের দশদিন আসত, তখন কোমর বেঁধে নিতেন এবং রাত্রি জাগরণ করতেন।
ব্যাখ্যা: ইমাম কুদরী (رحمة الله) বলেন, الاعتكاف هو اللبث فى المسجد ونية الاعتكاف ই‘তিকাফের নিয়্যত সহকারে জামাত চালু আছে এমন মসজিদে অবস্থান করাকে ই‘তিকাফ বলে।
ই‘তিকাফ তিন প্রকার।
এক: ওয়াজিব।
যেমন মান্নতের ই‘তিকাফ দুই:
সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। যেমন রমযানের শেষ দশ দিন ই‘তিকাফ থাকা সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া।
অর্থাৎ পুরো মহল্লাবাসীর পক্ষ হতে কোন একজন ই‘তিকাফ থাকলে সকলের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে নতুবা সবাই গুনাহগার হবে। এ দু’প্রকারের ই‘তিকাফে রোযা শর্ত।
তিন: নফল। যেমন একদিন বা কিছুক্ষণের জন্য ই‘তিকাফ থাকা।
মহিলারা নিজ ঘরে নামাযের স্থানে ই‘তিকাফ থাকতে পারে। ই‘তিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হল মসজিদে হারাম, অতঃপর মসজিদে নববী, অতঃপর মসজিদে আক্সা, অতঃপর যেসব মসজিদে সর্বাধিক জামাত হয়।১৬৪
➥ জাওহারাতুন নাইয়্যারা পৃষ্ঠাঃ ২১২
সুন্নত ই‘তিকাফ আরম্ভ করে ছেড়ে দিলে কাযা ওয়াজিব হবে কিনা? এ বিষয়ে বিশুদ্ধ মত হল যেদিন ই‘তিকাফ ছেড়ে দেবে শুধু সে দিনের কাযা করবে পুরো দশদিনের কাযা করার প্রয়োজন নেই। হানাফী ও মালেকী মাযহাবের মত এটিই। ইমাম শাফেঈ ও আহমদ (رحمة الله)’র মতে সুন্নত ও নফল ই‘তিকাফ কাযা করতে হয়না তবে ওয়াজিব ই‘তিকাফ সকলের মতে কাযা করতে হয়।