❏ ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী স্বীয় তাফসীরে দুররে মনসুর-এ উল্লেখ করেন,
ﻭَﺃﺧﺮﺝ ﺍﺑْﻦ ﺃﺑﻲ ﺣَﺎﺗِﻢ ﻭَﺍﺑْﻦ ﻣﺮْﺩَﻭَﻳْﻪ ﻭَﺍﺑْﻦ ﻋَﺴَﺎﻛِﺮ ﻋَﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪ ﺍﻟْﺨُﺪْﺭِﻱّ ﻗَﺎﻝَ : ﻧﺰﻟﺖ ﻫَﺬِﻩ ﺍﻟْﺂﻳَﺔ } ﻳَﺎ ﺃَﻳﻬَﺎ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝ ﺑﻠﻎ ﻣَﺎ ﺃﻧﺰﻝ ﺇِﻟَﻴْﻚ ﻣﻦ ﺭَﺑﻚ { ﻋﻠﻰ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳﻠﻢ ﻳَﻮْﻡ ﻏَﺪِﻳﺮ ﺧﻢ ﻓِﻲ ﻋَﻠﻲّ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻃَﺎﻟﺐ
ﻭَﺃﺧﺮﺝ ﺍﺑْﻦ ﻣﺮْﺩَﻭَﻳْﻪ ﻋَﻦ ﺍﺑْﻦ ﻣَﺴْﻌُﻮﺩ ﻗَﺎﻝَ : ﻛُﻨَّﺎ ﻧَﻘْﺮَﺃ ﻋﻠﻰ ﻋﻬﺪ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳﻠﻢ } ﻳَﺎ ﺃَﻳﻬَﺎ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝ ﺑﻠﻎ ﻣَﺎ ﺃﻧﺰﻝ ﺇِﻟَﻴْﻚ ﻣﻦ ﺭَﺑﻚ { ﺃَﻥ ﻋﻠﻴﺎ ﻣﻮﻟﻰ ﺍﻟْﻤُﺆﻣﻨِﻴﻦَ . ﻭَﺇِﻥ ﻟﻢ ﺗﻔﻌﻞ ﻓَﻤَﺎ ﺑﻠﻐﺖ ﺭﺳَﺎﻟَﺘﻪ ﻭَﺍﻟﻠﻪ ﻳَﻌْﺼِﻤﻚ ﻣﻦ ﺍﻟﻨَّﺎﺱ
অর্থাৎ অর্থাৎ ইবনে আবী হাতেম, ইবনে মারদুবিয়া এবং ইবনে আসাকিরের বর্ণনায় রয়েছে হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) বলেছেন, গাদীরে খুমে কুপের নিকট হযরত আলী (رضي الله عنه) এর শানে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। ইবনে মারদুবিয়ার বর্ণনায় রয়েছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) বলেন, আমরা রেসালাতের যুগে এ আয়াতটি পাঠ করতাম “ইয়া আইয়ুহার রাসূল বাল্লিগ মা উনঝিলা ইলাইকা মিররব্বিক। ইন্না আলিয়ান মাওলাল মুমিনিনা ওয়া ইল্লাম তাফয়াল ফামা বাল্লাগতা রিসালাতাহু ওয়াল্লাহু ইয়া’সিমুকা মিনান্নাস” অর্থাৎ হে রাসূল! আপনার রবের নিকট থেকে আপনার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা প্রচার করুন। নিশ্চয়ই আলী (رضي الله عنه) মুমিনদের মাওলা (অভিভাবক)। যদি আপনি এরূপ না করেন তবে তো আপনি তাঁর রেসালাত প্রচার করলেন না। আল্লাহ আপনাকে মানুষ থেকে রক্ষা করবেন।
(সূত্রঃ ইমাম সুয়ুতী: তাফসীরে দুররে মনসুর, ২/২৯৮পৃ)
❏ গাদীরে খুমে নবীজি দীর্ঘক্ষণ ভাষণ প্রদান করলেন। ভাষণের একেবারে শেষ প্রান্তে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরআন ও আহলে বাইতকে শক্ত করে ধারণ করতে বললেন। এরপরই বললেন, ‘হে লোক সকল! আমি কি সকল মু’মিনদের চেয়ে সর্বোত্তম নেতা নই? তখন সকলে সমস্বরে বলে উঠলো, জ্বি ইয়া রাসূলাল্লাহ।’ তিনি আরও বললেন, ﺃَﻟَﺴْﺖُ ﺃَﻭْﻟَﻰ ﺑِﺎﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻣِﻦْ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻬِﻢْ অর্থাৎ আমি কি তোমাদের প্রাণের চাইতে বেশী প্রিয় নই? তখন সকলে সমস্বরে বলে উঠলো, জ্বি ইয়া রাসূলাল্লাহ।’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর পার্শ্বে উপবিষ্ট হযরত আলী (رضي الله عنه) এর হাত সকলের সম্মুখে উঁচু করে তুলে ধরলেন এবং ঘোষনা দিলেন,
