ইমাম আহমদ রেযা রহঃ কি ইংরেজদের রাজত্বকে আন্তরিক ভাবে পছন্দ করিতেন?
ইংরেজদের প্রতি তাঁহার মনোভাব কেমন ছিলো?
_________________________
বাতিলদের নিন্দ খারাপ হো জায়েগা..
___সম্পুর্ণ পড়ে মন্তব্য করুন___
📚📚📚📚
🔎🔎🔎🔎
#উত্তর —- না কখনই না, দূর থেকেও নয়, মনেতে নয়, মুখেতেও নয়; কোন সময়ে তাহাদের রাজত্বকে পছন্দ করিতেন না।
ইংরেজদের প্রতি তাঁহার মনোভাব অত্যান্ত কঠোর ছিল। দুই চোখ দিয়াতো নই, এক চোখের কোনা দিয়াও তাহাদের দেখিতে পছন্দ করিতেন না। বন্ধু-বন্ধুর সমস্ত জিনিষকে পছন্দ করিতে বাধ্য। মনেতে পছন্দ না হইলেও মুখেতে পছন্দ বলিয়া প্রকাশ করিতে বাধ্য। অন্যথায় বন্ধুত্ব বজায় থাকা সম্ভব নয়। যদি ইমাম আহমদ রেযা আলাইহির রাহমান ইংরেজদের আন্তরিকভাবে ভাল বাসিতেন, তাহা হইলে তিনি তাহাদের পোষাককে অপছন্দ করিতেন না, তিনি ইংলিশ কাটিং এর পোষাক পরিধান করা কেবল’ হারাম’ বলেন নাই, বরং কঠিন হারাম বলেছেন।
[ফাতোয়ায়ে রেজভীয়া,৩য় খন্ড,৪৪২ পৃ,]
[ছাপা লাইলপূর, ভারত ]
১/ যদি ইমামে আহলে সুন্নাত ইমাম আহমদ রেযা রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইংরেজদের ভাল বাসিতেন, তাহা হইলে তাহাদের শিক্ষার বিরোধিতা করিতেন না। তিনি ইংরেজী শিক্ষার বিরোধিতা করতঃ বলিয়াছেন –উহা শিক্ষা করা অনোর্থক এবং সময় নষ্ট করা। উক্ষ শিক্ষায় শিশুদের ইসলাম থেকে দূরে রাখা হয়। ইসলামের মৌলিক বিষয় গুলি পর্যন্ত শিশুরা জানিতে পারেনা যে, আমরা কি এবং আমাদের দ্বীন কি! [ আল মুহাজ্জাতুল মু’তামিনা ফি আয়াতিল মুমতাহিনা ৯৩ পৃ]
[ ছাপা লাহোর]
২/যদি ইমাম আহমদ রেযা রহঃ ইংরেজদের আন্তরিক ভাবে ভাল বাসিতেন, তাহা হইলে তিনি তাহাদের পাদরীদের বিরুদ্ধে পুস্তক প্রনয়ন করিতেন না। ১৩১৫ হিজরী অনুযায়ী ১৮৯৭ সালে তিনি #আস_সাম_সাম_আলা
#মুশাককি_কিন_ফি_আয়াতে_উলুমিয়া_আহারাম নামক কিতাবে ইংরেজদের ধর্মীয় ধারানাকে অপবিত্র বাতিল ঘোষণা করতঃ তাহাদের জাহান্নামী বলিয়াছেন।
৩/ যদি ইমাম আহমদ রেযা রহঃ ইংরেজদের আন্তরিক ভাবে ভাল বাসিতেন,,তাহা হইলে তিনি তাহাদের মহিলাদের সাহিত বিবাহ জায়েজ বলিতেন। অনুরূপ তাহাদের জবাহ জোর গলায় হালাল বলিতেন। কারণ ইসলাম আহলে কিতাবদের জবাহ হালাল ও তাহাদের সাহিত বিবাহ জায়েজ বলা হইয়াছে। ইংরেজরা আহলে কিতাবদের গন্য হবে কিনা, এই বিষয়ে উলামাদের মধ্যে মতভেদ রহিয়াছে। অনেকেই তাহাদের মুশরিক প্রমাণ করিয়াছেন, আবার অনেকেই আহলে কিতাব বলিয়াছেন। উলামাদিগের মতভেদকে সামনে রাখিয়া সুযোগ গ্রহণ করতঃ ইংরেজদের আহলে কিতাব গন্য করিয়া তাহাদের জবাহ হালাল এবং তাহাদের মহিলাদের বিবাহ জায়েজ বলিতে পারিতেন। কিন্তু ইমাম আহমদ রেযা রহঃ তাহা না করিয়া তাহাদের থেকে দূরে থাকিতে পরামর্শ দিয়েছেন।দেখুন তিনি রহঃ এর লিখতি কিতাব #ইলামুল_আলাম_বিয়ান্না
