আমার একটি কৈফিয়ত।

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

আমার একটি কৈফিয়ত।
অতি দুঃখিত মন নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি সবাই পড়বেন। এবং কমেন্টে এ অন্তত শান্তনা দিবেন।
আসুন, আমার মনের কষ্টটা আপনাদের বুঝিয়ে বলি। কিছুদিন আগে আমি আবে হালায় মিজান এর নবিজী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নিরক্ষর বলা নিয়ে একটি পোস্ট করি। সেখানে তাকে শয়তানের সাথে তুলনা করি। তখন কিছু কাছের মানুষের সাথে হালকা তর্ক হয়।এক ভাই বলেন “মিযানের সাথে আপনার শত্রুতা কি?”সব কথা শুনার পর উনি এড়িয়ে যাবার জন্য বলেন”আমি অত বুঝি না”। আপনি মার্কেটে ২কে৪ ৪কে৮ করতে বুঝেন! কিন্তু, ইসলামিক বিষয়ে আসলেই বুঝেন্না?আরেক ভাই বলেন”তার পপুলারিটি আপনাদের সহ্য হয়না”আরে ভাই, পপুলারিটি তো পাগলেরও হয়‌।
এক চাচা বলেন”এতো তর্ক বিতর্ক না করে শুধু নামাজ রোজা কোরআন হাদিস আল্লাহ রাসূল (দ) করলেই তো হয়”!চাচা, আমি যদি আপনার মা-বাবাকে গালি দিই, আপনি কি চুপ থাকবেন?। আরো কত ভাই নবী (দ)কে নিরক্ষর আর মিযানকে শিক্ষিত প্রমানিত করার জন্য তর্ক করেছেন তার হিসাব নেই।
আসল কথায় আসি।
মিযান সাহেব একটি বয়ানে উম্মুল মুমিনিন খাদিজা (রা) এর শানে অশালীন বক্তব্য দেয়। উনি নাকি ৪০ বছরের বুড়ি?! আচ্ছা,৪০ বছরে কি মানুষ বৃদ্ধ হয়?হেতে কি পাগল? আবার বলে, উনি ইন্টেক ছিলেন না ভার্জিন ছিলেন না!নাউজুবিল্লাহ।
কোন মানুষ কি তার মায়ের ব্যাপারে এরুপ মন্তব্য করতে পারে?
আমি ঐ চাচা এবং ঐসব ভাইদের বলবো, আপনি ১০০ নয়,৫০ও নয় শুধু ৫ জন মানুষের সামনে আপনার মায়ের ব্যাপারে হুবুহুব বলবেন।
পারবেন কি? যদি পারেন! তবে আপনাকে ধিক্কার না দুঃখিত ধন্যবাদ জানাই।
আর যদি না পারেন, তবে সকল মুমিনের মায়ের ব্যাপারে বলার কারণে মিযানের ব্যপারে আপনার সিদ্ধান্ত কি?
আপনি কি لا يؤمن احدكم حتى اكون الي أحب من والده وولده والناس أجمعين.
অর্থাৎ:সে কখনো মুমিন হবে না,যে তার সব কিছু থেকে আমাকে বেশি ভালো না বাসলো।
এই হাদীসের মর্মার্থ বুঝে তার হক্ব আদায় করেছেন কি?
আমার কথাগুলো আপনার কানে রেডিওর মতো গোগো করছে।কারন, আপনি ইসলাম সম্বন্ধে বুঝেন্না। আপনি কি মা-বাবার মর্যাদা সম্পর্কেও জানেন না? আপনার বিবেক কে প্রশ্ন করুন।
হ্যাঁ, আমি বলবো। কট্টর ভাষায় বলবো।যারা আমার নবী (দ) অলী এবং সলফে সালেহীনদের ব্যাপারে বিরুপ মন্তব্য করবে তাদের বিপরীতে বলবো।
আচ্ছা,এই বলার দ্বারা কি আপন জন আমাকে দুরে ঠেলে দিবে? বন্ধুরা শত্রু হবে? তবে তাই হোক। আমিও দূরে চলে যাব।
কারণ, আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরিফে রাসূল (দ)কে উদ্দেশ্য করে বলেন:-যারা আল্লাহ ও আখেরাতকে বিশ্বাস করে তাদের পাবেন না বন্ধুত্ব রাখতে তাদের সাথে,যারা আল্লাহ ও রসূলের(দ) সাথে বিরুদ্ধাচরণ করে। যদিও তাদের পিতা হয় অথবা সন্তান।এরা তারাই যাদের অন্তরে ঈমানের সিল মোহর মেরে দেওয়া হয়েছে।(সুরা মুজাদালা)
অতএব, ঈমানের দাবী হলো ওদের বিরুদ্ধে লিখবো চাই কেউ সম্পর্ক রাখুক বা না রাখুক।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment