১ নং হাদীসঃ
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ فَيَقُولُ مَنْ يَدْعُونِى فَأَسْتَجِيبَ لَهُ وَمَنْ يَسْأَلُنِى فَأُعْطِيَهُ وَمَنْ يَسْتَغْفِرُنِى فَأَغْفِرَ لَهُ.
হযরত আবূ হুরাইরা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, হযরত রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের বরকতময় মহান প্রতিপালক প্রত্যহ রাত্রের শেষ তৃতীয়াংশে নীচের আসমানে তাওয়াজ্জুহ দান করেন এবং বলেনঃ কে আমাকে ডাকে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব! কে আমার নিকট প্রার্থনা করে? আমি তাকে দান করব! এবং কে আমার নিকট ক্ষমা চায়? আমি তাকে ক্ষমা করব! (ফজর পর্যন্ত এ আহবান চলতে থাকে।) সনদ সহীহ৷
(সহীহুল বুখারী ১১৪৫, ৬৩২১, ৭৪৯৪ হাদীস৷ সহীহু মুসলিম ১৮০৮-১৮১৩, হাদীস৷ মিশকাত শরীফ ১২২৩ হাদীস৷)
কিন্তু শবে বরাতের রজনীতে আল্লাহ তায়ালা সূর্যাস্তের সাথে সাথেই দুনিয়ার আসমানে তাওয়াজ্জুহ দেন। যেমন নিম্নে বর্নিত হাদীসঃ
☞ ২ নং হাদীসঃ
ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ ﺑْﻦُ ﻋَﻠِﯽٍّ ﺍﻟْﺨَﻠَّﺎﻝُ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﺮَّﺯَّﺍﻕِ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﻧْﺒَﺄَﻧَﺎ ﺍﺑْﻦُ ﺃَﺑِﯽ ﺳَﺒْﺮَۃَ، ﻋَﻦْ ﺇِﺑْﺮَﺍﮨِﯿﻢَ ﺑْﻦِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ، ﻋَﻦْ ﻣُﻌَﺎﻭِﯾَۃَ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﮧِ ﺑْﻦِ ﺟَﻌْﻔَﺮٍ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﯿﮧِ، ﻋَﻦْ ﻋَﻠِﯽِّ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﯽ ﻃَﺎﻟِﺐٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﮧِ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﷲُ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ” ﺇِﺫَﺍ ﮐَﺎﻧَﺖْ ﻟَﯿْﻠَۃُ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ، ﻓَﻘُﻮﻣُﻮﺍ ﻟَﯿْﻠَﮩَﺎ ﻭَﺻُﻮﻣُﻮﺍ ﻧَﮩَﺎﺭَﮨَﺎ، ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﮧَ ﯾَﻨْﺰِﻝُ ﻓِﯿﮩَﺎ ﻟِﻐُﺮُﻭﺏِ ﺍﻟﺸَّﻤْﺲِ ﺇِﻟَﯽﺳَﻤَﺎﺀ ِ ﺍﻟﺪُّﻧْﯿَﺎ، ﻓَﯿَﻘُﻮﻝُ : ﺃَﻟَﺎ ﻣِﻦْ ﻣُﺴْﺘَﻐْﻔِﺮٍ ﻟِﯽ ﻓَﺄَﻏْﻔِﺮَ ﻟَﮧُ ﺃَﻟَﺎﻣُﺴْﺘَﺮْﺯِﻕٌ ﻓَﺄَﺭْﺯُﻗَﮧُ ﺃَﻟَﺎ ﻣُﺒْﺘَﻠًﯽ ﻓَﺄُﻋَﺎﻓِﯿَﮧُ ﺃَﻟَﺎ ﮐَﺬَﺍ ﺃَﻟَﺎ ﮐَﺬَﺍ، ﺣَﺘَّﯽﯾَﻄْﻠُﻊَ ﺍﻟْﻔَﺠْﺮُ.
হযরত আলী রাযিঃ সূত্রে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা মধ্য শা’বানের রজনীতে জাগ্রত থাকো এবং তারপর দিন রোযা রাখো! কেননা এ রাতে সূর্যাস্তের সময় আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে বিশেষ তাওয়াজ্জুহ দান করেন এবং বলেতে থাকেন, আছো কি কেউ ক্ষমা প্রার্থনাকারী? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব!
আছো কি কেউ রিযিক যাচনাকারী? আমি তাকে রিযিক প্রদান করব! আছো কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি তাকে বিপদ থেকে মুক্তিদান করব! এরূপ কেউ আছো কি? এরূপ কেউ আছে কি?এভাবে সুবহে সাদিক পর্যন্ত আহ্বান করতে থাকেন। উপরে বর্নিত হাদীস অনুপাতে এই হাদীসের বিষয় বস্তুও সহীহ৷
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৮৮ হাদীস৷ শু’আবুল ঈমান-৩৫৪২ হাদীস৷ মিশকাতুল মাসাবীহ ১৩০৮ হাদীস৷ কানযুল উম্মাল ৩৫১৭৭ হাদীস৷)
☞ ৩ নং হাদীসঃ
عَنْ أَبِي بَكْرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا كَانَ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ يَنْزِلُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا فَيَغْفِرُ لِعِبَادِهِ إِلَّا مَا كَانَ مِنْ مُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ لِأَخِيهِ
হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাযিঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- হযরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যখন পনেরই শাবানের রাত হয়, তখন আল্লাহ তায়ালা প্রথম আসমানে বিশেষ তাওয়াজ্জুহ দান করেন এবং সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন! শুধু মুশরিক ও অপর ভাইয়ের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত। সনদ সহীহ৷
(মুসনাদে আবু বকর সিদ্দীক রাযিঃ ১০৪ হাদীস৷ মুসনাদে বাযযার ৮০ হাদীস৷ মাজমাউজ যাওয়ায়িদ ১২৯৫৭ হাদীস৷)
☞ ৪ নং হাদীসঃ
حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخُزَاعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ أَبُو بَكْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ فَقَدْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَخَرَجْتُ أَطْلُبُهُ فَإِذَا هُوَ بِالْبَقِيعِ رَافِعٌ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ ” يَا عَائِشَةُ أَكُنْتِ تَخَافِينَ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ ” . قَالَتْ قَدْ قُلْتُ وَمَا بِي ذَلِكَ وَلَكِنِّي ظَنَنْتُ أَنَّكَ أَتَيْتَ بَعْضَ نِسَائِكَ . فَقَالَ ” إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَنْزِلُ لَيْلَةَ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيَغْفِرُ لأَكْثَرَ مِنْ عَدَدِ شَعَرِ غَنَمِ كَلْبٍ ” .
আম্মাজান হযরত আয়িশা সিদ্দীকা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাতে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে (বিছানায়) না পেয়ে তাঁর খোঁজে বের হলাম। আমি লক্ষ্য করলাম, তিনি জান্নাতুল বাকিতে, তাঁর মাথা আকাশের দিকে তুলে (মুনাজাতে রত) আছেন। অতপর তিনি বলেনঃ হে আয়িশা! তুমি কি আশঙ্কা করেছো যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার প্রতি অবিচার করবেন? আমি বললাম, তা নয়! বরং আমি আশঙ্কা করলাম যে, আপনি হয়তো আপনার কোন স্ত্রীর নিকট তাশরিফ নিয়ে গেছেন। তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আজ মধ্য শাবানের রজনী৷ এ রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে বিশেষ তাওয়াজ্জুহ দান করেন এবং কালব গোত্রের মেষপালের পশমের চাইতেও অধিক সংখ্যক লোকের গুনাহ মাফ করেন। সনদ হাসান৷
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৮৯ হাদীস৷ সহীহু মুসলিম ৯৭৩-৭৪ হাদীস৷ সুনানে তিরমিযী ৭৩৯ হাদীস৷ সুনানে নাসায়ী ২০৩৭ হাদীস৷ মুসনাদে আহমাদ ২৫৪৮৭ হাদীস৷)
☞ ৫ নং হাদীসঃ
عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ اللَّيْلِ يُصَلِّي فَأَطَالَ السُّجُودَ حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ قَدْ قُبِضَ، فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ قُمْتُ حَتَّى حَرَّكْتُ إِبْهَامَهُ فَتَحَرَّكَ، فَرَجَعْتُ، فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ، وَفَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ، قَالَ: ” يَا عَائِشَةُ أَوْ يَا حُمَيْرَاءُ ظَنَنْتِ أَنَّ النَّبِيَّ خَاسَ بِكِ؟ “، قُلْتُ: لَا وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ وَلَكِنِّي ظَنَنْتُ أَنَّكَ قُبِضْتَ لِطُولِ سُجُودِكَ، فَقَالَ: ” أَتَدْرِينَ أَيَّ لَيْلَةٍ هَذِهِ؟ “، قُلْتُ: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: ” هَذِهِ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ، إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَطْلُعُ عَلَى عِبَادِهِ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِلْمُسْتَغْفِرِينَ، وَيَرْحَمُ الْمُسْتَرْحِمِينَ، وَيُؤَخِّرُ أَهْلَ الْحِقْدِ كَمَا هُمْ
আম্মাজান হযরত আয়েশা রাযিঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম একদা রাতে সালাত আদায় করছিলেন। তিনি সিজদায় গিয়ে এত দীর্ঘ সময় থাকলেন যে, আমার মনে হলো তাঁর ওফাত হয়ে গেছে। আমি তখন শোয়া থেকে উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম, ফলে তিনি নড়ে উঠলেন। তখন আমি (বিছানায়) ফিরে গেলাম। অতঃপর তিনি সিজদা থেকে মাথা উঠালেন এবং নামায শেষ করে আমাকে বললেনঃ হে আয়িশা! তুমি কি মনে করেছিলে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তোমার সাথে প্রতারণা করছেন? আমি বললামঃ আল্লাহর শপথ, আমি এমনটি মনে করিনি। বরং আপনার দীর্ঘ সিজদার কারনে আমার মনে হয়েছে যে, আপনার ওফাত হয়ে গেছে। তখন তিনি বললেনঃ তুমি কি জান এটি কোন রাত? আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামই অবগত। তিনি বললেনঃ এটি মধ্য শাবানের রাত। আল্লাহ তাআলা এ রাতে তার বান্দাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। যারা ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদেরকে ক্ষমা করেন৷ যারা দয়া প্রার্থনা করে তাদেরকে দয়া করেন৷ তবে যারা বিদ্বেষী তাদেরকে তাদের অবস্থাতেই রেখে দেন। সনদ মুরসাল৷
(সুনানে বায়হাকী ৩৫৫৪ হাদীস৷ শুয়া’বুল ঈমান-৩৬৭৫ হাদীস৷ ফাযায়িলুল আওকাত ২৬ হাদীস৷ তাফসীরে দুররুল মানসুর ৭/৪০৩ পৃষ্ঠা৷)
☞ ৬ নং হাদীসঃ
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸۃؓ۔۔۔ﮨَﻞْ ﺗَﺪْﺭِﯾﻦَ ﻣَﺎ ﻓِﯽ ﮨَﺬِﮦِ ﺍﻟﻠَّﯿْﻠَۃِ؟ ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﻣَﺎ ﻓِﯿﮩَﺎ ﯾَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﮧِ؟ ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﻓِﯿﮩَﺎ ﺃَﻥْ ﯾُﮑْﺘَﺐَ ﮐُﻞُّ ﻣَﻮْﻟُﻮﺩٍ ﻣِﻦْ ﺑَﻨِﯽ ﺁﺩَﻡَ ﻓِﯽ ﮨَﺬِﮦِ ﺍﻟﺴَّﻨَۃِ، ﻭَﻓِﯿﮩَﺎ ﺃَﻥْ ﯾُﮑْﺘَﺐَ ﮐُﻞُّ ﮨَﺎﻟِﮏٍ ﻣِﻦْ ﺑَﻨِﯽﺁﺩَﻡَ ﻓِﯽ ﮨَﺬِﮦِ ﺍﻟﺴَّﻨَۃِ، ﻭَﻓِﯿﮩَﺎ ﺗُﺮْﻓَﻊُ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟُﮩُﻢْ، ﻭَﻓِﯿﮩَﺎ ﺗَﻨْﺰِﻝُ ﺃَﺭْﺯَﺍﻗُﮩُﻢْ۔
হযরত আয়িশা রাযিঃ সূত্রে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমার কি জানা আছে এই রাত তথা মধ্য শা’বানের রাত্রিতে কী হয়? হযরত আয়িশা রাযিঃ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কী হয়? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ এই বছর যারা জন্ম গ্রহন করবে এবং যারা মৃত্যুবরণ করবে, সব এই রাতে লেখা হয়। এই রাতে বান্দাদের সারা বছরের আমল উত্তোলন করা হয় এবং সারা বছরের রিযিক বণ্টন করা হয়। সনদ গ্রহণযোগ্য৷
যেমন- ইবনে আব্বাস রাযিঃ বলেছেনঃ
وعن ابن عباس إن الله اللَّهَ يَقْضِي الْأَقْضِيَةَ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ، وَيُسَلِّمُهَا إِلَى أَرْبَابِهَا فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- আল্লাহ তায়ালা শ’বানের পনেরতম রাতে সিদ্ধান্তসমুহ চুড়ান্ত করেন এবং শবে ক্বদরে তা বাস্তবায়নকারী ফেরেশতাদের নিকট অর্পন করেন।
(সুনানে বায়হাকী, তাফসীরে কুরতুবী ১৬/১২৭ পৃষ্ঠা৷ তাফসীরেখাজিন ৪/১১২,১১৬ পৃষ্ঠা৷ তাফসীরে বাগাভী ৪/১৭৪ পৃষ্ঠা৷ ইবনে আ’দিল আল লুবাব ফি উলুমিল কিতাব-১৭/৩১১ পৃষ্ঠা৷)
☞ ৭ নং হাদীসঃ
ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺍﻟْﻤُﻌَﺎﻓَﯽ ﺍﻟْﻌَﺎﺑِﺪُ ﺑِﺼَﯿْﺪَﺍ، ﻭَﺍﺑْﻦُ ﻗُﺘَﯿْﺒَۃَ
ﻭَﻏَﯿْﺮُﮦُ، ﻗَﺎﻟُﻮﺍ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﮨِﺸَﺎﻡُ ﺑْﻦُ ﺧَﺎﻟِﺪٍ ﺍﻟْﺄَﺯْﺭَﻕُ، ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺧُﻠَﯿْﺪٍ ﻋُﺘْﺒَۃُ ﺑْﻦُ ﺣَﻤَّﺎﺩٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﻭْﺯَﺍﻋِﯽِّ، ﻭَﺍﺑْﻦِ ﺛَﻮْﺑَﺎﻥَ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﯿﮧِ، ﻋَﻦْ ﻣَﮑْﺤُﻮﻝٍ، ﻋَﻦْ ﻣَﺎﻟِﮏِ ﺑْﻦِ ﯾُﺨَﺎﻣِﺮَ ﻋَﻦْ ﻣُﻌَﺎﺫِ ﺑْﻦِ ﺟَﺒَﻞٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﯽِّ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠَّﮧُ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ﯾَﻄْﻠُﻊُ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺇِﻟَﯽ ﺧَﻠْﻘِﮧِ ﻓِﯽ ﻟَﯿْﻠَۃِ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ ﻓَﯿَﻐْﻔِﺮُ ﻟِﺠَﻤِﯿﻊِ ﺧَﻠْﻘِﮧِﺇِﻟَّﺎ ﻟِﻤُﺸْﺮِﮎٍ ﺃَﻭْ ﻣُﺸَﺎﺣِﻦٍ
হযরত মু’আয বিন জাবাল রাযিঃ সূত্রে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
আল্লাহ তায়ালা শা’বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে সমস্ত মাখলুকের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন এবং
মুশরিক ও বিদ্বেষকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন। সনদ সহীহ৷
(সহীহ তাবারানী ২০৩ হাদীস৷ সহীহে ইবনে হিব্বান ৫৬৬৫ হাদীস৷ সুনানে বায়হাকী ৬২০৪ হাদীস৷ মাজমাউজ যাওয়ায়িদ-১২৯৬০ হাদীস৷ সহীহ আত তারগীব ১০২৬,২৭৬৭ হাদীস৷)
(ইমাম তাবরানী রহিঃ বলেছেনঃ শবে বরাত প্রমানের জন্য এই হাদীসটিই যথেষ্ট৷ শায়েখ আলবানীও অনুরুপ মতই ব্যক্ত করেছেন৷ আস সহীহাহ ৩/১৩৫-১৩৯ পৃষ্ঠা৷)
☞ ৮ নং হাদীসঃ
ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺣَﺴَﻦٌ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺍﺑْﻦُ ﻟَﮩِﯿﻌَۃَ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺣُﯿَﯽُّ ﺑْﻦُ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﮧِ،ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﯽ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺍﻟْﺤُﺒُﻠِﯽِّ، ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﮧِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﮧِ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﷲُ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ” ﯾَﻄَّﻠِﻊُ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﺇِﻟَﯽ ﺧَﻠْﻘِﮧِ ﻟَﯿْﻠَۃَ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ ﻓَﯿَﻐْﻔِﺮُ ﻟِﻌِﺒَﺎﺩِﮦِ ﺇِﻟَّﺎ ﻟِﺎﺛْﻨَﯿْﻦِ : ﻣُﺸَﺎﺣِﻦٍ، ﻭَﻗَﺎﺗِﻞِ ﻧَﻔْﺲٍ.