ﻣَﻦْ ﻛُﻨْﺖُ ﻣَﻮْﻻَﻩُ ﻓَﻌَﻠِﻲٌّ ﻣَﻮْﻻَﻩُ
অর্থাৎ আমি যার মাওলা (অভিভাবক/ বন্ধু), আলী (رضي الله عنه)ও তার মাওলা।
তথ্যসূত্রঃ
(ক) তিরমিজী শরীফ, কিতাবুল মানাকিব, মানাকিবে আলী (رضي الله عنه), হাদিস নং-৩৭১৩
(খ)সাহাবাহ, ২/৫৬৯পৃ, হাদিস-১৫৯
(গ) ইমাম তাবারানী: আল মুজামুল কবীর, ৫/১৯৫পৃ, হাদিস-৫০৭১
(ঘ) ইবনে কাসীর: আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৫/৪৬৩পৃ
(ঙ) ইবনে আসাকির: তারিখে দামেস্ক, ৪৫/১৬৩পৃ
❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরও বলেন,
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻭَﺍﻝِ ﻣَﻦْ ﻭَﺍﻟَﺎﻩُ، ﻭَﻋَﺎﺩِ ﻣَﻦْ ﻋَﺎﺩَﺍﻩُ، ﻭَﺃَﺣِﺐَّ ﻣَﻦْ ﺃَﺣَﺒَّﻪُ، ﻭَﺃَﺑْﻐِﺾْ ﻣَﻦْ ﺃَﺑْﻐَﻀَﻪُ، ﻭَﺍﻧْﺼُﺮْ ﻣَﻦْ ﻧَﺼَﺮَﻩُ، ﻭَﺍﺧْﺬُﻝْ ﻣَﻦْ ﺧَﺬَﻟَﻪُ
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আপনি তার বন্ধু হোন যে আলী (رضي الله عنه)’র বন্ধু হয়, তার শত্রু হোন যে আলী (رضي الله عنه)’র শত্রু হয়। তাঁকে ভালবাসুন যে তাঁকে ভালবাসে, তার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করুন যে তার প্রতি বিদ্ধেষ রাখে, তাঁকে সাহায্য করুন যে তাঁকে সাহায্য করে, তাঁকে অপদস্থ করুন যে তাঁকে অপদস্থ করতে চেষ্টা করে।
তথ্যসূত্রঃ
(ক) ইমাম বাজ্জার: আল মুসনাদ, হাদিস নং-৭৮৬
(খ) ইমাম হায়ছামী: মাজামউয যাওয়ায়েদ, ৯/১০৪পৃৃ
(গ) মুত্তাকি হিন্দি: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং-৩৬৪৮৭
(ঘ) ইমাম তাহাবী: মাশকালুল আশার, ২/৩০৮পৃ
(ঙ) ইবনে আসাকির: তারিখে দামেস্ক, ৪৫/১৬০পৃ
❏ যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত আলী (رضي الله عنه) কে মাওলা হিসেবে ঘোষণা করলেন তখন সকল সাহাবী হযরত আলী (رضي الله عنه)কে মাওলা হিসেবে মেনে নিলেন এবং মুবারকবাদ জানালেন। তখনই কুরআনের শেষ আয়াত নাযিল হলো।
ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﺃَﻛْﻤَﻠْﺖُ ﻟَﻜُﻢْ ﺩِﻳﻨَﻜُﻢْ ﻭَﺃَﺗْﻤَﻤْﺖُ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻧِﻌْﻤَﺘِﻲ ﻭَﺭَﺿِﻴﺖُ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟْﺈِﺳْﻠَﺎﻡَ ﺩِﻳﻨًﺎ
অর্থাৎ আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সূরা মায়েদা-৩)
❏ হযরত আলী (رضي الله عنه) কে মাওলা ঘোষণার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর মাথায় পাগড়ী পড়িয়ে দেন। যেমন বর্ণিত আছে,
