প্রসঙ্গঃ আমীরে মুয়াবিয়া (রাঃ) সাহাবী ছিলেন তাই ওনার শানে গোস্তাখী কাম্য নয়, চুপ থাকাই অপরিহার্য।
লেখকঃ→ (Masum Billah Sunny)
⛔ মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।(আল কাহফ ৫৪)
⛔ অতএব, মজা লুটে নাও, সত্বরই জানতে পারবে। (রুম ৩৩-৩৪)
মানুষ তর্ক করতে গিয়ে নিজের জেদকে প্রাধাণ্য দেয়। আর এতে করে ফিৎনা ছড়িয়ে পরে। এসব থেকে দূরে থাকাই উত্তম। এক কথায় জেনে নিন,
আহলে বাইয়াতের প্রতি আহলুস সুন্নাহর অগাধ ভালবাসাও রয়েছে এবং অন্যান্য সকল সাহাবাগণের প্রতি তাজিমও রয়েছে। আর শিয়াদের মধ্যে এই জিনিসটি নেই। তারা আহলে বাইয়াতকে ভালবাসতে গিয়ে কতিপয় সাহাবীকে কাফির, মুনাফিক পর্যন্ত বলে থাকে (নাউজুবিল্লাহ)
হযরত আলী (রাঃ) সর্বদাই হকের উপর ছিলেন।
কোন জিনিসের ক্ষেত্রে ৩টি রায় দেয়া যায়ঃ
১) হক
২) বাতিল
৩) চুপ (এখানে বিস্তর ব্যাখ্যা দ্বারা সমাধান রয়েছে)
আমীরে মুয়াবিয়া (রাঃ) উম্মতের ইজমা অনুযায়ী সাহাবী ছিলেন সুতরাং গোস্তাখী না করে চুপ থাকা অত্যাবশ্যক। তাছাড়া না জেনে না বুঝে কোন সুন্নী ভাইকে কাফির, শিয়া ইত্যাদি ফতোয়া দেয়াও কাম্য নয়।
তবে সত্যিই কেউ সাহাবীদের সমালোচনা করলে তখন জ্ঞানী আলেমগণ যদি সত্য প্রকাশ না করে তবে তার উপর আল্লাহ তা’আলা, ফেরেশতাকুল ও মানবজাতির লানতঃ
⛔ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
“যখন ফিত্না প্রকাশ হবে কিংবা আমার সাহাবীদেরকে বিদআতী ব্যক্তিবর্গ সমালোচনা করবে, তখন যেন জ্ঞান-শিক্ষাপ্রাপ্ত আলেম সত্য প্রকাশ করে। যদি সে এ কাজ না করে তবে তার উপর আল্লাহ তা’আলা, ফেরেশতাকুল ও মানবজাতির লানত তথা অভিসম্পাত। আল্লাহ পাক তার কোন কাজ কিংবা ন্যায় নিষ্ঠাই (কোন আমলই) আর কবুল করবেন না।”
Reference :
★ কিতাবঃ নব্য ফিত্না সালাফিয়্যাহ
লেখকঃ আল্লামা হোসাইন হিলমী (রহঃ)
অনুবাদকঃ কাজী সাইফুদ্দিন হোসাইন
★ কাঞ্জুল ইমান পত্রিকাঃ অনুচ্ছেদ- নব্য ফিত্না সালাফিয়্যাহ