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিঃ সূত্রে
বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা শা’বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে সমস্ত মাখলুকের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন এবং বিদ্বেষ পোষণকারী ও খুনি ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন। সনদ সহীহ৷
(মুসনাদে আহমাদ-৬৬৪২ হাদীস৷ মাজমাউজ যাওয়ায়িদ ১২৯৬১ হাদীস৷ তাফসীরে রূহুল মা’আনী ১৮/৪২৩ পৃষ্ঠা৷)
☞ ৯ নং হাদীসঃقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقُ وأخْبَرَنِىْ مَنْ سَمِعَ الْبَيْلَمَانِىَّ يُحَدِّثُ عَنْ أبِيْهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ خَمْسُ لَيَالٍ لَيَالٍ لَاتُرَدُّ فِيْهِنَّ الدُّعَاءَ، لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ، وَأَوَّلِ لَيْلَةٍ مِنْ رَجَبٍ، وَلَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ” وَلَيْلَتَىِ الْعِيْدَيْن.
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযিঃ সূত্রে বর্ণিত, পাঁচটি রাত এমন আছে, যে রাতে দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। তন্মধ্যে একটি হলো মধ্য শাবানের রজনী।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৭৯২৭ হাদীস৷)
☞ ১০ নং হাদীসঃ
عَنْ أبِى الدَّرْدَاءِ قَالَ مَنْ قَامَ لَيْلَتِىْ الْعِيْدِ للهِ مُحْتَسِبًا فَلَمْ يَمُتْ قَلْبُهٌ حِيْنَ تَمُوْتَ الْقُلُوْبُ قَالَ الشَّافِعِىُّ وَ بَلَغَنَا أنَّهٌ كَانَ يُقَال إنَّ الدُّعَاءَ يُسْتَجَابُ فِىْ خَمْسِ لَيَالٍ فِىْ لَيْلَةِ الْجُمُعَةِ، وَلَيْلَةِ الأضْحَى، وَلَيْلَةِ الْفِطْرِ، وَأَوَّلِ لَيْلَةٍ مِنْ رَجَبٍ، وَلَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ” قَالَ: وَبَلَغَنَا أنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يُحْى لَيْلَةَ جَمْعٍ، وَلَيْلَةُ جَمْعٍ هِىَ لَيْلَةُ الْعِيْدِ، لأنَّ فِىْ صُبْحِهَا النَّحْرُ
হযরত আবুদ দারদা রাযিঃ সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে লোক সাওয়াবের আশায় ঈদের রাত্রে ইবাদতে জাগ্রত থাকবে তার অন্তর ওই দিনও জাগ্রত
থাকবে, যেদিন সকলের অন্তর মুরদা থাকবে।
ইমাম শাফেঈ রহিঃ বলেছেনঃ আমার কাছে এই মর্মে বিশুদ্ধ বানী পৌঁছেছে যে, পাঁচ রাতের দোয়া কবুল হয়ঃ
১৷ জুমু’আর রাত৷
২৷ ঈদুল ফিতরের রাত৷
৩৷ ঈদুল আযহার রাত৷
৪৷ রজবের প্রথম রাত৷
৫৷ শাবানের মধ্য রাত৷
(সুনানে বায়হাকী ৬২৯৩ হাদীস৷ সুনানে ইবনে মাজাহ ১৭৮২ হাদীস৷ শু’আবুল ঈমান ৩৪৩৮ হাদীস৷ মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৭৯২৭ হাদীস৷ ফাজায়িলুল আওকাত ১৪৯ হাদীস৷ কিতাবুল উম্ম-১/২৩১ পৃষ্ঠা৷)
☞ ১১ নং হাদীসঃ
وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ: أَنَّه سَأَلَه أَوْ سَأَلَ رَجُلًا وَعِمْرَانَ يَسْمَعُ فَقَالَ: «يَا أَبَا فُلَانٍ أَمَا صُمْتَ مِنْ سَرَرِ شَعْبَانَ؟» قَالَ: لَا قَالَ: «فَإِذَا أَفْطَرْتَ فَصُمْ يَوْمَيْنِ». (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