ﻋَﻦْ ﻋَﻠِﻲٍّ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ، ﻗَﺎﻝَ : ﻋَﻤَّﻤَﻨِﻲ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳَﻮْﻡَ ﻏَﺪِﻳﺮِ ﺧُﻢٍّ ﺑِﻌِﻤَﺎﻣَﺔٍ ﺳَﺪَﻟَﻬَﺎ ﺧَﻠْﻔِﻲ
অর্থাৎ হযরত আলী (رضي الله عنه) নিজেই বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, গাদীরে খুমের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি পাগড়ি আমার মাথায় পরিয়ে দিলেন এবং এর প্রান্তভাগ পিঠের দিকে ঝুলিয়ে দিলেন।
তথ্যসূত্রঃ
(ক) তায়ালিসি: আল মুসনাদ, হাদিস নং-১৪৯
(খ) ইমাম বায়হাকি: সুনানে কুবরা, হাদিস নং-১৯৭৩৬
(গ) মুত্তাকি হিন্দি: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং-৪১১৪১, ৪১৯০৯
(ঘ) ইমাম সুয়ূতী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং- ৩৩৬৭৮ ইমাম হায়ছামী উল্লেখ করেন,
❏ হযরত আলী (رضي الله عنه)কে মাওলা ঘোষনার পর সর্বপ্রথম হযরত আবু বকর ও হযরত উমর (رضي الله عنه) স্বীকৃতি দিলেন। ইমাম হায়ছামী বলেন,
ﻗﺎﻝ ﺃَﺑُﻮ ﺑﻜﺮ ﻭَﻋﻤﺮ ﻟﻌﻠﻰ ﺑﻦ ﺍﺑﻰ ﻃﺎﻟﺐ ﻳﻮﻡ ﻏﺪﻳﺮ ﺧﻢ ﺃﻣﺴﻴﺖ ﻳَﺎ ﺍﺑْﻦ ﺃﺑﻲ ﻃَﺎﻟﺐ ﻣﻮﻟﻰ ﻛﻞ ﻣُﺆﻣﻦ ﻭﻣﺆﻣﻨﺔ — ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺪَّﺍﺭَﻗُﻄْﻨِﻲّ
অর্থাৎ হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) ও হযরত উমর (رضي الله عنه) গাদীরে খুমের দিন হযরত আলী (رضي الله عنه) বিন আবি তালিবকে বললেন, হে আবু তালিবের সন্তান! আপনি হলেন প্রতিটি মুমিন পুরুষ ও নারীর মাওলা। এটা দারা কুতনী বর্ণনা করেছেন। (সূত্রঃ ইমাম হায়ছামী: সাওয়ায়েকে মুহরিকা, ৯১পৃ)
❏ হযরত উমর (رضي الله عنه) হযরত আলী (رضي الله عنه) কে উদ্দেশ্য করে বললেন,
ﺑَﺦٍ ﺑَﺦٍ ﻟَﻚَ ﻳَﺎ ﺍﺑْﻦَ ﺃَﺑِﻲ ﻃَﺎﻟِﺐٍ، ﺃَﺻْﺒَﺤْﺖَ ﻣَﻮْﻟَﺎﻩُ ﻭَﻣَﻮْﻟَﻰ ﻛُﻞِّ ﻣُﺆْﻣِﻦٍ،
অর্থাৎ মারহাবা! মারহাবা! হে আবু তালিবের পুত্র। আপনি আমার মাওলা এবং প্রত্যেক মুমিনের মাওলা।
তথ্যসূত্রঃ
(ক) খতীব বাগদাদী: তারিখে বাগদাদ, ৮/২৯০পৃ
(খ) ইমাম তাবারানী: আল মুজামূল আওসাত, ৩/৩২৪পৃ
(গ) ইবনে আসাকির: তারিখে দামেস্ক, ৪৫/১৭৯পৃ
(ঘ) ওয়াহিদী: আসহাব উন নুজুল, ১০৮পৃ
(ঙ) ইমাম রাজী: তাফসীরে কবীর।
❏ যায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেন: “আমি যার মাওলা (অবিভাবক, সহায়ক), আলী তার মাওলা।” [সুনান আল তিরমিযীঃ হাদীস নং ৩৩৩৩]
❏ সাইয়্যিদিনা হুবশি ইবনে জুনাদাহ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
“আলী আমার থেকে এবং আমি আলি থেকে।”
[সুনান ইবনে মাজাহ হাদীস নং ১১৯, ইমাম তিরিমযিও এটি বর্ণনা করেছেন এবং হাসান সহিহ ঘোষণা করেছেন]
❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اَللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَاِد مَنْ عَادَاهُ.
