আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই কে অন্তরে রেখে
(প্রসঙ্গ আল্লাহ রাসূলের দিদার পেতেহলে কামেলে মোকাম্মেল ওলীদের সাথে থাকতেহবে)
প্রথমে একটি কথা না বলে পারছি না যেমন আল্লাহ সুবাহানু তাআলা যুগ যুগ ধরে অসংথ্য নবী রাসূলগণ পাঠিয়েছেন আমাদের মাঝে তারই সন্ধানের জন্য যতদিন নবী রাসূল গণ এসেছেন এবং শেষ নবী মুহাম্মদ (সা:)পর্যন্ত এসেছেন ততদিন পর্যন্ত নবী রাসুলগনের দরজা বা নবুয়াতের দরজা খোলা ছিল কিন্তু ওনাদের ওফাতের পর কি আর ইসলামচলবে না বা পড়ে থাকবে এ টা কি হয়.না..তাই আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ওনি আমাদের অধম পাপীদের হেদায়াতের জন্য বেলায়তের যুগে সূরা ফাতিহার ৬ এবং ৭ আয়াতের অনুসারে হেদায়াতপ্রাপ্ত লোকগুলিদের দুনিয়াতের পাঠিয়েছেন আল্রাহ রাসূলের প্রেমের বেলায়ত দিয়ে যার পরিপ্রেক্ষীতে তারাশরীয়তের পাল তুলেতরীকতের নৌকা নিয়েহাকীকতে থেকে মারফতের মাঝি হয়ে আছেনআমাদের পথ দেথাতে যেমন আমাদের বাংলাদেশে আমরা ইসলাম পেলামকেমন করে তখন তো কোন নবী রাসূলগণ ও সাহাবী ছিলেন না আমরাইসলাম পেয়েছি বেলায়াত প্রাপ্ত ওলিগণদের কাছ থেকে..হাদীশ শরীফেআছে যে ব্যক্তি কোন কামেলে মোকাম্মেল ওলি বা ইমামবা মুর্শীদ ব্যতিত মৃতুবরণ করবে সে যেন জাহেলী যুগেরমত মৃত্যুবরণ করল (মুসলিমঃ হাদীস নং- ৪৮৯৯, ত্বাবরানী শরীফ-আবু দাউদ শরীফ)এখন কথা হলোআল্লাহ সুবাহানু তাআলা কে কি মাধ্যম ব্যতীত পাওয়া যাবেএক কথায় অসম্ভব কারণ ঈসা (আ:)বলেছেন যে ব্যক্তি আমাকে বাদ দিয়েসরাসরি আল্লাহ কে পাওয়ার আশা করে সে ব্যক্তি মোনাফেক-বাণী-ঈসা (আ:)-এ কথাটি পর্যবেক্ষন করলে বুঝা যায় যে আল্লাহ কখেনাকারো কাছে সরাসরি এসে ইসলামের দাওয়াত দেননি বরং যুগেযুগে ১,২৪,০০০ হাজার পয়গম্বর পাঠিয়েছেন পাপীদের পথ দেখানোর জন্য যদি মাধ্যমই না থাকতো তাহলেএতো নবী রাসূলগণ পাঠানোর কোন উদ্দেশ্য হতো না সুতরাং এ কথা গুলিথেকে পরিষ্কার হলো যে আল্লাহ কে পেতে হলে অবশ্যই মাধ্যম গ্রহণ করতেহবে আর সেই মাধ্যম কামেলে মোকাম্মেল ওলি আওলিয়াগণ..যেমন আল্লাহকে ভালবাসতে হলে প্রথমে রাসূল (সা:)কে ভালবাসতে হবে রাসুল (সা:)কে ভালবাসতে হলে ওলী আওলিয়া বা উলিলআমরকে ভালবাসতে হবে..উদাহরণ স্বরুপ আমরাযে কারেন্ট দিয়েআমাদের ঘড়ের বাতিজ্বালিয়ে থাকি সেই কারেন্ট তৈরীর কারখানা থেকে যদি সরাসরি তার দিয়ে আমরাবাতি জালাতে চাই তাহলে ভাই সেই বাতি আর জলবেনা জলবেন আপনিএবং আপনার ঘড় কারন সেখানে হাজারহাজার ভোল্ট কারেন্ট উতপাদন হচ্ছে প্রতিসেকেন্ডে সেটা সরাসরি কোন বাতির পক্ষেধরে রাখা সম্ভবনয় সেখানে বাতিজালাতে গেলেই