#হিন্দুস্তান_দারুল_ইসলাম
৪/যদি ইমাম আহমদ রেযা রহঃ ইংরেজদের আন্তরিক ভাবে ভাল বাসিতেন,তাহা হইলে তিনি ইংরেজদের আদালতে না যাইবার পরামর্শ দিতেন না। তিনি তাঁহার লিখিত
#তাদবীরে_ফালাহ_অ_নাজাত_অ_ইসলাহ
নামক কিতাবে মুসলমানদের বহু বুঝাইয়াছেন যে জাতির বিচারক কুর’আন ও হাদীস, সেই জাতি কি কোন দিন আল্লাহ ও তাঁহার রাসুলের দুশমনদের আদালতে গিয়া ইসলামকে লানছিত করিতে পারে! এই কিতাবে শত পরামর্শ দিয়া ইংরেজদের আদালতে যাইতে নিষেধ করিয়াছেন।
৫/ যদি ইমাম আহমদ রেযা রহঃ ইংরেজদের আন্তরিক ভাবে ভাল বাসিতেন, তাহা হইলে তিনি তাহাদের রাজা মহারাজাদের প্রতি অশ্রোদ্ধা জ্ঞাপন করিতেন। ইমাম আহমদ রেয়া রহঃ সব সময় খামের উপর টিকিট উলটে করিয়া লাগাইতেন। উদ্দেশ্য, রানী ভিক্টোরিয়া ও রাজা পঞ্চম জর্জের মাথা নিচু করিয়া দেওয়া।
[ গুনাহে বেগুনাহী ৩২ পৃ]
৬/ যদি ইমাম আহমদ রেযা রহঃ ইংরেজদের আন্তরিক ভাবে ভাল বাসিতেন, তাহা হইলে তিনি খামের উপর অযোথা টিকিট লাগাইতেন নিষেধ করিতেন না। যাহাতে ইংরেজদের রাজকোস বেশি পয়সা না জমে সেজন্য খামের উপর অতিরিক্ত টিকিট লাগাইতে নিষেধ করিতেন
[ হায়াতে আলা হযরত,১ম খন্ড, ১৪০ পৃ]
৭/ যদি ইমাম আহমদ রেযা রহঃ ইংরেজদের আন্তরিক ভাবে ভাল বাসিতেন, তাহা হইলে তিনি ইন্তেকালের পূর্বে মুহুর্তে তাঁহার ঘর থেকে টাকা পয়সা ও চিঠি পথ গুলি বাহির করিয়া লইতে আদেশ করিতেন না, কারণ ঐ সমস্ত জিনিষের উপরে রাজা রানীর ছবি ছিলো।
বিস্তারিত দেখুন[ আসায়া শরীফ, পৃ]
৮/ যদি ইমাম আহমদ রেযা রহঃ ইংরেজদের আন্তরিক ভাবে ভাল বাসিতেন, তাহা হইলে তিনি তাহাদেরকে বাঁদর বলিতেন না। মুফতি বুরহানুল হক জব্বর পুরী বর্ণনা করিয়াছেন- একদিন আসরের নামাযের পর ভ্রমনে বাহির হইয়া ছিলেন। একদল সৈন্যকে দেখিয়ে বলিলেন — কম বখতরা একে বারেই বাঁদর।
[ইহকামে ইমাম আহমদ রেযা ৯১ পৃ]
৯/ যদি ইমাম আহমদ রেযা রহঃ ইংরেজদের আন্তরিক ভাবে ভাল বাসিতেন, তাহা হইলে তিনি ইংরেজ বিরোধী মানুষকে ভাল বাসিতেন না। কট্টর ইংরেজ বিরোধী বীর মুজাহিদ মাওলানা কিফায়াত আলী কাফী মুরাবাদী, যাহাকে ১৮৫৮ সালে শুলী দেওয়া হইয়াছিলো, তিনি ইমাম আহমদ রেযা এই অমর শহীদের সম্পর্কে শত প্রশংসায় পদ্য রচনা করিয়াছিলেন।
[ হাদায়েকে বখশিশ, বাদাউনী ছাপা,৯৩,৯৪ পৃ]
বিঃদ্রঃ উল্লেখিত উদ্ধৃতিগুলির আলোকে প্রমাণ হয়না যে, ইমামে আহলে সুন্নাত আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা রাহমাতুল্লিল আলাইহি বেরলী বৃটিশ বিরোধী মানুষ ছিলেন? ইনসাফের সহিত বিচার করিলে কি কোন ঈমানদার তাঁহাকে ইংরেজদের এজেন্ট বলিতে পারিবেন? খোদা তা’আলা সমগ্র জাতীকে ইনসাফ করিবার তৌফিক দান করেন।
আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
–শেয়ের কপি ইজাজত ছাড়া ই করুন,বাতিলদের দেখিয়ে দিনযে, আলা হযরত রহঃ কেমন ছিলেন।