আমি যার মাওলা আলী (رضي الله عنه)ও তার মাওলা। হে আল্লাহ! যে আলী (رضي الله عنه)কে ভালোবাসে তুমি তাঁকে ভালোবাস আর যে আলী (رضي الله عنه)’র সাথে শত্রুতা করে তুমি তার সাথে শত্রুতা করো।
তথ্যসূত্রঃ
১.কানযুল উম্মাল ১১:৬০৯/৩২৯৫০,
২.আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১০৯,
৩.মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১০৪,
৪.আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ৪:১৭৩/৪০৫৩,
৫.তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৩,
৬.মুসনাদে আহমাদ ১:৮৪, ৮৮, ১১৯, ১৫২, ৩৩১ ও ৪:২৮১, ৩৬৮, ৩৭০, ৩৭২ ও ৫:৩৪৭, ৩৫৮, ৩৬১, ৩৬৬, ৪১৯।
❏ হজরত আবু বকর ও হজরত ওমর, হজরত আলী (رضي الله عنه) কে এ বলে স্বাগতম জানালেন যে, ইয়া আলী (رضي الله عنه) ইবনে আবু তালিব, আজ থেকে আপনি সকল মোমেন ও মোমেনার মাওলা ( অভিভাবক ) হয়ে গেলেন ।
তথ্যসূত্রঃ
১.মুসনাদে হাম্বাল, খঃ-৪, পৃঃ-২৪;
২.তাফসিরে আল কাবীর, খঃ-১২, পৃঃ-৪৯;
৩.কানজুল উম্মাল, খঃ-৬, পৃঃ-৩৯৭;
৪.আর রিয়াযুন নাজরা, খঃ-২। পৃঃ-১৬৯;
৫.মুস্তাদারাকে হাকেম, খঃ-৩, পৃঃ-১০৯ ইত্যাদি।
❏ রাসূল (ﷺ)-এর হযরত আলী (عليه السلام) সম্পর্কে বলেন,
‘আলী আমার থেকে এবং আমি আলী থেকে।’
(ক.) তাবারী,তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক,২য় খণ্ড,পৃ. ৫১৪
(খ.) ইবনে আসীর,আল-কামিল ফিত তারিখ
(গ.) ইবনে আবিল হাদীদ,শারহে নাহজুল বালাগাঃ ১০ম খণ্ড,পৃ. ১৮২
(ঘ.) তারিখে মাদিনাতে দামেস্ক,হযরত আলীর পরিচিতি পর্বে,১ম খণ্ড,পৃ. ১৪৮-১৫০
(ঙ.) আল আগানী,১৪তম খণ্ড,পৃ. ১৭ *(চ.) সহীহ তিরমিযী,৫ম খণ্ড,পৃ. ৬৩৬, হাদীস নং ৩৭১৯
(ছ.) সুনানে ইবনে মাজা,১ম খণ্ড,পৃ. ৪৪, হাদীস নং ১১৯
(জ.) আল-মুসনাদ,৪র্থ খণ্ড,পৃ. ১৬৪
(ঝ.) মুসনাদে আহমাদ,গবেষণা: হামযা আহমাদ আযযাইন,১৬তম খণ্ড,পৃ.৪৯৭,হাদীস নং ২২৯০৮
(ঞ.) সুয়ূতী,তারিখুল খুলাফা,পৃ. ১৬৯
(ট.) তাবারানী,আল মুজামুল কাবীর,৪র্থ খণ্ড,পৃ. ১৬
(ঠ.) মাকতাবাতু ইবনে তাইমিয়া প্রকাশনা,কায়রো,দারু ইহয়িয়াউত তুরাসিল আরাবি ছাপাখানা,বৈরুত।
❏ আহমদ ইবনে শুয়াইব নাসায়ী তাঁর ‘ফাযায়েল’ গ্রন্থে ইমরান ইবনে হুসাইন সূত্রে মহানবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,তিনি বলেন : ‘নিশ্চয় আলী আমার থেকে এবং আমি আলীর থেকে এবং সে আমার পর সকল মুমিনের অভিভাবক।’ [ফাযায়িলুস সাহাবা,পৃ. ১৫।]
❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