আপনাদেরকে ট্রান্সমিটার ব্যবহার করতেহবে এবং সেই ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে পরিমাপ অনুযায়ী কারেন্ট সাপ্লাই করলেই বাতি জালানো সম্ভব হয়ে থাকেঠিক আল্লাহ কে সরাসরি দেখতে গেলেনিজেই জ্বলে পুড়েছাই হয়ে যাবেনতাই আল্লাহ কে পেতে হলে অবশ্যই ট্রান্সমিটার বা মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে কোরানে উল্লেখিত মূসা (আ:)ওনার একটিঘটনা আপনাদের সামনেপেশ করছি-একদামুসা (আ:)সব সময় বলতেন আল্লাহ আমি আপনাকে দেখতেচাই আল্লাহ বলেনহে মুসা তা সম্ভব নয় মুসা(আ:)আল্লাহ একবারদেখা দিয়েই দেখেননা সম্ভব নাকিতখন আল্লাহ মুসা(আ:)এর নিকট৭০০০০ হাজার পর্দার ভিতর বেদ করে তার সামনে প্রকাশ হলেন কিন্তু আল্লাহর নূরের তাজ্জালী এতই ছিল যে সে নুরের তাজ্জালীতে সমস্ত পাহাড় পর্বত পুড়েছাই হয়ে মুসা(আ:)বেহুশ হয়ে পড়ে গেলেন কিছুক্ষণ পড়ে হুশ ফিরেআসলে আল্লাহ সুবাহানু তাআলা জিঙ্গাসা করেন হে মুসা কেমনদেখলে তোমার আল্লাহ কে মুসা (আ:)বলেন আল্লাহ কি আর তোমাকে দেখলাম শুধু দেখলাম একটিঝিলিক মারলো আর আমি বেহুশ হয়ে গড়ে গেলাম পাঠকগণ ভালভাবে খেয়াল করুনমুসা (আ:)ওনারকি দশা হয়েছেএটা আরো বড় কাহিনী সেখানে গেলামনা আরেকটি ঘটনাহলো মেরাজ রাতরেসেখানে আল্লাহ সুবাহানু তাআলার সাথে সাক্ষাত করেন আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা:)এবং মুসা (আ:)রাসুল (সা:)ওনারমাধ্যমেই আল্লাহ কে দেখতে পেয়েছিলেন সুবাহানাল্লাহ পাঠকগণ দেখেন একজন নবী আরেকজন নবীর মাধ্যমেই আল্লাহ কে দেখতেপেল আর সে জায়গায় আমি আর আপনি কেমন করে ট্রান্সমিটার বা মাধ্যম ছাড়া আল্লাহ কে দেখতে পাব তা কি করে আশা করেন..যদি দেখতেচাই তাহলে মুসা(আ:)ওনার মত বেহুশ হয়ে পড়ে থাকেত হবে এছাড়াআর কোন উপায়নাই তাই ভাই আপনাদের সবাইকে আমি অধম অনুরোধ করব শরীয়তী বিধান মেনেকোন কামেলে মোকাম্মেল ওলীর নিকট বায়াতহয়ে আল্লাহ রাসুলের দিদার লাভ করি আর সেই দিদারলাভের একমাত্র বাতিহলো বাকাবিল্লাহ আর সেই বাকাবিল্লাহ অর্জন করতে হলে প্রথমে আপনাকে ফানাফিস শায়েখদ্বীতয়তে ফানাফির রাসূলতৃতীয়তে ফানাফিল্লাহ এবং সবশেষে বাকাবিল্লায় গিয়ে খোদার সাথে দিদারফায়েজে উর্ত্তীন্য হবেন,তাই পরিশেষে সবাইকে আবার ও অনুরোধ করছি কোন কামেলে মোকাম্মেল ওলীর নিকটবায়াত হউন বায়াতহয়ে নিজেকে জানুনকে আপনি কেন এসেছেন এই দুনিয়াতে কেনই বা আপনাকে পাঠানো হয়েছে এবং নিজের সূরত দেখুনএবং মোর্শেদের সূরত নিজের ক্বালবে ধারনকরুন তাহলেই কেবলআল্লাহ কে পাবেনসেই মোর্শেদের মাধ্যমে-আল্লাহ-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