হযরত ইমরান ইবনু হুসায়ন রাযিঃ থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পিতাকে অথবা অন্য কোন লোককে জিজ্ঞেস করেছেন, আর আমি তা শুনছি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে অমুক ব্যক্তির পিতা! তুমি কী শা‘বান মাসের শেষ দিনগুলো সওম রাখো না? তখন তিনি বললেন, না। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি রমাযানের শেষে শা‘বান মাসের দু’টি সওম পালন করে নিবে।
সনদ সহীহ৷ অনেকের মতে উক্ত সাওম দুটি হলো ১৪ ও ১৫ শাবানের সাওম৷
(সহীহুল বুখারী ১৯৮৩ হাদীস৷ সহীহু মুসলিম ১১৬১ হাদীস৷ মুসনাদে আহমাদ ১৯৯৪৭ হাদীস৷ সুনানে বায়হাক্বী ৭৯৬৭ হাদীস৷ সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৫৮৮ হাদাস৷ মিশকাতুল মাসাবীহ ২০৩৮ হাদীস৷)
☞ ১২ নং হাদীসঃ
عن أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ : قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ لَمْ أَرَكَ تَصُومُ شَهْرًا مِنَ الشُّهُورِ مَا تَصُومُ مِنْ شَعْبَانَ، قَالَ ذَلِكَ شَهْرٌ يَغْفُلُ النَّاسُ عَنْهُ بَيْنَ رَجَبٍ وَرَمَضَانَ وَهُوَ شَهْرٌ تُرْفَعُ فِيهِ الأَعْمَالُ إِلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ فَأُحِبُّ أَنْ يُرْفَعَ عَمَلِى وَأَنَا صَائِمٌ
হযরত উসামাহ বিন যায়দ রাযিঃ থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, একদা আমি বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! আপনাকে শাবান মাসে যত সিয়াম রাখতে দেখি অন্য কোন মাসে তো তত সিয়াম রাখতে দেখি না, (এর রহস্য কী?) উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ এটা তো সেই মাস! যে মাস সম্বন্ধে মানুষ উদাসীন৷ যা হল রজব ও রমযানের মধ্যবর্তী মাস। আর এটা তো সেই মাস; যাতে বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের নিকট আমলসমূহ পেশ করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি যে, সিয়াম রাখা অবস্থায় আমার আমল সমূহ (আল্লাহর নিকট) পেশ করা হোক। সনদ সহীহ৷
(মুসনাদে আহমাদ ২১৭৫৩ হাদীস৷ সুনানে নাসাঈ ২৩৫৭ হাদীস৷ সহীহ আত তারগীব ১০০৮ হাদীস৷)
☞ ১৩ নং হাদীসঃ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ ابْنِ أَبِي لَبِيدٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ صَوْمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ قَدْ صَامَ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ قَدْ أَفْطَرَ وَلَمْ أَرَهُ صَامَ مِنْ شَهْرٍ قَطُّ أَكْثَرَ مِنْ صِيَامِهِ مِنْ شَعْبَانَ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّهُ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ إِلَّا قَلِيلًا
হযরত আবূ সালামাহ রাযিঃ থেকে বর্ণিত,