“আমি যার মাওলা (সাহায্যকারী) আলীও তার মাওলা (সাহায্যকারী) । হে খোদা যে আলীর সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখে তুমিও তার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখ, যে আলীর সাথে শত্রুতা রাখে তুমিও তার সাথে শত্রুতা রাখ।”
তথ্যসূত্র:
(১) সহিহ তিরমিযী, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২৯৮, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৬৩
(২) সুনানে ইবনে মাজাহ, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ১২,৪৩
(৩) ইমাম নাসায়ীঃ খাসাই’স, পৃষ্ঠা ৪,২১
(৪) আল-মুস্তাদরাক, আল-হাকিম, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১২৯, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১০৯-১১০,১১৬,৩৭১
(৫) মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৮৪,১১৮,১১৯,১৫২,৩৩০, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ২৮১,৩৬৮,৩৭০, ৩৭২,৩৭৮, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৩৫,৩৪৭,৩৫৮,৩৬১,৩৬৬,৪১৯ (বর্ণনাকারীদের ৪০ টি সনদ থেকে)
(৬) ফাদ্বাইলুস-সাহাবা, আহমদ হাম্বল, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৫৬৩,৫৭২
(৭) মাজমা ’আল জাওয়াইদ, আল-হাইসামি, খন্ড ৯, পৃষ্ঠা ১০৩
(৮) তাফসীর আল-কবির, ইমাম ফখরুদ্দীন-রাজি, খন্ড ১২, পৃষ্ঠা ৪৯-৫০
(৯) তাফসীর আল-দুর আল-মনসুর, ইমাম জালালউদ্দিন সুয়ুতি, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৯
(১০) তারিক আল-খুলাফা, ইমাম সুয়ুতি, পৃষ্ঠা ১৬৯,১৭৩
(১১) আল-বিদায়াহ ওয়াল-নিহায়াহ, ইমাম ইবনে কাসির, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ২১৩, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ২০৮
(১২) উসদুল গাবাহ, ইবনে আসির, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ১১৪
(১৩) মুশকিল আল-আছার, ইমাম আত-তাহাবি, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৩০৭-৩০৮
(১৪) হাবিব আল-সিয়ার, মীর খাঁনদ, খন্ড ১, অংশ ৩, পৃষ্ঠা ১৪৪
(১৫) সাওয়াইখ আল-মুহরিকাহ, ইবনে হাজার আল-হায়সামী, পৃষ্ঠা ২৬
(১৬) আল-ইসাবাহ, ইবনে হাজার আল-আসকালানী, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৫০৯; খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩১৯, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৫৭, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ২৯, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ১৪,১৬,১৪৩
(১৭) তাবারানী, যিনি ইবনে উমর, মালিক ইবনে আল-হাওইরথ , হাবশী ইবনে জুনাদাহ, জারি, সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস, আনাস ইবনে মালিক, ইবনে আব্বাস, আমারাহ, বুরেদাহ।
(১৮) তারিক, আল-খতিব বাগদাদী, খন্ড ৮, পৃষ্ঠা ২৯০
(১৯) হিলিয়াতুল আউলিয়া, আল-হাফিজ আবু নুয়াম, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ২৩, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৬-২৭
(২০) আল-ইসতিয়াব, ইবনে আব্দিল বারের রচিত, “আয়িন” শব্দের অধ্যায় (‘আলী), খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৬২
(২১) কানজুল উম্মাল, আল-মুত্তাকী আল-হিন্দি, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ১৫৪,৩৯৭
(২২) আল-মিরকাত, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৫৬৮
(২৩) আল-রিয়াদ আল-নাদিরাহ, আল-মুহিব আল-তাবারী, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১৭২
(২৪) দাখাই’রুল-উকবা, আল-মুহিব আল-তাবারি , পৃষ্ঠা ৬৮।
(২৫) ফায়েদ আল কাদির, আল-মানাভী , খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ২১৭।
(২৬) ইয়ানাবী ’আল-মাওয়াদদাহ, আল-কুদূজি আল-হানাফী , পৃষ্ঠা ২৯৭ … এবং আরও কয়েক শতাধিক।
আল কুরআনের তফসীরকারক যারা গাদির খুমের বর্ণনা উল্লেখ করেছেন:
১. ইবনে জারির আল-তাবারী (মৃত্যু: ৩১০), “তাফসির আল-বায়ান” -।
২. আল-জাসাসস (মৃত্যু: ৩০০), “আহকাম আল-কোরআন”।
৩. আল-হাফিজ আবু নুয়াম (মৃত্যু: ৪৩০), “আসবাব আল-নুজুল”।
৪. আল-থালাবী (মৃত্যু: ৪২৭ বা ৪৩৭), “তাফসির আল-থা’লাবি”।
৫. আল-ওয়াহিদী (মৃত্যু: ৪৬৮), “আসবাব আল-নুজুল”।
৬. আল-কুরতুবী (মৃত্যু: ৫৬৮), “তাফসীর জামিউল হুকাম আল-কোরআন”।
৭.আল-ফখরুদ্দিন আল-রাজি (মৃত্যু: ৬০৬), “আল-তাফসির আল-কবির”।
৮.আল-খাজিন বাগদাদী (মৃত্যু: ৭৪১), “তাফসির আল-খাজিন”।
৯.আল-নিসাবুরি (অষ্টম শতাব্দী), “তাফসির আল-নিসাবুরি”।
১০. ইবনে কাসীর (মৃত্যু: ৭৪৪) তাঁর “তাফসীর” (সম্পূর্ণ সংস্করণ) আয়াত ৫: ৩ এর অধীনে (এটি মেলানো সংস্করণে বাদ যায়!) ইবনে মারদাওয়াহ থেকে বর্ণিত।
১১. আল-হাফিজ জালালউদ্দীন আল সুয়ুতি (মৃত্যু: ৯১০), তাঁর “তাফসির”।
১২. আল-খতিব আল শারবিনী তাঁর “তাফসির”।
১৩. আবু আল সৌদ আল-হানাফি (মৃত্যু: ৯৭২), তাঁর “তাফসির”।
১৪. আল-আলোসি আল-বাগদাদি (মৃত্যু: ১২৭০), তাঁর “তাফসির”। এবং আরও অনেক তফসীরে।
গাদির খুমের বর্ণনা নিয়েছেন যে সমস্ত ঐতিহাসিকঃ
১. ইবনে কুতায়বাহ (মৃত্যু: ২৬৬) “মা’আরিফ” এবং “ইমামাহ ওয়াল সিয়াসাহ”।
