হাতে এক লাখ টাকা আছে।
হুজুরের কাছে পরামর্শ চাইতে এল বিশ বছর বয়েসি এক যুবক।
কী ব্যবসা করতে পারি?
হুজুর মুচকি হেসে বললেন,
– শুধু দুনিয়াবি ব্যবসার পরামর্শ দিবো নাকি এক লাখ টাকায় দুনিয়া আখেরাত উভয় জাহানে লাভজনক ব্যবসার পরামর্শ দিবো?
– মাত্র এক লাখ টাকায় উভয় জাহানে ব্যবসা করতে পারব?
– অবশ্যই পারবে। তাহলে শোনো, পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় করে দেখেশুনে একটা বিয়ে করে ফেলো। বাকি পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে, ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করো।
– এত অল্প টাকায় কী ব্যবসা করা যায়?
– আমি যে ব্যবসার কথা বলব, তাতে এত টাকা লাগবে না। আগে মসজিদের সামনে আতর বিক্রি করতে না?
– জ্বি। তাহলে ওটা চালু রাখো। স্কুলের সময় ঘরে বানানো আচার বিক্রি করতে পারো। ঝালমুড়ি বিক্রি করতে পারো।
– আর হুজুর, আখেরাতের ব্যবসা কীভাবে করব?
– আরে বিয়ে করাটাই আখেরাতের ব্যবসা। তোমার বয়েস এখন ২০। আল্লাহর রহমত থাকলে বয়েস ৪০ হতে হতে তোমার প্রায় পাঁচ-ছয়জন বা আরো বেশি সন্তান হয়ে যাবে। দ্বীনদার বউ ঘরে তুলতে পারলে, তোমার সন্তানরাও ইন শা আল্লাহ দ্বীনদার হবে। ৪০ বছর বয়েসেই তুমি দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানে ব্যবসায় বিরাট শিল্পপতি বনে যাবে। আর হাঁ, তোমার আপত্তি না থাকলে, বিয়েটা অজকেই হতে পারে।
– আমাকে কে পাত্রী দেবে?
– পাত্রী প্রস্তুত আছে। রিকশা চালক আবদুর রশিদ ভাইকে চেনো?
– চিনি।
– তার মেঝ মেয়ে। আমি জানি। বাবার মতো মেয়েরাও ভালো। মেয়েটা মাদরাসায় কয়েক জামাত পড়েছে।
আসরের পর বিয়ের আলোচনা। পাত্র-পাত্রীর সাক্ষাত। এশার পর মসজিদে বিয়ে সম্পন্ন। অল্প দিনেই আতরওয়ালার দুই জাহানের ব্যবসা বেশ জমে উঠেছে।
বিশে বিয়ে।
চল্লিশে শিল্পপতি।
উভয় জাহানে।
ইন শা আল্লাহ।
– শায়খ আতিক উল্লাহ (হাফি.)