আমি আয়িশা রাযিঃ এর নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সিয়াম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেনঃ তিনি একাধারে সিয়াম রেখেই যেতেন। এমনকি আমরা ভাবতাম, তিনি সিয়াম রেখেই যাবেন। আবার তিনি একাধারে রোযাহীন অবস্থায় কাটাতেন, এমনকি আমরা বলতাম, তিনি রোযাহীন অবস্থায়ই থাকবেন। শা‘বান মাস ব্যতীত অন্য কোন মাসে আমি তাঁকে এত অধিক সিয়াম রাখতে দেখিনি। তিনি প্রায় পুরা শা‘বান মাসই সিয়াম রাখতেন। তিনি শা‘বানের অল্প কিছুদিন বাদ দিয়ে পুরা মাসই সিয়াম রাখতেন। সনদ সহীহ৷
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১৭১০ হাদীস৷ সহীহুল বুখারী ১৯৬৯ হাদীস৷ সহীহু মুসলিম ৭৪৬, হাদীস৷ সুনানে আবূ দাউদ ১৩৪২,২৪৩৪ হাদীস৷ মুসনাদে আহমাদ ২৪৭৮৯, ২৫৫২২, ২৫৭৭৮, হাদীস৷ মুয়াত্তা মালেক ৬৮৮ হাদীস৷ মিশকাতুল মাসাবীহ ২০৩৬ হাদীস৷)
শবে বরাত সংক্রান্ত এরূপ আরো বহু হাদীস বিভিন্ন কিতাবে বিভিন্ন সূত্রে বর্নিত হয়েছে৷ প্রায় ২৫জন সাহাবী থেকে শবে বরাত সংক্রান্ত হাদীস বর্নিত হয়েছে৷ তন্মধ্যে কয়েক জনের নাম নিম্নে উল্লেখ করছি-
১৷ হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাযিঃ
২৷ হযরত আলী ইবনে আবি তলিব রাযিঃ
৩৷ উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দীকা রাযিঃ
৪৷ হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ
৫৷ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আ’মর রাযিঃ
৬৷ হযরত আবু মুসা আশআরী রাযিঃ
৭৷ হযরত আউফ ইবনে মালিক রাযিঃ
৮৷ হযরত মুআয ইবনে জাবাল রাযিঃ
৯৷ হযরত উসমান ইবনে আবীল আস রাযিঃ
১০৷ হযরত আবু ছালাবাহ আল খুসানী রাযিঃ
১১৷ হযরত কাছীর ইবনে মুররা আল হাজরমী রাযিঃ
১২৷ হযরত উসামা বিন যায়দ রাযিঃ প্রমূখ৷
উল্লিখিত হাদীসসমূহ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, শবে বরাত বা মধ্য শা’বানের রজনীর মহত্ব, গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজীলত অপরিসীম।
অতএব শবেবরাত সহীহ ও গ্রহণযোগ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত৷ তাই এ রাতের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার কোনো সুয়োগ নেই। জ্ঞাতব্য বিষয় হলো- হযরত নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কোন হাদীসই যয়ীফ নয়! বরং শুধু হাদীস শাস্ত্রিক বিশ্লেষণের দিক থেকে মুহাদ্দীসিনে কিরাম হাদীস গুলোকে শ্রেনী বিন্যাস করেতে যেয়ে কোন হাদীসকে সহীহ, কোন হাদীসকে হাসান এবং কোন হাদীসকে যয়ীফ হিসেবে নির্নয় করেছেন৷ আর মুহাদ্দীসিনে কেরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হল, একাধীক সনদে বর্নিত জয়ীফ হাদীসগুলো হাসানের দরজায় পৌঁছে যায়। আর ফাযায়েলের ক্ষেত্রে যয়ীফ হাদীসও গ্রহণযোগ্য। তাছাড়া শা’বান মাসে বেশি বেশি নফল রোযা রাখার কথা একাধিক সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত এবং আইয়ামে বীয অর্থাৎ প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোযা রাখার বিষয়টিও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তদুপরি ইসলামের প্রারম্ভ যুগ থেকে এর ওপর আমল চলে আসাটা হাদীসগুলো নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার সবচেয়ে বড় দলিল।