২. আল-বালধুরী (মৃত্যু: ২৭৯), “আনসাব আল আশরাফ”।
৩. ইবনে জাওলাক আল-মিস্রি (মৃত্যু: ২৭৭), তাঁর গ্রন্থে।
৪. ইবনে জারির আল-তাবারী (মৃত্যু: ৩১০), “কিতাবুল উইলিয়াহ”।
৫.আল-খতিব আল-বাগদাদী (মৃত্যু: ৪৬৩), “তারিখ বাগদাদ”।
৬.ইবনে আবদ আল-বার (মৃত্যু: ৪৬৩), “আল- ইসতিয়াব”।
৭. আল-শাহরিস্তিণী (মৃত্যু ৫৪৮), “আল-মিলাল ওয়াল নিহাল”।
৮. ইবনে ‘আসাকির (মৃত্যু: ৫৭১),“ তারিখ ইবনে “আসাকির” এবং “ইয়াকূত আল-হামাভি”।
৯. ইবনে আল আতির (মৃত্যু ৬৩০), “উসদ আল গাবাহ”।
১০. সিব্বত ইবনে আল জাওযী (মৃত্যু ৬৫৪), “তদকিরাত খাওয়াস আল-উম্মাহ”।
১১. ইবনে আবী আল-হাদিদ (মৃত্যু: ৬৫৬), “শারহ নাহজুল বালাগা”।
১২. ইবনে খলকান (মৃত্যু: ৬৮১), “তারিখ ইবনে খলকান”।
১৩. আবুল ফিদা (), তাঁর “তারিখ”।
১৪. আল-ধাবি (মৃত্যু: ৭৪৮), “তদকিরাত আল-হাফধ”
১৫. আল-ইয়াফিআই (মৃত্যু: ৭৬৮), “মীরাত আল-জিনান”
১৬. ইবনে আল শায়খ আল-বালাভি, “আলেফ বা”।
১৭. ইবনে কাসীর (মৃত্যু: ৭৭৪) “আল-বিদায়াহ ওয়াল নিহায়াহ”।
১৮. ইবনে খালদুন (মৃত্যু: ৮০৮), “আল-মুকাদ্দিমাহ”।
১৯. আল-নুওয়াইরি (মৃত্যু: ৩ ৮৩৩), “নিহায়াত আল-ইরাব ফি ফিনুন আল-আদাব”
২০. আল-মাকরিজি (মৃত্যু ৮৪৫), “আল-খিতাত”।
২১. ইবনে হাজার আল-আসকালানী (মৃত্যু ৮৫২), “আল-ইসাবাহ” এবং “তাহহিদ আল-তাহধিব”।
২২. ইবনে আল-সাববাগ আল-মালেকী (মৃত্যু ৮৫৫), “আল-ফুসুল আল-মুহিমাহ”।
২৩. মীর খান্দ (মৃত্যু ৯০৩), “হাবিব আল-সিয়ার”।
২৪. জালালুল উদ্দিন আল সুয়ুতি (মৃত্যু ৯১০), “তারিখ আল খুলাফা”।
২৫. ইবনে হাজার আল-হায়সামী, (ড। ৯৭৪) “আল-সাওয়া’ইক-মুহুরিকাহ”।
২৬. আল-হাফিজ আহমদ ইবনে মুহাম্মদ আল-আসিমি, “জয়ন আল-ফাতা”।
২৭. আল-কিরমানি আল-দামাস্কি (মৃত্যু: ১০১৯), “আখবার আল-দুওয়াল”।
২৮. নূর আল-দীন আল-হালাবী (মৃত্যু: ১০৪৪), “আল-সিরাহ আল-হালাবিয়াহ”। এবং আরও অনেক ইতিহাসবিদ।
গাদির খুমের বর্ণনাটি (মুতাওয়াতির পর্যায়ভুক্ত) যা অস্বীকারকারীর ইমান থাকবে না।
সনদ ট্রান্সমিশনঃ
১. আহমদ ইবনে হাম্বল ৪০ টি সনদে থেকে বর্ণনা করেছেন;
২. ইবনে জারির আল-তাবারী ৭০ টিরও বেশি সনদে;
৩.আবু সাইদ আল-সিজিস্তিনি ১২০ টি সনদে থেকে;
৪. আবু বকির আল-জাবী ১২৫ টি চেইন থেকে;
৫. আল-আমির মুহাম্মদ আল-ইয়ামানী (২য় শতাব্দী) এর ১৫০ টি সনদে ছিল;
৬. আল-ধাবি তার সনদগুলো সহ একটি সম্পূর্ণ বই লিখেছেন এবং রায় দিয়েছেন যে এটি মুতাওয়াতির;
৭. আবুল আব্বাস ইবনে উকদাহ ১৫০ টি সনদের মধ্য দিয়ে বর্ণনা করেছেন।